কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিন্টন ও জন হপফিল্ড
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মানব জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সীমানাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন ড. জিওফ্রে হিন্টন ও ড. জন হপফিল্ড।
মেশিন লার্নিংয়ের বিকাশে তাদের অবদানের জন্য এই সম্মাননা।
পদার্থবিজ্ঞান এবং কম্পিউটেশনাল স্নায়ুবিজ্ঞানের সুপরিচিত নাম এআইয়ের গডফাদারখ্যাত ড. হিন্টন এবং ড. হপফিল্ড মানব মস্তিষ্ক দ্বারা অনুপ্রাণিত জটিল গণনামূলক সিস্টেম কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করেন।
এই পুরস্কারপ্রাপ্তি পদার্থবিজ্ঞানে এআইয়ের প্রভাবকে তুলে ধরে।
কানাডা ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক ড. জিওফ্রে হিন্টন বর্তমানে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
তিনি ডিপ লার্নিং ও ব্যাকপ্রোপাগেশনের ক্ষেত্রে নিজের উদ্ভাবনী কাজের জন্য বিখ্যাত। এটি কম্পিউটারের একটি লার্নিং মেকানিজম যা কম্পিউটারগুলোকে নিজস্ব উন্নয়নে সাহায্য করে।
১৯৮০ এর দশকে তার যুগান্তকারী গবেষণা কেবল এআইয়ের গতিপথই পরিবর্তন করেনি বরং বিশ্বজুড়ে অগণিত গবেষক ও উদ্ভাবকদের জন্য আলোকবর্তিকা হিসেবেও কাজ করেছিল।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. হপফিল্ড মানব মনের সবচেয়ে জটিল ধাঁধা উন্মোচন করতে পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে ড. হিন্টন ও ড. হপফিল্ডের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পুরস্কার অর্থাৎ এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ পাউন্ড) পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
১ মাস আগে
কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী তার তুলির ছোঁয়ায় পটে আঁকা ছবিতে ফুটিয়ে তোলেন বাস্তব অভিব্যক্তি। তবে অত্যন্ত দক্ষ শিল্পীর আঁকা ছবিতেও তার রঙের উপাদানগুলোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ক্যানভাস জুড়ে। আর এটিই ব্যবধান গড়ে দেয় অঙ্কিত কোনও ছবির সঙ্গে বাস্তবতার। ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও ক্যামেরার মানের উপর ভিত্তি করে ধরা পড়ে কিছু সুক্ষ্মে পার্থক্য। কিন্তু এই সীমানাকে চমকপ্রদভাবে অতিক্রম করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের তৈরি সফটওয়্যার এমনভাবে স্থিরচিত্র তৈরি করছে যা দেখে বোঝার উপায় নেই, যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম ছবি। তবে খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই এআইকেও তোলা যাবে সমালোচনার কাঠগড়ায়। চলুন, এআইয়ের তৈরি ছবি শনাক্ত করার কয়েকটি কৌশল জেনে নেওয়া যাক।
এআই দিয়ে বানানো ছবি চেনায় উপায়
ডিটেইলিং-এর সুক্ষ্ম বিশ্লেষণ
একটি ছবি তৈরিতে তার ডিটেইলিংয়ে যত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার গুণগত মান তত বেশি হয়। সফটওয়্যার কেন্দ্রিক গ্রাফিক সামগ্রী সূক্ষ্ম হলেও সেগুলো কিন্তু অসঙ্গতিমুক্ত নয়। বরং অতিমাত্রায় ডিটেইলিংয়ের উপাদানগুলোর সংযোজনের কারণে ত্রুটিগুলো উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন, ছবির বিষয়বস্তুর প্রান্তিক অংশ বা ধারগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে টেক্সচারগুলো অত্যধিক মসৃণ।
তাছাড়া মূল অংশের মাঝে এমন অদ্ভুত কিছু শৈলী ফুটে উঠে যা কখনোই বাস্তব ফটোগ্রাফির অন্তর্ভুক্ত নয়। বিশেষ করে চুল, লোম ও পাপড়িতে এই অতিরঞ্জিত বিষয়গুলো সাধারণত বেশি থাকে।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
মেটাডেটা পরীক্ষা
সত্যিকারের ছবিতে ক্যামেরা মডেল, লেন্সের ধরন, এক্সপোজার সেটিংস এবং জিপিএস স্থানাঙ্কসহ বিস্তারিত মেটাডেটা থাকে। অপরদিকে এআই ব্যবহার করে ডিজাইনকৃত চিত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই তথ্যাবলি অনুপস্থিত থাকে।
এখানে মেটাডেটা হিসেবে থাকে ছবিটি এডিট করা সফটওয়্যার, প্ল্যাটফর্ম বা ডিজাইন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত নির্দিষ্ট সরঞ্জামের তথ্য। সুস্পষ্টভাবে সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মটির নামও উল্লেখ থাকতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোডের তথ্যসহ কোন ওয়েব ঠিকানায় ছবিটি সর্বপ্রথম ডিজাইন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত লিপিবদ্ধ থাকতে পারে। এই ভিন্নতাগুলো ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে কৃত্রিম ছবির পার্থক্য গড়ে দেয়।
এআই-এর অঙ্কন শৈলীর আঙ্গিকে পর্যবেক্ষণ
কম্পিউটার-প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট শিল্পকর্মগুলো প্রায় ক্ষেত্রে পরাবাস্তব উপাদান এবং আকর্ষণীয় রঙের কারসাজি থাকে। এটি এআইয়ের নিজস্ব অঙ্কন শৈলী, যা স্বাভাবিকভাবেই ফটোগ্রাফি থেকে আলাদা।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
এআই মূলত স্বতন্ত্রভাবে ছবির নানা ধরনের সূচকের মাত্রা নির্ধারণ করে। এই নির্ধারণীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কতগুলো নির্দেশনার আঙ্গিকে। ফলে সংখ্যাগত মানগুলো একদম সুনির্দিষ্ট হলেও সামগ্রিকভাবে ছবিটিতে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্যতা থাকে না। যেমন কোথাও দেখা যেতে পারে নিতান্ত মসৃণ ধারায় ঝর্ণা পড়ছে অথবা দিনের আলোয় অস্বাভাবিক গাঢ় ছায়া। আর এই জন্যেই একরকম পরাবাস্তব দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
রিভার্স ইমেজ সার্চ
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সরাসরি নির্দিষ্ট ছবি বা ছবির অংশ কেটে তা দিয়ে সার্চ করা যায়। এতে করে ব্যবহারকারীরা ছবির সম্ভাব্য উৎস বা ওয়েব ঠিকানাগুলো খুঁজে পান। সেই সঙ্গে ছবিটি সম্পর্কিত অন্যান্য ডিজিটাল শিল্পকর্মগুলোও সামনে চলে আসে। এর মাধ্যমে ছবিটি কোনও এআই ডাটাবেসের সঙ্গে লিঙ্ক করা আছে কিনা তা জানা যায়।
এছাড়াও এই অনুসন্ধানের ফলে ছবিটি অনলাইনে কতগুলো জায়গায় কতটা পরিবর্তন করে ব্যবহার করা হয়েছে তাও নজরে আসে। আর এই মূল্যায়নের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হওয়া যায় ছবিটির কৃত্রিমতার ব্যাপারে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
ছবির বিষয়বস্তুর অবস্থান ও আনুষঙ্গিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ
এই বিষয়টির জন্য সুক্ষ্ম দৃষ্টির দরকার নেই। ওয়েবসাইটে কন্টেন্টের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে অনেক সময় এমন ছবি তৈরি করা হয়, আপাতদৃষ্টে যার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে এগুলো দেখতে একদম বাস্তব মনে হয়। পূর্বে এগুলো ফটোশপের মাধ্যমে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে একাধিক ছবি জুড়ে দিয়ে তৈরি করা হতো। এআই আসার পর এই সন্নিবেশ প্রক্রিয়া এতটাই উন্নত হয়েছে যে তা বাস্তব জগতের অনুভূতি দেয়।
তাছাড়া অভিনব হওয়ার কারণে প্রথম দর্শনেই ছবিগুলো দর্শককে দারুণভাবে চমকে দেয়। তবে যতই প্রাণবন্ত হোক না কেন, মূল বিষয়বস্তুর পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অবাস্তবতাই এই ছবিগুলোর কৃত্রিমতার আসল মাপকাঠি।
শেষাংশ
সব মিলিয়ে এআই দিয়ে বানানো ছবি চেনার এই পদ্ধতিগুলোর জন্য প্রয়োজন তীক্ষ্ম দৃষ্টি এবং সফটওয়্যার নির্মিত কন্টেন্ট সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা। সূক্ষ্ম অসঙ্গতি বিশ্লেষণ এবং মেটাডেটা নিরীক্ষণে উন্মোচিত হয় চিত্রাঙ্কনের নেপথ্যে থাকা সফটওয়্যার বা প্ল্যাটফর্মের নামটি। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে এআইয়ের বিশেষত্ব বোঝা এবং সরাসরি ছবি দিয়ে গুগল সার্চের মাধ্যমে এর প্রথম ওয়েব ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। ছবির বিষয়বস্তুর ত্রিমাত্রিক অবস্থান এবং আলো-ছায়ার অসামঞ্জস্যতায় উল্লেখযোগ্য তারতম্য ধরা পড়ে ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে। সর্বসাকূল্যে, এই সূচকগুলো ছবির মৌলিকতা যাচাইয়ের জন্য যথেষ্ট কার্যকর।
আরো পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
৩ মাস আগে
বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরিতে আগ্রহী মাইক্রোসফট
বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ ও ডেভেলপার তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট। এছাড়াও দেশীয় স্টার্টআপগুলোর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সক্ষমতা তৈরি এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (১১ জুন) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুপ ফারুক।
আরও পড়ুন: দক্ষিণখান-উত্তরখানের ৮১ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি মেয়র
সাক্ষাৎকালে তারা স্টার্ট আপ অন মাইক্রোসফট ফাউন্ডার প্রোগ্রাম,সাইবার নিরাপত্তা, পরিপূর্ণ ডাটা ও এআইয়ের জন্য একক প্লাটফর্ম তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পৃথিবী আরেকটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তনের এই যাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ব্যাংকিং, টেলিকম, আইসিটিসহ সব খাতে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট এবং প্রযুক্তির নতুন টুল তৈরিতে মাইক্রোসফট অবদান রাখতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজব্যবস্থা, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকারব্যবস্থা গড়তে চাইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এড়িয়ে কিছু করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের উপর জোর দিয়ে এর যর্থার্থ ও সতর্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া।
ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।’
এডিবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো এই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে না পারলে পিছিয়ে পড়বে।
তিবিলিসির কনসার্ট হলে ৫৭তম বার্ষিক সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি বলেন, এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে পক্ষপাত ও স্বচ্ছতার অভাবের মতো ঝুঁকিও রয়েছে।
এ সময় জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে উপস্থিত ছিলেন। একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জর্জিয়ান সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, সংস্থাটি নৈতিক কাঠামো অনুসরণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কার্যকরী এআই সমাধান ব্যবহারে উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা জোরদারে কঠোর পরিশ্রম করছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বিভাজন দূরীকণ এবং এআই এর সুযোগ উন্মুক্ত করণে আমরা বিশ্বাস করি। এটি আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।’
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা এমন এক সময়ে একত্রিত হয়েছেন, যখন এই অঞ্চলের জনগণ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সময় তাদের নিবিড় মনোযোগ ও সমন্বয়ের প্রয়োজন।
আসাকাওয়া বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অবিরাম প্রভাবগুলো, সংঘাত ও সংকট দ্রুত তাদের জীবন-জীবিকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।’
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই, যাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য সেতুবন্ধন গড়ে তুলি।’
শুরুতে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, এই হুমকিকে উপেক্ষা করা যায় না এবং তাদের প্রতিক্রিয়া বিলম্বিত করা যাবে না।
আসাকাওয়া বলেন, ‘২০২৩ সাল ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। আমরা মানুষের উপর এর প্রভাব এবং ভবিষ্যতের উন্নয়নের ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছি। শস্য ও খাদ্য ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। ‘অর্থায়নে প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ যেন উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।’
আরও পড়ুন: কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
সবুজ বিশ্বায়নের চালিকাশক্তি
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই কক্ষে আমাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে আমাদের বিশ্ব কতটা গভীরভাবে সংযুক্ত। আমাদের এটা কাজে লাগানো উচিত। আরও সবুজ ও উন্মুক্ত অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদের এই সংযোগগুলো বাড়ানো উচিত।’
তিনি বলেন, মহামারি বা বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সংঘাতের দিকে ফিরে তাকানো সহজ হতে পারে এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সহজ হতে পারে যে বিশ্বায়ন এখন মৃত। ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
তিনি বলেন, 'এটা সত্য যে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এর উত্তর সংরক্ষণবাদ এবং বিভাজন হতে পারে না।’
আসাকাওয়া বলেন, মুক্ত বাণিজ্য ও মূলধনের অবাধ চলাচল কয়েক দশক ধরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে উপকৃত করেছে এবং এটিই অবশ্যই এগিয়ে যাওয়ার উপায় হতে হবে।
সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিশীল রাখতে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ জোরদার এবং আর্থিক ও কর সহযোগিতা জোরদারে আঞ্চলিক সহযোগিতা কীভাবে গভীর করা যায় তা অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এডিবি প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম
আসাকাওয়া বলেন, 'অস্বস্তিকর সত্য হলো এশিয়ার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে আমাদের অবদান বাড়ছে।’
তিনি বলেন, আরও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলসম্পর্কিত নির্গমন হ্রাস করার জন্য কাজ করার এখনই সময়।
সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন সদস্যদের সমর্থন করা
এডিবি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতের জন্য সেতুবন্ধন যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের পেছনে ফেলে রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোসহ দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক মন্দা ও সংঘাতের কারণে সবচেয়ে বেশি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।’
এডিবি প্রধান বলেন, তাদের অর্থায়নে অবশ্যই অনুদানসহ রেয়াতি শর্তে সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এশীয় উন্নয়ন তহবিল (এডিএফ) এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন। বৃহস্পতিবার পুনঃপূরণ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা এসব চাহিদা মেটাতে ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের
৬ মাস আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ মানুষের কল্যাণে হোক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় এ আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থায় নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
মানুষের ওপর বল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে?
এ সময় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে।
এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরে সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ আলোচনায় অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।
অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ, জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
ভারতে এআই প্রযুক্তি নিয়ে মাইক্রোসফটের নতুন কৌশল
ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিকাশ ও এটি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের ক্ষমতায়ন এবং দেশটিতে শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অংশীদার হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত করার জন্য বিস্তৃত কৌশল ঘোষণা করেছে মাইক্রোসফট।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এআই ব্যবহারের সুযোগকে গণতান্ত্রিক অধিকারে পরিণত করার মিশনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও সত্য নাদেলা। বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পড়ার সময় তিনি এ রূপরেখা তুলে ধরেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবার জন্য এবং এ বিষয়ে আমরা ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার হতে চাই।’ এআই ডোমেইনে অন্তর্ভুক্তি ও প্রবেশাধিকার বাড়ানো নিয়ে মাইক্রোসফটের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয় এই উদ্যোগ।
প্রতিশ্রুতির অংশ অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের ২০ লাখ মানুষকে এআই প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মাইক্রোসফট। এই উদ্যোগ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরের মানুষের উপর এবং বিশেষ করে দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলোতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রচারের জন্য গ্রহণ করা হবে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে এআই বিধিবিধান ও আইন প্রতিষ্ঠায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন সত্য নাদেলা।
জিপিটির মতো চ্যাটভিত্তিক এআই প্রযুক্তিগুলোর বিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে নাদেলা কমপিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অগ্রগতি উদযাপন করেছেন। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের (মানব) প্রয়োজন বুঝে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ‘স্বাভাবিক কথোপকথন’ চালিয়ে যেতে পারে এমন মেশিন তৈরির লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেছেন।
বিপুল পরিমাণে তথ্য বিশ্লেষণ ও প্যাটার্ন শনাক্ত করে তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি নিউরাল ইঞ্জিন ব্যবহারের কথা মাইক্রোসফটের এই কৌশলে তুলে ধরা হয়েছে। মাইক্রোসফট কোপাইলটের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে এআই প্রযুক্তি দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করে সংস্থাটি। এআই ল্যান্ডস্কেপে মাইক্রোসফটের ভূমিকা তুলে ধরার লক্ষ্যে এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে বিশাল আকারে বিপণন ও প্রচার চালানো হবে।
যাই হোক, মডেল প্রশিক্ষণ ও অনুমান ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ এআই অবকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। জিপিটির বৈচিত্র্য এবং বেশকিছু উন্নত বড় মডেলের অধিকারী হওয়া নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে নাদেলা সংস্থাটির এআই প্রযুক্তিগত ক্ষমতা সম্প্রসারণের বিষয়ে উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন।
৯ মাস আগে
৪০% চাকরিকে প্রভাবিত করবে এআই: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও খারাপ করবে।’
তিনি আরও বলেন, নীতিনির্ধারকদের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ মোকাবিলা করা উচিৎ, যাতে এই প্রযুক্তি ‘সামাজিক উত্তেজনা’ আরও বাড়িয়ে তুলতে না পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এআইয়ের বিস্তার বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিটির সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
আইএমএফ বলেছে, এআই সম্ভবত চাকরির বাজারের বড় অংশকে প্রভাবিত করবে। এর ছোঁয়া ভবিষ্যতের অর্থনীতির ৬০ শতাংশে লাগতে পারে।এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক ক্ষেত্রে এআইয়ের সমন্বিত প্রয়োগে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলবে এমনটা প্রত্যাশা করতে পারেন কর্মীরা।
অন্য ক্ষেত্রে, আগে মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার সক্ষমতা থাকবে এআইয়ের। ফলস্বরূপ, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বেতন কাঠামোতে প্রভাব পড়বে। ক্ষেত্র বিশেষে আগের চাকরি নিঃশেষও হতে পারে।
তবে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রযুক্তিটি চাকরির বাজারকে ২৬ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।
জর্জিয়েভা বলেন, ‘এগুলোর অনেক দেশে এআইয়ের সুযোগসুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল নেই। এতে সময়ের আবর্তনে প্রযুক্তিটি বিশ্বে দেশগুলোর বৈষম্যমূলক অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।’
সামগ্রিক বিবেচনায় এআই গ্রহণ ও প্রয়োগের পর উচ্চ আয়ের ও কমবয়সী কর্মীরা অন্যান্যদের সঙ্গে মজুরিতে অসামঞ্জস্য অবস্থার বৃদ্ধি দেখতে পারে। এই অবস্থায় আইএমএফ মনে করছে, নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এআই সংবাদ উপস্থাপক 'অপরাজিতা'
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
১০ মাস আগে
অ্যামেকা: বিশ্বের সর্বাধুনিক মানবিক রোবট
মহাকাশ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙ্গিনা, সবখানেই এক অনুগত সহকারী হিসেবে আবির্ভাব ঘটছে স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক কাঠামো বা রোবটের। এর সঙ্গে মানুষের মতো অবয়ব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আসফালনে মানুষের পাশাপাশি দ্বিতীয় স্বতন্ত্র সভ্যতার প্রবেশদ্বারে পৌঁছেছে রোবট। সম্প্রতি বিশ্বের সর্বাধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকা যেন ঠিক তারই প্রতিধ্বনি বয়ে বেড়াচ্ছে। ২০৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে শতকরা ৩০ ভাগ কাজ রোবটের দখলে চলে যাওয়ার এ যেন প্রথম পদক্ষেপ। চলুন, প্রযুক্তি জগতের এই অভাবনীয় সাফল্যের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
অত্যাধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকা কি কি করতে পারে
অ্যামেকার কার্যকলাপের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে তা হল তার মুখের অভিব্যক্তি। মুচকি হাসির সময় সে চমৎকার ভাবে চারপাশ তাকাতে পারে। তার অবাক হয়ে তাকানো, নাক আঁচড়ানো, এমনকি দর্শকের সঙ্গে মজা করার বিষয়টি অভূতপূর্ব। অবশ্য একদম মানুষের মতো মুখভঙ্গি দেখে অনেকের পিলে চমকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
অ্যামেকার প্রতিটি চোখে একটি করে ক্যামেরা আছে। এগুলো দিয়ে সে সামনের মানুষদের শনাক্ত করতে ও তাদের মুখ স্পষ্টভাবে ট্র্যাক করতে পারে। আচরণগত অভিব্যক্তি প্রকাশের সময় সে তার কাঁধ নাড়িয়ে মাথার পাশ পর্যন্ত নিজের হাত ওঠাতে পারে। যে কোনো বস্তু শনাক্ত করার সময় অ্যামেকার গতিবিধি অন্য যেকোনো রোবটের চেয়ে বেশ প্রাণবন্ত।
যুক্তরাজ্যের গবেষকদের একটি দল সম্প্রতি অ্যামেকার সিস্টেমে চ্যাটবট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছে। ফলে অ্যামেকা মানুষের কাছ থেকে কোনো ইনপুট ছাড়াই স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। তবে এখন পর্যন্ত অ্যামেকার নীচের অর্ধাংশ অকার্যকর থাকায় সে হাঁটতে পারছে না।
আধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকার নির্মাতা
অ্যামেকার নেপথ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ার্ড আর্টস নামের যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় একটি ডিজাইনার এবং মানবাকৃতির বিনোদন রোবট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান৷ রোবটের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ব্রিটিশ কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করেছিলো ২০০৫ সালে। তারপর থেকে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা মানবাকৃতির রোবটের বিকাশ নিয়ে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার খুঁজতে দেহের ভিতর সাঁতার কাটবে রোবট
২০১৬ সালে উদ্ভাবিত বিখ্যাত সোফিয়া রোবটে ব্যবহৃত প্রযুক্তির অনেকটাই ব্যবহার করা হয়েছে এই অ্যামেকাতে। ইঞ্জিনিয়ার্ড আর্টস অ্যামেকাকে ভবিষ্যত মানবাকৃতির রোবটের জন্য একটি অগ্রগামী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রদর্শন করছে, যার ওপর ভিত্তি করে অজস্র বিকাশ ঘটানো যাবে রোবটিক্সে।
তাদের প্রস্তুতকৃত অন্যান্য রোবটগুলোর মধ্যে আছে মেস্মার, রোবোথেস্পিয়ান ও কুইন। এছাড়া গ্রাহকদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজ রোবট তৈরির লক্ষ্যেও তারা কাজ করছে।
১ বছর আগে
সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং কখনও কখনও এর জন্য কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর তাই সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে গবেষকরা একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনের কৌশল তৈরি করছেন।
প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) কৌশলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রোটিন ও ওষুধের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটানোর মাধ্যমে তারা এটি তৈরির চেষ্টা করছে। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে তারা প্রায় ৯৭ শতাংশ সফলতা পাওয়ার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি ব্রিফিংস ইন বায়োইনফরমেটিক্স জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ওষুধ ও প্রোটিনের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ার ফলে প্রতিটি প্রোটিন মিশ্রনকে ভাষায় প্রকাশ করা হয় এবং উভয়ের মধ্যে হওয়া এই জটিল মিথস্ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এএনআই জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক ও এই গবেষণার একজন সহ-লেখক ওজলেম গারিবে বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের কিছু কাজ এআই এর দ্বারা করা যাবে। আপনি প্রোটিন ও ওষুধের মিথস্ক্রিয়াগুলোর মধ্যকার বৈচিত্র্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন এবং খুঁজে বের করতে পারেন যে কোনটিকে এক করা সম্ভব আর কোনটি সম্ভব না।’
আরও পড়ুন: ‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
তারা যে মডেলটি তৈরি করেছে তা অ্যাটেনশনডিটিআই নামে পরিচিত। প্রোটিন মিশ্রনের ভাষা ব্যবহার করে ব্যাখ্যাযোগ্য হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
এ পদ্ধতিটি ওষুধ গবেষকদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে কার্যকরী বৈশিষ্ট্যসহ জটিল প্রোটিন বন্ধন শনাক্ত করা যায়। যার মাধ্যমে একটি ওষুধ কাজ করবে কি না তা বোঝা যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
২ বছর আগে
২০২১ সালেও সমৃদ্ধি ধরে রাখতে চায় রিয়েলমি
তরুণদের পছন্দের ব্রান্ড রিয়েলমি গ্রাহকদের জন্য শক্তিশালী স্মার্টফোন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআইওটি) অনেক ধরনের পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে।
৩ বছর আগে