সেপটিক ট্যাংক
সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে ২ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে মালেক ও লিটন নামের দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মালেক শেখ বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পশ্চিম টেকানী গ্রামের দুলু শেখের ছেলে এবং লিটন বেপারী একই থানার পূর্ব টেকানী গ্রামের আফছার বেপারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মালেক ও লিটন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ট্যাংকের মধ্যে পাইপ বসিয়ে ময়লা অপসারণ করছিলেন। এসময় লিটন অসর্তকতাবশত ট্যাংকের নিচে পড়ে গেলে মালেক তাকে উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু তারা দুইজনের কেউই উপরে উঠে না আসতে পারলে বাড়ির লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মালেক ও লিটনকে উদ্ধার করে। এরপর তাদের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার প্রদীপ কীর্তনিয়া বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে অনেক বেশি বিষাক্ত গ্যাস ছিল। গ্যাস অপসারণ করে মালেক ও লিটনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, দুইজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বজ্রপাতে ৬ গবাদিপশুর মৃত্যু
সিলেটে খালের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
৬ মাস আগে
ক্যামেরার জন্য বন্ধুকে হত্যা, সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার সাঘাটায় সেপটিক ট্যাংক থেকে সম্রাট নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রিফাত নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতের দিকে উপজেলার বাটি গ্রামের মতিয়ার রহমানের সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়কের পাশের খাল থেকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
নিহত সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আটক রিফাত বাটি গ্রামের বাসিন্দা। তারা একে-অপরের বন্ধু এবং এক সঙ্গে চলাফেরা ও পড়ালেখা করতেন।
স্থানীয়রা জানান, সম্রাটের কাছ থেকে রিফাত ১ হাজার ৫০০ টাকায় একটি ক্যামেরা কেনেন। পরে আবার সম্রাট ক্যামেরাটি ফেরত চাইলে রিফাত তার বাড়িতে সম্রাটকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ রেখে দেয়।
এদিকে, ১৭ এপ্রিল থেকে সম্রাট বাড়িতে না ফেরায় তার মা মিনি বেগম সাঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং জিডির পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিফাতকে আটক করে।
এক পর্যায়ে রিফাত হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মতিয়ার রহমানের সেপটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘটনার পেছনে আরও যারা জড়িত আছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। আর সে কারণে অন্য অভিযুক্তদের নাম তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে অটোচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
খুলনায় কার্গোডুবির ঘটনায় আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে অক্সিজেন স্বল্পতায় তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৯ জনের করোনা শনাক্ত
নিহতরা হলেন- মাধবপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওর্য়াডের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ঠিকাদার আলম মিয়া, একই উপজেলার মৌজপুর গ্রামের আবিদ মিয়া ছেলে সম্রাট মিয়া ও সম্পদপুর গ্রামে নজব আলীর ছেলে চুন্নু মিয়া।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টায় মধ্যে গুটমা বাজারের পাশে আবদুল আহাদের নিমার্ণাধীন স্বপ্না মার্কেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে কাজ করতে নামেন তিনজন। এসময় ভেতরে অক্সিজেন না থাকায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে একে একে তিনজনই মারা যান।
ঘন্টাখানেক তাদের কোন সাড়া না পাওয়ায় স্থানীয় লোকজন নাসিরনগর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রাকিবুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা।
ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে তিনজন নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধারের পর নাসিরনগর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জন আক্রান্ত
৮ মাস আগে
নিখোঁজের ৩ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে যুবকের লাশ, নারীসহ আটক ৩
গাইবান্ধায় নিখোঁজের তিন দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে শরিফুল ইসলাম পাভেল নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার লাশ উদ্ধার
নিহত শরিফুল ইসলাম পাভেল অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আকন্দের ছোট ছেলে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, নিহতের পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে গন্ধ বের হলে স্থানীয়দের দেওয়া খবরে গাইবান্ধা থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ হওয়া পাভেলের লাশ উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাশের বাড়ির দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে ফেরিওয়ালার লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ৫ জন আহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন চারজন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ভবনের সামনে নালার কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সেফটিক ট্যাংক থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- ফাহাদ, জহির, মাসুম ও নয়ন।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, আগ্রাবাদ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে নালায় কাজ করার সময় বিস্ফোরণজনিত দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদেরকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় বিস্ফোরণে নওগাঁয় শ্রমিক নিহত
৯ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শ্রমিকের
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. মিজানুর রহমান নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে তাড়াশ পৌরসভা এলাকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে ট্রাকের ধাক্কায় নিরাপত্তাকর্মী নিহত
নিহত মিজানুর তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামের মকুল হোসেনের ছেলে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, তাড়াশ পৌরসভার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে নির্মাণাধীন বাসায় সেপটিক ট্যাংকে কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন শ্রমিক মিজানুর।
তিনি জানান, পরে তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে ডাকাতদের গুলিতে নিরাপত্তাকর্মী নিহত
চোরের হামলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী নিহত
১০ মাস আগে
লক্ষ্মীপুরে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা-নাতির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা মো. সফিউল্যাহ (৬০) ও নাতি মো. ওমরের (২) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ির (বক্তের বাড়ি) বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ির সফিউল্যাহ’র সঙ্গে হাঁটতে বের হয় ওমর। দীর্ঘক্ষণ হলেও ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন দাদা-নাতিকে খুঁজতে বের হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
এক পর্যায়ে ওই বাগানের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে মৃত অবস্থায় তাদের পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সফিউল্যাহর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘দাদার সঙ্গে প্রায়ই হাঁটতে বের হতো ওমর। আজ সকালেও প্রতিদিনকার মতো হাঁটতে বের হওয়ার পর তাদের ফিরতে দেরি হওয়ায় আমরা খুঁজতে বের হই। পরে বাড়ির পাশের বাগানে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের পানিতে আমার স্বামী ও নাতির লাশ ভেসে থাকতে দেখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বাবু গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে দীর্ঘদিন ব্যবসা করতো। সম্প্রতি গুলিস্তানের বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার ছেলে সব হারিয়ে বিদেশে যায়। আজ আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: রংপুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
১ বছর আগে
ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে ট্যাংকের ভেতরে আটকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে শহরের চর কমলাপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছয় তলা নির্মাণাধীন ভবনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রংপুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- রাজমিস্ত্রির সহকারী সায়েম মল্লিক ও সাব-ঠিকাদার আকরাম হোসেন বাবু। সায়েম ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কোষা গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর বাবু শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার ছাত্তার মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খোলার কাজে আসেন রাজমিস্ত্রির সহকারী সায়েম ও আরও কয়েকজন। সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে প্রথমে প্রবেশ করেন সায়েম। প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার দিলে এগিয়ে যান সাব-ঠিকাদার আকরাম হোসেন বাবু। সায়েমকে ওপরে উঠাতে গেলে তিনিও পরে যান ট্যাংকের ভেতর। পরে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সায়েম ও আকরাম হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, নির্মাণাধীন ভবনের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় কাজ শুরু করে শ্রমিকরা। সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই মারা যান দুইজন।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া লাশের সুরতহাল তৈরি করা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
১ বছর আগে
ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ছাগলনাইয়া থানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে শ্রমিকরা কাজের পর বাসায় না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায় স্বজনরা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- মাইন উদ্দিন (২৫), বিকাশ চন্দ্র দাস (৩৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই মাস আগে ওই এলাকার শহিদুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। শুক্রবার ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের বাঁশ কাঠসহ নির্মাণসামগ্রী খুলতে নামেন আকাশ ও মাইন উদ্দিন।
এরপর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শ্রমিকদের স্বজনরা ঠিকাদারকে বিষয়টি জানায়। পরে শনিবার সকালে ঠিকাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছাগলনাইয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি একজন শ্রমিক সেন্টারিং খোলার জন্য নিচে নামলে সেখানে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আরেকজন শ্রমিক তাকে উদ্ধার করার জন্য নামলেই সেও গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে সেখানে থাকা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে।
তিনি আরও জানান, তারপরেও আমরা পুরো বিষয়টিকে তদন্ত করছি। পাশাপাশি ময়না তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনাটি উদঘাটন করা হবে।
তিনি বলেন, সেফটি ট্যাংক ভেঙে লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
সাভারে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে নিহত ৩
১ বছর আগে
চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই ভাই চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন (৫০) ও শহিদুল ইসলাম (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোহাম্মদ জাবেদ।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী চিকিৎসক নিহত
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোহাম্মদ জাবেদ জানান, ট্যাংক ভর্তি হওয়ায় তারা দুই ভাই পরিষ্কার করতে নামে। প্রথমে ছোট ভাই ট্যাংকে নামেন। কিন্তু অক্সিজেন সংকটে পড়ে তিনি উঠতে পারেননি। তাকে বাঁচাতে নেমে বড় ভাইও অক্সিজেন সংকটে পড়েন।
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দুই ভাইকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক গোলাম মাওলা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, দুই ভাইয়ের লাশের সুরাতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় বাইসাইকেল চালক নিহত
১ বছর আগে