পেশা
আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, ‘আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক। লেখাপড়া করেছি, অধ্যাপনা করেছি, পিএইচডি ডিগ্রিও আমি নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুতেই মোটামুটি টাচ দিয়ে এসেছি। চিফ হুইপ ছিলাম, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অ্যাকটিভিটি ছিল আমার। তারপরও বলব আমি এখনো শিখছি। শেখার শেষ নেই। আমি শিখেই কাজ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন চায় না তারেক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এটি অবশ্যই একটি বড় মন্ত্রণালয়। আমাদের কৃষকদের উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে করব।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি, এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
এর আগে যিনি (ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক) কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কৃষিবিদ ছিলেন। আমি আশা করব সব কর্মকর্তা আমাকে সাহায্য করবেন।
আব্দুর রাজ্জাকের মতো কৃষিবিদ যে মন্ত্রণালয় কাজ করে গেছেন, সেই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই তো আমাদের জীবন। কোনো কাজ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে ফলাফল অর্জন করা যায় না। এটা একটা বড় মন্ত্রণালয়। এখানে কাজের পরিধিও বেশি। আশা করি মন্ত্রণালয়ের সবাই সহযোগিতা করবেন। সবার সহযোগিতা থাকলে কাজ কেন করা যাবে না? চলছে তো ভালোই। নিশ্চয়ই আমি তাদের অভিজ্ঞতাকে ক্যাশ করার চেষ্টা করব।
এক প্রশ্নের জবাবে নতুন কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি আগে বুঝে নিই, তারপর ঠিক করব কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে করব।
আরও পড়ুন: আমি যা বলেছি, কোনো ভুল বলিনি: কৃষিমন্ত্রী
সামনে আপনার চ্যালেঞ্জ কী- এ বিষয় তিনি বলেন, কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কীভাবে দখল করব, মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব কীভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব।
আব্দুস শহীদ আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ভেঙে দিতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
১০ মাস আগে
সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতি সংকটময় সময় পার করায় সাংবাদিকতা এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা।
তিনি বলেন, ‘জাতির দুঃসময়ে সাংবাদিকতা যখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশা, তখন ব্যক্তিগত সততার সঙ্গে পেশাগত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা সবাই যদি এটা করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা দেশের বর্তমান (রাজনৈতিক) সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’
শনিবার (৭ অক্টোবর) চলতি বছরের ২২ আগস্ট ৪২ বছর বয়সে মারা যাওয়া দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান খানের স্মরণে এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) প্রয়াত হাবিবুর রহমান খানের বন্ধু ও সহকর্মীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ফখরুল বলেন, এত অল্প বয়সে হাবিবের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার মতো একজন স্পষ্টভাষী সাংবাদিকের খুব প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ওয়াকওভার’ করে আওয়ামী লীগকে আর সরকার গঠন করতে দেওয়া হবে না: ফখরুল
হাবিবকে একজন 'সাহসী, দেশপ্রেমিক, সৎ ও পেশাদার রিপোর্টার' হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির এই নেতা সাংবাদিকের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দলের চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, দলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলটির নেতা নাসির উদ্দিন অসীম, বজলুল চৌধুরী আবেদ, তাবিথ আউয়াল, যুবদল নেতা মাহবুব হোসেন ভূঁইয়া, বিএফইউজে সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন হাবিবের স্ত্রী ফারজানা মাহমুদ সনি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআরইউর সাবেক যুগ্ম সচিব মঈন উদ্দিন খান ও মঈনুল আহসান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
আ. লীগ ছাড়া বাকি সবাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ফখরুল
১ বছর আগে
মানসিক শক্তি না থাকলে বইয়ের পেশায় থাকা যায় না: মোস্তফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, পেটের ক্ষুধা নিয়ে অন্য পেশায় যুক্ত না হয়ে আপনারা বইয়ের পেশায় যুক্ত থেকেছেন। এটি কিন্তু মানসিক শক্তি না থাকলে করতে পারতেন না। বহু প্রকাশক আছেন যারা সব খরচের পর একজন দিনমজুরের সমান আয় করতে পারেন না।
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তফা জব্বার আরও বলেন, এটি কেবলমাত্র ব্যবসা নয়। এটি অন্তরের সঙ্গে যুক্ত এবং এ পেশায় আত্মার সঙ্গে সর্ম্পক না থাকলে কেউ বইয়ের ব্যবসা করেনা। এখানে যারা আছেন তাদের এই ব্যবসার প্রতি আলাদা ভালোবাসা আছে। তা না হলে অন্যকোন ব্যবসা করতে পারতেন। পান দোকানদারি কিংবা চা বিক্রি করলেও এরচেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় থাকা যেতে পারে। তাই আমি মনে করি এখানে যারা যুক্ত আছেন তারা আসাধারণ কাজ করছেন। তাই এ পেশায় থাকাও এক ধরনের গর্বের।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
তিনি বলেন, আমি ১৯৮৭ সালের ২৮শে এপ্রিল প্রথম কম্পিউটারের বোতাম স্পর্শ করেছিলাম। আমি কিন্তু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র না এবং বুয়েটে কোন কারিগরি বিদ্যা অর্জন করিনি। আমার এখন অস্বস্তিটা কেটে গেছে। এক সময় লোকজন মনে করতো আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং সেজন্য কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে পারি। পরে যখন জেনেছে আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র; তখন অবাক হয়েছে, কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও করে বলেছে- বাংলায় পড়ে কিভাবে কম্পিউটার জানি। আমি এখন আর সেই অস্বস্তিতে ভুগি না। কারণ বাংলা পড়ে যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, তাহলে আমি বাংলা পড়ে কেন প্রকাশক কিংবা বাংলা হরফ বানাতে পারবো না। আমার কৃতিত্বটা ওখানেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমিতির সহ-সভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান, শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান সরকার জামাল, মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন ও উপদেষ্টা ওসমান গনি। অনুষ্ঠানে ‘বাপুস: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দৃঢ়প্রত্যয়ী’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল।
লিখিত বক্তব্যে শ্যামল পাল বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শরিক হতে বাপুস-এর যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়ন করতে হলে চলতি প্রতিযোগিতামূলক সমাজে প্রধান দুই চালিকাশক্তি হিসেবে প্রকাশক এবং বিক্রেতাদের টিকে থাকার কোনো বিকল্প নেই। কেননা এই টিকে থাকার ওপরই নির্ভর করে পাঠ্য, পাঠসহায়ক, সৃজনশীল এবং মননশীল বইয়ের প্রকাশনা এবং তার বিকিকিনির বাজারব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে সচল রাখা। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সমস্যাগ্রস্ত প্রকাশক ও বিক্রেতাদের বাপুস-এর সদস্যকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যা মূলত প্রত্যক্ষ প্রভাবক হিসেবে লক্ষ্যস্থিত শিক্ষার্থী এবং পাঠকদের উপকৃত করবে।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালকগণ, দেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলা শাখাসমূহের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল পুস্তক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
১ বছর আগে
পেশা মোবাইল চুরি, নেশা বিয়ে করা!
পেশা তার দামি দামি মোবাইল সেট চুরি আর নেশা বিয়ে করা। একে একে করেছেন ২৬ বিয়ে। মূলত চোরাই সামগ্রী বিক্রি করে পাওয়া টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানাতেন তিনি।
৩ বছর আগে
শিক্ষকতা ছেড়ে শখের পিৎজা বানানোকে করলেন পেশা
ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাসায় বসে পিৎজা বানানোটা ছিল তার শখের একটি অংশ। বাসায় অতিথি এলে নিজেই বানিয়ে খাওয়াতেন মজাদার সব স্বাদের পিৎজা। এক সময়ের এ শখের পিৎজা বানানো এখন তার জীবিকায় রূপ পেয়েছে।
৪ বছর আগে
করোনাকালের জীবন: পাল্টে গেল তাদের পেশা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে না পারায় পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।
৪ বছর আগে