অসুস্থ
করোনা টিকা নিয়ে ৩২ মাস ধরে অসুস্থ সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ
করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করার পর থেকে নানা উপসর্গ নিয়ে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী এখনো অসুস্থ।
শরীরে নানা ধরনের উপসর্গের সঙ্গে লড়াই করছেন ওই সাংবাদিক। ভ্যাকসিনের কারণে ৩২ মাস ধরে বিষ্ণু প্রসাদ অসুস্থ। সেই থেকে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও তিনি এখনো সুস্থ হতে পারেননি।
বিষ্ণু জানান, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা নেন। এর এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একের পর এক উপসর্গ দেখা দেয় তার শরীরে। জ্বর, বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, মাথায় যন্ত্রণা, গলায় ব্যাথা, মুখ ও গলা শুকিয়ে আসা, কথা বলতে কষ্ট হওয়া, মেমোরি লস, শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারা, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বসুন্ধরায় কীটনাশক বিষ প্রয়োগের পর অসুস্থ হয়ে ৯ ও ১৫ বছর বয়সী দুই ভাইয়ের মৃত্যু
প্রথমে বাগেরহাটের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। এরপর খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিউতে তাকে দুই দফা ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়।
এক টানা ২১ দিন বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন ওই তিনি। বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আরাফাতের নেতৃত্বে তার চিকিৎসায় দুই দফায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
সেখানে চিকিৎসকরা তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। তবে ওই সব হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে নানা চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনের প্রথম দিন প্রথম যে ৫ জন টিকা নিয়েছিলেন তার মধ্যে আমি একজন। টিকা দেওয়ার সময় আমার শরীর জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছিল। তখনি বিষয়টি আমি চিকিৎসকদের জানাই। এর এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা বেড়ে যায়। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করাতে বেশ কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করেছি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকসী জানান, সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নেন। এর এক ঘণ্টার মধ্যে নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে আমি তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা শুরু করি। সেই থেকে বিভিন্ন সময় আমি তাকে নানা ধরনের চিকিৎসা দিয়ে আসছি।
তিনি আরও জানান, তার অসুস্থতা নিয়ে গবেষণা করা গেলে করোনার অজানা আরও নানা বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে। আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বিষ্ণু প্রসাদ নানা অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমদ্দার জানান, যেকোনো টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। তবে তারা রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। তার রোগ নির্ণয় করতে আরও উন্নত চিকিৎসা করা দরকার।
তিনি জানান, বিষ্ণু প্রসাদের যেসব উপসর্গ দেখা দিয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের গবেষণা করা প্রয়োজন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অসুস্থতার কেস ফাইন্ডিংস পাঠানো উচিত। সেই সঙ্গে তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর অথবা আমেরিকায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ বানরটি চিকিৎসা নিতে নিজেই হাসপাতালে হাজির
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
চাঁদপুরে সেমাই খেয়ে অসুস্থ ৮, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ৩ জন
চাঁদপুরে সেমাই খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের আটজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে অসুস্থ সবাইকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অসুস্থদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জেলি পুশ করা ১৫০০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুরুতর অসুস্থরা হলো- শিশু আবরাহাম (৩), নুর নবী (৩) ও আনন্দ (১৩), আখি বেগম (৩০), নুর জাহান (৩২), জাহানারা বেগম (৩০)। তারা সবাই চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার মধ্য শ্রীরামদী শাহজাহান মাতব্বর বাড়ির অধিবাসী।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুশান্ত কুমার জানান, অসুস্থদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তবে রান্না করা সেমাইয়ে বিষক্রিয়া ছিল কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে অসুস্থদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এমনটা জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরে যুবলীগকর্মীর মৃত্যু: গ্রেপ্তার ৫
খুলনায় হিটস্ট্রোকে ৭ম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু, অসুস্থ ৫
খুলনার ডুমুরিয়া ও রূপসা উপজেলার দুই স্কুলে মঙ্গলবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয় এবং অন্য পাঁচজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
নিহত সুরজিৎ বসাক কালীবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অনুপতি বসাকের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে সুরজিৎ।
উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হিটস্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুরজিৎ বসাকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, রূপসা উপজেলার কাজদিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলাকালে লোডশেডিংয়ে অতিরিক্ত গরমে পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাঁদ সুলতানা বলেন, ‘লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: হিটস্ট্রোকে মরছে মুরগি, কুড়িগ্রামে মুরগির খামারে সর্বনাশ
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে রাত ১টা ২০ মিনিটে বের হন এবং ১টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।
তিনি বলেন, তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা তার বাসায় যান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
পরে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে প্রাইভেটকারে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল একই হাসপাতালে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সাতবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
গত বছরের ১০ জুন তার বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লক থাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং পরদিন একই হাসপাতালে ওই ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্ট বসানো হয়।
ডাক্তাররা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা
জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ২ বোনের মৃত্যু!
গাজীপুর সদর উপজেলার সালনা এলাকায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে আরেক শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে সালনার ইপসা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো-শেরপুরের বাসিন্দা আশরাফুলের মেয়ে আশামনি (৬) ও আলিফা (দেড় বছর)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত
আশরাফুল স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সালনার ইপসা গেট এলাকায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন।
মৃত শিশুদের বাবা আশরাফুল বলেন, রবিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে তিনি দুই মেয়ে ও এক আত্মীয়ের ছেলেকে প্যাটিস ও কেক কিনে দিয়েছিলেন।
ওই কেক ও প্যাটিস খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে দুই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একই সময় অন্য শিশু সিয়াম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার বলেন, বিষক্রিয়ার কারণে শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে। আরেক শিশু সিয়াম চিকিৎসাধীন। শিশুটির অবস্থাও গুরুতর।
এছাড়া মৃত শিশু দুটির লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এহতেশাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে-বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিআইডি'র টিমসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কাজ করছে।
এ ব্যাপারে মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১০ জনের মৃত্যু
দিনাজপুরে ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায়’ শিশুর মৃত্যু
ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ২৮ জনের মৃত্যু, ৬০ জন অসুস্থ
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলায় বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন এবং ৬০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা মুকেশ পারমার বলেছেন, গুজরাটের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই স্থানে মদের উৎপাদন, বিক্রয় এবং সেবন নিষিদ্ধ। মদে কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গুজরাট রাজ্যের পুলিশ প্রধান আশিস গুপ্তা বলেছেন, বিষাক্ত অ্যালকোহল বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে।
ভারতে প্রায়ই অবৈধভাবে তৈরি বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সস্তা মদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবৈধভাবে এগুলোতে কীটনাশকের মতো রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়।
অবৈধ মদও ভারতজুড়ে একটি বিশাল লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়েছে। মাদকবিক্রেতারা এসব মদের জন্য কোনো কর দেয়না এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে তারা সস্তায় এসব মদ বিক্রি করে থাকে।
২০২০ সালে ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে কমপক্ষে ১২০ জন মারা যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত
উদয়ন ট্রেন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
সিলেট থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে জুবেদ আলী (৭০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারসহ সিলেট থেকে চট্টগ্রামে আসার মুক্তিযোদ্ধা জুবেদ আলী পথে চলন্ত ট্রেনে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছালে মরদেহটি উদ্ধার করে রেল পুলিশ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জুবেদ আলী বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তার সঙ্গে রেলে তার স্ত্রী, ছেলে, আত্মীয় স্বজনরা ছিলেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা জুবেদ আলীর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ১৫ দিন আগে ছাতক গিয়েছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে আবার ফেরত আসার সময় তার মৃত্যু হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিলেট থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। বিষয়টি রেলওয়ে কন্ট্রোলে জানানো হলে, কন্ট্রোল নির্দেশনা দেয় ট্রেন থামানো হয় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এতে অস্বীকৃতি জানায় তার পরিবার। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় চট্টগ্রামে এসে হাসপাতালে যাবেন তারা। কিন্তু ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই যাত্রী।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ভোরে সিলেট থেকে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখ ভাল করছে।
পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১ জুলাই
ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়
ইফতারি খেয়ে ৯ বিচারকসহ অসুস্থ ৩০, হোটেল মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩
পাবনা শহরের একটি রেস্টুরেন্টের ইফতারি খেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৯ বিচারকসহ ৩০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মালিকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার পাবনা কোর্ট চত্বরে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক বিচারকের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইফতারি খাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-পাবনা শহরের কাশমেরি ফুড গার্ডেনের স্বত্ত্বাধিকারী হাসানুর রহমান রনি, ম্যানেজার সাব্বির হোসেন ও নাজমুস সাদাত মাসুদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অনলাইন প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
তাদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ৩৩ ধারায় মামলা দায়ের করে রাতেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ওই ইফতারি খেয়ে খুব অসুস্থ হয়ে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তিনি নিজে বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন বিচারকের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইফতারির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়াসহ তার অধীনস্থ আদালতের সকল বিচারক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই শহরের রূপকথা রোডের কাশমেরি ফুড গার্ডেন থেকে আনা ইফতারি খেলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
তিনি জানান, বুধবার রাতে তাদের মধ্যে ছয় জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিরা নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসা নেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ ওই রেস্টুরেন্টের মালিক, ম্যানেজারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শাবিপ্রবি: অনশনের চতুর্থ দিনে ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বাকিরাও অসুস্থ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে করা অনশনের চতুর্থ দিনে ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের শরীরে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৬৯ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ না করায়, শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই তারা অনশন ভাঙবেন না।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, ২৪ জন অনশনে বসলেও বাবার অসুস্থতাজনিত কারণে একজন বাসায় চলে গেছেন। শনিবার সকাল পর্যন্ত বাকি ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া হাসপাতাল ও মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রায় সবার শরীরে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।এদিকে, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নয়, আলোচনা হবে সিলেটে: শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
শাবিপ্রবিতে অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনরত এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তার শরীর নিস্তেজ হয়ে যাওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীর নাম কাজল দাশ।
এর আগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা পানিসহ কোনো ধরনের তরল খাদ্য গ্রহণ করছেন না। যার ফলে অনেকেই নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছেন। তবে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কেউ অনশন ভাঙবেন না। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার মত চলছে অনশন। শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসির পদত্যাগ হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অনশনের পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: আমরণ অনশনে বসলেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী
এদিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে বুধবার রাত পৌনে ৯টায় প্রায় দুই শতাধিকের বেশি শিক্ষকের একটি প্রতিনিধি দল কর্মসূচিস্থলে উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এসেছিলাম আমাদের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে। তাদের কাছে সে সময়টুকু চেয়েছি যেন এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটা খুঁজে বের করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা বলছে উপাচার্যের নির্দেশে হামলা হয়েছে। তদন্তে যে দোষী হবে সে দায় নেবে। আমরা চাই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক। সরকার ও সিলেটের নেতৃবৃন্দ এখানে সম্পৃক্ত। যার নির্দেশে হামলা হয়েছে সেখানে উপাচার্যসহ যেই জড়িত থাকুক তাকে দায় নিতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের ওই সুযোগটা দেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের বুঝাতে আবার চেষ্টা করব। তা না হলে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন: উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা