বিপিএল
এবারের বিপিএলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যত কার্যক্রম
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল-২০১৫) পরিবেশবান্ধব করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একাধিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। এর মধ্যে রয়েছে— মাঠের ভেতরে ও বাইরে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া পরিবেশবান্ধব প্ল্যাকার্ড ও প্রপ ব্যবহারের পাশাপাশি চার-ছক্কা উদযাপনের উপকরণেও পরিবেশবান্ধব বার্তা সংযোজন করা হয়।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচে প্রতিটি দলের অধিনায়কের মধ্যে গাছ বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হয়, যা পরিবেশ সচেতনতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। ম্যাচ চলাকালে এল আকৃতির বিজ্ঞাপন ও থিমেটিক টিভিসি সম্প্রচার, যেখানে জিরো ওয়েস্ট ক্যাম্পেইন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বর্জন, বায়ু ও শব্দদূষণ রোধের বার্তা বোঝায়।
ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের তিনটি ভেন্যুতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ কর্নার স্থাপন করা হয়। এসব কর্নারে পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম প্রদর্শনের পাশাপাশি দর্শকদেরও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়।
পরিবেশদূষণ রোধে ইন্টারঅ্যাক্টিভ বিন স্থাপন করা হয়, যেখানে রঙ চিহ্নিত বিনের মাধ্যমে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৫ টি২০ ক্রিকেটের প্রথম সারির প্রতিদ্বন্দ্বীরা
ম্যাচ চলাকালে রেডিওতে পরিবেশ সচেতনতামূলক বার্তা সম্প্রচারের জন্য জনপ্রিয় আরজেদের এনডোর্সমেন্ট যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিপিএল সংশ্লিষ্ট ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক প্ল্যাটফর্মে পরিবেশ সচেতনতা-বিষয়ক বার্তা প্রচার ও বুস্টিং করা হয়।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিপিএল-২০২৫ কেবল একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নয়, বরং একটি পরিবেশ সচেতনতামূলক উৎসবে রূপ নেয়, যা তরুণদের পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করে। ক্রিকেট, ফুটবলসহ খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ সকল প্রকার অনুষ্ঠানের পরিবেশবান্ধব আয়োজন করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৬৭ দিন আগে
শেষের নাটকীয়তায় পরও রেকর্ড গড়ে ফের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চিটাগাং কিংস। তবে তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাদের সে স্বপ্ন গ্লানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় কিংস। এটি ছিল বিপিএলের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে রেকর্ড করতে হতো বরিশালকে।
আর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ব্যাটারের ব্যাটিং ঝড় এবং শেষের নাটকীয়তার পর তিন বল বাকি থাকতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে তামিম ইকবালের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম। এরপর কাইল মেয়ার্সের ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সে কাজ আরও সহজ করে দেয়। যদিও শেষদিকে মেয়ার্স ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল চিটাগাং, তবে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে সেই আশার গুড়েও বালি পড়ে।
চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। চার ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নাঈম ইসলাম দুটি ও বিনুরা ফের্নান্দো নিয়েছেন একটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তামিম, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেন তৌহিদ হৃদয়। প্রথম ওভারে বিনুরাকে তামিম তিনটি চার মারলে ওই ওভারে ১৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এরপর আরাফাত সানিকে দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারে ফের বিনুরার বলে তিনটি চার মেরে ১২ রান সংগ্রহ করেন তামিম।
চতুর্থ ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ১১ রান। পরের দুই ওভারে উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগী হলে রানের চাকা কিছুটা গতি হারায়। ফলে পাওয়ার প্লেতে চিটাগাংয়ের মতোই বিনা উইকেটে ৫৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
সপ্তম ওভারে একটি করে ডবল, চার ও ছক্কায় ১৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল, সেই সঙ্গে ২৪ বলে একটি ছক্কা ও ৯টি চারের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
অষ্টম ওভারটি দেখেশুনে খেলার পর নবম ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানে চিটাগাং। শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় তামিমকে, আর চতুর্থ বলে শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নতুন ব্যাটার ডাওইড মালান। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও শরিফুল রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ফলে দলীয় ৭৬ ও ৭৮ রানে প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল।
তামিম ফিরে গেলে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ, তাতে কিছুটা সফলও হন তিনি; দশম ওভারে তৌহিদের দুটি চারসহ ১৫ রান তোলে বরিশাল। তবে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে তিনটি চারে ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে যান তিনি। এতে দলীয় সংগ্রহ একশ পূর্ণ করার আগেই বরিশালের তিন ব্যাটার বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বড় জুটি গড়ার আভাস মেলে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দ্বাদশ ওভারে মেয়ার্স দুটি ছক্কা হাঁকালে পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি চার আসে, এর দুটি মুশফিকের ব্যাট থেকে ও পরেরটি অতিরিক্ত হিসেবে। চতুর্থ বলে ফের উড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ডিপ লেগে নাফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৯ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফিরে গেলে ভাঙ্গে ১৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। পরে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মেয়ার্স। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে শেষ ৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ৪৪ রানে নামিয়ে আনেন এই ক্যারিবীয়।
শেষের দিকে খালেদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেয়ার্স, তবে তা লুফে নিতে পারেননি শরিফুল। এরপর শেষ তিন ওভারে ২৫ রান নিতে হতো বরিশালকে। তবে অষ্টাদশ ওভারে আবারও দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শরিফুল।
ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুলের বলে ফের ক্যাচ দিলে মেয়ার্সের সেই ক্যাচ ধরতে ভুল হয়নি বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন মেয়ার্স। এরপর পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়ে ফেরান মুশফিক। ফলে ৬ উইকেট হারানো বরিশাল শেষ দুই ওভারে পায় ২০ রানের লক্ষ্য।
১৯তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে রিশাদের একটি ছক্কাসহ মোট ১২ রান নিলে ম্যাচের পাল্লা বরিশালের দিকে ভারী হয়ে ওঠে। তবে পরের বলেই ফের নাটক। বিনুরার ওভারের শেষ বলে জোরে ব্যাট চালিয়ে শর্ট মিড-অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবি। ফলে শেষ ওভারে ৮ রান করতে হতো বরিশালকে।
এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলেই লং অনে বিশাল ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে দুই ব্যাটার একবার জায়গা পরিবর্তনের পর তৃতীয় বলে রান আউট হয়ে যান রিশাদ, কিন্তু আম্পায়ার দুহাত প্রসারিত করে ওয়াইড দিলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে বরিশালের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯৫/৭ (তামিম ৫৪, মেয়ার্স ৪৬, তৌহিদ ৩২; শরিফুল ৪/৩৪, নাঈম ২/১৮)।
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল তিন উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: মেহেদী হাসান মিরাজ।
৬৮ দিন আগে
ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নেমেই সেই যে মারমুখী ব্যাটিং শুরু করল চিটাগাংয়ের ব্যাটাররা, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল তার ধারা। আর এতেই টপ-অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে তিন উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছে চিটাগাং কিংস। বিপিএলের ফাইনালে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ রান। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে ফরচুন বরিশালকে রেকর্ড গড়তে হবে।
দলের হয়ে ৪৯ বলে চারটি ছক্কা ও ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এছাড়া অপর ওপেনার খাওয়াজা নাফের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান (৪৪ বলে) এবং তিনে নেমে ২৩ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।
অপরদিকে, বরিশালের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আলি ছাড়া আর সবাই ছিলেন খরুচে। আলি ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার একটু দেখেশুনে খেললেও তৃতীয় ওভার থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন চিটাগাংয়ের দুই ওপেনার। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান সংগ্রহ করে কিংস।
একপর্যায়ে ৩০ বলে ইমন ও ৩১ বলে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন নাফে। এরপর ১২.৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ঠিকমতো ব্যাটের সংযোগ ঘটাতে না পেরে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় নাফেকে। এতে করে ভাঙে ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তারপর ক্রিজে এসে ইমনের সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ক্লার্কও। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে ৪০ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে রান আউট হয়ে এই ইংলিশ ব্যাটার যখন ফিরে যাচ্ছেন, চিটাগাংয়ের স্কোর তখন ১৯১। এর পরের চার ওভারে শামীম হোসেন আউট এবং তিনটি রান হয়। ফলে বরিশালের জন্য ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে মাঠ ছাড়েন ইমন ও তালাত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
৬৮ দিন আগে
বিপিএল ২০২৫ টি২০ ক্রিকেটের প্রথম সারির প্রতিদ্বন্দ্বীরা
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলছে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) ২০২৫ আসর। ঘরোয়া টি২০ ক্রিকেট উৎসবের মারদাঙ্গা উদ্দীপনায় ভাসছে সারা দেশ। ৭ দলের মোট ৪৬টি খেলার মধ্যে ফেজ-১, ফেজ-২, ও ফেজ-৩ সহ ৩২টি ম্যাচ শেষ। ফেজ-৪-এর ১০টি ম্যাচে কারা মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তা-ও নির্ধারণ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২০ ওভারের ব্যাটে-বলের যুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে কারা, চলুন তা দেখে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫ আসরে শীর্ষ ৫ ব্যাট্সম্যান
.
টেবিল: বিপিএল-এর ১১-তম আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের বিচারে সেরা ৫ ব্যাট্সম্যান
ক্রমিক
ব্যাট্সম্যান
দল
মোট রান
ম্যাচ
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান
সেঞ্চুরি
হাফ সেঞ্চুরি
১
তানজিদ হাসান তামিম
ঢাকা ক্যাপিটাল্স
৪২০
১০
১০৮
১
৩
২
মোহাম্মদ এনামুল হক বিজয়
দুর্বার রাজশাহী
৩৭৯
১০
১০০
১
২
৩
লিটন দাস
ঢাকা ক্যাপিটাল্স
৩৪৮
৯
১২৫
১
২
৪
জাকির হাসান
সিলেট স্ট্রাইকার্স
৩৪২
৯
৭৫
-
৩
৫
গ্রাহাম ক্লার্ক
চিটাগাং কিংস
৩৩৫
৮
১০১
১
১
সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ঢাকা ক্যাপিটাল্সের এই দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের ১০ ম্যাচে সংগ্রহ মোট ৪২০ রান। এর মধ্যে রয়েছে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ সেঞ্চুরি। তারা খেলা ম্যাচগুলোর মধ্যে সর্বসেরা হচ্ছে ১০৮ রানের ইনিংসটি।
১০ ম্যাচে সর্বমোট ৩৭৯ রান নিয়ে তালিকার ২ নাম্বারে আছেন দুর্বার রাজশাহীর মোহাম্মদ এনামুল হক বিজয়। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১ টি সেঞ্চুরি, যেখানে সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিলো তার সেরা পারফরমেন্স।
আরো পড়ুন: ‘বাদ পড়ার পর’ জ্বলে উঠলেন লিটন, রেকর্ড বই এলোমেলো
বিপিএল ২০২৫-এ এ পর্যন্ত এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের (১২৫) স্কোরের অধিকারী ঢাকা ক্যাপিটাল্সের লিটন দাস। কিন্তু ৯ ম্যাচে সংগৃহীত রানের হিসেবে তার অবস্থান নেমে এসেছে ৩ নাম্বারে। সেঞ্চুরির ইনিংস ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে তার ২টি হাফ সেঞ্চুরি আছে।
চতুর্থ ব্যাট্সম্যানের নাম জাকির হাসান, এ পর্যন্ত যার সংগ্রহ ৯টি ম্যাচে মোট ৩৪২ রান। তার দখলে কোনও সেঞ্চুরি নেই, তবে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি ও ৭৫ রানের স্কোর।
তালিকার সবশেষে রয়েছেন ইংলিশ ব্যাট্সম্যান গ্রাহাম ক্লার্ক। ৮ ম্যাচে ১টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১ টি সেঞ্চুরি সহ তিনি মোট ৩৩৫ রান নিয়েছেন। সেঞ্চুরির (১০১ রান) ইনিংসটিই এখন পর্যন্ত তার সেরা পারফরমেন্স।
১১-তম বিপিএল আসরে আসরে শীর্ষ ৫ বোলার
.
টেবিল: বিপিএল-২০২৫-এ ফেজ-৪ শুরুর পূর্বে সর্বোচ্চ উইকেট বিবেচনায় শীর্ষস্থানীয় ৫ বোলার
ক্রমিক
বোলার
দল
উইকেট
ম্যাচ
ইনিংস/ওভার
এক ইনিংসে সেরা বোলিং
১
তাসকিন আহমেদ
দুর্বার রাজশাহী
২২
১০
৩২.২
৭/১৯
২
আকিফ জাভেদ
রংপুর রাইডার্স
১৫
৭
২৬.৫
৪/৩২
৩
আবু হায়দার রনি
খুলনা টাইগার্স
১৫
৮
৩০.৫
৪/৪৪
৪
খুশদিল শাহ
রংপুর রাইডার্স
১৪
৯
২৪
৩/১৮
৫
আলিস আল ইসলাম
চিটাগাং কিংস
১২
৮
৩১
৩/১৭
১০টি ম্যাচে ৩৮ ওভার ২ বল করে ২২টি উইকেট নিয়ে এখন অব্দি টুর্নামেন্টের সেরা বোলারের আসনে রয়েছে তাসকিন আহমেদ। দুর্বার রাজশাহীর এই পেসারের সেরা স্কোর ১৯ রানে ৭ উইকেট।
আরো পড়ুন: আবারও পরীক্ষায় ফেল, সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞা বহালই থাকছে
রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটার আকিফ জাভেদ আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। মাত্র ৭ ম্যাচে ২৬ ওভার ৫ বল করে তিনি উইকেট নিয়েছেন মোট ১৫টি। তার উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স হচ্ছে ৩২ রানের বিপরীতে ৪টি উইকেট।
আকিফ জাভেদের সমসংখ্যক উইকেট নিলেও তার তুলনায় একটি বেশি ম্যাচ খেলার কারণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন আবু হায়দার রনি। ৮ ম্যাচে তিনি বল করেছেন ৩০ ওভার ৫টি, যেখানে তার সেরা বোলিং ছিলো ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট সংগ্রহ।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা বোলার পাকিস্তানের খুশদিল শাহ, যিনি খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। ৯ ম্যাচে ২৪ ওভার বলের বিনিময়ে তার অর্জন সব মিলিয়ে ১৪ উইকেট। তন্মধ্যে এক ইনিংসে তার সর্বোচ্চ স্কোর ৩ উইকেটের বিপরীতে ১৮ রান প্রদান।
তালিকার ৫-এ আছেন চিটাগাং কিংসের আলিস আল ইসলাম। ৮টি ম্যাচে ৩১ ওভারের মধ্যে তার উল্লেখযোগ্য বোলিং স্কোর ১৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট। আর সব ম্যাচ মিলিয়ে সংগ্রহ করেছেন ১২টি উইকেট।
২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শ্রেষ্ঠ ৪ দল
.
টেবিল: ১১-তম বিপিএল আসরে ফেজ-৪ শুরুর পূর্বে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা ৪টি দল
ক্রমিক
দল
ম্যাচ
জয়
পরাজয়
পয়েন্ট
নেট রান রেট
১
রংপুর রাইডার্স
৯
৮
১
১৬
১.২২৩
২
ফরচুন বরিশাল
৮
৬
২
১২
০.৯৯৩
৩
চিটাগাং কিংস
৯
৫
৪
১০
১.০৪৫
৪
খুলনা টাইগার্স
৯
৪
৫
৮
-০.১৪৮
বিপিএল-২০২৫ টুর্নামেন্টে সবথেকে এগিয়ে থাকা দলটি হচ্ছে রংপুর রাইডার্স। ৯টি ম্যাচের শুধু ১টি ছাড়া বাকি সবগুলোতে জয় নিয়ে দলটির সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। সাথে আসরের সর্বোচ্চ নেট রান রেট ১.২২৩।
আরো পড়ুন: সাকিব-লিটনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ দল ঘোষণা
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দল ফরচুন বরিশাল ৮ ম্যাচের মাত্র ২টিতে হেরে সবগুলোতে জয় পেয়েছে। দলটির সংগৃহীত পয়েন্ট ১২ এবং নেট রানের অনুপাত ০.৯৯৩।
৯টি ম্যাচের ৪টিতে পরাজয় ও ৫টিতে জয় পেয়ে তালিকার ৩ নাম্বারে রয়েছে চিটাগাং কিংস। ১০ পয়েন্ট অধিকারী এই দলটির নেট রান রেট ১.০৪৫।
সবশেষে রয়েছে খুলনা টাইগার্স, যারা ৯ ম্যাচের ৪টিতে জয় পেয়ে সংগ্রহ করেছে ৮ পয়েন্ট। ৫ ম্যাচ পরাজয়ের কারণে দলের নেট রানের অনুপাত দাড়িয়েছে -০.১৪৮।
পরিশিষ্ট
বিপিএল ২০২৫-এ এখন পর্যন্ত শীর্ষ অবস্থানে থাকা ব্যাট্সম্যানরা হচ্ছেন তানজিদ হাসান তামিম, মোহাম্মদ এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, জাকির হাসান, এবং গ্রাহাম ক্লার্ক। আসরের সর্বোচ্চ উইকেটধারী বোলারদের মধ্যে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, আকিফ জাভেদ, আবু হায়দার রনি, খুশদিল শাহ, এবং আলিস আল ইসলাম। ব্যাট ও বলের পারফরমেন্স নির্বিশেষে সামগ্রিক ভাবে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা দলগুলো হলো- রংপুর রাইডার্স, ফরচুন বরিশাল, চিটাগাং কিংস, এবং খুলনা টাইগার্স।
আরো পড়ুন: পিএসএলের ড্রাফটে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার
৮২ দিন আগে
বিপিএল: জাকিরের ভূমিকায় ৩ উইকেটে ঢাকাকে হারাল সিলেট
জাকির হাসানের ২৭ বলে ৫৮ রানের সুবাদে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবারের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে তিন উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
ঢাকার লিটন দাস ৪৩ বলে ৭৩ ও মুনিম শাহরিয়ার ৫২ রান করলেও জাকিরের ৫৮ রানের কারণে ঢাকা পড়ে যান তারা।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান তোলে ঢাকা। সাব্বির রহমানের ১০ বলে ২৩ ও থিসারা পেরেরার ৯ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস শেষ দিকে এগিয়ে যায়।
সিলেটের হয়ে রাহকিম কর্নওয়াল ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিল রাজশাহী
জবাবে সিলেট ব্যাট করতে নামলে ইনিংসের প্রথম বলেই রাহকিম কর্নওয়াল শূন্য রানে আউট হয়ে যান। জর্জ মুন্সি (৮ বলে ১১) ও অ্যারন জোন্সের (৮ বলে ১৪) গুটিয়ে গেলে চতুর্থ ওভারে সিলেটের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪২
এরপর সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় রান তাড়া করতে নেমে জয়ের হাল ধরেন জাকির হাসান। দশম ওভারে তার আউট, সিলেটের স্কোর ৫ উইকেটে ১০৯, অল্প সময়ের জন্য গতি পাল্টে দেয়।
তবে অধিনায়ক আরিফুল হক দায়িত্ব নেওয়ার আগে রনি তালুকদার ২০ বলে ৩০ ও জাকের আলী ১৭ বলে ২৪ রান করে সিলেটকে চাপে রাখেন।
আরিফুল ১৫ বলে চারটি চার ও একটি ৬ নিয়ে ২৮ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে শেষ ওভারে সিলেটের জয় নিশ্চিত করে।
ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ফরমানউল্লাহ ও শুভম রঞ্জন।
এবারের মৌসুমে এটি সিলেটের প্রথম জয়। অন্যদিকে ঢাকা এখনও জয়ের উল্লাস করতে পারেনি। তারা এখন পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচেই হেরেছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
৯৬ দিন আগে
বিপিএল: সিলেটকে ৮ উইকেটে হারাল রংপুর রাইডার্স
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পরাজয়ের মুখে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট। তাদের হয়ে রনি তালুকদার, জাকির হাসান ফিফটি করেন এবং জাকের আলী ও অ্যারন জোন্সের জ্বলে উঠে তাদের শক্তিশালী স্কোর এনে দেয়।
শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। শেষ ওভারে আকিফ জাভেদের বোলিংয়ে জোন্স ও জাকের ৪টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সবচেয়ে দক্ষতার সঙ্গে বল করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিজের চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
অপর পক্ষে ব্যাটসম্যান আজিজুল হাকিমকে শূন্য রানে হারায় রাইডার্স। তবে অ্যালেক্স হেলস এবং সাইফ হাসান তাদের বড় অঙ্কের মোট রান তুলে মূল ভিত্তি গড়েন।
অ্যালেক্স ১০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৫৬ বলে ১১৩ রান এবং সাইফ ৪৯ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৮০ রান করেন।
তাদের ব্যাটিং দক্ষতা পুরো রান সংগ্রহ করার সময় কাঙ্ক্ষিত হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ১৮তম ওভারে সাইফ আউট হলেও লক্ষ্যে পৌঁছানোর দূরত্বে ছিল রংপুর রাইডার্স।
রাইডার্স ১৯ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২ উইকেটে ২১০ রান তুলে নেয়। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যালেক্স হেলস।
আরও পড়ুন: বিপিএল: রংপুরের বিপক্ষে বড় স্কোর সিলেটের
১০০ দিন আগে
জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়।
সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।
১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছাতে মাঠে নেমে বরিশাল তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই হারায় তাদের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে তিন উইকেটে ৩০ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।
এরপর তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়। কিন্তু কাইল মেয়ার্স (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) দ্রুত আউট হওযায় বরিশাল আরও বিপদে পড়ে যায়।
অর্ধেক ওভার গড়ার আগেই বরিশাল অর্ধেক উইকেট হারায়। ১৩তম ওভারে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।
ম্যাচের এই পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জয়ের শক্তিশালী জুটি গড়েন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
এর আগে ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।
আরও পড়ুন: বিপিএলের টিকিট নিয়ে মিরপুরে ভক্তদের সংঘর্ষ
বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির।
১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন।
তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন
এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করেছিল।
১০৭ দিন আগে
বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিফটিতে জ্বলে উঠলেন ইয়াসির-এনামুল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিফটিতে জ্বলে উঠেছেন দুর্বার রাজশাহীর ইয়াসির আলী ও এনামুল হক বিজয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের শের-ই- বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়।
ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।
বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির।
১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন।
আরও পড়ুন: বিপিএলের টিকিট নিয়ে মিরপুরে ভক্তদের সংঘর্ষ
তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন।
এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করেছিল।
১০৭ দিন আগে
বিপিএলের টিকিট নিয়ে মিরপুরে ভক্তদের সংঘর্ষ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী দিনে বেসরকারি ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় টিকিট কিনতে না পারায় মিরপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন শত শত ক্রিকেটভক্ত।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে এই সংঘর্ষ হয়।
ঐতিহাসিকভাবে, অতীতে বিপিএলের টিকিটের শান্তিপূর্ণ বিক্রি নিশ্চিত করতে হিমশিম খেয়েছিল বিসিবি। তবে এবারও তারা সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস
আজকের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক ভেঙে ভিতরে ঢোকা সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারের গাড়িও আটকে দিয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে ঘটনার সময় ওই ক্রিকেটার গাড়িতে ছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
গতকাল বোর্ড টিকিট বিক্রির আনুষ্ঠানিক তথ্য না দেওয়ায় টিকিটের জন্যও বিক্ষোভ করেছিল ভক্তরা। এরপর ভক্তরা কোথা থেকে, কীভাবে টিকিট কিনতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিসিবি।
এ বছর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের সাতটি শাখা থেকে টিকিট কিনতে পারবেন ভক্তরা। কিন্তু ভক্তদের দাবি, তারা মিরপুর শাখা থেকে টিকিট নিতে পারেননি, যা তাদের ক্ষুব্ধ করেছে।
অনলাইন ক্রেতাদের জন্য, টিকিটগুলো অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের (www.gobcbticket.com.bd) মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
আর টিকিটের হার্ড কপি বিক্রি হচ্ছে মধুমতি ব্যাংক পিএলস ‘র নির্ধারিত শাখায়। রবিবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টিকিট পাওয়া গেছে। সোমবার বিপিএলের উদ্বোধনী দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিক্রি চলবে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ভারতের বিপক্ষে অভিযান শুরু করবে টাইগাররা
বিক্রয় সুবিধার শাখাগুলোর মধ্যে রয়েছে মিরপুর, মতিঝিল, উত্তরা, গুলশান, ধানমন্ডি, কামরাঙ্গীরচর ও পল্টনের ভিআইপি রোডে। দর্শকদের নির্দিষ্ট সময়ে তাদের নিকটতম শাখায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল লড়বে নবাগত দল দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে।
১০৭ দিন আগে
উন্মোচিত হলো বিপিএলের মাসকট ‘ডানা ৩৬’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে বিপিএলের আসন্ন আসর নিয়ে মহাপরিকল্পনা সাজিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রবিবার (০১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তরুণ ও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশব্যাপী এই আয়োজনের মিডিয়া লঞ্চিং প্রোগ্রামে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫-এর লোগো এবং আসন্ন বিপিএলের অফিশিয়াল মাসকট ‘ডানা ৩৬’ উন্মোচন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে দেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্রসংস্কারে এগিয়ে যাওয়াই এই তারুণ্যের উৎসবের মূল লক্ষ্য। এই আয়োজন সফল করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫, যা অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বিপিএলের সূচি প্রকাশ
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় সবসময় জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণ করতে চাই। তাদের ত্যাগের স্পৃহা বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে চাই। খেলাধুলা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে, বিশেষ করে ক্রিকেট আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। ভিন্ন ক্ষেত্রে যতই মতভেদ থাকুক না কেন, খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাই।
‘ডানা ৩৬’ মাসকটটি সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও ক্রীড়ামোদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
পায়রার আকৃতির ৩৬টি রঙিন পালকবিশিষ্ট এই মাসকটটি শান্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং জাতির শক্তি ও ঐক্যের প্রতীক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মিজ্ লামিয়া মোরশেদ, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তাদের পাশাপাশি নারী ক্রিকেট দলের সদস্য এবং ফুটবলসহ অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তারা ও খেলোয়াড়রা অনুষ্ঠানটিকে রঙিন করে তোলেন।
আরও পড়ুন: বিপিএলে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রংপুর
১৩৬ দিন আগে