ব্যবসায়ী হত্যা
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০০৯ সালে ব্যবসায়ী সিরাজুল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহাদত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলাম। এদের মধ্যে শহীদুল পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
কোর্ট ইন্সপেক্টর ঝুটন চন্দ্র বর্মণ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিরারুল ইসলাম ২০০৭ সালে জোসনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর জোসনা পার্শ্ববর্তী এলাকার শহীদুলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছিল। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে কাঠাল গাছে সিরাজুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সিরাজুলের ছেলে বাদি হয়ে জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলামকে আসামি উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভালুকা থানায় মামলা করলে তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতে সরকারি পক্ষে আইনজীবী শেখ আবুল হাসেম মামলাটি পরিচালনা করেছেন।
বাদিপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শরিফ মিয়া উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে।
নিহত আতিকুর রহমান সুমন (২৮) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
জানা গেছে, নিহত ফার্নিচার ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান সুমন বেশ কয়েক বছর ধরে নবীনগরে বসবাস করে ফার্নিচারের ব্যবসা করে আসছিলেন। এরই সুবাদে স্থানীয় শরিফ মিয়ার স্ত্রী সাথির সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে শরিফের সঙ্গে তার স্ত্রীর মনোমালিন্য চলছিল। এক পর্যায়ে সাথি বাবার বাড়ি চলে যান। এর জের ধরে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সুমন সাহরি খেয়ে ঘর থেকে বের হলে এই সুযোগে শরিফ তাকে গুলি করে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে গ্রেপ্তার ৪, ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় নিহত সুমনের বড় ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলার পরপর শরিফকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে নবীনগর থানা পুলিশ। অবশেষে প্রযুক্তিগত সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ বছর আগে
চাঁদপুরে জুয়ায় হেরে ব্যবসায়ীকে হত্যা, প্রধান আসামি আটক
চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার আলোচিত রেহান উদ্দিন মিজির (৫৫) হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি খোরশেদ আলম (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রেহান মিজি বালু ও ড্রেজার ব্যবসায়ী। তার বাড়ি পাশ্ববর্তী শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার তারাবণিয়ায়। অন্যদিকে আসামী খোরশেদের বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়। সে পেশায় গরু ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির চিতা বিড়াল
জুয়া খেলায় হেরে গিয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভে আসামি খোরশেদ রেহান মিজিকে নৃশংসভাবে গত ২৩ জুন নিজ বাসায় হত্যা করে বলে পুলিশ জানায়।
বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আল-আরাফাহ ব্যাংকের ৫ লক্ষাধিক টাকা চুরি
হত্যার পর পলাতক খোরশেদ আলমকে চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া সাধন গাজীর মেস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানানা, আসামির স্বীকারোক্তি ও তার দেওয়া তথ্য মতে খুনে ব্যবহৃত দা, মৃত ব্যক্তির রক্তমাখা লুঙ্গি, ১টি গেঞ্জি, তাস, ১টি লাইটার, সিগারেটের প্যাকেট ও ১টি নীল রঙ্গের মাস্ক আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
বগুড়ায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়া শহরের তালুকদার মার্কেটের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে (২৩) পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও পুকুরে লাশ লুকিয়ে রাখার অভিযোগে ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
শহিদুল ইসলাম বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার লোহাজাল গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আতিকুর রহমান আতিক (৩২), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৮), সাজ্জাদ হোসেন (৪০), আব্দুল হাই ওরফে দুলাল (৪০), বক্কর সরকার (৩২) এবং আব্দুর রাজ্জাক (৩৭)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২ মার্চ রাতে শহিদুল ইসলাম রাত ১০ টায় দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে বগুড়া শহরের বিবির পুকুর এলাকায় নিখোঁজ হন। এরপর ৪ মার্চ দুপুরে বগুড়া-সান্তাহার পাকা রাস্তা সংলগ্ন এমবি হ্যাচারীর পুকুরে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে শহিদুল ইসলামের লাশ আটকা পড়ে। পরে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনার দিন নিহতের ভগ্নিপতি অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শহিদুলকে হত্যা করে লাশ গুম করার ঘটনা স্বীকার করেন।
তদন্ত শেষে কাহালু থানার তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর এসআই ইলিয়াস ৬ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকালে আদালতে রায় ঘোষণা করেন। এ সময় এক নম্বর আসামি আতিক ছাড়া বাকি পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে মাদরাসা সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৩ বছর আগে
ভোলায় ব্যবসায়ীকে হত্যা করে টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বটতলা বাজার এলাকায় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রবীর চন্দ্র মাঝি (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা।
৪ বছর আগে