তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেবে পিপলএনটেক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ও অর্থায়নে, পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব আইটির সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেবে পিপলএনটেক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর আইসিটি অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্মচারীদের স্বচ্ছলতার জন্য কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন কোর্সে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানায় পিপলএনটেক।
পিপলএনটেকের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন সামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন: পাঁচ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিসিক ঝিনাইদহ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপসচিব মো মনির হোসেন, উপপরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার দিদারুল কাদির ও প্রোগামার হারুন অর রশিদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অব আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, চিফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জোহরা, পিপলএনটেকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা প্রমুখ
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিকাল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সঙ্গে আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব আইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৬০০ ভেটেরিনারিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেবে এলডিডিপি
১১ মাস আগে
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রস্তুত করা ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ আইনটি উপস্থাপন করেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে সরকারি, বেসরকারি সব শিল্প কারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিপরিষদে ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয়ের অনুমোদন
এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’এর খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ খসড়া আইনের বিষয়ে গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।
পরে একাধিক সভা, কর্মশালা, ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ করা হয়।
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া পরিমার্জনের পর চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাভাষা বাস্তবায়ন কোষে (বাবাকো)’ প্রমিত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে অংশীজনদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আইনটির খসড়া পুনরায় পরিমার্জন করা হয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটি’খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভা-বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে।
এ আইনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
· উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাবলি তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণের জন্য বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্থাপন নিশ্চিত করা;
· কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, ব্যবহার বা পুনঃব্যবহার, হস্তান্তর, প্রকাশ, বিনষ্টকরণ ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা;
· জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উপাত্তের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা;
· তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তির উপাত্ত সুরক্ষা ও উহার প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উপাত্ত সুরক্ষার নীতিসমূহ অনুসরণক্রমে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার ও বিস্তৃতি ঘটানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উপাত্তের ব্যবহার নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, দেশের নাগরিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মতো দেশের সঙ্গে পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩ আইনটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিপরিষদে অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানে খসড়া অনুমোদন
মন্ত্রিপরিষদের সভায় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
১ বছর আগে
বছরের প্রথম ৯ মাসে হুয়াওয়ের মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৩ সালের প্রথম ৯মাসের ব্যবসায়িক ফলাফল ঘোষণা করেছে।
এই সময়ের মধ্যে হুয়াওয়ের আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন চীনা ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ছয় লাখ সাতাশি হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে দুই দশমিক চার শতাংশ বেশি। একই হিসাবে গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘কোম্পানির পারফরম্যান্স আমাদের পূর্বানুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের ওপর আস্থা রেখে সমর্থন জুগিয়ে চলার জন্য আমি আমাদের গ্রাহক ও সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আরও বিনিয়োগ বাড়াব। যাতে আমাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে আরও বিস্তৃত করতে পারি এবং একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, বরাবরের মতো আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের গ্রাহক, সহযোগী ও সমাজের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
১ বছর আগে
আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৪ সালে নেট ৫.৫জি সল্যুশন্স চালু করার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশননির্ভর ৫.৫জি যুগে টেলিকম ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধিতে হুয়াওয়ের এই পরিকল্পনাটি সাহায্য করবে।
একটি পরিপূর্ণ নেট ৫.৫জি সল্যুশনস ১০ জিবিপিএস সংযোগ, অ্যাডাপ্টেবল আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন নিশ্চিত করে। এর ফলে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি ত্বরান্বিত হবে। হোম ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ব্রডব্যান্ডকে ১০ জিবিপিএসে আপগ্রেড করার পাশাপাশি আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কটি একটি ৪০০জিই কনভার্জড মেট্রো নেটওয়ার্ক এবং ব্যাকবোন নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের ডেটা কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট লিওন ওয়াং বলেন, “৫.৫জি এর যুগে ‘গ্লাস-ফ্রি থ্রিডি, হাউজ ওয়াইড ইন্টেলিজেন্স, আল্ট্রা-এইচডি ভিডিও কনফারেন্সিং এবং কম্পিউটিং সার্ভিসেস’- এর মতো নতুন আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। এর ফলে হোম ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ব্রডব্যান্ড, এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস এবং এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লাইনে ১০ জিবিপিএস গতি প্রয়োজন হবে। বিনিময়ে, এটি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়ের সুযোগ তৈরি করবে। সর্বব্যাপী ১০ জিবিপিএস এর সংযোগ, ইলাস্টিক আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড পরিবহন এবং স্বায়ত্তশাসিত নেটওয়ার্ক সেল্ফ-অপ্টিমাইজেশনে সহযোগিতা করার মাধ্যমে নেট ৫.৫জি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পথ খুলে দিবে।”
প্রতিষ্ঠানগুলো নেটওয়ার্ক স্লাইসিং’ এর মতো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কগুলোকে আপগ্রেড করতে পারবে এবং নতুন-নতুন সেবা দিতে পারবে যেগুলোর ক্ষেত্রে ১০ জিবিপিএস-এর থেকেও বেশি গতি দরকার হয়। সপ্তম প্রজন্মের ওয়াই-ফাই ৭ হাই-ডেনসিটি সুবিধা, দারুণ ভিডিও অভিজ্ঞতা এবং ক্লাউডভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মতো নতুন নতুন সক্ষমতা ব্যবহার করে সরবরাহকারীরা প্রাইভেট লাইনের শীর্ষে পৌঁছে ‘এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক’ যুক্ত করতে সক্ষম হবে। ফলে, তারা ওয়ান-স্টপ পরিষেবা সরবরাহ করতে পারবে যাতে তারা এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের উচ্চ-মানের ১০ জিবিপিএস ওয়্যারলেস সংযোগ, ভিডিও পরিষেবা এবং ওঅ্যান্ডএম পরিষেবার অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
১ বছর আগে
রোবট এখন আর বিলাসী নয়, প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সময়ের প্রয়োজনে রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। এটা এখন স্মার্টফোনের মতোই প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর জাতীয় পর্ব’- উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের তরুণরা যেন আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেই লক্ষ্যে আগামী রোবট অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার আগেই জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে স্থাপিত ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে একটি করে ড্রোন, থ্রিডি প্রিন্টার, এআর, ভিআর ও আধুনিক ল্যাবস্থাপন করা হবে।
আমাদের তরুণদের মেধার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন একটু সুযোগ করে দেওয়ার। তাদের যথাযথ সুযোগ ও সহযোগিতা করা হলে তারা শুধু বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান করবে না, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ হবে: পলক
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে ফিলিপাইনে প্রথমবার আন্তর্জাতিক রোবটিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেই স্বর্ণপদক অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মানবসম্পদকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে আগামী দিনে যেসব দেশে সোনা, রুপাসহ খনিজ সম্পদ রয়েছে, তাদের চেয়েও বাংলাদেশ বেশি সমৃদ্ধশালী হবে।
পলক বলেন, আমাদের সবকিছু স্মার্ট ডিভাইস নির্ভর হয়ে গেছে। সেই বাস্তবতা থেকেই এখন যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রেই রোবটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাপান যদি রোবটকে কাপড় কাটা শিখিয়ে ফেলে, তবে ঝুঁকিতে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক খাত। তাই রোবট বানানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর কাজে সেই রোবট আমরা ব্যবহার করব। বিদেশেও রপ্তানি করব।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য আখতারুজ্জামান রোবট অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আখতারুজ্জামান বলেন, প্রযুক্তিজ্ঞাননির্ভর এই সমাজ হবে অন্তর্ভূক্তিমূলক।
তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা তাদের বুদ্ধি দিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়াপার্সন অধ্যাপক সেঁজুতি রহমান, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: পলক
বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে জি-ক্লাউড এ যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
১ বছর আগে
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে জেট্রোর চেয়ারম্যানের বৈঠক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) চেয়ারম্যান ও সিইও নরিহিকো ইশিগুরুর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর চলমান জাপান সফরসঙ্গী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ।
সফরের দ্বিতীয় দিনে বুধবার জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ও বিকাশে কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের পোড়া চাদর কিনলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
এ সময় তারা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ও বিকাশে কিভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সর্বশেষ অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা তুলে ধরেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানান আমরা কার্যকর স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নেতৃত্ব গঠনে নির্মীয়মাণ ‘স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিকে’ আরও কার্যকর করতে উভয় দেশের যৌথ অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এই একাডেমি থেকেই সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ডাক্তাররা গবেষণা করার এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সেইসঙ্গে সোসাইটি ৫.০ প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
পলক জেট্রোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং ও ন্যানোটেক ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও কীভাবে জাপান ও বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা করা যায়, জাপানের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের হাইটেক পার্কে এবং সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী জাপানি ভাষায় লিখিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী, জেট্রো-আইসিটি বিভাগের যৌথ অংশীদারিত্বের একটি স্যুভেনিয়ার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে লিখিত বই জেট্রো চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।
এ সময় জেট্রোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে ৯ দিন বন্ধ থাকবে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর
ঈদ উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে বিমানবন্দর এপিবিএন
১ বছর আগে
ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তার লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
এ আদেশের ফলে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলতে আর কোনও বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের দুর্নীতির মামলার বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শহিদুল আলম। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ শহিদুল আলমকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলেন। সে অনুযায়ী লিভ টু আপিল করলে আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তা খরিজ করে দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় একটি মামলা হয়। সে মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম জামিনে মুক্তি পান। তবে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলম ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার তদন্ত কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে সে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে শহিদুল আলম। ওই লিভ টু আপিলও আজ খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
২ বছর আগে
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরিতে কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের আয়োজনে ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল) ও এ সম্পর্কিত সফটওয়্যার সমাধানগুলোর ওপর 'বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো ২০২২' শীর্ষক অর্ধ দিবসের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোরিয়ার প্রাইভেট সেক্টর আমাদের দেশে খুব ভালোভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতেও প্রস্তুত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই কোরিয়ার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি লাভ করেছে। আরএমজি সেক্টরে ৪০ বছর আগে কোরিয়ার সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করি। আরএমজি সেক্টর বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ।
পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অর্জনে বন্ধু দেশ হিসেবে পাশে রয়েছে বলে তিনি ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে এ ধরনের রোড শো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্টার্টআপ, উদ্ভাবক, বিজনেস প্রতিষ্ঠানসহ পুরো আইসিটি খাতের জন্যে একটি নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া আগামী দিনে জিটুজি, জিটুবি ও বিটুবি ম্যাচমেকিং -এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্টার্টআপ, উদ্ভাবক ও নতুন সম্ভাবনাময়ী উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এই রোড শো আমাদের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ ও উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করবে এবং তাদের জন্যে খুবই সহায়ক হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন যে বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আগামীতেও এ ধরনের কোলাবরেশন এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী ড্রোন প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন যে পানি দূষণ রোধে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও, তিনি ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণদের ড্রোন টেকনোলজি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ দেন।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা ড্রোন প্রযুক্তি বিষয়ক এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী রোড শো আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির মার্কেট খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথভাবে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের ড্রোন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রোডশোর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সরকার পক্ষ থেকে উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করা হয় অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে কোরিয়ার ছয়টি প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন ও জিআইএস বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, কে-বিডি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ রিউ সহ আরও অনেকে।
এছাড়া ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি, কোরিয়ান ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহন করেন।
আরও পড়ুন: আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
২ বছর আগে
‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার জগতে নেতৃত্ব দিতে ‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ডিজিটাল সংহতির আরও সুদৃঢ় করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার যুক্তরাজ্যের নিউপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিশ্বনন্দিত কমিউনিটি ইন্টারেস্ট কোম্পানি সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কর্নেল জন ডেভিস (এমবিই) এবং প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইবার ওয়েলসের বোর্ড অব ডিরেক্টর জেসন ডেভিস, বোর্ড অব ডিরেক্টর ও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার ফাহিম আজহার এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এসময় সাইবার সুরক্ষায় বিশ্বে নেতৃত্বে যেতে প্রস্তুতি নেয়ার কথা উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাইবার ওয়েলসের মতো আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তুলবে। এ সকল উদ্যোগ আমাদের দেশে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
একা কোনো দেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিটি বিভাগের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ বাংলাদেশে সাইবার সর্বোত্তম অনুশীলন নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাজ্যের সাইবার ওয়েলসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
বৈঠকে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে সাইবার ওয়েলসের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার লক্ষ্যে সাইবার ক্লাস্টার, সাইবার স্কিল গ্রোথ ওয়ার্কিং গ্রুপ, সাইবার অ্যাক্সিলারেটর উদ্যোগ এবং সাইবার ইনকিউবেশন সেন্টারের আরও উন্নয়নের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ এবং আইন প্রয়োগকারীদের নিয়ে সাইবার প্রতিরক্ষার সবক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
এছাড়াও বৈঠকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে (করোনাকালীন) সাইবার ওয়েলসের সাথে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ এর মধ্যে সম্পাদিত ভার্চুয়াল চুক্তিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনাকালে গুরুত্ব দেয়া হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী একটি সুদৃঢ় ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাইবার দক্ষতায় বিনিয়োগ এবং সাইবার ওয়েলসের সাথে শক্তিশালী সাইবার বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে আরও নিবিড়ভাবে বাংলাদেশ ও সাইবার ওয়েলস একসাথে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে সাইবার সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান জন ডেভিস (এমবিই) বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ঈর্ষণীয় প্রতিভার স্বাক্ষর পেয়েছি। সাইবার ওয়েলস এমন একটি দেশে সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য ন্যূনতম ভূমিকা পালন করতে পেরে গর্বিত। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওয়েলসে সাইবার কোম্পানিগুলো। যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার প্রোগ্রামের কেন্দ্রে রয়েছে সাইবার ওয়েলস। ফলে আমরা সাইবার সুরক্ষায় একটি ইকোসিস্টেম হিসাবে সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নেয়ার এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি৷ এক্ষেত্রে আরও বড় পরিসরের বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, এটা আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশ ই-গভ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের সার্ট এবং সাইবার ওয়েলস যৌথভাবে সাইবার ট্রেড এবং বিনিয়োগ আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া: গণমাধ্যমকর্মীদের মত দেয়ার জন্য ১০ দিন সময়
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত দিতে আগামী ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রস্তাবিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২’- এর খসড়া বিষয়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুপারিশ ও মতামত নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।দেশের তথ্য-উপাত্তের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আইন করা হচ্ছে জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডেটা ইজ দ্যা নেক্সট ওয়েলথ। অতি মূল্যবান সম্পদ। তেল বা খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ জাতি থেকে যারা এই ডিজিটাল ডেটা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে তারাই হবে অত্যন্ত সম্পদশালী জাতি।’তিনি বলেন, ‘ নাগরিকের তথ্য-উপাত্তের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ডেটা যেনো বিদেশি কেউ ব্যবহার করতে না পারে, তার যথাযথ সুরক্ষা থাকছে এই আইনে।’
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মতি ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কাছে যেনো ডেটা না যায়, সেই সুরক্ষার জন্য এই আইন করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনায় সংবাদিকদের দেয়া নানা পরামর্শের ওপর খসড়া আইনটির বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন আইসিটি বিভাগের আইন ও পলিসি অনুবিভাগের পরামর্শক ও সাবেক লেজিসলেটিভ সচিব মো. শহীদুল হক।সভায় জানানো হয় খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২ বিষয়ে পরবর্তীতে ডেটা বিজ্ঞানী ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ।
এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের এমডি মোজাম্মেল বাবু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এনটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক জহিরুল আলম, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশের (টিএমজিবি) সভাপতি মো. কাউছার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন জুনাইদ, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা খসড়া আইনটির বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
২ বছর আগে