তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে জেট্রোর চেয়ারম্যানের বৈঠক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) চেয়ারম্যান ও সিইও নরিহিকো ইশিগুরুর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর চলমান জাপান সফরসঙ্গী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ।
সফরের দ্বিতীয় দিনে বুধবার জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ও বিকাশে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের পোড়া চাদর কিনলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
এ সময় তারা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ও বিকাশে কিভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সর্বশেষ অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা তুলে ধরেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানান আমরা কার্যকর স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নেতৃত্ব গঠনে নির্মীয়মাণ ‘স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিকে’ আরও কার্যকর করতে উভয় দেশের যৌথ অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এই একাডেমি থেকেই সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ডাক্তাররা গবেষণা করার এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সেইসঙ্গে সোসাইটি ৫.০ প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
পলক জেট্রোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং ও ন্যানোটেক ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও কীভাবে জাপান ও বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা করা যায়, জাপানের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের হাইটেক পার্কে এবং সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী জাপানি ভাষায় লিখিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী, জেট্রো-আইসিটি বিভাগের যৌথ অংশীদারিত্বের একটি স্যুভেনিয়ার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে লিখিত বই জেট্রো চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।
এ সময় জেট্রোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে ৯ দিন বন্ধ থাকবে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর
ঈদ উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে বিমানবন্দর এপিবিএন
ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তার লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এ আদেশের ফলে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলতে আর কোনও বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের দুর্নীতির মামলার বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শহিদুল আলম। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ শহিদুল আলমকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলেন। সে অনুযায়ী লিভ টু আপিল করলে আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তা খরিজ করে দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম জামিনে মুক্তি পান। তবে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলম ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে সে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে শহিদুল আলম। ওই লিভ টু আপিলও আজ খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরিতে কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের আয়োজনে ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল) ও এ সম্পর্কিত সফটওয়্যার সমাধানগুলোর ওপর 'বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো ২০২২' শীর্ষক অর্ধ দিবসের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোরিয়ার প্রাইভেট সেক্টর আমাদের দেশে খুব ভালোভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতেও প্রস্তুত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই কোরিয়ার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি লাভ করেছে। আরএমজি সেক্টরে ৪০ বছর আগে কোরিয়ার সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করি। আরএমজি সেক্টর বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ।
পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অর্জনে বন্ধু দেশ হিসেবে পাশে রয়েছে বলে তিনি ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে এ ধরনের রোড শো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্টার্টআপ, উদ্ভাবক, বিজনেস প্রতিষ্ঠানসহ পুরো আইসিটি খাতের জন্যে একটি নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া আগামী দিনে জিটুজি, জিটুবি ও বিটুবি ম্যাচমেকিং -এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্টার্টআপ, উদ্ভাবক ও নতুন সম্ভাবনাময়ী উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এই রোড শো আমাদের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ ও উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করবে এবং তাদের জন্যে খুবই সহায়ক হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন যে বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আগামীতেও এ ধরনের কোলাবরেশন এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী ড্রোন প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন যে পানি দূষণ রোধে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও, তিনি ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণদের ড্রোন টেকনোলজি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ দেন।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা ড্রোন প্রযুক্তি বিষয়ক এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী রোড শো আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির মার্কেট খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথভাবে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের ড্রোন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রোডশোর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সরকার পক্ষ থেকে উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করা হয় অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে কোরিয়ার ছয়টি প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন ও জিআইএস বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, কে-বিডি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ রিউ সহ আরও অনেকে।
এছাড়া ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি, কোরিয়ান ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহন করেন।
আরও পড়ুন: আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার জগতে নেতৃত্ব দিতে ‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ডিজিটাল সংহতির আরও সুদৃঢ় করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার যুক্তরাজ্যের নিউপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিশ্বনন্দিত কমিউনিটি ইন্টারেস্ট কোম্পানি সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কর্নেল জন ডেভিস (এমবিই) এবং প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইবার ওয়েলসের বোর্ড অব ডিরেক্টর জেসন ডেভিস, বোর্ড অব ডিরেক্টর ও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার ফাহিম আজহার এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এসময় সাইবার সুরক্ষায় বিশ্বে নেতৃত্বে যেতে প্রস্তুতি নেয়ার কথা উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাইবার ওয়েলসের মতো আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তুলবে। এ সকল উদ্যোগ আমাদের দেশে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
একা কোনো দেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিটি বিভাগের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ বাংলাদেশে সাইবার সর্বোত্তম অনুশীলন নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাজ্যের সাইবার ওয়েলসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
বৈঠকে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে সাইবার ওয়েলসের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার লক্ষ্যে সাইবার ক্লাস্টার, সাইবার স্কিল গ্রোথ ওয়ার্কিং গ্রুপ, সাইবার অ্যাক্সিলারেটর উদ্যোগ এবং সাইবার ইনকিউবেশন সেন্টারের আরও উন্নয়নের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ এবং আইন প্রয়োগকারীদের নিয়ে সাইবার প্রতিরক্ষার সবক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
এছাড়াও বৈঠকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে (করোনাকালীন) সাইবার ওয়েলসের সাথে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ এর মধ্যে সম্পাদিত ভার্চুয়াল চুক্তিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনাকালে গুরুত্ব দেয়া হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী একটি সুদৃঢ় ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাইবার দক্ষতায় বিনিয়োগ এবং সাইবার ওয়েলসের সাথে শক্তিশালী সাইবার বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে আরও নিবিড়ভাবে বাংলাদেশ ও সাইবার ওয়েলস একসাথে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে সাইবার সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান জন ডেভিস (এমবিই) বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ঈর্ষণীয় প্রতিভার স্বাক্ষর পেয়েছি। সাইবার ওয়েলস এমন একটি দেশে সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য ন্যূনতম ভূমিকা পালন করতে পেরে গর্বিত। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওয়েলসে সাইবার কোম্পানিগুলো। যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার প্রোগ্রামের কেন্দ্রে রয়েছে সাইবার ওয়েলস। ফলে আমরা সাইবার সুরক্ষায় একটি ইকোসিস্টেম হিসাবে সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নেয়ার এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি৷ এক্ষেত্রে আরও বড় পরিসরের বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, এটা আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশ ই-গভ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের সার্ট এবং সাইবার ওয়েলস যৌথভাবে সাইবার ট্রেড এবং বিনিয়োগ আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া: গণমাধ্যমকর্মীদের মত দেয়ার জন্য ১০ দিন সময়
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত দিতে আগামী ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রস্তাবিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২’- এর খসড়া বিষয়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুপারিশ ও মতামত নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।দেশের তথ্য-উপাত্তের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আইন করা হচ্ছে জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডেটা ইজ দ্যা নেক্সট ওয়েলথ। অতি মূল্যবান সম্পদ। তেল বা খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ জাতি থেকে যারা এই ডিজিটাল ডেটা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে তারাই হবে অত্যন্ত সম্পদশালী জাতি।’তিনি বলেন, ‘ নাগরিকের তথ্য-উপাত্তের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ডেটা যেনো বিদেশি কেউ ব্যবহার করতে না পারে, তার যথাযথ সুরক্ষা থাকছে এই আইনে।’
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মতি ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কাছে যেনো ডেটা না যায়, সেই সুরক্ষার জন্য এই আইন করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনায় সংবাদিকদের দেয়া নানা পরামর্শের ওপর খসড়া আইনটির বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন আইসিটি বিভাগের আইন ও পলিসি অনুবিভাগের পরামর্শক ও সাবেক লেজিসলেটিভ সচিব মো. শহীদুল হক।সভায় জানানো হয় খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২ বিষয়ে পরবর্তীতে ডেটা বিজ্ঞানী ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ।
এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের এমডি মোজাম্মেল বাবু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এনটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক জহিরুল আলম, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশের (টিএমজিবি) সভাপতি মো. কাউছার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন জুনাইদ, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা খসড়া আইনটির বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা: পলক
ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক ওই এলাকার তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এটি চালু হলে এলাকার তরুণদের চাকরির জন্য ঢাকা কিংবা বিদেশমুখী হতে হবে না।
বুধবার (২২ জুন) ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় কিসমত রহমতপুরে ‘ময়মনসিংহ আইটি/ হাইটেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় অগ্রসরমান প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে দেশের ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি /হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহে এ হাইটেক পার্কটি ৭ একর জায়গার ওপর ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
এতে প্রতি তলায় ১৫ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট ৭তলা ভবন এবং সিনেপ্লেক্স নির্মিত হবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর ১ হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রত্যক্ষ ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে: পলক
২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে বিচারিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হবে।
তিনি বলেন, সারা দেশের জুডিশিয়াল সিস্টেমকে সম্পুর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর, আরও স্বল্পসময় ও খরচে যাতে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেয়া যায় এবং বিচারক ও আইনজীবীরা সহজে বিচারিক কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে ২ হাজার ২শ’ ২৪ কোটি টাকার "ই-জুডিশিয়ারি" নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
শনিবার আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে অনলাইন কারণ তালিকা, বিচার বিভাগীয় মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং মাই কোর্ট অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার কোর্টরুম ডিজিটাইজ করা হবে। আদালতে অডিও রেকর্ডিং পুল সিস্টেম থাকবে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল টার্মিনাল করা হবে। এছাড়া ১৪টি সেন্ট্রাল জেল ডিজিটাল করা হবে। আসামিরা যেন জেল থেকে শুনানীতে অংশ নিতে পারে এজন্য ৯টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৬৪টি জেলা কারাগারে ক্যামেরা ট্রায়াল রুম করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে বৈঠক অ্যাপস ব্যবহার করা হবে। বিচারিক তথ্যের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে জেআরপি’র অধীনে সুপ্রিম কোর্টে একটি ফোর ট্রায়াল ডেটাসেন্টার স্থাপন করা হবে। পলক বলেন, ডিজিটাল বিচারিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিচারকদের ২ হাজার ল্যাপটপ, অফিস স্ট্যাফদের জন্য ডেস্কটপ এবং ৭৫ হাজার আইনজীবী ও বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমসহ প্রত্যেকটি বার অ্যাসেোসিয়েশনে একটি করে সাইবার ক্যাফে প্রতিষ্ঠা করা হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন এটুআই, ইউএনডিপি ও আইসিটি বিভাগ মিলে এই অবকাঠামোগুলো তৈরির পর এই অর্থবছরে বিচার ও স্বাস্থ্য বিভাগে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে: পলক
মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বিশ্বপ্রযুক্তির টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মাইক্রোসফট টিমের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এসময় তিনি মাইক্রোসফটের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও বিস্ময়কর উদ্ভাবনগুলো প্রত্যক্ষ করেন।
২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকল এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা হবে। একইসাথে সরকার গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।মঙ্গলবার প্রোগ্রাম অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি পলিসি এক্সপেরিমেন্টেশন এন্ড রেগুলেটরি সেন্ডবক্সেস ইন এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক বাই ইউনাইটেড ন্যাশন ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমি এন্ড সোস্যাল এফেয়ার্স শীর্ষক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: থ্রিজি ও ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালুপলক বলেন, কোভিড সময়ে দেশে টেলিহেলথের বিকাশ ঘটেছে ৩০০ শতাংশের বেশি। ভিডিও কনফারেন্সিং, টেস্ট রিপোর্ট শেয়ারিং, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা পেতে এই সময়ে গড়ে উঠেছে ১৩ হাজার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক। এর ৯৮ শতাংশই সংযুক্ত হন মোবাইলে।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম যেন এআর, ভিআর, রোবটিকস, আইওটি ও ব্লক চেইন প্রযুক্তির মতো ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির সাথে সহজেই পরিচিত হতে পারে এ জন্য দেশজুড়ে ৩০০ স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা প্রযুক্তিজ্ঞান আহরণ করে নিজেদের দক্ষ করে তুলতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ছাড়াই ‘উপায়’ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন রবি গ্রাহকরা
উন্নত সেবার জন্য বিকাশ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে
শীর্ষ স্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের কাছ থেকে ‘পার্টনার রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।
সম্প্রতি, বিকাশ লিমিটেড কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়াল ‘পার্টনার রিকগনিশন প্রোগ্রাম’- এ এই পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল আর্থিক সেবাদান খাতে বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে মোবাইল ওয়ালেট ও পেমেন্ট পরিশোধ প্রক্রিয়াকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে বিকাশের কৌশলগত ও কারিগরি অংশীদার হিসেবে বিকাশের এই উন্নয়নে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করবে সেবা প্ল্যাটফর্ম
হুয়াওয়ে বিকাশকে ফিনটেক মোবাইল মানি কোর ও ইটুই সল্যুশনের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রদান করেছে যা তাদেরকে অন্যান্য ইকোসিস্টেমের সাথে নিজেদের সিস্টেমকে সুসংহত করে উন্নত মানের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।
তাই, বিকাশের উন্নয়নে এমন উন্নত মানের প্রযুক্তি সহায়তা এবং সেরা মানের সেবা প্রদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হুয়াওয়ে এই পুরস্কার অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
উন্নত ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের মধ্যকার সফল অংশীদারিত্বেরই প্রতিফলনস্বরূপ এ স্বীকৃতি।
এ ব্যাপারে বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি অফিসার আজমল হুদা বলেন, “গুণগত মানকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দেই। এজন্য আমরা আমাদের সেবার সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বখ্যাত আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছি। হুয়াওয়ে আমাদের উন্নয়নের যাত্রায় বিশ্বস্ত এবং নিবেদিত অংশীদার হিসেবে আমাদের পাশে আছে। তারা আমাদের সময়োপযোগী সহায়তা এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে, যাতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারি”।
আরও পড়ুন:পাঁচটি বিকাশ নম্বরে সেন্ড মানি করা যাবে কোন খরচ ছাড়াই
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিটিও ডংজিয়ান শু বলেন, “গ্রাহক কেন্দ্রিকতা আমাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিকাশের কৌশলগত অংশীদার হিসেবেই শুধু আমরা সেরা সফটওয়্যার সল্যুশন ও প্রযুক্তি সরবরাহ করছি না; আমরা একসাথে কাজ করছি কারণ আমরা সমাজে পরিবর্তন আনতে চাই। বিকাশের এই স্বীকৃতি আমাদের আরও সুসংহত সমাধান এবং সেবা অনুসন্ধানে অনুপ্রাণিত করবে”।
বিশ্বজুড়ে এমএফএস/ডিএফএস প্রতিষ্ঠানের সেবাদানে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে মোবাইল ওয়ালেট কোর সম্পূর্ণভাবে ভার্চুয়ালাইলড ও ক্লাউড-নেটিভ সেবা প্রদান করে। হুয়াওয়ের বিস্তৃত গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটিকে বিকাশসহ বিশ্বজুড়ে এমএফএস/ডিএফএস অপারেটরদের উন্নত ও আধুনিক সেবাদানে সক্ষম করে তুলেছে।