কূটনৈতিক মিশন
ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নিতে অন্তর্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, উগ্রবাদীরা ভারতের বিজেপির উসকানিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নিস্ক্রিয় উপস্থিতিতে আগরতলার কুঞ্জবনে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে আগুন, পতাকার খুঁটি ভাঙচুর ও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় অন্তর্বতী সরকারের উচিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা চাওয়া। মানুষদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।
রিজভী বলেন, আগরতলায় কূটনৈতিক মিশনে এহেন নজিরবিহীন হামলা ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন, ১৯৬১ -এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ভারত সরকার হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও, অতীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের আগ্রাসী হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, যা আরও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে বলে জানান তিনি।
রিজভী বলেন, ‘ভারতের হিন্দুদের বলব, আপনাদের বন্ধুত্ব তো হাসিনার সঙ্গে। সেই বন্ধুত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যে শত্রুতায় নেমেছেন, সেটা সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ নয়। হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে আপনাদের বন্ধু হাসিনা আপনাদের কাছে আশ্রয় পেয়েছে। তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন।’
তিনি বরেন, মনে রাখবেন, বাংলাদেশ লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, দিল্লীর দাসত্ব করতে নয়। বরং যে সেবাদাসী হতে চেয়েছিলেন, সেই দাসী এখন আপনাদের পদতলে।
বিএপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি পাগল হয়ে গেছে বিজেপি সরকার ও উগ্রবাদীরা। মরিয়া হয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠাতে বলছে।
রিজভী বলেন, ‘ভারতেই তো বাংলাদেশের মিশনগুলো অরক্ষিত। মিশনের একজনকে আমরা ভিডিওতে ভাইরাল হতে দেখেছি, কি বেদম প্রহার করা হচ্ছে! তারপরেও মমতা ব্যানার্জি বলবেন, বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী দরকার না ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী দরকার?’
আরও পড়ুন: বিএনপি প্রত্যাশা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারত সম্মান দেখাবে
একই সঙ্গে কাশ্মীর, আসাম ও মনিপুরেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো প্রয়োজন বলে মনে করেন রিজভী।
মমতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে নিজের দেশ সামলান। শান্তিরক্ষী বাহিনী আপনার দেশ ভারতে মোতায়েন করেন। বিশেষ করে কাশ্মীর, আসাম ও মনিপুরে। নরেন্দ্র মোদির এক দশকের শাসনামলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ক্রমশ কমে আসছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) মুসলিমবিরোধী বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতে একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করেছে মোদি সরকার। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়েছে রামমন্দির। একাধিক রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে মুঘল আমলের বিভিন্ন নাম ও স্মৃতিচিহ্ন।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগসমূহ তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান রিজভী।
‘ভারতের পরিকল্পনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখা’
রিজভী বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অসংখ্য নির্মমতার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত… সেসব নিয়ে দেশটির কোনো সংকোচ বা অনুশোচনা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের মাষ্টার প্ল্যানের পরিস্থিতিতে তারা অযাচিত উদ্বেগ-উগ্রতা প্রকাশ করছে। সেই পরিস্থিতি কিছুই না … দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু ভারতের মাস্টার প্ল্যানের অংশ হচ্ছে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করো, বাংলাদেশ যাতে সঠিক ভাবে চলতে না পারে… এটাই হচ্ছে তাদের আন্তর্জাতিক মাস্টার প্ল্যান এবং এখানে বাইরের একটি দেশ এর মধ্যে জড়িত বলে বাংলাদেশের জনগণ মনে করে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবৈধ কর্মে লিপ্ত থাকার অপরাধে ইসকন থেকে বহিষ্কারের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, চিন্ময়কে রাষ্ট্রদ্রোহীর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কি শিশুর ওপর অত্যাচারকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়? এটা তো বড় প্রশ্ন দেশের মানুষের? চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইসকনই করেছে।
‘দেশের সকল সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান’
রিজভী বলেন, প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত। কিন্তু শত্রুতা করতে চাইলে সেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রিয় জনগণ মেনে নেবে না। আপনাদের প্রতি অনুরোধ… নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াবেন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান যারাই নিরাপত্তাহীন মনে করেন তারা সরকারকে জানান সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লাভ নেই। জন্মভূমির প্রতি অনুগত থাকুন। এই মৃত্তিকায় যদি আপনার জন্ম হয় এই মৃত্তিকার প্রতি এই মাটির প্রতি আপনি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। বিজেপি ভারতকে ধর্মীয় উগ্রবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ ভারতের মতো উগ্রবাদী কোনো ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধুরাষ্ট্র ভেবে কত কিছু দিয়েছে। কিন্তু ভারত সীমান্তে রক্ত, লাশ আর আগ্রাসন ছাড়া কিছু দেয়নি।
‘বাংলাদেশে অস্থিরতার অপচেষ্টা বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদে’
রিজভী বলেন,‘দুঃখের বিষয় হলো কিছু ধর্মীয় উগ্রবাদী ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ভারতের চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদে-উসকানিতে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান এই উগ্রবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করুন। ভারতের সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু চরম উগ্রবাদী বিজেপি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটা মানুষ এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব-সম্মান আত্মমর্যাদা রক্ষায় রুখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশ কখনোই মাথা নোয়াবে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে জনগণের আস্থা অর্জন করুন: বিএনপি কর্মীদের প্রতি নজরুল
২ সপ্তাহ আগে
সহিংসতা পরিহার করে অংশগ্রহণমূলক-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য একসঙ্গে কাজ করুন: কূটনৈতিক মিশন
অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে 'সহিংসতা পরিহার ও একসঙ্গে কাজ করার' জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলো।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) মিশনগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের সময় সাম্প্রতিক সহিংসতায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।
দূতাবাস ও হাইকমিশনের সই করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ' ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের সময় সহিংসতায় তাদের দেশ- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিক-জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আজ ব্রিফ করবে সরকার
এতে হতাহতের ঘটনায় এবং আহতদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে দেশগুলো।
কূটনীতিকদের জন্য সরকারের নির্ধারিত ব্রিফিংয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে এই বিবৃতি এসেছে।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ বিকালে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের জানাবে সরকার।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৪টায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে মার্কিন সিনেটরদের অবহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইমরান
১ বছর আগে
মৃত্যুদণ্ড গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও অন্যায্য
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের আবাসিক কূটনৈতিক মিশন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করতে এবং এর ব্যবহারে স্থগিতাদেশ জারি করার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে যেসকল দেশে মৃত্যুদণ্ডের আইন রয়েছে তাদের প্রতি এই আহ্বান জানান তারা।
২০তম বিশ্ব মৃত্যুদণ্ড বিরোধী দিবস উপলক্ষে যৌথ বিবৃতিটি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে পাঁচটি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে কোনো পরিস্থিতিতে সব দেশে সকল মানুষের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করা।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘মৃত্যুদণ্ড গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ। এটি অপরাধকে প্রতিরোধ করে এমন কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ নেই। এটি অপরিবর্তনীয়-মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো গর্ভপাত বা ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা অপরিবর্তনীয় এবং অপূরণীয়।’
এতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড গভীরভাবে অন্যায্য, সংখ্যালঘু, নারী এবং বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী বা অর্থনৈতিক দুর্বলতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাব ফেলে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি দেশ ইতোমধ্যে আইন বা অনুশীলনে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাভারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে
শিয়া নেতার রাজনীতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা, বাগদাদে সংঘর্ষে নিহত ১৫
ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা রাজনীতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির রাজাধানী বাগদাদে তার সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা দড়ি দিয়ে সরকারি প্রাসাদের বাইরের সিমেন্টের বাধা টেনে নামিয়ে দেয় এবং প্রাসাদের গেট ভেঙ্গে ফেলে, যেখানে দেশটির বিভিন্ন সরকারি ভবন এবং কূটনৈতিক মিশন রয়েছে।
এ ঘটনায় ইরাকের সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রিসভার অধিবেশন স্থগিত করেছেন।
চিকিৎসা কর্মকর্তারা বলেছেন, দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস এবং সংঘর্ষে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
গ্রিন জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ বাহিনী বিভাগের অন্তত একজন সৈনিক নিহত হয়েছেন। একজন বেসামরিক নারীসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বেশ কয়েক রাউন্ড মর্টারের শব্দ শোনা গেছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, সংঘর্ষে মর্টার এবং রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরের সংসদীয় নির্বাচনে আল-সদরের দল সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয় বলে ইরাকের সরকার অচল অবস্থায় পড়ে। তারা ইরান-সমর্থিত শিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি এবং পরবর্তীতে আলোচনা থেকে প্রস্থান দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা দেখা দেয়।
ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যা শিয়া ও সুন্নি এই দুই দলে বিভক্ত। সাদ্দাম হোসেনের অধীনে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আগ্রাসন রাজনৈতিক শৃঙ্খলাকে উল্টে না দেয়া পর্যন্ত শিয়ারা নিপীড়িত ছিল। এখন শিয়ারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে, বিরোধ ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে কেন্দ্র করে তারা রাস্তায় প্রভাব বিস্তার করছে।
পড়ুন: বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু
পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
২ বছর আগে
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অভিযান পরিচালনার ছাড়পত্রের রিপোর্টে বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের উদ্বেগ
মিয়ানমারে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনগুলো রাখাইন এবং চিন রাজ্যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অভিযানের ছাড়পত্রের প্রতিবেদন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
৪ বছর আগে