বান্দরবান
পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের তৎপরতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে একটি ক্রমবর্ধমান শক্তি হয়ে উঠেছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। কুকি-চিন নৃগোষ্ঠীর জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
নাথান বমের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কেএনডিও মূলত বান্দরবান ও রাঙামাটির পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বম, পাংখুয়া, লুসাই, ঘুমি, মো ও খিয়াংয়ের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে।
সরকারি সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি এবং ওই এলাকায় অসন্তোষের সমাধান করা।
তবে, বছরের পর বছর তাদের দাবি পূর্ণ না হওয়ায় কেএনডিও ২০১৬ সালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টে রূপান্তরিত হয়। তার সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) গঠনের মাধ্যমে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে তাদের কার্যক্রম।
কর্মকর্তাদের মতে, কেএনএফ এখন কুকিল্যান্ড নামে একটি পৃথক কুকি-চিন রাজ্য গঠন করতে চায় এবং তাদের পূর্বপুরুষের জমি পুনরুদ্ধার করতে চায়। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং জেএসএসকে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ উল্লেখ করে তাদের এই অঞ্চল থেকে দূর করতে চায়।
বেশ কয়েক বছর ধরে এই গোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে, যা আদর্শিক প্রচার থেকে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
কেএনএফের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যা ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের একটি ধারা। এই ব্যবস্থায় আদিবাসী ছাড়া অন্য জনগোষ্ঠীর চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে প্রবেশের জন্য বিশেষ অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
আইএলপিকে আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং তাদের ভূমির জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হতো।
কেএনএফ তাদের বক্তব্যে প্রায়ই তাদের সংগ্রামকে এই অঞ্চলগুলোর পুনরুদ্ধার এবং বাস্তুচ্যুত কুকি-চিন জনগণের পুনর্বাসন হিসেবে তুলে ধরে। এরা ব্রিটিশ শাসনের সময় মিজোরাম (ভারত) এবং চিন রাজ্যের (মিয়ানমার) মতো এলাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কেএনএফ ক্রমবর্ধমান সহিংস সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখায় দুঃসাহসিক হামলা চালায় কেএনএফের ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল।
সশস্ত্র ঘাতকরা শুধু বিপুল পরিমাণ টাকা (প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা) লুটপাটই করেনি, রাইফেল ও এসএমজিসহ আগ্নেয়াস্ত্রও চুরি করেছে এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে। এই হামলার পরের দিন আরও একটি ব্যাংক ডাকাতি হয়েছিল। সেখানে হামলাকারীরা মোবাইল ফোন এবং আরও অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।
কেএনএফের সামরিক তৎপরতার কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল এবং ৬ আগস্ট রুমা জোনে কেএনএ এবং সেনাবাহিনীর টহল দলের মধ্যে ঝুরবারং পাড়া ও পলি প্রংসাপাড়ার মতো এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এই সংঘর্ষের ফলে একজন সেনা জওয়ান নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
এই অঞ্চলে কেএনএফ তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে। তাদের দাবি, তাদের বাহিনীতে ৩,০০০-এর বেশি সদস্য রয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ জন বলে ধারণা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক স্নাতক ও রাজনৈতিক প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নাথান বম এবং চিফ অব স্টাফ উপা ভানচুং কেএনএফের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা একটি পৃথক কুকি-চীন আঞ্চলিক রাষ্ট্রের জন্য তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে। গোষ্ঠীটির কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ‘হেড-হান্টার্স’ নামে একটি এলিট কমান্ডো ইউনিট। এটি সহিংস সংঘর্ষের জন্য কুখ্যাত।
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসী কুকি-চিন সম্প্রদায়ের উপস্থিতি প্রায়ই বৃহত্তর বাঙালিশাসিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আড়ালে চাপা পড়ে গেছে।
কেএনএফের দাবি, তাদের কর্মকাণ্ডকে বছরের পর বছর অবহেলা করেছে সরকার। একই সঙ্গে তাদের প্রান্তিকীকরণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবিগুলো পূরণ করা হয়নি। জাতিগত বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত এই অঞ্চলটি দীর্ঘ সময় ধরে আদিবাসী সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশি রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে।
সংঘাত যত গভীর হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ ততই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সরকার ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং এই অঞ্চল অস্থিতিশীল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট তার লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বায়ত্তশাসন ও কুকিল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় কেএনএফের তৎপরতা যত বাড়বে, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা তত দূরে চলে যাবে।
কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুল হামিদ বলেন, কেএনএফ ইস্যু জাতীয় সীমানা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, এই গ্রুপ ভারত, মিয়ানমার, চীন ও বাংলাদেশে সক্রিয় বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের বান্দরবান অঞ্চলে সাম্প্রতিক অপারেশন ছাড়াও তারা ভারতের মণিপুর রাজ্যে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে জীবন ও সম্পদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও কেএনএফ স্বাধীন কুকি রাষ্ট্রের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে। এটিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ বিশ্বশক্তির প্রভাবিত বৃহত্তর আঞ্চলিক গতিশীলতার প্রতিফলন বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান করতে সমন্বিত কৌশলের প্রয়োজন, যা ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, উদীয়মান প্রবণতা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নেবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, এনজিও এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে নমনীয় ও কঠোর শক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কুকি-চিন জনগণের বাস্তুচ্যুতি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা কমানোর জন্য বিশেষত ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সক্রিয় কূটনীতি অবলম্বনের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
৩ সপ্তাহ আগে
বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
পর্বত, অরণ্য ও সমুদ্রপ্রেমী এই তিন শ্রেণির পরিব্রাজকদের জন্য সেরা গন্তব্য হচ্ছে বান্দরবান। অতিকায় উচ্চতার নিঃসীম শূন্যতা উপভোগ করতে করতে সবুজ বনে ঢাকা পাহাড়ি রাস্তা ট্রেকিং করা নিঃসন্দেহে কষ্টসাধ্য। এরই মাঝে দু-একটি সুদৃশ্য ঝর্ণা যেন বিস্ময়ের অববাহিকায় দিয়ে যায় রোমাঞ্চকর পরশ। চূড়ায় ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সেই অনন্ত শূন্যতার সঙ্গে আলিঙ্গনটা যেন এত কষ্টের স্বার্থকতা এনে দেয়। এর সঙ্গে দৃষ্টিসীমানায় ফেনিল সাগরের দৃশ্য জুড়ে দিলেই তা মিলে যাবে মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সঙ্গে। দ্বিতীয় সাজেক নামে পরিচিত এই জায়গাটি ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক দর্শনীয় স্থানটির বৃত্তান্ত।
মিরিঞ্জা ভ্যালির অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা বান্দরবানের অন্তর্গত লামা উপজেলা। অপরদিকে,কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে আলীকদম সড়কে লামার অবস্থান। এই উপজেলারই অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর মিরিঞ্জা ভ্যালি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভ্যালির অবস্থান প্রায় ১ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে।
মিরিঞ্জা ভ্যালির ইতিহাস ও বিশেষত্ব
সরাসরি ভ্যালির ইতিহাস বা এর নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সের গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রায় ১৬ একর পাহাড়ি ভূমিকে ঘিরে। এর আগেও কতিপয় ট্রেকারদের আনাগোনা থাকলেও এই কমপ্লেক্সই মূলত স্থানটির জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করে। মিরিঞ্জা পাহাড়ের দক্ষিণ প্রান্তের চূড়ায় ইট পাথরে নির্মাণ করা হয় বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজের ভাস্কর্য,যার উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল।
এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো পাহাড় ও মেঘের অসাধারণ মিথস্ক্রিয়া। এই কারণে পর্যটনকেন্দ্রটিকে বর্তমানে দ্বিতীয় সাজেক ভ্যালি হিসেবে অভিহিত করা হয়।
আরো পড়ুন: হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঢাকা থেকে বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়ার উপায়
মিরিঞ্জা যাওয়ার জন্য প্রথমত রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ,ফকিরাপুল বা সায়েদাবাদ থেকে কক্সবাজারের বাস ধরতে হবে। অতঃপর গন্তব্যের আগেই নেমে যেতে হবে চকরিয়া বা চিরিঙ্গা বাস টার্মিনালে।
এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রেলপথে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাওয়া যায়। অতঃপর বাসে করে সরাসরি চকরিয়া বাস টার্মিনাল।
দ্রুত সময়ে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের ফ্লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর কক্সবাজার থেকে বাসে করে চকরিয়া পৌঁছাতে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে।
চকরিয়া থেকে লামা-আলীকদম সড়ক ধরে মিরিঞ্জা ভ্যালিতে যাওয়ার সিএনজি, জিপগাড়ি বা লোকাল বাস পাওয়া যায়। এই পরিবহনগুলো লামা-আলীকদম পথে মিরিঞ্জা পাহাড়ের পাশে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ১০ মিনিট হাঁটার দূরত্বে ভ্যালির অবস্থান।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের ফুকেট ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
যারা ট্রেকিং করতে ইচ্ছুক তাদের চকরিয়া থেকে চান্দের গাড়িতে করে মুরুম পাড়া পর্যন্ত আসতে হবে। এখান থেকে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে ভ্যালি পর্যন্ত ২০ মিনিটের একটি সহজ ট্রেকিং পথ আছে।
চান্দের গাড়িগুলো মিরিঞ্জা পাড়া পর্যন্তও যায়, যেখানে মেইন রোড থেকে ভ্যালি মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা পথ।
মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণে কী কী দেখবেন
পাহাড়ি রাস্তা বা ঝিরিপথ পেরিয়ে চূড়ায় আরহণের পর দূরে দেখা যায় মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স এবং সাঙ্গু নদীসহ বিশাল পাহাড়জুড়ে বিস্তীর্ণ সবুজ বনভূমি। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য এই চূড়া উপযুক্ত একটি স্থান। এখান থেকে দিগন্তরেখায় কক্সবাজার অংশের বঙ্গোপসাগরের উত্তাল জলরাশি চোখে পড়ে। সেই সঙ্গে দৃশ্যমান হয় লাইট হাউস,যার ক্ষীণ আলোয় সরু রেখায় আলোকিত হয়ে ওঠে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত।
মুগ্ধতার পরিসর আরও একটু বাড়িয়ে দিয়ে কখনো কখনো সেই রেখায় ভেসে ওঠে একটি দুটি জাহাজ। পাহাড়ের দক্ষিণ প্রান্তের টাইটানিক জাহাজের কাঠামোটিও এখানকার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। পর্যটনকেন্দ্রের কাছেই উপজেলা শহরে ম্রো, ত্রিপুরা, ও মারমাসহ মোট ১১ জনগোষ্ঠির বসবাস।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের চিয়াং মাই ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণের সেরা সময়
বর্ষাকালের শেষ থেকে শরৎকাল পর্যন্ত প্রায় সারাদিনই পরিষ্কার আকাশে শুভ্র মেঘের খেলা দেখা যায়। পাহাড়ের চূড়া থেকে এই দৃশ্য দেখার অনুভূতির কোনো বিকল্প হয় না। তবে এ সময়টাতে পাহাড়ি পথ বেশ পিচ্ছিল থাকে। ট্রেকিং পথ খুব একটা দুর্গম না হলেও উষ্ণ মৌসুমের ফলে পুরো যাত্রাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই এখানে আসার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতের শুরু, তথা নভেম্বর মাস। এ সময় কুয়াশার ঘনঘটা তেমন থাকে না, বিধায় পাহাড়ের উপরের দৃশ্যগুলো ভালোভাবে দেখা যায়।
১ মাস আগে
বান্দরবানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমা উপজেলার সৈকত পাড়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে ওই এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কেএনএএফের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
এ সময় বেশ কিছু অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
৪ মাস আগে
বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বান্দরবান জেলায় থাকা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫ একর সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের একটি দল সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
একই সঙ্গে বেনজীরের বাগানবাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বেনজীর-মতিউরের সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজির আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে এবং এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।
উল্লেখ্য, দুদক সারাদেশে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের সম্পত্তির পরিমাণ খুঁজে বের করার পর বান্দরবানেও বিপুল পরিমাণে সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও স্থানীয় সূত্র জানায়, বান্দরবানের সুয়ালকে ৫০ একর ও লামা উপজেলাতে প্রায় ১০০ একর সম্পত্তি রয়েছে।
এর আগে ওই অঞ্চলের প্রায় কোটি টাকার গাছ কেটে ফেলা হয়। এছাড়াও গত কোরবানির ঈদের আগে ৩৬টি গরু সরিয়ে ফেলা হয়।
বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে দুদক সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আজিজ-বেনজীরের মতো অনেক দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে আ. লীগ সরকার: ফারুক
৫ মাস আগে
বিজিবি-মাদক কারবারির গোলাগুলি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩ জুন) ভোর ৫টায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ভালুখাইয়া বিওপির এলাকার গর্জনিয়ার মরিচ্যাচর রাজঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে শাহবাগ থানা
বিজিবি জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট ও ২০ হাজার ইয়াবা পিস জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে দেড়শ’ থেকে ২০০ জন মাদককারবারি বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
চোরাকারবারীরা গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার জন্য বিজিবি পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি ও মাদককারবারিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির সময় একটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ইয়াবা ও বার্মিজ সিগারেট জব্দ করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ডিআরএফ প্রণয়ন করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বান্দরবানে সাম্প্রতিক ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলা শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে ওই শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটপাটের চেষ্টা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। কিন্তু তারা টাকা নিতে ব্যর্থ হয়।
পরদিন বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় লুটপাট করে তারা।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ পর্যন্ত রুমা ও থানচি থানায় ৮টি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয় এবং তখন থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমসহ অর্ধশতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্য আটক
৮ মাস আগে
বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্য আটক
বান্দরবানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে ১৮ জন নারী। এছাড়া রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
এ যৌথ অভিযানে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেল পাড়াসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, রবিবার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, রুমা থেকে ৪৯ জন, বান্দরবন থেকে তিনজন ও থানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশি অভিযানে আটকরা হলেন- ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমত্লাংপি পাড়ায়। গ্রেপ্তার গাড়ির চালক মো. কফিল উদ্দিন সাগর। তার বাড়ি থানচিতে।
রবিবার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
একই সঙ্গে রুমা উপজেলায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
হাসপাতালগুলোকে রোগী এবং আহতদের সেবায় প্রস্তুত রাখার নির্দশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: এমপির নামে নকল সিল, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে ১২৫ টিকিট জব্দসহ কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
বান্দরবানে কেএনএফের আরও ২ সদস্য গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
বান্দরবানের রুমা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ ও ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালোকের বাসা থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, এই অভিযান কেএনএফের কার্যক্রম মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলার কথা সংগঠনটি গঠন করেছিলেন রোয়াল লিন বম ও চেওসিম বম।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
৮ মাস আগে
বান্দরবানে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।রবিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুলকের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক কর্নেল সাজ্জাদ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, এই অভিযান কেএনএফের কার্যক্রম মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম করে সংগঠনটি গড়ে তুলেছিলেন রোয়াল লিন বম ও চেওসিম বম।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
এর আগে অস্ত্রসহ দুই সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বিবৃতিতে জানানো হয়।
শনিবার রুমা ও থানচি উপজেলায় শতাধিক সদস্য অভিযান চালায়। বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে র্যাব এই অভিযান চালায়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই অভিযান শুরুর বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান। সংবাদ সম্মেলনে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে সফলভাবে উদ্ধারের পর থানচি উপজেলায় সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতিসহ কেএনএফ এর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়।
এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসব কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রুমা ও থানচি থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
৮ মাস আগে
বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় বড় আকারের যৌথ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সমন্বয়ে এই অভিযান জননিরাপত্তা বজায় রাখার প্রচেষ্টার একটি বড় অগ্রগতির চিত্রায়ন করছে।
রবিবার বান্দরবান সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই অপারেশনে সফল হতে প্রকাশ্য ও গোপন উভয় কৌশল প্রয়োগ করছি।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
সাম্প্রতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে জনগণকে আশ্বস্ত করতে জেনারেল আহমেদসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা বান্দরবান সফর করেছেন।
শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের পর এই অভিযানের আরও অগ্রগতি হয়। জেনারেল আহমেদের মতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন দলগুলোর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দৃঢ় সংকল্পের ইঙ্গিত হলো তাদের গ্রেপ্তার করা। তিনি বিশেষভাবে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কথা উল্লেখ করে জানান, এই দল আগে শান্তি আলোচনায় জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, ‘শান্তির সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেএনএফ অপরাধমূলক আচরণে ফিরে গেছে।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
তিনি আরও বলেন, ‘গত জুনে কোণঠাসা হওয়ার পর তারা আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়েছিল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখায় বোঝা যায় শান্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় ছিল না।’
এর আগে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনকল্যাণে এই মিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে অপরাধ দমনে সাহসিকতা ও সতর্কতার আহ্বান জানান জেনারেল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
৮ মাস আগে