বলাৎকার
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালামকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে আজিজুল উলম কওমী মাদরাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ে ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুস সালাম ওই মাসরাসার শিক্ষক এবং একই উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল গণি। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বেশ কিছুদিন আগে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গভীর রাতে মাদরাসার শৌচাগারের আশপাশ নিয়ে খারাপ কাজ করতো হুজুর। প্রায় ৭-৮ দিন আমাকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে এমন করেছে৷ সব শেষ ঈদুল আজহার উপলক্ষে মাদরাসা ছুটির আগে করেছে। পরে আমার বাবা-মাকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর ছেলে মাদরাসায় যেতে চাইছে না। পরে চাপ দিলে ছেলে ভয়ে সব কিছু খুলে বলে। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।’
এদিকে, ঘটনাটি জানার পর শনিবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা মাদরাসায় আসেন। বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালাম পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেন৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নেই।
এ বিষয়ে বেহালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোখলেচুর রহমান শিলন বলেন, ‘ঘটনাটি আসলেই নেক্কারজনক। এমন ঘটনার কঠিন বিচার হওয়া দরকার। আমি মনে করি এমন নেক্কারজনক ঘটনায় এমন একজন শিক্ষক লেবাসধারীর বিচার হলে কেউ এমন কাজ করার সাহস পাবে না।’
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
৪ মাস আগে
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিবেশী যুবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এরপর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বাবার মামলা দায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবক আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
পাশাপাশি বালৎকারের শিকার শিশুটিকে সোমবার দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন তারা। আবু সাঈদকে আদালতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
৯ মাস আগে
ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ফেনীতে এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গাড়ি চালককে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য হলেন মো. ইউনুস (৩৫)। এ ঘটনার পর তাকে বৃহস্পতিবার রাতে বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণী ও ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেন, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরের কাছে অবৈধ মালামাল আছে অজুহাতে তাকে আটক করে মো. ইউনুস। পরে একটি হোটেলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বলাৎকার করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সড়ক ডিভাইডারের কাজের সময় ট্রাকচাপায় ২ শ্রমিক নিহত
এরপর ২৪ ডিসেম্বর নির্জন স্থানে নিয়ে থানার গাড়িতে এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ মো. ইউনুস নতুন মোবাইল ফোন উপহার দেয়ার আশ্বাসে তার নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার বলাৎকার করে।
পরে এ বিষয়ে জানতে পেরে ওই কিশোরের মা বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘটনায় তদন্ত পূর্বক সত্যতা পেয়ে আসামি মো. ইউনুসকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
২ বছর আগে
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
খাগড়াছড়িতে এক মাদরাসা ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের দায়ে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু তাহের এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হাফেজ মো. নোমান মিয়া ওরফে রোমান (২২) দীঘিনালার ছোট মেরুং এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ছোট মেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদরাসায় হাফেজ মো. নোমান মিয়া ওই মাদরাসাছাত্রকে (১০) বলাৎকার করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার একই বছরের ২৩ আগস্ট দীঘিনালা থানায় মামলা করেন।
এরপর ২০১৮ সালের ২২ মে চার্জশিট গঠন করা হয়। মামলা চলাকালীন মোট ১২ জনের স্বাক্ষ্য প্রদান, যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিধান কানুনগো রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এমন রায় সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর সরকার এ নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার ইয়াছিন আরাফাত (৩৩) নীলফামারী জেলার গোরগ্রাম মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডুডুমারী হাফেজিয়া মাদরাসায় কর্মরত আছেন।
পুলিশ জানায়, ইয়াছিন আরাফাত গত ১১ মার্চ রাতে ১২ বছর বয়সী ওই মাদরাসার এক ছাত্রকে তার কক্ষে নিয়ে যায়। শেষ রাতের দিকে তাকে বলাৎকার করে। পরদিন ওই ছাত্র বাড়িতে চলে যায়। বাড়ি থেকে মাদরাসায় যেতে আপত্তি জানালে তার বাবা না যাওয়ার কারণ জানতে চায়। এসময় সে বিষয়টি বাবাকে জানায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ওই মাদরাসা শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত ওই শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে, শিক্ষক গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
বলাৎকারে বাধা দেয়ায় বিলের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয় খুলনার দিঘলিয়ার শিশু তামিম মোল্লাকে (৭)। তামিম হত্যাকান্ডের প্রায় ৯ মাস পর বুধবার আসামি ওবাইদুল্লাহ ওরফে ওবাই শেখ আদালতে তার জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় উপজেলার লাখোহাটি গ্রাম থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাকে আটক করে।
ওবাইদুল্লাহ জানায়, বলাৎকার করতে বাধা দেওয়ায় পানিতে চুবিয়ে তামিমকে হত্যা করা হয়। পরে তামিমের জামা-কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ বিলের মধ্যে ফেলে দেয়। খুলনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আসামি ওবাইদুল্লাহ ওই লাখোহাটি গ্রামের আসলাম শেখের ছেলে। অন্যদিকে শিশু তামিম একই গ্রামের তরিকুল মোল্লার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই খুলনার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে শিশু তামিম মোল্লা মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টায় তামিম ফিরে না আসায় তামিমের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করে। পরের দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি লাখোহাটি গ্রামের গোয়ালাবাদ বিলের ভেতর হাত পা বাঁধা অবস্থায় তামিমের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ডাকাতির সময় বৃদ্ধাকে হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় তামিমের মা জাহানারা বেগম কলি বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। দিঘলিয়া থানা পুলিশ ওই সময় দুই জনকে আটক করলেও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। থানা পুলিশের তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, পিবিআই দায়িত্ব পাওয়ার পর অনুসন্ধান চালিয়ে ওবায়দুল্লাহ ওরফে ওবাইকে গত ১৬ নভেম্বর আটক করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওবাইদুল্লাহ জানিয়েছে, ২৫ ফেব্রিুয়ারি বিকালে ওবাইদুল্লাহ ও শিশুরা স্কুল মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে একজন ঢিল ছুড়লে ওবাইদুল্লাহ তাকে ধরতে বিলের দিকে দৌঁড় দেয়। শিশু তামিমও তার পিছু পিছু যায়। সেখানে গিয়ে ওবাইদুল্লাহ শেখ তামিমকে বলৎকারের চেষ্টা চালায়। তামিম চিৎকার করলে ওবাইদুল্লাহ বিলের মধ্যে তামিমকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে লাশের মুখের মধ্যে কলাপাতা ঢুকিয়ে গায়ে থাকা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ডোবায় ফেলে দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ওবাইদুল্লাহ জানিয়েছে, এর আগে তিনটি ছাগলের সঙ্গে বলৎকার করে সেগুলো পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলেছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
পাঁচ তারকা হোটেলে খেতে গিয়ে ২০তলা থেকে লাফ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
২ বছর আগে
সিলেটে মাদরাসাছাত্রকে বলাৎকার, মুহতামিম আটক
সিলেটের বিয়ানীবাজার শহরের ফতেহপুর এলাকার হযরত হায়দর শাহ (রহ.) হাফিজিয়া মাদরাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার মুহতামিম (পরিচালক) হাফিজ আব্দুর রহিমকে (৫৫) আটক করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটকের পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে আটক ২
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিয়ানীবাজার বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের এক সদস্যের ছেলে হযরত হায়দর (রহ.) হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র, বয়স ১৫ বছর। সম্প্রতি ওই ছাত্র মাদরাসা যাওয়া বন্ধ করে দিলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলাৎকারের বিষয়টি বাবাকে জানায়। বিজিবির ওই সদস্য ৫২ ব্যাটলিয়নের দায়িত্বশীলদের ঘটনাটি অবহিত করলে বুধবার দুপুরে হাফিজ আব্দুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘটনার সত্যতা ও ভুক্তভোগী ছাত্রের মৌখিক জবানবন্দী নেয়ার পর রাত ৮টার দিকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন:নওগাঁয় বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার, পুত্রবধূ আটক
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, মাদরাসার মুহতামিমকে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নৌপুলিশের ওপর জেলেদের হামলা: আটক ৫
৩ বছর আগে
শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী ছেলে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইউনিয়নের নিউ চাষাড়া জামতলা এলাকায় গত রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ত্বোহা ইয়াসিনকে (১৪) সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
ত্বোহা ইয়াসিন জামতলার শরাফত আলীর ভাড়াটিয়া সাইফুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে তাকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, অভিযুক্ত ত্বোহা ইয়াসীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগী শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাদীর পাচঁ বছর ছয় মাস বয়সী ছেলে তাদের ভাড়া বাসার সামনে অবস্থান করছিল। তখন ত্বোহা তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসার ৭ম তলার সিড়ির ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোর করে বলাৎকার করে। এতে শিশুটি মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাসায় এসে মাকে জানালে তিনি প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় ছেলেকে নিয়ে দ্রুত শহরের জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যান। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসায় পাগল বানিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শিশুদের বলাৎকার
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রুবি গেইট এলাকার ১১ বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার টেংবাজার এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি বায়েজিদের বালিকার মোড় এলাকার পাক পাঞ্জাতন হেফজ খানার শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে।
বুধবার রাতে বায়েজিদ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: শাহ আলম ওই শিক্ষককে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: সাভারে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমি হতদরিদ্র একজন রিকশাচালক। ছেলেকে হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ দিয়ে হেফজখানায় ভর্তি করেছি। ঈদের পরে ছেলেকে হেফজখানায় দিয়ে আসি। দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদরাসার শিক্ষক আমার ছেলেকে ধর্ষণ করে আসছিল। বাড়িতে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে, আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে দিবে, এ জাতীয় হুমকি দিতো। বুধবার ঈদের ছুটি শেষে মাদরাসায় গেলে রাতে আবার নির্যাতনের শিকার হয় সে। সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে আমাদের সব খুলে বলে।’
আরও পড়ুন: আখ খেতে নিয়ে শিশু ধর্ষণ, বাগেরহাটে ২ কিশোর গ্রেপ্তার
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আটককৃত মাদ্রাসা শিক্ষক।
ওসি জানান, বর্তমানে শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
৩ বছর আগে
সাভারে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
সাভারে ধরেন্ডায় ছয় বছরের এক শিশু ধর্ষণ ও অপর ঘটনায় শিশু বলাৎকারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সমর রোজারিও ও আরিফুল ইসলাম
পুলিশ জানায়, সাভারের খ্রিস্টান পল্লী ধরেন্ডা এলাকায় ছয় বছরের ওই শিশু তার বা মার সাথে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। গত ১৫ এপ্রিল রাতে প্রতিবেশী সমর রোজারিও ওই শিশুটিকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটি বৃহস্পতিবার তার বাবা-মাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে অভিযুক্ত সমর রোজারিওকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: আখ খেতে নিয়ে শিশু ধর্ষণ, বাগেরহাটে ২ কিশোর গ্রেপ্তার
এদিকে, আটক ধর্ষণকারীর একটি প্লাস্টিকের দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের অভিযুক্তের দোকানে পোস্টার টাঙিয়ে দোকানের পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার জন্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
অন্যদিকে, সাভারের কাতলাপুর এলাকায় দশ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে আরিফুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তান করেছে পুলিশ। এঘটনায় বলাৎকারের শিকার শিশুটির বাবা সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গত চার দিনে সাভারের রাজাশন, ব্যাংক টাউন, হেমায়েতপুর ও বাইপাইল এলাকায় চার জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় চার ধর্ষণকারীকেই আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, দুটি ঘটনায় মামালা হয়েছে এবং গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
৩ বছর আগে