অধস্তন আদালত
৫১ বিচারক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে রিট সরাসরি খারিজ
অধস্তন আদালতের ৫১ বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিমুল এহসান জোবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এসময় আদালত বলেছেন, দুদকের যে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পত্রিকায় বিচারকদের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ খোঁজ নিয়ে এ ধরনের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের অস্তিত্ব পায়নি। শতভাগ নিশ্চিত হওয়া ছাড়া বিচারকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের রিট কোনোভাবেই কাম্য নয়। পরে আদালত রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সারা দেশের অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদ ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জোবায়ের জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন শমী কায়সার
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে শতকোটি টাকা অনেকের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অনেকেই অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হাজার কোটি টাকার মালিক। অনেকের ফ্ল্যাট রয়েছে দেশে ও বিদেশে। কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেছেন বেশ কয়েকজন। শত শত বিঘা জামির মালিকানা অর্জন করেছেন কয়েকজন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের ৫১ জনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করে দৈনিকটি।
খবরে দুদক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, শিগগির তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু হবে। অনুসন্ধানে ওইসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে আরও সম্পদ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরপর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুদকের অনুসন্ধান থেকে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের পর আনিসুল হক আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে ধীরে ধীরে কলুষিত হতে থাকে বিচার বিভাগ। ওইসব কর্মকর্তা মন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় তারা ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান-মামুনের ৭ বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত
১৪৩ দিন আগে
অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অধস্তন আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী বাদী হয়ে এই রিট করেছেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই রিটের উপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে আইনি নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছিল।
নোটিশের জবাব না পেয়ে ১০ আইনজীবী আজ রিট করেন।
রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন— জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারো সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অথচ, এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢোকানো হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়।
রিটে, আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এরই মধ্যে স্থাপিত লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
যেসব আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে, তার একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে রিটে।
রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকা আসামিদের আদালতকক্ষে লোহার খাঁচায় না ঢোকানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
৪৬৫ দিন আগে
অধস্তন আদালতের ২১১ জন করোনা আক্রান্ত
অধস্তন আদালতের মোট ২১১ জন বিচারক ও কর্মচারী করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন বিচারক এবং ১৬৭ জন কর্মচারী রয়েছেন।
১৭৬০ দিন আগে
৫ কার্যদিবসে অধস্তন আদালতে ৪,৯৬০ আসামির জামিন
সারাদেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে গত পাঁচ কার্যদিবসে ১০,৮৬৬টি মামলার জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয়েছে।
১৭৬৪ দিন আগে
করোনায় আক্রান্ত ৪০ বিচারক
ভার্চুয়াল আদালতে কাজ করতে গিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত অধস্তন আদালতের ৪০ বিচারক ও ১৩৬ কর্মী এবং সুপ্রিম কোর্টের ৪৫ কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৭৬৪ দিন আগে
অধস্তন আদালতের ২১ বিচারক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
অধস্তন আদালতের মোট ৮৩ জন বিচারক ও কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জন বিচারক এবং ৬২ জন কর্মচারী রয়েছেন।
১৭৭৬ দিন আগে
২০ বিচারকসহ আদালতের ১০৩ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত
ভার্চুয়াল আদালতে কাজ করতে গিয়ে শনিবার পর্যন্ত অধস্তন আদালতের ২০ জন বিচারক, ৫৯ কর্মী এবং সুপ্রিম কোর্টের ২৪ কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৭৭৭ দিন আগে
রেড জোনে আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাধারণ ছুটি
যে সকল অধস্তন আদালত রেড জোনের মধ্যে পড়েছে, সেসব আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির আওতাভুক্ত থাকবেন।
১৭৮১ দিন আগে