ঋণ অনুমোদন
২ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে ওই অঞ্চলের ছয় লাখেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জলবায়ু-সহনশীল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ (এফসিডিআই) ব্যবস্থা চালু করবে এবং লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ হ্রাস করবে।
এটি এফসিডিআই অবকাঠামো শক্তিশালী করতে এবং চারটি উপ-অববাহিকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রাকৃতিকভাবে সমাধান করবে।
প্রকল্পটি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অন্যান্য কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করবে।
প্রকল্পটি স্থানীয় মালিকানা বৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
এটি সুবিধাগুলোর নকশা, নির্মাণ এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে পানি ব্যবস্থাপনা গোষ্ঠীগুলোর ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
নারী সদস্যপদকে লক্ষ্য করে চারটি উপপ্রকল্প এলাকায় পানি ব্যবস্থাপনা সংগঠন গঠনে সহায়তা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পটি পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় উন্নয়ন, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান এবং এর কার্যক্রমে জলবায়ু অভিযোজন সমন্বিত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের ভিত্তিতে জলবায়ু ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশ চরম আবহাওয়া এবং ধীরগতির জলবায়ু ঘটনাগুলোর ক্রমবর্ধমান পুনরাবৃত্তি এবং তীব্রতার মুখোমুখি হচ্ছে।
কার্যকর অভিযোজন ব্যবস্থা ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনশীলতা এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলো, বিশেষত নারীরা, যারা তাদের জীবিকার জন্য জলবায়ু সংবেদনশীল কৃষি অনুশীলন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করে তাদের প্রভাবিত করে এমন চরম ঘটনাগুলোর কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটি কৃষি মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ হারাতে পারে।
এডিবির সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট পুষ্কর শ্রীভাস্তভা বলেন, প্রকল্পটি এডিবির অর্থায়নে সাউথওয়েস্ট এরিয়া ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্সেস প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় অর্জিত অর্জনকে টেকসই করবে, যা কৃষি উৎপাদন ও কমিউনিটি অবকাঠামোর উন্নতি এবং গ্রামীণ পরিবারের আয় বৃদ্ধি করেছে।
এডিবির এই অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা আরও জোরদার এবং আয় বৃদ্ধি ও টেকসই জীবিকার ব্যবস্থা করবে। বিশেষ করে নারী ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস করবে এই সহায়তাটি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস এডিবির
৭ মাস আগে
বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন এডিবি’র
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সংস্কার, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা; বিশেষ করে নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসাকে স্বল্প খরচে উদ্ভাবনী ব্যাংক অর্থায়নে সহায়তা করতে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারির পর ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া সাসটেইনেবল ইকোনোমিক রিকভারি প্রোগ্রামের আওতায় এটি এডিবির দ্বিতীয় উপ-কর্মসূচি।
এডিবি’র দক্ষিণ এশিয়ার প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট আমিনুর রহমান বলেন, ‘এই উপ-কর্মসূচি বাংলাদেশকে রাজস্ব বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে সক্ষম করবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোর সংস্কারকে আরও বৃদ্ধি করা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প সুদে সাশ্রয়ী মূল্যের ঋণ পেতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
তিনি আরও বলেন, ‘লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাইজেশন বিষয়ে দৃঢ় লক্ষ্যসহ উপ-কর্মসূচিটি সরকারকে দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সক্ষম করবে।’
এই কর্মসূচি নতুন আয়কর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আয়কর আদায় বৃদ্ধি, কর ফাঁকি কমানো, সম্মতি ও প্রয়োগ ব্যবস্থা জোরদার করবে এবং দেশের করের পরিধি বিস্তৃত করবে।
এডিবি অনুসারে, ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট ও ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে এবং পাবলিক প্রকল্প মূল্যায়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার নতুন চালু হওয়া ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন সহজতর করা হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল চ্যানেল ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ভাবনী অর্থায়ন সেবা চালুর জন্য নতুন প্যাকেজটি সহায়তা করবে।
এটি প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের ব্যাংক ঋণ প্রদানের সুবিধা দেয়। ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তা যাদের জমি বা সম্পত্তি নেই, তারাও তাদের লেনদেন প্রাপ্তি এবং অন্যান্য ধরনের অনির্ধারিত জামানত, যেমন ছোট সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন
লিঙ্গ সমতা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রচার করা এবং সরকারি বিনিয়োগ ও জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের এজেন্ডা মোকাবিলা করা এই নতুন কর্মসূচির কয়েকটি মূল কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে ৩ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডিবি
১ বছর আগে
এবি ব্যাংকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
এবি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওঠা নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
বুধবার (২৪ মে) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘খেলাপির তথ্য লুকিয়ে আরও বড় জালিয়াতি’- শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুর ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
এই ঋণ অনুমোদেনের অভিযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব, বিএফআইইউ, সিআিইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের আগে স্বপ্রণোদিত রুল ও নির্দেশনার বিরোধিতা করেন উপস্থিত আইনজীবী আহসানুল করিম, মাহবুব শফিক ও মইনুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে বলেন, এ ঋণের বিষয়টি জানতে পেরে এরই মধ্যে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিএফআইইউ আটকে দিয়েছে।
যেহেতু ঋণটি আটকে দেওয়া হয়েছে, এ অবস্থায় রুল জারির প্রয়োজন দেখছি না। রুল, আদেশ হলে ব্যাংকটির আমানতকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হবে।
আদেশ হলে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যাবে। যে কারণে বলছি, স্বপ্রণোদিত রুল-আদেশ সবসময় মঙ্গলজনক নাও হতে পারে।
আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, রুলসহ আদেশ দেওয়ার আগে প্রতিবেদনটির সত্যতা যাচাই করার জন্য এক সপ্তাহ সময় নেওয়া যেতে পারে। প্রতিবেদনটির বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করা জরুরি।
দেখা যাক, এবি ব্যাংক এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ দেয় কি না। আদেশের জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা যেতে পারে।
আইনজীবী মইনুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই ব্যাংকিং খাতের অবস্থা টালমাটাল। এ অবস্থায় রুল আদেশ দিলে এ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সারা বিশ্বেই ব্যাংকিং খাতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন দেশে অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।
এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ তার বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকতে বলেন।
তবে আইন কর্মকর্তা রুল জারি বা অন্তবর্তী আদেশ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি এরপর আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
যে কোম্পানির অনুকূলে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে এবি ব্যাংক তার মালিকানায় দুই জনের নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এর সুবিধা নিতে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন।
যিনি কিছুদিন আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে রাতে ঋণের টাকা তুলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।
যদিও জালিয়াতির এই ঋণের তথ্য জানতে পেরে এরই মধ্যে তা আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ ফিইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জামুকা'র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলী হায়দার রতনের নামে পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৫৫৯ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কাজের কার্যাদেশের বিপরীতে সন্দেহজনক উপায়ে নেওয়া এসব ঋণ এখন খেলাপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে একটি নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ সম্প্রতি অনুমোদন করে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গত ১০ জানুয়ারি ব্যাংকটির গুলশান শাখায় ঋণের আবেদন আসে।
আবেদনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেখানো হয় মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও মো. মামুন রশিদকে। তবে এর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রতনের মালিকানাধীন ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশনের, যার কার্যালয় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে। আর আবেদনপত্রের প্যাডে যে ই-মেইল ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও তারই মালিকানার ব্র্যান্ডউইন নামে আরেকটি কোম্পানির।
এ কোম্পানির নামে দ্রুত ঋণ ছাড় করতে আবেদনের দিনই এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তা গ্রাহকের ধানমন্ডির অফিস ও বাড়ির ঠিকানা পরিদর্শন করে একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন দেন।
গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের নামে কখনও কোনো আমদানি না হলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহক প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি, নির্মাণসামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য আমদানি করেন।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি তো দূরে থাক, কোম্পানিটির নিবন্ধন নেওয়া হয় গত বছরের জুনে। এরপর গত নভেম্বরে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে এবি ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়।
এর বাইরে কোনো লেনদেনও নেই। অথচ ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন দিয়ে একেবারে নতুন নিবন্ধিত কোম্পানিকে বড় কোম্পানি দেখানো হয়। পরদিন ঋণপ্রস্তাবটি শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটিতে পাঠানো হয়। আবেদনের এক মাস পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের ৭৫৫তম পর্ষদ সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জোর চেষ্টায় তা অনুমোদন হয়।
আবার ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে ঋণ অনুমোদন হলেও সব ধরনের ব্যাংকিং রীতিনীতি অমান্য করে ইনফ্রাটেকের অনুকূলে ১৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার গ্যারান্টি ইস্যু করে ব্যাংক।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে পাঁচ ব্যাংক থেকে নেওয়া রতনের ঋণের বেশিরভাগই এখন খেলাপি। যে কোনো খেলাপিকে নতুন করে ঋণ দিতে পারে না ব্যাংক।
যে কারণে ভিন্ন কৌশলে আলী হায়দার রতনকে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করে এবি ব্যাংক। আগের সব ঋণই নেওয়া হয় সরকারি রাস্তার কার্যাদেশের বিপরীতে।
সরকারি কার্যাদেশের বিপরীতে নেওয়া ঋণ সরাসরি ব্যাংকের হিসাবে জমা হয়। সেখান থেকে ব্যাংক টাকা কেটে লাভের অংশ গ্রাহককে পরিশোধ করে।
তবে ন্যাশনাল, ইউসিবিএল, এসআইবিএল, জনতা ও বেসিক ব্যাংক থেকে নেওয়া ৬০৯ কোটি টাকার কোনো বিল সরাসরি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। ফলে এসব ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া আদৌ কার্যাদেশ পেয়েছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ব্যাংকগুলোতে। যদিও এ নিয়ে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
বাংলাদেশের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
মহামারি পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য ঋণ হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
আর্থিক সহনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এই সহায়তা দক্ষতা উন্নয়ন, গ্রিননহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং জ্বালানি খাতের নীতিগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণকে সমর্থন করবে। এই পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ ভবিষ্যতের প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সহনশীলতা তৈরি করতেও সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, বিশ্বব্যাংক জরুরি প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০২০ সাল থেকে টিকাদান ও করোনা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে বাংলাদেশকে তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এই সহায়তা সবুজ, স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার এবং কম কার্বন নিঃসরণ করতে দেশটির নীতি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রোগ্রামটি জাতীয় কর নীতির উন্নয়নে সহায়তা করে, যা বাণিজ্য কর আধুনিকীকরণেও সহায়তা করবে। নতুন নীতিগুলো অনাবাসিক ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাসহ বিদেশি সংস্থা, সোশাল মিডিয়া এবং ক্লাউড পরিষেবা সংস্থাগুলোকে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে এবং অর্থ প্রদানে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বিশ্বব্যাংকের মতে, পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের স্থিতিশীলতা ও দক্ষতা জোরদার করার জন্য নতুন আইন প্রস্তুত করা হবে, যা ডিজিটাল এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবাগুলোকেও উৎসাহিত করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের প্রধান বার্নার্ড হ্যাভেন বলেছেন, এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে সবুজ ও স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করবে।
ঋণটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মেয়াদে প্রদান করা হবে।
২ বছর আগে
টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষের টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশকে ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার (৫০ কোটি ডলার) ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
৪ বছর আগে
বাংলাদেশের সড়ক উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের ৫০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন
বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের চারটি জেলাকে সংযুক্ত করতে যশোর-ঝিনাইদহ করিডোরের সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংক মঙ্গলবার ৫০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে।
৪ বছর আগে