পশুর হাট
হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি, বড় গরুর ক্রেতা কম
ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে গড়ে ওঠা পশুর হাটে কুরবানির জন্য সবচেয়ে বেশি চাহিদা মাঝারি আকারের গরুর। গতবারের তুলনায় এবার বড় গরুর চাহিদা অনেক কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (৬ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি কুরবানির হাট ঘুরে দেখা যায় যেসব গরুর দাম ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে সেসবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
মেরুল বাড্ডা অস্থায়ী গরুর হাটে এবারই প্রথম গরু নিয়ে এসেছেন আলম ব্যাপারী। এর আগে আফতাবনগর হাটে আসলেও এবার আফতাবনগরে হাট না বসায় ৬টি গরু নিয়ে এসেছেন মেরুল বাড্ডা।
তিনি বলেন,‘আমার ছয় গরুর মধ্যে চারটিই মাঝারি সাইজের। চারটি গরুই ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি দুই গরুর দাম প্রতিটি পাঁচ লাখ করে বলছি। বড় সাইজের এই দুইটা গরুর দাম সর্বোচ্চ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এর বেশি কেউ বলে নাই।’
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ২০ গ্রামে ঈদ উদযাপন
আলম আরও বলেন, ‘গতবার ৫ লাখ টাকার গরু কুরবানির দুই দিন আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। অহরহ ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার গরু আফতাবনগরে বিক্রি হয়েছে। এবার বড় গরু কেনার লোকই দেখলাম না। দাম কেউ দুই লাখের উপরে বলতে চায় না।’
মানিকগঞ্জ থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি হাটে চারটি গরু নিয়ে এসেছেন মনির হোসেন। তিনটি গরু বিক্রি হলেও একটি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘অবিক্রিত গরুটি পালতেই সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। সাড়ে সাত লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। পাঁচ লাখ হলেই ছেড়ে দিবো। কিন্তু ক্রেতা পাচ্ছি না। এত বড় গরুর দাম মানুষ সর্বোচ্চ বলে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।’
একই হাটের আরেক গরু ব্যবসায়ী লেদু হাওলাদার বলেন, ‘আগের বার ঈদে বড় গরু বিক্রি করতে না পেরে লোকসান হয়েছিল। এবার এসেছি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে। গরু ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও দাম দিচ্ছেন ভালো।’
ক্রেতারা কেন বড় গরু কিনছেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে গরু কিনতে আসা খরিদ্দার আবুল কালাম বলেন, ‘বাস্তবিক অর্থে যারা ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কেনেন তারা হয় বড় ব্যবসায়ী, নয়তো অবৈধ টাকার মালিক। অনেক উচ্চবিত্তও ২০ লাখ টাকার গরু কেনেন না। তারা দরকার হলে ৫ লাখ টাকায় চারটি গরু কেনেন। ২০ লাখ টাকার গরুতে কুরবানির উদ্দেশ্যের চেয়ে শো-অফের (লোক দেখানো) উদ্দেশ্যই মুখ্য।’
আরেক ক্রেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আগের কুরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রোর উচ্চবংশীয় গরু কিংবা মতিউরের ছাগলকাণ্ড অনেকের জন্য বড় শিক্ষা। মানুষ এখন সচেতন হয়েছেন। কেউ ২০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনলে সবার আগে চোখ পড়ে তার আয়ের উৎসে। আর সেখানেই আমাদের দেশের মানুষের বড় ভয়। কারণ সৎ পথে টাকা আয় করে আর যাহোক কারও ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কেনার ইচ্ছা জাগে না।’
অন্যদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার ৬০ হাজার টাকার নিচে ছোট সাইজের কোনো গরু পাওয়াই যাচ্ছে না। বাজার ঘুরে ক্রেতাদের অভিযোগের সত্যতাও মিলে। আনুপাতিক হারে ছোট আকারের গরুও বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়।
এমন দামের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, গরুর আকার ছোট হলেও লালন-পালন ও পরিবহনে যে ব্যয় হয়েছে তাতে ছোট গরুর দামও বেশি পড়ে যায়। ন্যূনতম লাভে বিক্রি করতে চাইলেও গরুর দাম দাঁড়ায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায়।
এবার পশুর হাটে মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ছাগল। বেশিরভাগ ছাগলের দাম ১৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যে। জায়গাভেদে ছাগলের দামের তারতম্য হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে হাটের বদলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছাগল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা, মিলছে তুলনামূলক সস্তা দামে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গাইবান্ধা থেকে ২০টি ছাগল নিয়ে এসেছেন সফেদ আলি। তিনি বলেন, ’১০ থেকে ১২ কেজি মাংস হবে এমন সাইজের ছাগলের দাম ১৫ হাজার টাকা চাচ্ছি। ২০ কেজির ওপরে মাংস হবে এমন ছাগল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।’
এবার ছাগলের ক্রেতা ভালো— প্রসঙ্গ তুলে আরেক ছাগল বিক্রেতা মইজউদ্দিন বলেন, ‘এইবার গরুর থেকে মানুষ ছাগল বেশি কিনছে। যারা আসছেন, অনেকেই দুইটা করে ছাগল কিনে বাড়ি ফিরছেন।’
ক্রেতাদের কেন ছাগলে আগ্রহ বেশি— খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কুরবানি দিতে হবে এবং সাশ্রয়ী দামে পাওয়ায় ছোট গরুর বদলে অনেকেই ছাগল বেছে নিচ্ছেন।
এমনই একজন হাজী আলি, তিনি শাহজাদপুরের বাসিন্দা। এবার তিনটি ছাগল কিনেছেন ভাটারা থেকে। গতবার গরু কুরবানি দিলেও এবার ছাগল দিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গরুর দাম এবার তুলনামূলকভাবে কম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় যে গরু পাওয়া যায় তার অবস্থা বেহাল একেবারেই। আমরা তিন ভাই একসঙ্গে কুরবানি দিই। দামে-দরে গরু পছন্দ না হওয়ায় ৪৫ হাজার টাকায় এই তিনটা ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, এবার রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে ২১টি অনুমোদিত পশুর হাট বসেছে। বড় হাটগুলোতে গরু-ছাগলের পাশাপাশি উঠেছে মহিষ, ভেড়া ও দুম্বাও; যদিও কুরবানির জন্য এসব প্রাণীর চাহিদা একেবারেই কম।
১৮২ দিন আগে
পঞ্চগড়ে পশুর হাটে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ইজারাদারকে জরিমানা
পঞ্চগড়ের বোদায় পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে এক হাট ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৩১ মে) বিকালে উপজেলায় পৌরসভার নগরকুমারী পশুর হাটে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বোদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম ফূয়াদ।
অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোদা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জাহিদ আল মাসুদ, বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত ফি দিয়ে পশু বিক্রির নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ বিক্রেতার সেই অনুমতি ছিল না। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আর সেই সুযোগে ইজারাদার অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে আদায় করছিলেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে হাটে অভিযান চালানো হয় এবং প্রায় ৫০ জনের অভিযোগ শোনা হয়। এতে ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অপরিপক্ব আম বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরকুমারী পশুর হাটের ইজারাদার শাহানারা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফূয়াদ। হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে আদালতে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা হয়। একইসঙ্গে তাকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।
অতিরিক্ত ফি আদায় হওয়া ক্রেতাদের অর্থও পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফূয়াদ বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি এবং অভিযোগের সত্যতা মেলায় জরিমানা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
১৮৭ দিন আগে
ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত, আফতাবনগরে পশুর হাট নয়: হাইকোর্ট
রাজধানীর আফতাব নগরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর বিষয়ে জারি করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (৪ মে) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গায় পশুর হাট বসানোর জন্য জারি করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এলজিআরডি সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
বিজ্ঞপ্তির ৫ নম্বর কলামে আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গা পশুর হাটের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। পরে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ৫ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘এটি একটি আবাসিক এলাকা। এ এলাকায় লাখ লাখ মানুষের বসতি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য রিটটি করি। আদালত রুল ও স্টে দিয়েছেন। ফলে এবার পশুর হাট বসানো যাবে না।’
২১৪ দিন আগে
ইজারা ছাড়াই চলছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর হাট
ইজারা ছাড়াই চলছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর হাট। যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইলের এই হাটে লাখ লাখ টাকা আয় হলেও সামান্য কিছু টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করছে স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। প্রশাসন বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, হাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুর হাটের ইজারা শেষ হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ ইজারাবিহীনভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাটটি চালাতেন বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ টিংকু।
তাদের কাছ থেকে ব্যাপারীরা ৩ হাজার টাকা দিয়ে কার্ড নিলেও গরুপ্রতি অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে আদায় করতেন তারা। সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে গরুপ্রতি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা আদায় করা হত। গরুর হাট ইজারা না হওয়ায় সরকারি পাস মূল্য ছিল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।
গত ৫ আগস্ট সাবেক সরকারের পতনের পর ওইসব নেতা-কর্মী গা ঢাকা দেয়। পরে ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে পশু হাটটি দুইদিন পরিচালনা করে শার্শা উপজেলা প্রশাসন।
আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি বকুল ও টিংকুর কাছ থেকে করা ব্যাপারী কার্ডের কোনো সুবিধা পায়নি কার্ডধারীরা। হাটে কার্ডধারী ব্যাপারী ও সাধারণ ক্রেতাদের একই মূল্যে প্রতিটি গরুর পাস শুরু হলে ক্ষুব্ধ হয় কার্ডধারী ব্যাপারীরা। তারা আন্দোলন শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় গত ২০ আগস্ট হাটটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। আবার মাসখানেক পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর ফের চালু হয় হাটটি।
সূত্র জানায়, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হাটের অলিখিত দায়িত্ব পান স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫টি হাট পেয়েছেন।
এই হাটে সপ্তাহে দুইদিন মঙ্গল ও শনিবার হাট বসে।
বাংলা ১৪২৮ সালে সাত মাইল পশুর হাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা, ১৪২৯ সালে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ও ১৪৩০ সালে এ হাটের ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা।
নতুন বছর ১৪৩১ সালে এ হাটের কোনো ডাক বা ইজারা হয়নি। আগের ইজারাদাররা সরকারি আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায় করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
সূত্র মতে, প্রতি হাটে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা আয় হয়। কিন্তু সরকারিখাতে জমা হয় ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সাতমাইলের হাট নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল যশোরের জেলা প্রশাসককে লিখিত আবেদন জানান বাগআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক।
আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ৯ এপ্রিল শার্শা উপজেলা অফিসার এই হাটের খাস আদায়ে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। বাগআঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে কমিটির সভাপতি করা হলেও ইলিয়াস কবির বকুল ও হাসান ফিরোজ টিংকু ওই কমিটির কোনো সদস্যকে হাটে প্রবেশ করতে দেননি। তারা ইচ্ছেমতো সরকার নির্ধারিত গরু প্রতি ১৫০ টাকা ফির স্থলে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করতেন। ফলে গত ১৬ এপ্রিল সেখান থেকে আয় হয় ১২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। কিন্তু সরকারি কোষাগারে জমা করা হয় মাত্র ২ লাখ টাকা। তেমনই ২০ এপ্রিল আয় হয় ৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং সরকারি কোষাগারে জমা হয় ২ লাখ টাকা। এখানে হাট আদায়ের ৫ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১৫ শতাংশ পশু হাট উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।
তিনি আরও দাবি করেন, কতিপয় সন্ত্রাসী অবৈধভাবে হাট থেকে টাকা উত্তোলন করে ভোগদখল করছে এবং সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে।
সূত্র জানায়, সেপ্টেম্বর মাসের দুই হাটে (৭ ও ১০ তারিখে) যথাক্রমে খাজনা আদায় হয় ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে যথাক্রমে ৮৫ হাজার ও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হাটে যে অংকের টাকার কথা বলা হচ্ছে, আসলে আয় হচ্ছে তার চেয়ে কম। কত টাকা গড়ে আয় হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি টাকার অংক বলতে চাননি। কত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন- সেই বিষয়টিও বলতে চাননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ভাই-ব্রাদাররা করে-কম্মে খাচ্ছে, আপনি আমাদের সহযোগিতা করুন।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, ‘আমি মাসখানেক হলো শার্শায় দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিষয়টি আমিও অবগত। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে আমি ইতোমধ্যে যশোরের জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখেছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় যে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজ সম্পাদন করা হবে।’
৪২১ দিন আগে
চাঁদপুরের পশুর হাট: আলোচনায় ১৫ লাখ টাকার 'জায়েদ খান'
গত কয়েক বছর ধরেই কোরবানির গরুর নামকরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমেও শোরগোল শুরু হয়েছে। এবারও তার ব্যতীক্রম নয়।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার চাঁদপুরের পশুর হাটে আলোচনায় এসেছে সুলতান, রাজা, জায়েদ খান ও লাইভওয়েট নামে চার গরু।
হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কূল ইউনিয়নের নাটেহারা গ্রামের স্কুল শিক্ষক আলী আহাম্মদের গরু ‘সুলতান’। কালো রঙের এ গরুর ওজন ৮০০ কেজি। গরুর মালিক সুলতানের দাম হেঁকেছেন ৮ লাখ টাকা।
শুধু কেনার জন্যই নয়, ৮ লাখ টাকার সুলতানকে এক নজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে কৌতূহলী লোকজন।
এদিকে মতলব উত্তরের ফতেহপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রাঢ়ী কান্দীতে সাড়া জাগিয়েছে ‘রাজা’ নামে আরেকটি গরু।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
৫৪২ দিন আগে
আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তটিকে স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে আফতাবনগরে হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে বাগেরহাট উপকূলবাসী
সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন। হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আফতাবনগর পরিকল্পিত আবাসিক নগরী। সেই বিবেচনায় আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন।
পরে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৮ মে আফতাবনগরে হাট বসানোর ইজারা আহ্বানের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলাম। যে আবেদনের উপর সোমবার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ভেজাল বিরোধী অভিযান: ৩ বেকারিকে জরিমানা
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
৫৪৯ দিন আগে
সারাদেশে বসছে ৪৪০৭ পশুর হাট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদুল আযহা সম্ভবত ১৭ জুন হতে যাচ্ছে। প্রতি বছর আমরা ঈদ, পূজাসহ জাতীয় দিবসগুলোতে দেশের জনগণকে নিরাপদে রাখতে পারি, একইসঙ্গে উৎসবগুলো যাতে আনন্দঘন পরিবেশে হয় সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে। এ লক্ষ্যে আজকের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত তথ্যমতে সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরগুলোসহ সারাদেশে মোট ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসার তথ্য এ পর্যন্ত আমাদের কাছে আছে। এটা হয়তো বাড়তেও পারে।
আরও পড়ুন: ভারতে এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রতিটি পশুরহাটে অস্থায়ী পুলিশের ক্যাম্প বসানো হবে। হাটে ওয়াচ-টাওয়ার, জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন, পশুচিকিৎসক থাকবেন।
পশুর হাটে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশুবাহী গাড়িগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে, তারা যেন সব সময় রাস্তার বাম পাশের লেন ব্যবহার করে। তারা যেন রাস্তার মধ্যে না আসে বা ডানেও না যায়।
মন্ত্রী বলেন, পশুবাহী গাড়িতে তাদের গন্তব্যস্থল বা কোন হাটে যাবে সেই হাটের নাম গাড়ির সামনে লিখে রাখতে হবে। এটার উদ্দেশ্য হলো রাস্তাঘাটে কেউ যাতে জোর করে গাড়ি থেকে পশু নামাতে না পারে। একইসঙ্গে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে এটাই হলো মূল উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া রাস্তার উপর পশুর হাটে তারা কোনো পশু নামাতে পারবে না, রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না। তাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান আছে, সেখানেই তারা পশু নামাবেন।
সভায় সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে ও শহর এলাকায় যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ জেলা পুলিশ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবেন। জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসনে আমরা গতবারও ড্রোন ব্যবহার করেছিলাম। এবারও আমরা যানজট নিরসনে ড্রোন ব্যবহার করব। মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা বৃদ্ধিসহ যানজট নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করছি।
রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যানজট প্রবণ এলাকায় ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে যানজটের কারণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার রোধে মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান আমাদের পুলিশ ব্যবহার করবে। অতিরিক্ত গতি সম্পন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া হবে।
ঈদযাত্রার গাড়ি ভাড়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ঈদে যেভাবে ছিল, সেভাবেই থাকবে, ভাড়া বৃদ্ধি করবে না। মালিক, পরিবহন শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা সেটা বলে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার আগে তিন দিন এবং পরের তিন দিন পচনশীল দ্রব্য ও যাত্রী পরিবহন ছাড়া অন্য সকল ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মে মাসের বেতন সম্পূর্ণ দিতে হবে। একইসঙ্গে বোনাস ঈদের ছুটির আগের প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ’র প্রেসিডেন্টরা সকলেই একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবেন। যাতে করে যানজটের সমস্যা না হয়। শিল্প এলাকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অযথা গুজব, উস্কানি দিয়ে যারা অসন্তোষ সৃষ্টি করেন কিংবা প্রয়াস করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঈদগাহর ময়দান ও সোলাকিয়া মাঠসহ সারা দেশের বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ঈদের জামাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ক্যাটেল ট্রেন চালু করবে। রাতে কোনো বাল্কহেড, যাত্রীবাহী স্পিডবোট, ছোট লঞ্চ চলাচল করতে পারবে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ, দপ্তরের কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নিহত এমপি আনোয়ারুলের লাশের সন্ধান পাওয়া নিয়ে আশাবাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এমপি আনোয়ারুলের লাশ এখনো উদ্ধার হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৫৫ দিন আগে
কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের ৯ জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তারা নির্ধারিত হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রবিবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১টি কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম, ৫টি মনিটরিং টিম, ২২ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এবং ২ টি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল গঠন করেছে।
এসব টিম সোমবার (২৬ জুন) থেকে কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৮৯২ দিন আগে
সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সিলেট নগরীর মাছিমপুর এলাকায় পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের চার জন আহত হন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টার দিকে দুই কাউন্সিলরের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
আরও পড়ুন: পাবনায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
আহতেরা হলেন- মনজু মিয়া (৩৫), অপি (২৫), দিপু (৩৫), হারুন রশিদ খছরু (৫৫)। আহতদের মধ্যে হারুন রশিদ খছরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাছিমপুরে গরুর হাটের জন্য জেলা পরিষদ টেন্ডার আহ্বান করে।
তবে তা পাওয়ার আগেই ৮নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শারমিন আকতার রুমির স্বামী মনজু মিয়া ও তার দুই ভাই দিপু ও অপি হাটের জায়গায় বাঁশ বসানো থেকে অন্যান্য কাজ শুরু করেন।
এতে ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের ভাই হারুন রশিদ খছরু বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী জানান, গরুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
৮৯৫ দিন আগে
৩ দিনে প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ
বিগত তিনদিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে অপসারণ করেছে।৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চার হাজার ৮৮০টি ট্রিপের মাধ্যমে মোট ২০ হাজার ৬২৬.৩৪ মেট্রিক টন কোরবানির পশু ও পশুর হাটের বর্জ্য মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানান্তরপূর্বক অপসারণ করেছে।এদিকে মঙ্গলবারও ডিএসসিসি এলাকার ৫৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে ৪, ৬, ৯-১১, ১৮, ২১, ৫২, ৫৯-৬১, ৬৩, ৬৬, ৬৭, ৭১, ৭২ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকী ৫৮টি ওয়ার্ডে ৯৩৫টি কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এসব পশু জবাই করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.১০মিনিট নাগাদ সকল ওয়ার্ড থেকে ঈদের তৃতীয় দিনে জবাই করা কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রথম দিনে মাত্র সোয়া ১১ ঘন্টায় সকল ওয়ার্ড থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
১২৪১ দিন আগে