বর্জ্য
পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ জীবনযাপনের স্বার্থে ঢাকায় সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব ওয়ার্ডে স্থাপনা ও ভবনের পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন নিয়মিত পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের বাড়ি: দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
সম্প্রতি রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব ও গুলিস্তানের সিদ্দকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত রবিবার (১২ মার্চ) এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন করে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
নাগরিকদের নিরাপদ জীবন-যাপনের স্বার্থে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক ওয়ার্ডের স্থাপনা ও ভবনের সুয়ারেজ (পয়ঃনিষ্কাশন) লাইন ও গ্যাসলাইন নিয়মিত পর্যবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাত দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ কমিটি করতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পর পর্যবেক্ষণে যদি পয়ঃনিষ্কাশন লাইন ও গ্যাস লাইনের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কমিটিকে প্রতি আট সপ্তাহ পর পর এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা সিটিতে অবস্থিত ভবন-স্থাপনাগুলো নিয়মিত তদারকি ও সিটিতে বসবাসকারীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
গণপূর্তসচিব, বিদ্যুৎসচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাস ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর অবহেলা। ঢাকা শহরে থাকা হাজার হাজার স্থাপনা বা ভবনের পয়নিষ্কাশন ও গ্যাসের লাইন তদারকি, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো এ বিষয়ে সক্রিয় নয়। যে কারণে রিটটি করা হয়।
দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের গ্যাস ও পয়নিষ্কাশন লাইন তদারকির জন্য সাত সদস্যের একটি করে কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি থাকবে। আট সপ্তাহ পর অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট
'রিকশা বিন': ঢাকাকে প্লাস্টিক বর্জ্যের ঝুঁকিমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের নতুন পদক্ষেপ
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ‘রিকশা বিন’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে, যেখানে রিকশাচালকদের প্লাস্টিক বর্জ্য জমা করার জন্য টাকা দেয়া হবে।
বুধবার ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হযয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২০০ রিকশাচালককে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
সংগঠনটি তার পেজে কিছু ছবি পোস্ট করে বলেছে, ‘রিকশা বিনের প্লাস্টিক জমা করে যাচ্ছেন ভাঙ্গারী স্টোরে। বিনিময়ে মিলছে অর্থ। হতে পারে সামান্য। কিন্তু দূর্মূল্যের বাজারের গরীবের কাছে এই এক টাকাই এখন লাখ টাকার সমান।’
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, “প্রতিটি কাজেই খুঁত ধরাটা মানুষের জন্মগত স্বভাব। 'রিকশা বিন' প্রজেক্টেও তার ব্যতিক্রম নয়। খারাপ কাজে ব্যবহার হবে, এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরলে ভালো চিন্তা আসবে কিভাবে? ”
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আপাতত ২০০ রিকশাকে এই প্রজেক্টের আওতায় আনছি। শুরুটা না হয় আমরা করলাম। বাকীটা করতে সকলের সহযোগীতা দরকার।’
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দিন, চাল ও খাদ্য সামগ্রী নিন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বর্জ্যমুক্ত করতে বিদ্যানন্দের উদ্যোগ
ফেনীতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন!
ফেনীতে ফুয়েল রিকোভারি পলিথিন রিডিউজ পাইরোলাইসিস প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে ওঠা প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন করা শুরু হয়েছে।
ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় স্থাপিত এ প্ল্যান্টে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল। এ প্ল্যান্টে ৫০০ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর দেশে যে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি থেকে উৎপাদিত জ্বালানি তেল গৃহস্থালি ছাড়াও কারখানায় ব্যবহার করা যাবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ফুয়েল রিকোভারি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছে ফেনী পৌরসভা।
এ প্ল্যান্টে গৃহস্থালির ব্যবহৃত প্লাস্টিকের খালি বোতল, ব্রাশ, প্রসাধনীর খালি প্যাকেট, খাদ্যদ্রব্যের মোড়কের প্যাকেট, স্যালাইনের প্যাকেট, পানির খালি বোতল, কোমলপানীয়ের বোতল, বাসাবাড়িতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অপচনশীল প্লাস্টিক দ্রব্য মেশিনে দিয়ে তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।
ফেনী জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রের পাশে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে চার মাস আগে পলিথিন রিডিউজ পাইরোলাইসিস মেশিন স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনে সহায়তা করবে সরকার: মন্ত্রী
এ মেশিনে পলিথিন রিডিউজ করা হলে এখান থেকে গ্রিন ওয়েল নামে এক ধরনের তেল উৎপাদন হবে, যা জ্বালানি ও বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছেন ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর হোসাইন।
তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের জন্য এ প্রজেক্ট পরিচালনা করা হবে। এখানে মেশিনে রিয়্যাক্টর, এয়ারব্যাগ, কুলিং সিস্টেম, ড্রাফটিং সিস্টেম, গিয়ার বক্স, গ্যাস ওয়াটার, ওয়েল ট্যাংক, প্রেশার গ্রেস, টেম্পারেচার মিটার, ইমারজেন্সি ভারসহ মোট ১১টি যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো ধরনের ধোঁয়া বা বায়ুদূষণ ছাড়া পলিথিনকে রিডিউজ করে বাষ্পের সাহায্যে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেল উৎপাদন করা হবে। এ মেশিনটি চালাতে ১০ জন অপারেটর প্রয়োজন। তবে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আমরা একজন অপারেটর, একজন ম্যানেজার, দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
এখানে চাহিদামতো পলিথিন সংগ্রহ হলে রিসাইক্লিন ও রিডিউজের মাধ্যমে পাইরোলাইসিস করে প্রতিদিন ৫০০ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট তানভীর আহমেদ বলেন, ফেনী পৌরসভার সঙ্গে পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা অরবিট হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন চুক্তিবদ্ধ। তারা যদি ঠিকমতো হাসপাতাল ও গৃহস্থালি বর্জ্যের পলিথিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালকে সাপ্লাই দিতে পারে তা হলে সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন হবে।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাম্মৎ শওকত আরা কলি বলেন, পলিথিন রিডিউজ করে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় তেল উৎপাদন করলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে তেল উৎপাদনে আয় বাড়বে। এ প্ল্যান্ট যেসব জেলায় স্থাপন করা হয়েছে সেখানে পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হবে। এজন্য শুধু শহর নয় গ্রামের হাট-বাজার, বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিকের খালি বোতলসহ অপচনশীল দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে জমিয়ে রেখে তা পৌরসভার মাধ্যমে প্ল্যান্টে পাঠানো উত্তম। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি বলেন, পলিথিন প্রক্রিয়াজাত করে তেল উৎপাদন করলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে তেল উৎপাদনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও পৌরসভার নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে ফেনী জেলা বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পলিথিন ও ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে ১ বছর সময়
পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগরভবনের হল রুমে ডিএনসিসির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।এ সময় মেয়র আরও বলেন, ‘ঈদের দিন ৭নং ওয়ার্ডের সাতটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রায় ছয় হাজার পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। নিজে সেখানে গিয়ে দেখেছি দুপুরের মধ্যেই ৭নং ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপসএবছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৭নং ওয়ার্ড প্রথম হওয়ায় সেখানে পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, এবছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিএনসিসির তিনটি ওয়ার্ডের ৯টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া হয়েছে।নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব উল্লেখ করে আগামী ঈদে প্রতিটি অঞ্চলে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির আহ্বান করেন ডিএনসিসি মেয়র।তিনি বলেন,'আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নির্দিষ্ট স্থানে প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করে দেব, মাংস বাসায় পৌছে দেয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেব। রাস্তায়, ফুটপাতে ও যেখানে সেখানে কোরবানি না দিয়ে আপনারা শুধু দায়িত্ব নিয়ে প্যান্ডেলে এসে পশু কোরবানি দেবেন।'এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আধুনিক জবাই খানা নির্মাণের জন্য দ্রুতই আমরা পদক্ষেপ নিব৷ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমি নির্দেশনা দিয়েছি আধুনিক জবাইখানা নির্মাণের জন্য। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পাশেই উন্নত দেশের মতো আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।'
আরও পড়ুন: সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য স্থানান্তর করেছে ডিএসসিসি
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য স্থানান্তর করেছে ডিএসসিসি
পবিত্র ঈদুল আযহায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর হাট ও পশুর বর্জ্য অপসারণ ও মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানান্তর করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মোট ২ হাজার ৩৭০টি ট্রিপের মাধ্যমে এ বর্জ্য স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
এতে বলা হয়, দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে গত রাত সোয়া ১টার মধ্যে প্রথম দিনের কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস এ তথ্য জানান।
এসময় তাপস বলেন, ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানি দেয়া হবে। আমি সকলকে সুষ্ঠুভাবে ও পরিবেশ বজায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানি দেয়ার অনুরোধ করব। এরপর আমরা দুই মেয়র মিলে, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সকল বর্জ্য অপসারণে দুপুর ২টা থেকে কার্যক্রম শুরু করব।’
আরও পড়ুন: ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্নের আহ্বান তাপসের
ঈদ জামাতের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও সন্তোষজনক পরিবেশে আমরা এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।’
মেয়র তাপস এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসী ও ঢাকাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় বর্জ্য অপসারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করব, ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করুন। আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যটা রেখে দিন। আমাদের সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে, আমরা আশা করি খুব শিগগিরিই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শুক্রবার ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সেশনে দায়িত্ব পালন করবেন।
কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানাতে ডিএসসিসি এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদেরকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর- ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও০ ২২২৩৩৮৬০১৪।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত নাগরিকদের যে কোনও অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এছাড়াও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে ইজারাকৃত কোরবানীর পশুর হাটসমূহের উৎপাদিত বর্জ্য অপসারণ কাজে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয়, প্রতিটি হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের পরিমাণ রেকর্ড করা, হাট থেকে সংগৃহীত ও অপসারিত বর্জ্যের সঙ্গে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের যাচাই করা, কোরবানি পরবর্তী ওয়ার্ডভিত্তিক সরেজমিনে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগপূর্বক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা এবং বর্জ্য অপসারণ, পরিবহন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কাজে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ড পর্যায়ে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জন্য ইতোমধ্যে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো ঈদের দিন দুপুর ২টা হতে ১২ জুলাই পর্যন্ত ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
আজকের মধ্যেই কোরবানি শেষ করুন: মেয়র তাপস
আজকের(বৃহস্পতিবার) মধ্যেই কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার কাজ শেষ করার জন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৃহস্পতিবার দুপুরে 'কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি' বিষয়ে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এই অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: মেয়র তাপস
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আপনারা আজকের মধ্যেই কোরবানি দেওয়া বা পশু জবাই শেষ করুন। আমাদের বিশাল জনবল নিরবিচ্ছিণ্নভাবে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে থাকে। তাদেরও ঈদ আছে, তাদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। আমরা তাদেরকে একদিন ঈদের ছুটি দিতে চাই।’
আরও পড়ুনঃ কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
তিনি আরও বলেন, ‘নিতান্তই কেউ যদি আজকের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই শেষ করতে না পারেন, তাহলে দয়া করে আপনারা আগামীকাল নিজ দায়িত্বে পশুর বর্জ্য নির্ধারিত ব্যাগে ভরে আপনার নিকটবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে রেখে আসুন। বাস্তবতা হলো - আমরা একদিকে বর্জ্য অপসারণ করে আসি, এরপর লোকজন আবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে আসে। তাই শতভাগ বর্জ্য অপসারণের পরও কিছু কিছু জায়গায় আবারও বর্জ্য দেখা যায়। সেটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা জনগণকে আমাদের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সহযোগিতার আহবান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুনঃ তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা অনেক জায়গায় চামড়া ফেলে যাচ্ছেন জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘একটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়াগুলো হয়তো তারা বিক্রি করতে পারেননি। আজ সকাল থেকে আমরা লক্ষ্য করছি - বিভিন্ন জায়গায় নর্দমার সামনে, নর্দমার মুখে তারা সেই চামড়াগুলো ফেলে গেছেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি বারবার নিবেদন করেছি, কোনভাবেই যেন আমাদের নালা-নর্দমাগুলো বন্ধ করা না হয়, এখানে বর্জ্য ফেলা না হয়।’
এ সময় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টন কোরবানির পশুর ও হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে মেয়র জানান। মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সমগ্র এলাকায় রাত ১২টার মধ্যেই কোরবানির প্রথম দিনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতার ফলে এত অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমগ্র এলাকা থেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবার কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫ শত ৮ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়ছে, এছাড়া ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি
মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে নগরীর কোথাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য নগরবাসীর মাঝে যথাসময়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার বর্জ্য ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটার আয়তনের ১ হাজার ৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্য নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশবিস্তারকে রোধ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন: মেয়র আতিক
এসময় ডিএনসিসি মেয়র সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য এবং ঈদের দিনের বর্জ্য অপসারণ তদারকি করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কমিটি গঠন করেছে।
ডিএসসিসি এলাকার পশুর হাট এবং ঈদের দিনে কোরবানির বর্জ্য দুপুর ২টার মধ্যে অপসারণর লক্ষ্যে কাজ তদারকি করার জন্য এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইউএনডিপি, স্কাউটসের উদ্যোগে পশুর হাটে মাস্ক বিতরণ
এছাড়াও করপোরেশনের শীতলক্ষ্যা হলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
করপোরেশনের আওতাধীন যেকোনও নাগরিক তার নিজ এলাকায় সৃষ্ট বর্জ্য সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রেরণ বা পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত সমসা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তিন শিফটে ১৮ জুলাই দুপুর ২টা হতে ২৪ জুলাই দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
সময়মতো বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএসসিসি এলাকায় নিয়মিত ৫০০০ কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ৫০০০ কর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিযুক্ত থাকবে।