জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ছাত্রদের উপর ‘হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘ফ্যাসিবাদের দোসরেরা হুশিয়ার, সাবধান’—ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রদল নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে। এর আগেও আমরা দেখেছি, জুলাই আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুরের উপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু কোনো ধরনের বিভেদ নেই।জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিবাদের দোসরেরা সারা দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাঁই নেই। ছাত্রদল যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। যারা বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান।’
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের ঘটনায় চবিতে ১৪৪ ধারা জারি
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা দেখছি কিছু কিছু মহল যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাচ্ছে, তারা আজ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। ইন্টেরিম সরকার ষড়যন্ত্র রুখতে ব্যর্থ। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাই। একটি নির্বাচিত সরকারই দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।’
বিক্ষোভ মিছিলে জবি ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৯৫ দিন আগে
আগে ফ্যাসিস্টদের বিচার পরে জকসু নির্বাচন: জবি ছাত্রদল
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিতের পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় মানববন্ধনে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, আমরা জকসু চাই কিন্তু এই ক্যাম্পাসে কোনো গণহত্যাকারী থাকতে পারবে না, কোনো ফ্যাসিস্টের বিচরণ থাকতে পারবে না। একইসঙ্গে ছাত্রদলের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে।
উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, কুসুম কুসুম আন্দোলন দিয়ে গদি রক্ষার চেষ্টা করবেন না। আমরাও অবরুদ্ধ করতে পারি। আমরা ভিতর রেখে নয়, বাইরে রেখে তালা দেবো। সচিবালয়, ইউজিসিতে যদি কোনো ফাইল লাগে, তবেই তালা খোলা হবে। তার আগে নয়।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে ৯৫ প্রার্থী, ৬০ নারীসহ মোট প্রার্থী ৪৬২
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, অন্যান্য ক্যাম্পাসে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের বিচার করা হয়েছে। কিন্তু এ কাজে জগন্নাথ পিছিয়ে। তাদের বিচার না করে জকসু নির্বাচন দিলে ভোট দেবে ছাত্রলীগ, ভিপি হবে ছাত্রলীগ। আমরা অবশ্যই জকসু নির্বাচন চাই কিন্তু এই সন্ত্রাসী লীগের বিচারের পর। কাল তাদের বিচার করে, পরশুই জকসু নির্বাচন হোক, আমাদের আপত্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী জকসু নির্বাচনের নামে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি সম্পূরক বৃত্তিকে আড়াল করে ফেলেছে। তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না।
এ সময় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর আহম্মদ, সুমন সরদার, শাহরিয়ার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, রুপান্তি রত্না, রাসেল হোসেন, সাখাওয়াতুল ইসলাম পরাগ, নাহিয়ান অনিক, রাশেদ আমিন, রবিউল ইসলাম বক্তব্য দেন। এছাড়া সংগঠনটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১০১ দিন আগে
নারীর পর্দা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, সমালোচনার মুখে জবি ছাত্রদল সদস্য সচিব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাবি শাখার সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের এক মন্তব্যের উত্তরে তিনি অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরেকটি মন্তব্যের উত্তরে তিনি লেখেন, ‘লুঙ্গির তলেও দারুণ পর্দা হয়। আমাদের পর্দায় সমস্যা না, সার্কাসে সমস্যা। বুজিপার পারিচো গেদা।’
আরেফিনের এসব মন্তব্যকে ঘিরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে তার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান সাকিব নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই হলো রাজনীতি, ছিঃ মুখে থু!’
আরও পড়ুন: জবির আইইআর ইনস্টিটিউটে র্যাগিং, ১০ দিন পেরোলেও গুরুত্বে নেয়নি পরিচালক
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা লিখেছেন, ‘তথাকথিত প্রগতিশীল নারীবাদীরা এখন কই গেছে? এসব নিয়ে তো তাদের কোনো আওয়াজ দেখছি না। নাকি দাড়িওয়ালা পুরুষ আর হিজাব পরিহিত নারীকে নিয়ে যা খুশি বলা বৈধ? এই কমেন্টের মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব নিয়ে এমন কটূক্তিমূলক কথা বলা জাহেলিয়াতের চরমতম বহির্প্রকাশ। পর্দা করা মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো মুসলিম পরিবারের মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারে না। নৈতিকতাবিবর্জিত মানুষের মতো আচরণ একজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতার মুখে বেমানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘বামদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যারা নিজেকে নব্য ইসলামবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চান, তাদের জানা উচিত, এদেশে ইসলামের শিকড় অনেক গভীরে।’
এদিকে, শামসুল আরেফিন এক মন্তব্যে সমালোচনার জবাব দিয়ে লিখেছেন, ‘পর্দার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার বক্তব্য ভিসি মহোদয়ের হিপোক্রেসির উপর— একদিকে রাজনীতি প্রমোট করেন, অন্যদিকে নিষিদ্ধ। নারী ও তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় আমার আজন্ম শ্রদ্ধা।’
১১৭ দিন আগে
জকসু ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বিষয়ে দায়সারা উত্তর, প্রতীকী প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রণয়ন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এবং পুরান ঢাকায় দুটি হল নির্মাণকাজের অগ্রগতিসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশাসনের দায়সারা আচরণের প্রতিবাদে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৬ আগস্ট) উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একটি চেয়ারে প্রশাসন লেখা বসিয়ে, নানা ব্যঙ্গাত্মক প্ল্যাকার্ড টাঙিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্লাকার্ডে ছাত্র সংসদ কবে হবে? দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ কবে শুরু হবে? পুরান ঢাকায় দুইটি হলের কাজ কবে হবে? সম্পূরক বৃত্তি কবে হবে? এসব প্রশ্নের উত্তরে ওই চেয়ারে ‘আলহামদুলিল্লাহ’; ‘চিঠি পাঠিয়েছি’; ‘বের হয়ে যাও’; ‘হচ্ছে, চলছে, চলমান’; ‘৮টা টু ৮টা’ লিখে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের ফসল দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এবং দুটি হল হাবিবুর রহমান ও বাণী ভবনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশাসনের দায়সারা উত্তরের প্রতিবাদেই এমন উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তির নীতিমালা নিয়েও জবি প্রশাসনের হেয়ালিপনার প্রতিবাদ জানান তারা।
আরও পড়ুন: জকসু নির্বাচনসহ দুই দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
এ বিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চলমান নীরবতা শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলার প্রতিফলন। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, যেমন সম্পূরক বৃত্তি প্রদান ও জকসু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা, জবি শিক্ষার্থীরা, আজ প্রতীকী জবাবদিহিতা কর্মসূচির মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছি, এই নীরবতা চলতে দেওয়া হবে না। প্রশাসন যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। বিশ্ববিদ্যালয় কারো দয়ায় নয়, শিক্ষার্থীদের অধিকারে চলবে।’
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই জবাবদিহিতা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটা অথর্ব, মেরুদণ্ডহীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যাদের আশা করে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য গেইট লক কর্মসূচি পালন করলাম, তারা আজ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিয়ে উদাসীন। আবাসন, ভাতা, ছাত্র সংসদ, সবখানেই ব্যর্থতা! যমুনার সামনে রক্ত দিয়ে যাদের জাগাতে চেয়েছি, তারা এখন ইউজিসি থেকে আমাদের প্রাপ্য বৃত্তিও আনতে অক্ষম। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ, দুটি হলের কাজের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। আমাদের আজকের এই প্রতীকী জবাবদিহিতা তাদের ব্যর্থতা ও গাফিলতির নগ্ন মুখোশ খুলে দিতেই!
এর আগে, জকসু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে দুই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন তিনি। জকসু নিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহী নন, বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এ ছাত্র সংসদ (জকসু) বিষয়ে কোনো বিধান না থাকায় বিগত ২০ বছরে তা গঠনের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গত ২ জানুয়ারি ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় জকসু গঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। পরে গত ৭ মে ১০০তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থী ও সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আরও একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়। গত ১২ মে ও ১৫ মে যথাক্রমে শিক্ষার্থী ও সিন্ডিকেট সদস্যদের মতামত আহ্বান করা হয়। প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে উচ্চতর কমিটি এখন গঠনতন্ত্রকে আইন আকারে প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
১২০ দিন আগে
জকসু নির্বাচনসহ দুই দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ দেশের অন্যতম শীর্ষ একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখানে ছাত্র সংসদ না থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থী। জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মত প্রকাশ ও নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে, যা একটি আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। কিন্তু এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নয় ছয় করে আসছে এই প্রশাসন।
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, গত বুধবার জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো রেসপন্স করেনি। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নয়-ছয় করে পার পাবে না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমরা প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, আজকে আমরা দুই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জকসুর যে নীতিমালা- তা বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে পাস করিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং সম্পূরক বৃত্তির ব্যাপারে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
গতকাল রবিবার (৩ আগস্ট) দ্রুত জকসু নির্বাচন কার্যকর করতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রশিবির। একইদিনে স্মারকলিপি দেয় শাখা ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
এর আগে, গত বুধবার দুই কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
১২২ দিন আগে
ঝুঁকিপূর্ণ জবির রফিক ভবন, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
জরাজীর্ণ ভবনে আস্তর ও কার্নিশ ধসে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে খুব দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও মিলছে না। বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রফিক ভবনের ছাদ ও দেয়ালের আস্তর (প্লাস্টার) খসে পড়ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। ভবনের কোথাও কোথাও ছাদের কার্নিশ ভেঙে ঝুলে পড়েছে। জরাজীর্ণ এ ভবনের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। এমতাবস্থায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রফিক ভবনের ছাদ খসে পড়ে মেঝে ও সিঁড়িতে পড়ে। কিছু শিক্ষার্থীর গায়ে অল্পের জন্য পড়েনি। তারা দৌড়ে দূরে সরে যায়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। বৃষ্টি হলে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে বলে তারা জানান। রফিক ভবনের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: জবিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল, খসে পড়েছে কার্নিশ। কয়েক জায়গায় দেয়ালের আস্তরের স্তরও খসে পড়েছে।
ছাদের আবরণ খসে পড়ার প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিন হোসনে বলেন, ‘আমাদের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা খুবই ভয়ের মধ্যে আছি। ক্লাস করতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছিলাম। দুইতলায় মাঝের সিঁড়িতে পৌঁছাতেই উপর থেকে ছাদের আস্তর খসে পড়েছে। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে আসছি।’
আরেক শিক্ষার্থী নাইলা নিলা বলেন, ‘আজকে সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে ক্লাসে আসলাম। এসে রফিক ভবনের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়েই হঠাৎ দেয়ালের কিছু অংশ আমাদের সামনে ধসে পড়ে।’ এর আগেও এমন হয়েছে জানিয়ে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সেলিম মোজাহার বলেন, ‘আমাদের বিভাগের সংস্কারের জন্য আরও সাত-আট মাস আগেই প্রকৌশল দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাকে জানানো হয়েছিল।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘রফিক ভবন ও অবকাশ ভবন নিয়ে ফাইল প্রস্তুত করা আছে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’
রফিক ভবন ও অবকাশ ভবনের সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘ফাইল অনুমোদন হয়েছে দুদিন হলো। একজন ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে। তবে কিছু সময় লাগবে।’
১২৬ দিন আগে
শিক্ষকদের ওপর হামলা: এবার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখানো হলে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এবং ভবন তালাবদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ জুলাই) জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় গত ১০ জুলাই থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ করার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ঠিক আগমুহূর্তে শিক্ষক সমিতির আহ্বানে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিভাগীয় শিক্ষক ড. কে এ এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জবিতে ছাত্রদলের হামলা, ৩ দবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
আলোচনায় শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত তিনটি দাবির সঙ্গে আরও দুটি দাবি সংযুক্ত করে মোট ৫ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো— আগামীকাল ১৫ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত বহিষ্কার করতে হবে। যেসব অছাত্র জড়িত, তাদের ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন সহিংসতা প্রতিরোধে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে। রাজনৈতিক ট্যাগ ও অপপ্রচার বন্ধে প্রশাসনিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে দুঃখ প্রকাশ করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে রাতের মধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আশ্বাস দেয়। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা দিনের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখেন।
তবে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখানো হলে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হবে এবং ভবন তালাবদ্ধ করা হবে। তবে ভবনে অবস্থিত বিভিন্ন বিভাগের চলমান ফাইনাল ও মিডটার্ম পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত নয় বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: জবির সহকারী প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ ৩ বাগছাস নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ
এদিকে, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ব্যাচভিত্তিক আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসানকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও সমগ্র ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের ‘রাজনৈতিক ট্যাগ’ দিয়ে মানসিক হয়রানি করেছেন। বিশেষ করে বিভাগের দীর্ঘদিনের শ্রেণি প্রতিনিধি নন্দিনী ঘোষকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে অপপ্রচার চালানোয় শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং এই মিথ্যাচারের দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে নিতে হবে বলেও দাবি করেন।
১৪৩ দিন আগে
জবির শিক্ষক-বাগছাস নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলা তদন্তে কমিটি গঠন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দুই শিক্ষকসহ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতার উপর শাখা ছাত্রদলের নেতকর্মীদের হামলার ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেনকে আহ্বায়ক এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সংস্থাপন) জনাব এ. কে. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবির সহকারী প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ ৩ বাগছাস নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।
এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা।
একইসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুককেও ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে তাদের উপরও হামলা ও মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বর্তমানে আহত অবস্থায় ফয়সাল মুরাদ ও ফেরদৌস শেখ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
১৪৭ দিন আগে
জবির সহকারী প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ ৩ বাগছাস নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতার ওপর হামলার অভিযোগ ওঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে দুপুরের দিকে বিভাগে আটক রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে, তাকে মারধর শুরু করে তারা।
এ সময়, একই বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রফিককে রক্ষা করতে গেলে শিক্ষকদের গালিগালাজ ও হামলা চালায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুককে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে তাদের উপরও হামলা ও মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বর্তমানে আহত অবস্থায় ফয়সাল মুরাদ ও ফেরদৌস শেখ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ঘটনার বিষয়ে শাখা বাগছাস আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, বাগছাসের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুকের উপর শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ও শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। আমি সামনে গিয়ে তাদের বলি, ফারুক জুলাই আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। তাকে ছাত্রলীগ হিসেবে ট্যাগ দিয়ে এভাবে মারধর করা ঠিক নয়। কিন্তু আমার অনুরোধ সত্ত্বেও তারা তাকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: জবির শিক্ষক-বাগছাস নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলা তদন্তে কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, আমাকেও ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে তার কর্মীরা আমাকে কিলঘুষি মেরেছে। ছাত্রদলের যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে তারা প্রত্যেকে অছাত্র। তারা শিক্ষকদের ওপরও হামলা চালিয়েছে, গালিগালাজ করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
হামলার শিকার সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রক্টরের দায়িত্বকালে ছাত্রদলের এমন হামলার আমি সঠিক বিচার চাই। শিক্ষক সমিতির সভাপতির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছি। কালকে ভিসি স্যার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবো।
অভিযোগের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, আজ আমরা জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করেছে। এরা বিভিন্ন সময় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছে ক্যাম্পাসে ঢুকবে। তারা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে এসে সংগঠিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের অরাজকতার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আজ তাদের ধরতে গেলে তারা উল্টো ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মব সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই আমরা পুরো প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এ মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিষয়টি সুরাহা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপকের সিদ্ধান্ত সবার মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
১৪৭ দিন আগে
ত্রৈমাসিক সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের ৬ সাংবাদিক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) ত্রৈমাসিক সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সংগঠনটির ৬ সাংবাদিক। দৈনিক সর্বোচ্চ রিপোর্ট ও বিশেষ রিপোর্ট ক্যাটাগরিতে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকতার বুনিয়াদি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রৈমাসিক বিশেষ রিপোর্টিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মো. জুনায়েত শেখ, দ্বিতীয় স্থান দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক তানজিম মাহমুদ এবং তৃতীয় স্থান দৈনিক সময়ের আলোর সাংবাদিক মোশফিকুর রহমান ইমন।
ত্রৈমাসিক সর্বোচ্চ রিপোর্টিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের সাংবাদিক জান্নাতুন নাইম, দ্বিতীয় স্থান দ্য ডেইলি স্টারের সাংবাদিক রাকিব মাদবর এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন চ্যানেল-২৪ এর সাংবাদিক তাহমিদ আব্দুল্লাহ রাদ।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন এবং সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে দৈনিক সময়ের আলোর চিফ রিপোর্টার ও জবিসাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক এম মামুন হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হোসেন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ড. আনওয়ারুস সালাম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে কেউ কথা বলত না। তখনও আমাদের সাংবাদিকরা কলম ধরেছে, তাদের এই কাজ যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী মনোভাব পোষণ করত, তােদর জন্য অনুপ্রেরণা ছিল।
তিনি বলেন, একজন রিপোর্টারের নীতি হবে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখা। সকল বাধাকে সততার সঙ্গে মোকাবেলা করা। সাংবাদিককে নির্মোহ হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২৩ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে জবি
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, সাংবাদিকতায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থী আসে। সাংবাদিকতার কর্মশালায় যারা অন্য বিভাগ থেকে আসে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেখনিতে ভালো কাজের সুনাম ও মন্দ কাজের সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রথমে মনে রাখা দরকার প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পরে রিপোর্টার।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো রেজাউল করিম বলেন, সাংবাদিকতার নীতি ও দায়বদ্ধতা সাংবাদিকদের অনুধাবন করতে হবে। তবেই এ পেশায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আমরা যে কাজেই যাই, সেটা অনুধাবন করতে হবে। সাংবাদিকতা করতে হবে ফ্যাক্টভিত্তিক। ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সনদ গ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬ দিন আগে