যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলে শিশুহত্যা মামলায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় তিন বছরের শিশু নুসরাত জাহান রোজা হত্যার ঘটনায় সৎ মা জোবাইদা বেগমকে (২০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি জোবাইদা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জোবাইদা বেগম লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের সজীব কাজীর স্ত্রী।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে মামলার বাদী আবুল খায়ের কাজীর ছেলে সজীব কাজীর সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রী রুপা খাতুনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর সজীবের দুই সন্তান; ৫ বছর বয়সী ছেলে ইয়াসিন ও ৩ বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত জাহান রোজা দাদার (আবুল খায়ের) সঙ্গে বসবাস করতে থাকে। পরবর্তীতে সন্তানদের কথা চিন্তা করে সজীব কাজী দ্বিতীয় বিয়ে করেন জোবাইদা বেগমকে।
ঘটনার দিন ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে নুসরাতকে তার বড় ভাই ইয়াসিন মারধর করলে সে কান্না শুরু করে। এরপর সৎ মা জোবাইদা বেগম তাকে ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে যান। শিশুটি কান্না থামাচ্ছিল না দেখে একপর্যায়ে জোবাইদা তার মুখ চেপে ধরেন, যার ফলে শ্বাসরোধে নুসরাতের মৃত্যু হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে একটি কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে শ্বশুর মো. খায়ের কাজীর ঘরের বারান্দার খাটে রেখে দেন তিনি।
পরে দাদা খায়ের কাজী বাড়িতে ফিরে নুসরাতকে গোসল করাতে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে স্ত্রী পান্না বেগমকে বিষয়টি জানান। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পান্না বেগম জোবাইদাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, নুসরাত বারান্দায় ঘুমাচ্ছে। সেখানে গিয়ে দাদী শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া থানায় এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওই দিনই সজীব কাজী ও জোবাইদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। তবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় সজীব কাজীকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত শিশুর দাদা মো. খায়ের কাজী লোহাগড়া থানায় জোবাইদা বেগমকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বুধবার দুপুরে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
১২১ দিন আগে
সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা: সাইফুলসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিশ্বনাথে চৈতন্নগর গ্রামে স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮) হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরও ১৭ জন আসামিকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে একজন এখনো পলাতক।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহীন এ রায় ঘোষণা করেন। সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— ইলিয়াছ, আব্দুন নুর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতন্নগর গ্রামের নজির উদ্দিনের খেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া। এতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে ওইদিন সুমেল মিয়া নিহত হন। এ সময় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভনে গণধর্ষণ, দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২০২১ সালের ৩ মে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলার প্রায় চার বছর পর আজ (বুধবার) এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
এর আগে, গত ১৩ জুলাই মামলাটি যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। ওইদিন আদালত ৩০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার ৩২ জন আসামির মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক এবং প্রধান আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।
১২৮ দিন আগে
বেনাপোলের প্রিন্স হত্যা: আলোচিত উদ্ভাবক মিজানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
যশোরের বেনাপোলে ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স হত্যা মামলায় জেলার আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজানসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যা মামলার ২১ বছর পর এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে এ রায় ঘোষণা করেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জয়ন্তী রানী দাস।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, রায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ড পাওয়া মিজান শার্শা উপজেলার আমতলা গাতীপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী মোড়লের ছেলে এবং নিহত প্রিন্সের ভগ্নিপতি। অন্য তিনজন হলেন— ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটাডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মণ্ডলের ছেলে ইকবাল হোসেন, বেনাপোল কাগজপুকুর গ্রামের কালু ওরফে ঘাড়কাটা কালুর ছেলে সেকেন্দার ও একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জসিম।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, প্রত্যেককে অর্থদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি মিজান ও সেকেন্দার। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২০ আগস্ট প্রিন্স মোটরসাইকেল নিয়ে নিজ বাড়ি পোড়াবাড়ি নারায়ণপুর গ্রাম থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরদিন সকালে ছোট নিজামপুর গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর প্রিন্সের মামা বকতিয়ার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। তিনি এজাহারে সন্দেহ প্রকাশ করেন, প্রিন্সের মোটরসাইকেলের প্রতি তার দুলাভাই মিজানের আগ্রহ ছিল।
পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে, পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল ছিনতাই করতেই প্রিন্সকে হত্যা করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আফজাল হোসেন ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এর দীর্ঘ ২১ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত এই মামলার রায় দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান আধুনিকতার যুগে সামান্য মোটর মেকানিক থেকে একের পর এক যন্ত্র উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তার উদ্ভাবনী কাজের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্র, জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যন্ত্র, যা ‘মিজান ইঞ্জিন’ নামে পরিচিতি পায়।
মিজানুর রহমানের স্থানীয় বাজারে মোটর মেকানিকের কাজের পাশাপাশি একটি ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ ছিল। বাড়িটি শার্শার শ্যামলাগাছী এলাকায় অবস্থিত। সেখান থেকে তিনি ভবঘুরে, ভিক্ষুক, গরিব ও অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করতেন।
১৩৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুটি ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন— আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের নাজমুল হক (৩৩) ও জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫)। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদের পুলিশ পাহারায় আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহাজাহান মুকুল বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে, এই রায় সমাজে অপরাধ প্রবণতা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক, কারাদণ্ড
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামি নাজমুল হক তার বন্ধুর ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খসরু আলম তদন্ত শেষে আসামি নাজমুলের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এছাড়া, ২০১৫ সালের ৮ জুন আসিম আব্দুল খালেক তার ভায়রা ভাইয়ের ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জুন জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।
জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৬৩ দিন আগে
নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের বড়াইগ্রামে হেরোইন পাচার মামলার রায়ে জুয়েল আলী নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. মাইনুদ্দীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
অতিরিক্ত পিপি মিজানুর রহমান জানান, ২০২১ সালের ১৯ জুন রাতে নাটোরের বড়াইগ্রামে রয়না পাম্প এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ চালক জুয়েলকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা ও অভিযোগপত্র দাখিলের পর প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
রায়ে জুয়েলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫২৬ দিন আগে
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় সীমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ময়নুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার(২০ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সীমা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পার্বতীপুর গ্রামের খোকন মোল্লার স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী সিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বদরুন্নাহার বেবি বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের উপস্থিতিতে সোমবার আদালত এ রায় দেন। তিনি এই মামলার রায়ে সন্তুষ্ট।
তবে এসময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না বলেও জানান তিনি।
৫৬৪ দিন আগে
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।
দণ্ডিত ব্যক্তি লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে বাঁশের লাঠি দিয়ে তার স্ত্রী মালতী রানীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্রমাগত আঘাত করতে থাকলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন।
২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। পরে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫৬৫ দিন আগে
রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রংপুরের পীরগাছায় বন্ধুকে হত্যার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।
এসময় আসামি সাইফুল ইসলাম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের সুবিদ গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে তৌকির আহম্মেদ তুষার রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স প্রথমবর্ষে লেখাপড়া করতেন। তার বন্ধু পাশের মীরাপাড়া গ্রামের টাবলু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তুষার ও সাইফুল পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রেমঘটিত কারণে ২০১৪ সালের ৩০ জুলাই বিকালে সাইফুলের সঙ্গে তুষারের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে তুষার ৭ থেকে ৮ জন বন্ধু মিলে পীরগাছা উপজেলার দেবী চৌধুরাণী স্কুল মাঠে তুষারকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন সাইফুল।
তৌকিরের বাবা প্রবাসী হওয়ায় তৌকিরের চাচা আব্দুল হামিদ মিয়া বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মালেক এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আব্দুল হক প্রমাণিক।
আরও পড়ুন: হেরোইন রাখার দায়ে মাদক কারবারির কারাদণ্ড
৫৭০ দিন আগে
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে ছাব্বির নামে এক আসামিকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পৃথক আরেকটি ধারার ১৪ বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অপর ২ আসামি আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আসামি ছাব্বির ২০২০ সালের ২০ নভেম্বরে দলবল নিয়ে লালপুর উপজেলার দুরদুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে অমরপুর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। এরপর ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা সাদেকুল আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পরে বিচার কাজের প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আজ এ রায় দেন বিচারক।
রায়ে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫৭১ দিন আগে
নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মুহাম্মাদ আকরাম হোসেন এ রায় দেন। এতে একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামি আলমগীর হোসেন যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর উত্তরপাড়ার সামছুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সরদার মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি দুপুর ১২টার সময় নড়াইল-যশোর সড়কের সদর উপজেলার চাঁচড়ায় যশোর থেকে নড়াইলগামী সন্দেহভাজন একটি মোটরসাইকেল পুলিশ থামতে বললে চালক আলমগীর মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে ধাওয়া দিয়ে তুলারামপুর চরপাড়া এলাকা থেকে ধরে ফেলে এবং মোটররসাইকেলে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ৯২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে।
এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। পরে আলমগীর হোসেনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নিষেধ অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৪ জেলের কারাদণ্ড
৬২১ দিন আগে