সংযুক্ত আরব আমিরাত
বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভিসা দেওয়ার আগে নিয়োগের নিশ্চয়তা চায় আমিরাত: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত
উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল ভিসা ইস্যু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আল-হুমুদি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান।
রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, 'সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তাদের জন্য এরইমধ্যে দেশটিতে চাকরির ব্যবস্থা আছে কি না নিশ্চিত হওয়ার পর তারা বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেবে।’
অবৈধ অভিবাসীদের বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত একমত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রেস সচিব আরও বলেন, 'উভয় দেশ এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বিনিয়োগসহ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার নতুন পথ খুঁজে বের করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী শিগগিরই ঢাকা সফর করবেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, 'আমাদের মধ্যে অত্যন্ত বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তবে আমরা এটিকে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১০০০ ভিসা ইস্যু করছে যার মধ্যে ৫০০ জন সরাসরি এবং আরও ৫০০ এজেন্টের মাধ্যমে।
বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনাকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, সব সেক্টরে সবকিছু গতি বাড়াতে কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য সবকিছু করছি।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈত নীতি রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলকে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। মূল্য নিয়ে আলোচনায় প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
নিরাপত্তার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এবং অন্যান্য দেশ এখন এয়ারলাইন্সগুলোকে ভ্রমণের আগে তাদের যাত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে বাধ্য করে। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।
অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা (সিবিপি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি বৈদ্যুতিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ সিস্টেম।
২০০৯ সালের মে থেকে শুরু করে, বেসরকারি বিমান পাইলটদেরও সিবিপিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৮০ দিনের ‘স্বেচ্ছায় সম্মতির সময়কাল’ সহ এই নীতিমালা কার্যকর করা হয়েছিল।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
৫ মাস আগে
স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতারা।
দেশটির দৃষ্টিনন্দন ও বিশেষ ভবনগুলোতে বাংলাদেশের পতাকা প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্সিয়াল কোর্টের মন্ত্রী মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৃথক শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
বার্তায় তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং বন্ধুপ্রতীম দেশ ও জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেন।
৭ মাস আগে
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং মাতারবাড়িতে ৩০০ একর জমি দেওয়ার বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা খাসিফ আল হামুদি।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আরব আমিরাতে আমার দ্বিপাক্ষিক সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে সামগ্রিক সব বিষয়ে আলোচনার 'ফলো আপ' সাক্ষাৎ ছিল এটি। ইউএইর সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। সেখানে এক মালিক থেকে অন্য মালিকের অধীনে 'আকামা' বা কর্মানুমতি হস্তান্তর সহজ করার বিষয়ে এবং দুবাই ছাড়া অন্য আমিরাতগুলোতে বাংলাদেশিদের 'ওয়ার্ক পারমিট' দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে একযোগে কাজ করা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
৮ মাস আগে
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প আমাদের দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণেও নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেব। এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
৮ মাস আগে
আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সহজীকরণের প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু, ভিসা পদ্ধতি সহজ এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের প্রস্তাব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান দেশটিতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে দুবাইয়ে মানবসম্পদমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের মধ্যে আমিরাতে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
এ সময় বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানে কোনো বাধা নেই জানিয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার প্রযুক্তিচালিত চাকরির বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া করার জন্য এআই এবং সম্পর্কিত সফ্টওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে জানান এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই পদ্ধতি তুলে ধরেন।
এই প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আমিরাত-গামী কর্মীবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশি কর্মীদের প্রস্তুত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাষা প্রশিক্ষক নিয়োগের কথাও জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
বৈঠকে মন্ত্রী ড. হাছান কুয়েত সরকারের বাংলাদেশি নার্স নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে যোগ্য নার্স ও চিকিৎসা পেশাজীবী নিয়োগের জন্য আমিরাত পক্ষকে অনুরোধ করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় আসন্ন যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকে কুয়েতি নিয়োগের মডেল পরীক্ষা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণমূলক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ দিন সন্ধ্যায় আবুধাবির আল আইন শহরের রয়্যাল প্যালেসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই দিনের সফরে মন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে একটি কমিউনিটি মিটিংয়ে যোগ দেবেন এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরাত: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত
সংযুক্ত আরব আমিরাত পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আলী আল হামুদি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তার বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত স্মরণ করেন যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল দুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর উপসাগরীয় দেশ সফরের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে শেখ নাহিয়ান ১৯৮৪ সালে ঢাকা সফর করেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাটিকানের পোপের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
আগামী নভেম্বরে দুবাইয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে তিনি সেখানে চাকরির জন্য যেতে ইচ্ছুকদের আরবি ভাষা শেখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর ঢাকায় কনসুল্যার মিশন খুলতে পারে পর্তুগাল
১ বছর আগে
দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের দাবিতে রিট
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিট আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য আগামী রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।
এর আগে, আজ সকালে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার কোটি টাকার সম্পদ থাকার বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস জনস্বার্থে এ আবেদন দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন, বিএফআইইউ, এনবিআর ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’-শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ আবেদন করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলে ফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে সি৪এডিএসের ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে। এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বাংলাদেশিরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করেছেন।
বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের গোপনে কেনা সম্পদের অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বৈশ্বিক অর্থনীতির করোনাকালীন বিপত্তির মধ্যেও দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতের বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিল শীর্ষে।
স্থানীয় ভূমি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় দুবাইয়ে বাংলাদেশি ধনীরাই সবচেয়ে বেশি সম্পদ কিনেছেন। এদিক থেকে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোর বাসিন্দাদের পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশিরা। দেশের বিত্তবানদের কাছে দীর্ঘদিন দুবাইয়ের আকর্ষণ ছিল নিছক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ আকর্ষণ রূপ নিয়েছে প্রকাশ্য ও গোপন লগ্নির কেন্দ্র হিসেবে। আকর্ষণীয় মুনাফার খোঁজে রিয়েল এস্টেট ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায় নাম লেখাচ্ছেন তারা। দেশের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই এখন দুবাইকে বেছে নিয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে।
২০২০ সালে করোনার মধ্যেই দেশের নির্মাণ খাতের ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যবসায়ী দুবাই চলে যান। এর পর থেকে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন। দেশের ব্যবসা থেকে উপার্জিত মুনাফা প্রতিনিয়ত দুবাইয়ে স্থানান্তর করছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি দুবাইয়ের আবাসন ও নির্মাণ খাতে বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ থেকে পুঁজির প্রবাহ বাড়াতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। এজন্য বিদেশি ধনীদের স্থানান্তরিত হতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশও অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যকর ও শক্তিশালী কোনো ব্যবস্থা গড়তে না পারায় এখান থেকে দুবাইয়ে অর্থ পাচার বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে হাইকোর্টের অপারগতা প্রকাশ
ভুজপুরে আ.লীগের ৩ নেতাকর্মী হত্যামামলা স্থগিতের আবেদন খারিজ: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মঙ্গলবার রাতে ৩২ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ম্যাচে সাত রানে জয় পায় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের বিপেক্ষ জয়ের আশা তৈরি করলেও সেই তুলনায় দ্বিতীয় ম্যচে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়ায় আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে আরও ভালো সুযোগ দিতে এই সিরিজের পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ১৬৯ রান করে। জবাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঁচ উইকেটে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায়। ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজও হারে স্বাগতিক দলটি।
বাংলাদেশের পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন দুটি এবং তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে অধিনায়ক চুন্দাঙ্গাপয়িল রিজওয়ান অর্ধশতক হাঁকান। তবে তার একমাত্র প্রচেষ্টা দলের হার এড়াতে যথেষ্ট ছিল না। এছাড়া ব্যাট হাতে বাসিল হামিদ ৪২ রান করেন।
এর আগে ডানহাতি ব্যাটার মেহেদি হাসান মিরাজ আবারও ইনিংস শুরু করে ৩৭ বলে পাঁচ চারের সাহায্যে ৪৬ রান করেন।
পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল ঘোষণা
অপর ওপেনার সাব্বির রহমান ভালো শুরু করলেও ইনিংস লম্ব করতে ব্যর্থ হন। তিনি ৯ বলে এক চার ও ছক্কায় ১২ রান করে আউট হন।
লিটন দাস ২৫ রান করেন। তিনিও সাব্বিরের মতো ইনিংস বড় করতে পারেন নি।
বাংলাদেশের পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন ২২ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন।
ষষ্ঠ উইকেটে ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৮ বলে ৩২ রান করেন।
শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ ৪৩ রান তুলতে সক্ষম হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে আয়ান আফজাল খান দুটি এবং সাবির আলি, আরিয়ান লাকরা ও কার্তিক মিয়াপ্পান একটি করে উইকেট নেন।
পড়ুন: বিপিএল: ‘বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা’ থেকে ‘সেরা ঘরোয়া’ লিগ
প্রথম টি-টোয়েন্টি: আরব আমিরাতের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় সোহানদের
২ বছর আগে
প্রথম টি-টোয়েন্টি: আরব আমিরাতের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় সোহানদের
দুবাইয়ে রবিবার রাতে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৭ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে। জবাবে ১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত সাত রানে হেরে যায় আরব আমিরাত।
শেষ দিকে চিরাগ সুরি ২৪ বলে ৩৯ রান করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। এছাড়া অয়ন আফজাল খান ১৭ বলে ২৫ রান করেন।
শরিফুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান মিরাজ তিনটি করে উইকেট নেন।
এর আগে আফিফ হোসেনের ৫৮ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের উপর ভর করে স্বাগতিকদের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ।
পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। ইনিংস ওপেন করা সাব্বির রহমান শূন্য রানে ফিরে যান। সাব্বিরের উদ্বোধনী সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪ বলে ১২ রান করেন। এছাড়া লিটন দাস (১৩), ইয়াসির আলী (৪), এবং মোসাদ্দেক হোসেন (৩) ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হন।
৭৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আফিফ ও নুরুল হাসান সোহান ৮১ রান যোগ করেন।
আফিফ সাত চার ও তিন ছক্কায় ৭৭, নুরুল ২৫ বলে দুই ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে কার্তিক মিয়াপ্পান নেন দুটি উইকেট।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
সিরিজ শেষে বাংলাদেশ দল ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবে এবং দুই-তিন দিনের বিরতির পর নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হবে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। সিরিজে অপর দল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজের পর বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ।
পড়ুন: বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয়ের নতুন ধারা শুরুর আশা নুরুলের
২ বছর আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয়ের নতুন ধারা শুরুর আশা নুরুলের
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেছেন, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে নতুন জয়ের ধারা শুরু করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
তবে এই সফরে নেই বাংলাদেশের নিয়মিত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি এখন গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন নুরুল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয় টাইগাররা।
আরও পড়ুন: বিকালে আরব আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে টাইগাররা
দুবাই যাওয়ার আগে নুরুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই সফরে ম্যাচ জিতলে নিউজিল্যান্ড সফর এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
অক্টোবরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
এই মেগা ইভেন্টের আগে, বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২৪ অক্টোবর টাইগাররা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে এবং ২৭ ও ৩০ অক্টোবর এবং ২ ও ৬ নভেম্বর বাকি ম্যাচগুলো খেলবেন।
সুপার টুয়েলভ রাউন্ডের প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। আগামী ৯ বা ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৩ নভেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব: টানা দুই জয় বাংলাদেশের
২ বছর আগে