যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে হেরোইন পাচার মামলার রায়ে জুয়েল আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. মাইনুদ্দীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
অতিরিক্ত পিপি মিজানুর রহমান জানান, ২০২১ সালের ১৯ জুন রাতে নাটোরের বড়াইগ্রামে রয়না পাম্প এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ চালক জুয়েলকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা ও অভিযোগপত্র দাখিলের পর প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
রায়ে জুয়েলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫ মাস আগে
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় সীমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ময়নুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার(২০ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সীমা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পার্বতীপুর গ্রামের খোকন মোল্লার স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী সিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বদরুন্নাহার বেবি বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের উপস্থিতিতে সোমবার আদালত এ রায় দেন। তিনি এই মামলার রায়ে সন্তুষ্ট।
তবে এসময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না বলেও জানান তিনি।
৭ মাস আগে
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।
দণ্ডিত ব্যক্তি লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে বাঁশের লাঠি দিয়ে তার স্ত্রী মালতী রানীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্রমাগত আঘাত করতে থাকলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন।
২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। পরে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রংপুরের পীরগাছায় বন্ধুকে হত্যার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।
এসময় আসামি সাইফুল ইসলাম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের সুবিদ গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে তৌকির আহম্মেদ তুষার রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স প্রথমবর্ষে লেখাপড়া করতেন। তার বন্ধু পাশের মীরাপাড়া গ্রামের টাবলু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তুষার ও সাইফুল পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রেমঘটিত কারণে ২০১৪ সালের ৩০ জুলাই বিকালে সাইফুলের সঙ্গে তুষারের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে তুষার ৭ থেকে ৮ জন বন্ধু মিলে পীরগাছা উপজেলার দেবী চৌধুরাণী স্কুল মাঠে তুষারকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন সাইফুল।
তৌকিরের বাবা প্রবাসী হওয়ায় তৌকিরের চাচা আব্দুল হামিদ মিয়া বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মালেক এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আব্দুল হক প্রমাণিক।
আরও পড়ুন: হেরোইন রাখার দায়ে মাদক কারবারির কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে ছাব্বির নামে এক আসামিকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পৃথক আরেকটি ধারার ১৪ বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অপর ২ আসামি আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আসামি ছাব্বির ২০২০ সালের ২০ নভেম্বরে দলবল নিয়ে লালপুর উপজেলার দুরদুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে অমরপুর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। এরপর ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা সাদেকুল আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পরে বিচার কাজের প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আজ এ রায় দেন বিচারক।
রায়ে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মুহাম্মাদ আকরাম হোসেন এ রায় দেন। এতে একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামি আলমগীর হোসেন যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর উত্তরপাড়ার সামছুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সরদার মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় নড়াইল-যশোর সড়কের সদর উপজেলার চাঁচড়ায় যশোর থেকে নড়াইলগামী সন্দেহভাজন একটি মোটরসাইকেল পুলিশ থামতে বললে চালক আলমগীর মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে ধাওয়া দিয়ে তুলারামপুর চরপাড়া এলাকা থেকে ধরে ফেলে এবং মোটররসাইকেলে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ৯২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে।
এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। পরে আলমগীর হোসেনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নিষেধ অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৪ জেলের কারাদণ্ড
৮ মাস আগে
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মো. মিলন হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রী জাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি জাহানারা আদালতে হাজির ছিলেন। ঘটনার ১৩ মাস পর এ হত্যা মামলার রায় হলো।
মামলার বাদি তাদের ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন ওরফে মাহবুব। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাহানারা বেগম পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী মোহনকে হত্যা করে। উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে জাহানারা বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে সুপারি গাছের সঙ্গে হাত বাঁধা মিলনের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পরদিন মিলনের ছেলে সাফায়েত হোসেন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নিহত মিলনের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে তিনি স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, স্বামী মিলনের সঙ্গে তার ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাদের তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই মিলন অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিলেন। খিটখিটে স্বভাবের কারণে মিলন বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতন করতেন।
রমজানের শেষ ১০ দিন জাহানারা তার স্বামীকে মসজিদে এতেফাকে বসতে বলেন। এতে তিনি গালমন্দ করেন। ঘটনার রাতে জাহানারা তার স্বামীকে ঘরের পেছনের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে সুপারি গাছের সঙ্গে গরুর দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ফেলেন। পরে একটি নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে।
পরদিন সকালে জাহানারা নিজেই পরিবারের সদস্যদের স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ জানায় এবং দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।
পরে পুলিশের কাছে তার আচরণ সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর চিকিৎসাধীন শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় লিটন মাতুব্বর (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ মে) দুপুর ১২টায় ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিুজুর রহমান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ২০০২ সালে হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা বাজারে চায়ের দোকানে পানি সরবরাহ করে থাকেন। এজন্য তাকে বেশিরভাগ সময় কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর সুবাদে শিশুটি বাড়িতে একাই থাকতো।
এই সুযোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া গ্রামের রাশেদ মাতুব্বরের ছেলে আসামি লিটন মাতুব্বর শিশুটির বাড়িতে যাতায়াত করে ও সখ্য গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে লিটন নানা প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটির মা বাড়িতে না থাকায় লিটন বাড়িতে প্রবেশ করে শিশুটির মুখে কাপড় গুজে তাকে ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
কাউকে এ কথা বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় লিটন।
পরবর্তীতে শিশুটি এ কথা কাউকে না বলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে।
প্রায় দুই মাস পর শিশুটি তার মায়ের কাছে সব কথা খুলে বললে, শিশুটির মা তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
সেই সঙ্গে তিনি কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও করেন। তবে ওইসব সালিশের রায় মানেনি লিটন।
পরে এ ঘটনার ৭৩ দিন পর শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ লিটন মাতুব্বরকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরদিন ২৫ মার্চ শিশুটি চিকিৎসাধীন মারা যান।
ঘটনা তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার মন্ডল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি স্বপন পাল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(২) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় একমাত্র আসামি লিটন মাতুব্বরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সকল প্রমাণাদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ৯(২) ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায়, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিকে এক লাখ টাকা দিতেই হবে। এখানে অনাদায়ের বিষয় রাখা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ রায় সমাজে সুস্থতা ফিরতে ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। আমরা এ রায়ে অত্যন্ত খুশি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে তিন নারীসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে উভয় মামলার সকল আসামিই পলাতক রয়েছে।
বিশেষ পিপি অনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর নাটোর সদর উপজেলার চকতেবাড়িয়া গ্রামের এক কিশোরীকে পাচারের উদ্যেশ্যে তুলে পাবনার এক বাসায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। পরে তাদেরই একজনের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। এরপর ওই কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে অশ্লিল কর্মকাণ্ডে বাধ্য করে। সেখান থেকে পালিয়ে নাটোরে ফিরে আসার পর মামলা দায়ের করে।
প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণ শেষে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামি হালিমা, আম্বিয়া, জেমি, নাইম ও আজবারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই অর্থ আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এরপর একই আদালতে সিংড়া উপজেলার কুশাবাড়ি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অপর এক মামলার রায়ে আনছার আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক। ২০০৪ সালে রাতে দুঃস্থ ওই নারীর ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র ধরে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে আনছার আলী। তাকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনার তেরখাদা আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে খুলনার একটি আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক ছিলেন। অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
নিহত পলাশ ওরফে সবুজ ওই গ্রামের জনৈক লুৎফর রহমানের ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও একই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুরাদ শরীফ ও খসরু মোল্লা। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমঙ্গীর হোসেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলার ৩ নং আসামি মিলু মোল্লার বাড়িতে পলাশের প্রায়ই যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ এবং তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করত। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯ টায় বাড়ি থেকে পলাশকে ডেকে নেয়।
তারপর থেকে অনেক খোঁজ নেওয়ার পর পলাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পলাশের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আসামি মিলু মোল্লা তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শশুর বাড়ি রাজাপুর এসে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে পলাশ হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন নিহত পলাশের মা বেগম বিবি বাদী হয়ে চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে এ হত্যা মামলার আসামি রোমান ফকির গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে পলাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাবর আলী খান চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে সাক্ষী দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে