ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রথমবারের মতো সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
চুক্তিতে আগেই সই করেছিলেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, যুগ্ম সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বের আরেকটি প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলে আমরা যেতে পারব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আর্জেন্টিনা খুবই সম্পদশালী দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ফুটবলের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্ক কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের উপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। অনেক কৃষিপণ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শিল্প স্থাপনে আমরা আর্জেন্টিনার সহযোগিতা পাব। ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা আর্জেন্টিনার সহায়তা পাব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে। এছাড়া, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজির ক্ষেত্রে দেশটির সহায়তা নেওয়া যাবে।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রযেছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্যেদিয়ে সেসব খাতে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়ল।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা বা গ্যাপ, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়নসহ প্রভৃতি বিষয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত কৃষি খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারপরও এ মুহূর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরও প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান-পরবর্তী সেশনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকে টেকসই করতে এবং কৃষিখাতের রূপান্তরের জন্য জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ বাস্তবায়ন চলছে। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে এ খাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার (৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা (৩ দশমিক২ বিলিয়ন ডলার)। আর বাকি অর্থের জোগান দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো।
মন্ত্রী কৃষিতে বিনিয়োগ উপস্থাপন বিষয়ক বাংলাদেশের নির্ধারিত সেশনে দেশের কৃষিখাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার এই ছয়টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব খাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগসুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য কৃষিখাত খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, আম, কাঁঠাল, আনারস ও টমেটো-এসব পণ্যের জন্য কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে দ্রুত বিনিয়োগ কামনা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে পেঁয়াজ, আম ও টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের এখনো তেমন প্রযুক্তি নেই, কোল্ডস্টোরেজ নেই। এছাড়া এসব পণ্য সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে ২৫-৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য দ্রুত ২০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ১১০০টি মাল্টিপারফাজ কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা আমাদের দুর্বলতা: কৃষিমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, বিপরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান ঠিক রাখতে হলে একই জমি থেকে বছরে বার বার ফসল ফলাতে হবে, বেশি করে ফসল ফলাতে হবে।
তিনি বলেন, সাধারণত ১৪০-১৬০ দিনের মধ্যে ধান হয়, সেই ধান যদি ৯০-১০০ দিনের মধ্যে হয়, তাহলে সেটি বিরাট সম্ভাবনাময়। ব্রি৯৮ আউশ ধান এই সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, ৯০-১০০ দিনে হচ্ছে; ফলনও বিঘাতে ২৫-৩০ মণ। এ জাতটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মুশুদ্দি গ্রামে ব্রি৯৮ জাতের আউশ ধানের খেত পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতের অভাব এবং খরা, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ঝুঁকির কারণে দেশে এখন আউশ ধান অনেক কমে গেছে। বেড়েছে বোরো ও আমনের চাষ। ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের আউশ ধান উদ্ভাবন করেছেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ব্রি৯৮ মাঠে খুবই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এ জাতটি মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে পারলে দেশে আউশ আবার বড় ফসলে পরিণত হবে। একইসঙ্গে, এটি লাভজনক ফসল হিসাবে কৃষকের হাসিকে আরও চওড়া করবে।
একই জমিতে বছরে ৪টি ফসল ঘরে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান কৃষক ইকবাল।
তিনি জানান, ব্রি৯৮ জাতের এই আউশ ধানটি ২০ দিনের চারাসহ মোট ৯৮-১০০ দিনের মধ্যে কর্তন করেছেন। এর আগে তিনি এই জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি৯৬ চাষ করেছিলেন। এখন তিনি আমনে ব্রি৭৫ লাগাবেন এবং আমন কেটে স্বল্প জীবনকালীন সরিষার আবাদ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত: কৃষিমন্ত্রী
মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
কোনো শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে বিএনপির এসব আন্দোলন সন্ত্রাস মোকাবিলা করা হবে। কোন শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর হবে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে এ বছর একযোগে ৫ লাখ বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল, সেটিও বিএনপি মেনে নেয়নি। তারপর থেকে বিগত ১৪ বছর ধরে বিএনপি একই কোরাস গেয়ে চলেছে এবং হরতাল আর আন্দোলন করে যাচ্ছে। সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে কিন্তু তারা সেটি মানবে না। এখন আবার হরতালের ভয় দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল। বিএনপিকে মোকাবিলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সন্ত্রাস মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছে।
সংলাপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আলোচনার আগে বিএনপিকে স্বীকার করতে হবে- তারা নির্বাচনে আসবে, সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন, তাহলেই চিন্তা করা যাবে আলোচনার কথা।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে সেটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন বানচালকারীদের আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে মোকাবিলা করবে। কেউ যদি সহিংসতা করে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দমন করবে।
আরও পড়ুন: নিজেদের খোঁড়া কবর থেকে উঠতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের জন্য বিদেশিদের সমর্থন দরকার নেই, জনগণের সমর্থন থাকলেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন থাকলে বিদেশিদের সমর্থনে দরকার নেই। জনগণ এ দেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে, আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কিনা। সেটা নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে- পদ্মাসেতু, ফোর লেন রাস্তা, স্কুল-কলেজ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, গ্রামের উন্নয়ন, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানাসহ সব দিকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। এসব উন্নয়নের কারণেই জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। জনগণের সমর্থন থাকলে কোন বিদেশি শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। আমরা বিদেশি সহযোগিতা চাই না। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপিসহ যারা প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে হাত পাতছে, ধরনা দিচ্ছে, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার জন্য। তাদেরকে বলতে চাই, কোনো বিদেশি প্রভু এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে পারবে না। সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো দেশে আবারও তাণ্ডব চালাতে চায়। তাদেরকে সেটি করতে দেয়া হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদের ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়া বর্তমান সরকারের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থেজনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করব।
মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক আবু হাদী নূর আলী খান, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ আহমদ নাছির প্রমুখ।
সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
১ বছর আগে
কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জি২০’কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশের কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি হুমকিস্বরূপ। সেজন্য, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও বৈশ্বিক সংকট, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমসহ যে কোন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জি২০'র স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর পদক্ষেপ দরকার।
শুক্রবার সকালে ভারতের হায়দরাবাদে জি২০ কৃষিমন্ত্রীদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কার্যকর কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি কমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও, ফসলের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধির কারণেই ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য দেশের অভ্যন্তরেই উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার সকল স্তরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের কোন সংকট নেই, বরং খাদ্যের প্রাপ্যতা বেড়েছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও গরীব মানুষকে খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিনামূল্যে ও কমমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
'খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য টেকসই কৃষি'- শিরোনামের এ সেশনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া, ভারতের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার, জি২০ভুক্ত ১৯টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, বাংলাদেশসহ আমন্ত্রিত ১০টি দেশের কৃষিমন্ত্রীগণ বক্তব্য রাখেন। এতে বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ ১০টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার শীর্ষ সংগঠন জি২০'র এবারের সম্মেলনের আয়োজক ভারত। নয়াদিল্লীতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন, যেখানে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
এবারের বাজেটকে খুবই বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এবারের বাজেট অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ, আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাজেট দিয়েছি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দিকে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছি। এ বাজেটের মাধ্যমে এই গতি আরও বেগবান ও গতিময় হবে।
তিনি বলেন, এটি উচ্চবিলাসী ও কল্পনাভিত্তিক বাজেট নয়। এই বাজেট বাস্তবসম্মত। অতীতেও আমরা যেমন সফল হয়েছি, তেমনি আগামী দিনেও এই বাজেট বাস্তবায়নে সফল হবো।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় রানী ভবানী স্কুল মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা গত ১৪ বছর ধরেই বাজেট আসলে মুখস্থ কথা বলে আসছেন- এটা উচ্চবিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনাভিত্তিক বাজেট। আমরা কখনো উচ্চবিলাসী বাজেট দেই নি। আগে দেশে মোট জিডিপির আকার ছিলো চার লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা, তা এখন ৪৪ লাখ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। বাজেট কল্পনাভিত্তিক হলে এটি অর্জন করা সম্ভব হতো না। এ বাজেটের মাধ্যমে জিডিপির আকার আরও বৃদ্ধি পাবে।
বাজেটটি সত্যিকার অর্থে গরীববান্ধব, কৃষিবান্ধব ও পল্লীবান্ধব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন জাত উদ্ভাবন, ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রদান, ভর্তুকি অব্যাহত রাখায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ ও পল্লী বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগ মোটেই বিচলিত নয়। কোনো স্যাংশনই আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। যত ধরনের স্যাংশনই দেক, তা মোকাবিলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।
বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা আয়োজন প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। গ্রামের গরীব মানুষেরাও এখন উন্নত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকার ৬০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ প্রায় ১০০ জনের মেডিকেল টিম সকাল ০৯ টা থেকে সারাদিন চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।
মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে পৌর মেয়র সিদ্দিক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা সেটিই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবেলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই- দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাহাড়ে একসময় শুধু জুম চাষ হতো। এখন সমতলের মতো অনেক ফসল চাষ করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে কফি, কাজুবাদাম, গোলমরিচ, পেঁপে, আনারস, আম, ড্রাগন, মাল্টাসহ আট থেকে ১০টি অর্থকরী ফসলের চাষ অনেক সম্ভাবনাময়।
বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি: পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও ‘অধরা’
বুধবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও বিশাল ভূমিকা রাখবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একইসঙ্গে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কফি ও কাজুবাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছি।
এছাড়া এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে, আর এ বছর আরও ২০ লাখ চারা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ফলে দেশে ধানসহ সকল ফসলের উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে বিশ্ব মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো রকম সংকট নেই।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পরপর তিন নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয় হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাদের চতুর্থ বারের মতো বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দেখে মানুষ খুবই খুশি। জনগণ উন্নয়নের প্রশংসা করছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ নির্মাণের, সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী হবে। চেষ্টা করব বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। না এলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে।
তিনি বলেন, তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতারা একপর্যায়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।
পোলট্রি মুরগির দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, করোনার শুরু থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, খামারি, উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন, লস দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে গত দুই মাস ধরে পোল্ট্রি মুরগির দাম অনেক বেশি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রান্তিক খামারিরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না। বিষয়টি আমি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরব। এমন একটা নীতি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে পোলট্রির দাম সহনশীল রাখা যাবে, যাতে করে নিম্নআয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী, খামারি এবং উদ্যোক্তারাও লাভবান হয়।
কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করিম মিঞা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে: প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর
জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে