দর্জি
বোগদাদিয়া লঞ্চের কেবিনে মিলল দর্জির লাশ
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এমভি বোগদাদিয়া-৭ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিন থেকে জয়নাল নামে এক দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সকালে সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর ঘাটে আসার পর মৃত্যুর বিষয় জানতে পেরে পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায় জয়নাল নামে দর্জি দোকানের কর্মচারীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তিনি ঢাকা একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন। লঞ্চের নীচতলার ১০৩ নম্বর কেবিনে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বোগদাদিয়া লঞ্চ-৭ এর মাস্টার কলিমুল্লাহ জানান, সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা করে লঞ্চটি পৌনে ১২টায় চাঁদপুর ঘাটে আসে। ঘাটে আসার পর সব যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। কিন্তু নিচতলার ১০৩ কেবিনের যাত্রী বের হননি। পরে দরজায় অনেকবার নক করা হলেও সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখা যায় তিনি নিচে পড়ে আছেন। পরে পুলিশের সহায়তার তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লঞ্চের টালী খাতায় তিনি জয়নাল নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
চাঁদপুর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির ইউএনবিকে জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সে ঢাকায় একটি পোশাক তৈরির দোকানে কাজ করে বলে দোকান মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কেবিনে তিনি একা থাকায় পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
নিখোঁজ দর্জির লাশ বাবার কবরের পাশে ধানখেত থেকে উদ্ধার, চোখে ক্ষত চিহ্ন
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পূর্ব ষাটনল গ্রামে বাবার কবরের পাশে ধানখেত থেকে সোহেল রানা (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিলো । বাড়ি ফিরে নি।
খবর পেয়ে শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০ টার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। নিহত সোহেল ওই গ্রামের নুরুল হক পাঠান ও রোকেয়া বেগমের ছেলে। তার রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোহেল প্রবাস থেকে এসে স্থানীয় কুনু মার্কেটে রুহুল আমিনের দোকানে দর্জির কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার ( ১ এপ্রিল) রাত ১০ টায় বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়। কিন্তু তিনি রাতে বাড়িতে ফিরেননি। সকাল ৯টার দিকে উদ্বিগ্ন মা রোকেয়া বেগম খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার স্বামী অর্থাৎ সোহেলের বাবার কবরের কাছে গিয়ে ধানখেতে তার লাশ দেখতে পান। রোকেয়া বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে বিকেলে পোস্টমর্টেমে পাঠিয়েছি। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি আরও বলেন, এটা একটা হত্যাকাণ্ড বলে আমরা ধারণা করছি। দুই চোখে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দোষীদের আটক করা হবে।
এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মঈনুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদ।
২ বছর আগে
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ
একে তো দরিদ্র। তারপর দুর্ঘটনায় এক চোখ হারিয়েছেন। অল্প অল্প করে টাকা জমিয়েছেন একটা ফ্রিজ কিনবেন বলে। করোনা দুর্যোগের সময় সেই ফ্রিজটি কিনেই ভাগ্য বদলে ফেললেন তিনি। পেশায় দর্জি ওই যুবকের নাম ওয়াজেদ আলী।
৪ বছর আগে