অনলাইন
অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
প্রযুক্তির উৎকর্ষে ঈদের কেনাকাটার জন্য প্রত্যেকে এখন অনলাইনমুখী হচ্ছেন। পরিবারের ছোট থেকে বড় প্রতিটি সদস্যের জন্য পছন্দনীয় ড্রেসটি ঘরে বসেই দেখা যাচ্ছে। কেননা কয়েক দশক ধরে প্রসিদ্ধ তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো এখন আর কেবল শো-রুমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল বিপণনের যুগে প্রত্যেকটিরই রয়েছে নিজস্ব অনলাইন স্টোর। চলুন দেখে নেওয়া যাক- ঈদকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় রেডিমেড গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঈদের অনলাইন কেনাকাটায় তৈরি পোশাকের ১০টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
.
আড়ং (Aarong)
১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আড়ং-এর পথ চলা। দেশীয় বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের এই সামাজিক উদ্যোগটি বর্তমানে একটি স্বনামধন্য পোশাক ব্র্যান্ড।
আসছে ঈদে পুরনো ঐতিহ্য বহাল রেখে আবারও দেশীয় সিল্কে সাজতে যাচ্ছে Aarong। হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারির বিশেষত্বে কারুকাজের প্রতিটি পরতে মিলবে উৎসবের আমেজ। তারই স্পষ্ট ছাপ রয়েছে পুরো ওয়েবসাইট জুড়ে।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
নতুন আয়োজনে মেয়েদের ক্যাটাগরিতে শোভা পাচ্ছে বর্ণীল সালোয়ার কামিজ। পুরুষদের সেকশনে রয়েছে পাঞ্জাবি ও কোটি। বাচ্চাদের পোশাকেও এম্ব্রয়ডারি, ও সিল্ক প্রিন্টের সরব উপস্থিতি।
পৃথক মেনুতে নজর কাঁড়ছে সাব-ব্র্যান্ড তাগা Taaga ও তাগা ম্যান (Taaga Man)-এর কালেকশন। প্রতিটি পণ্যের জন্য প্রদর্শিত হয় আলাদা ওয়েব পেজ। প্রতি পেজেই সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিবরণী থেকে তার মাপ জেনে নেওয়া যায়। অতঃপর সব ঠিকঠাক হলে ঘরে থেকেই সেরে ফেলা যায় অর্ডারের কাজ।
আড়ং-এর সেবা ছড়িয়ে আছে ঢাকার সর্বত্রে। উত্তরা, গুলশান, মগবাজার, ধানমন্ডি, বনানী, মিরপুর, ওয়ারি’তে রয়েছে প্রশস্ত শো-রুম।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.aarong.com
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
ইয়োলো (Yellow)
বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন এই পোশাক ব্র্যান্ডটির আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৪ সালে। দীর্ঘ এক দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে অফলাইনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনেও সমান জনপ্রিয়।
ওয়েবসাইটের সাবলীল ইন্টারফেসে প্রথমেই রয়েছে বসন্ত ও গ্রীষ্মের সমন্বয়ে ঈদ কালেকশন মেনু। তারপরেই পাওয়া যাবে নতুন সংযোজিত পণ্যসমূহ। অতঃপর একে একে পুরুষ, নারী, ও বাচ্চাদের ড্রেসের জন্য পৃথক ট্যাব। প্রত্যেকটি সেকশন আলাদা ওয়েব পেজে নিয়ে যেখানে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ড্রেস বাছাই করা যায়।
যথারীতি সর্বত্রে Yellow-এর ফরমাল ও ক্যাজুয়াল সমন্বয়ের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ছোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের পুরুষদের জন্য সাজানো আছে স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট ও জিন্স দিয়ে। অপরদিকে নারীদের জন্য সালোয়ার কামিজ, টপ্স ও বটম, কুর্তি, এমনকি শাড়িও আছে।
ঢাকাসহ সারা দেশব্যাপি ছড়িয়ে রয়েছে ইয়োলোর ডেলিভারি সেবা। ঢাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অবস্থিতি হলো বসুন্ধরা সিটি, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, বেইলি রোড, ওয়ারী ও মগবাজারে।
স্টোর লিঙ্ক: https://www.yellowclothing.net
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
এক্সট্যাসি (Ecstasy)
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত একটি ব্র্যান্ড এক্সট্যাসি। এর অনলাইন স্টোরে প্রবেশের পরপরই স্বাগত জানায় তানজিম স্কোয়াড। Ecstasy-এর অধীনে পুরুষদের হাল ফ্যাশনের সাব-ব্র্যান্ড এই ‘তানজিম’ (Tanjim)। একই ভাবে নারীদের জন্য রয়েছে ‘জারজাইন’ (Zarzain)।
দুটো ক্যাটাগরির ওয়েব পেজগুলোতেই রয়েছে রকমারি পোশাকগুলোকে দামসহ এক নজরে দেখার সুবিধা। তানজিমে চোখে পড়ে পিন্স্ট্রিপড শার্ট, স্কোয়াড টি-শার্ট, এবং ঈদের পাঞ্জাবি। অন্যদিকে, জারজাইনে কাফতান, শ্রাগ, ও টপ্স-এর প্রাধান্য বেশি।
রাজধানীতে এক্সট্যাসির মূল আউটলেটগুলো হলো যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, গুলশান এভিনিউ, ধানমন্ডি, উত্তরা ও ওয়ারি।
ওয়েব লিঙ্ক: https://ecstasybd.com/
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
সেইলার (Sailor)
এপিলিয়ন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেইলারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। বর্তমান সময়ে পোশাক-কেন্দ্রিক ই-কর্মাস সাইটগুলোতে দারুণ একটি সংযোজন এর ডিজিটাল স্টোরটি।
ট্রেন্ডি ও আরামদায়ক পোশাকগুলো এখানে নিজেদের পছন্দ মতো বেঁছে নিতে পারেন ক্রেতারা। স্পষ্ট ক্যাটাগরি বিভাজন থাকায় পুরুষ, নারী ও শিশুদের পোশাক সহজেই খুঁজে বের করা যায়। ছবি, পণ্যের বিবরণ ও ফিল্টারিং সুবিধা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
পুরুষদের সেকশনে ঈদের জন্য রয়েছে ফিউশন পাঞ্জাবি, যা ঐতিহ্য ও আধুনিক স্টাইলের অনন্য মিশ্রণ। পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্যও রাখা হয়েছে আরামপ্রদ এই পরিধেয়টি। নারীদের ক্যাটাগরিতে নজর কাঁড়ছে কুর্তি ও নিটেড টপ-বটম সেট।
Sailor সারা দেশ জুড়ে ড্রেস ডেলিভারি করে থাকে। ঢাকার মধ্যে এর প্রধান শাখাগুলো রয়েছে ওয়ারি, উত্তরা, ধানমন্ডি, আদাবর, মিরপুর, এবং খিলগাঁও-এ।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.sailor.clothing
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
লা রিভ (Le Reve)
রিভ টেক্স লিমিটেডের লা রিভ ব্র্যান্ডের গোড়াপত্তন হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে এটি দেশীয় ফ্যাশনে নিজস্ব স্বকীয়তা ও মানের জন্য সুপরিচিত। সমগ্র ঢাকা জুড়ে Le Reve-এর সরব উপস্থিতি বিদ্যমান। তন্মধ্যে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, ধানমন্ডি, ওয়ারী, মিরপুর, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর ও গুলশানের স্টোরগুলো প্রায় ক্রেতাদের সমাগম থাকে।
অফলাইনের মতো এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মটিও বেশ ইন্টারঅ্যাক্টিভ। বিভিন্ন বয়সের জন্য নির্ধারিত এদের সেরা ড্রেসগুলো সৃজনশীল শিরোনামে প্রদর্শিত হয়েছে হোমপেজ জুড়ে। ফলে প্রাসঙ্গিক মেনু বা ট্যাবগুলোতে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির খোঁজে।
নারীদের সালোয়ার কামিজ এবং পুরুষদের পাঞ্জাবির সমন্বয়ে সুবিন্যস্ত ঈদ কালেকশনে প্রমাণ মিলছে লা রিভের স্বকীয়তার। রেস্পন্সিভ ডিজাইনের ওয়েবসাইট হওয়ায় যে কোনও ডিভাইস থেকেই তা খুটিয়ে দেখে নিতে পারছেন ক্রেতারা।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.lerevecraze.com/
আরো পড়ুন: পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
কে ক্র্যাফ্ট (Kay Kraft)
ঐতিহ্য ও আধুনিক ফ্যাশনের সমন্বয়ে নান্দনিক বুনন শৈলীর এক অনন্য নাম কে ক্র্যাফ্ট। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নেয়নি। বর্তমানে ঢাকার ব্যস্ততম কেনাকাটার জায়গা মানেই Kay Kraft। এদের আউটলেট রয়েছে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, ওয়ারী, বসুন্ধরা, ও গুলশান-এ।
ব্র্যান্ডটির বিশেষত্ব হচ্ছে চক্ষু শীতল রঙের আভরণে অভিজাত ডিজাইন। এর সুবিন্যস্ত চিহ্ন ছড়িয়ে আছে ডিজিটাল শো-রুমের প্রদর্শনীতেও। পুরুষদের ড্রেসে কাট নির্ভর এক রঙা ফিটেড মাপ আর নারীদের ক্ষেত্রে রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্নের প্রাধান্য। একই বৈশিষ্ট্যের দেখা বাচ্চাদের পোশাকেও।
প্রতিটি ড্রেসের বিশদ পর্যালোচনার জন্য পুরো ওয়েব পেজ জুড়ে রয়েছে ধরণ, রঙ, ও পরিমাপসহ বিভিন্ন মাপকাঠি। সহজ ইন্টারফেস শপিং কার্ট থেকে চেকআউট পর্যন্ত ক্রেতাদের সাবলীল বিচরণ অব্যাহত রাখে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.kaykraft.com/
আরো পড়ুন: গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
রঙ বাংলাদেশ (Rang Bangladesh)
১৯৯৪ সালে খুব ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া রঙ এখন ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর মতো জনপ্রিয় দুটি ব্র্যান্ডের কর্ণধার। রাজধানী জুড়ে Rang Bangladesh-এর বর্ণীল অবস্থিতি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
প্রতি ঈদের মতো এবারেও প্রতিষ্ঠানটির নতুন সংগ্রহশালার মূল উপজীব্য দেশীয় রঙ ও আবহ। তারই উন্মুক্ত প্রতিফলন সমগ্র হোমপেজ জুড়ে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকলের জন্য বিশদ তথ্যে ভরপুর প্রতিটি ড্রেসের প্রদর্শনী। লিনেন, ভিসকস, জ্যাকার্ড কটন, বারফি, ও জর্জেট প্রতিটি ধরণ চোখের সামনে ভেসে উঠছে ভিন্ন রঙ ও পরিমাপ নিয়ে।
নিয়মিত বিপণীতে মুখর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত স্কয়ার, টোকিও স্কয়ার এবং ওয়ারি; প্রতিটিতেই রয়েছে রঙ বাংলাদেশের শো-রুম।
অনলাইন স্টোর: https://rang-bd.com/
আরো পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
অঞ্জন্স (Anjan’s)
দেশের ফ্যাশন হাউজের অন্যতম অগ্রপথিক অঞ্জন্স-এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতি উপলক্ষে তাদের নতুন কালেকশনে থাকে সমসাময়িক ঋতুর আবহ।
এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। চৈত্রের মধ্য দিয়ে বসন্তের পরিসমাপ্তি অতঃপর গ্রীষ্মের আগমন। ঋতুর এই পালাবদলের প্রতিমূর্তি যেন Anjan’s-এর ঈদ কালেকশন-২০২৫ ওয়েব পেজটি।
পরিধেয়ের সৌষ্ঠবে হাল্কা আরামপ্রদ ভাব রাখা হলেও মোটেই কারপণ্য করা হয়নি শৈলীর সৃজনশীলতায়। প্রদর্শনীতে দেওয়া পটভূমির সাথে মানানসই ছবিগুলো অকপটেই ঘোষণা করে যে ঠিক কোন পরিবেশে ক্রেতাকে কেমন দেখাবে।
ফিল্টারিং ও সার্চিং-এর সহজ ইন্টারফেসের সাথে এরা আরও যুক্ত করেছে একাধিক পণ্যের মধ্যে তুলনা করার ফিচার। তাই শপিং কার্ট থেকে চেকআউটের সময় সিদ্ধাহীনতার কোনও অবকাশ নেই।
ঢাকায় অঞ্জন্স-এর শাখা আছে উত্তরা, বেইলি রোড, মালিবাগ, বনানী, মিরপুর, ধানমন্ডি, এবং ওয়ারিতে।
ডিজিটাল স্টোর লিঙ্ক: https://www.anjans.com/
আরো পড়ুন: জেনে নিন কোন লিপস্টিক আপনাকে সবচেয়ে বেশি মানাবে
টুয়েল্ভ ক্লদিং (Twelve Clothing)
টিম গ্রুপের দ্বাদশ উদ্যোগ হিসেবে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হয় টুয়েল্ভ ক্লদিং। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত সময়ে নির্ভরতা অর্জন করা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে Twelve Clothing একটি।
এর ড্রেসগুলোর আসল বিশেষত্ব লুকিয়ে থাকে এর তৈরি প্রক্রিয়ায়। এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, ও কারচুপির অনবদ্য পরিস্ফুটন ঘটে প্রতি পোশাকে। যার প্রমাণ পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট পোশাকের ওয়েব পেজে প্রবেশ করলে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সাইটের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার। এর মাধ্যমে যে কোনও পোশাকের পেজে ঢুকে নিজের ছবি আপলোড করে ভার্চুয়াল ট্রায়াল দেওয়া যাবে।
এছাড়াও রয়েছে কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির তুলনামূলক যাচাইয়ের সুবিধা।
রাজধানী কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানটির শাখাগুলো হলো- বেইলি রোড, বনশ্রী, খিলগাঁও, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ওয়ারি, উত্তরা, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা, এবং গুলশান।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://twelvebd.com/
আরো পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
দেশাল (Deshal)
দেশীয় ঘরানা ও পদ্ধতির পোশাকশিল্পীদের একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। এমনই সুদূরপ্রসারি ভিশন নিয়ে ২০০৫ সালে শুরু হয় দেশাল-এর কার্যক্রম। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিব্যাপ্তি ঢাকার প্রতিটি ব্যস্ত এলাকায় লক্ষণীয়। এর মধ্যের রয়েছে বনানী, উত্তরা, বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি, শাহবাগ, বেইলি রোড, মোহাম্মদপুর, ও মিরপুর।
তৈরি পোশাক শিল্পের প্রথম সারির ই-কমার্স সাইটগুলোর মধ্যে Deshal একটি। দেশীয় সংস্কৃতির উদাত্ত বহিঃপ্রকাশের ছাপ মেলে সাইটের হোমপেজ থেকেই। অতঃপর প্রধান মেনুগুলোর মধ্যে শিশু, নারী, পুরুষ ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে একই সংস্কৃতির পরিচয়।
এবার আলাদা করে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ঈদ ২০২৫ ট্যাবটি। ক্রয়ের জন্য যাবতীয় তথ্যের পাশাপাশি প্রাঞ্জল বাংলা শিরোনাম বিকশিত করছে পোশাকের মানকে।
অর্ডার থেকে চেকআউট অব্দি নেই ঘন ঘন পেজ পরিবর্তনের বিড়ম্বনা। তাই সাবলীলতার দিক দিয়ে অন্যান্য সাইটগুলোর তুলনায় এখানকার অনলাইন শপিংটা একটু এগিয়ে।
সাইট লিঙ্ক: https://www.deshal.net/
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
পরিশিষ্ট
তৈরি পোশাকের এই ১০টি স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের অনলাইন স্টোরগুলো ক্রেতাদের কেনাকাটায় যুগান্তকারি প্রভাব ফেলছে। দীর্ঘ দিনের নির্ভরতার দৌলতে প্রিয় ব্যান্ডের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছেন প্রত্যেকে।
স্বতন্ত্র শৈলীর গুনমুগ্ধরা পুরনো ‘আড়ং’ ও ‘কে-ক্র্যাফ্ট’ তে দেখছেনই। সেই সাথে চোষে বেড়াচ্ছেন নতুন ‘রঙ বাংলাদেশ’ এবং ‘অঞ্জন্স’-এর স্টোরগুলোও। ডিজিটাল স্ক্রিনিং-এর যথাযোগ্য সদ্ব্যবহার করে নিজেদের বিশেষত্বগুলো মেলে ধরছে ‘এক্স্ট্যাসি’, ‘সেইলার’, ও ‘টুয়েল্ভ ক্লদিং’। পিছিয়ে নেই হাল ফ্যাশনের ‘ইয়োলো’, ‘লা রিভ’, এবং ‘দেশাল’ও।
সর্বপরি, এই অনলাইন ঈদ শপিং সামগ্রিকভাবে নতুন মাত্রা যোগ করছে ক্রেতাদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনধারণে।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
৪০ দিন আগে
অনলাইনে মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সারা দেশে অনলাইনে মামলা দায়ের করার সেবা চালু করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বর্তমানে, নিকটবর্তী থানায় যাওয়ার পরেই কেবল এফআইআর দায়ের করা যায়। পদ্ধতিটি জটিল এবং এতে অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: একুশের টান প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুলিশের উচিত ৯৯৯-এর মতো একটি নিবেদিত কল করার জন্য একটি নম্বর করা। যাতে অভিযোগকারীরা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এফআইআর দায়ের করতে পারেন।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনলাইনে এফআইআর দায়ের করার জন্য একটি নতুন ফোন নম্বর চালু করতে পুলিশ প্রধান বাহারুল আলমকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের নাগরিকদের মামলা করার সময় যে ঝামেলার মুখোমুখি হয় তা কমাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা অনলাইনে মামলা দায়েরের বিষয়ে যেকোনো তথ্য দেওয়ার জন্য একটি নিবেদিত কল সেন্টার স্থাপনের জন্য পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'যারা অনলাইনে মামলা করতে সমস্যার মুখোমুখি হবে- তারা সহজেই কল সেন্টারের সহায়তা নিতে পারবেন।’
৭৩ দিন আগে
সমন্বিত অনলাইন সত্যায়ন ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন
ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি (ইউএনবি)— চাকরি, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনে বিদেশ গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য সমন্বিত অনলাইন সত্যায়ন ব্যবস্থাপনা সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সনদ সত্যায়ন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর, সহজ ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে এই সেবার উদ্বোধন হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সেবাটি চালু করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন এই ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা নথি যাচাই ও অনুমোদনের প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করবে এবং দেশের বৈশ্বিক সংযোগকে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করেন।
তিনি এই প্রক্রিয়াটির সঙ্গে জড়িত সরকারের মন্ত্রণালয়সমূহ, বিশেষ করে আইসিটি বিভাগের তরুণ কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
এ সময় তিনি প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকদের তথ্যের নিরাপত্তার ব্যাপারেও সচেতন থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। দুজন সেবাপ্রার্থীর নিকট অনলাইনে সত্যায়িত সনদ হস্তান্তরের মাধ্যমে সমন্বিত অনলাইন সত্যায়ন ব্যবস্থাপনার শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তব্যে সমন্বিত অনলাইন সত্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে নথি সত্যায়নের প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ, সহজ ও সময় সাশ্রয়ী হবে বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি প্রক্রিয়াটির সঙ্গে জড়িত সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই সত্যায়ন ব্যবস্থাকে একটি ‘সংস্কার’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়া সেবাগ্রহীতাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আ.লীগকে বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগ) কাজী গোলাম তৌসিফ, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব এস এম এরশাদুল আলম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিচালক (ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগ) মো. ওমর ফারুখ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
তারা সকলেই এই অনলাইন সত্যায়ন কার্যক্রম চালুর জন্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর, বিশেষত পররাষ্ট্র মন্ত্রয়ালয় ও এটুআই-এর অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এই সেবা চালুর ফলে বিদেশগামী বাংলাদেশি নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি সুলভ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
৭৭ দিন আগে
বিবাহ কর বাতিল, ডকুমেন্ট সত্যায়ন এখন অনলাইনে
বিয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত কর বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এছাড়া সত্যায়ন প্রক্রিয়া এখন থেকে অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিবাহ সম্পাদনে আরোপিত একটা কর ছিল। মন্ত্রণালয় এই অযৌক্তি কর আরোপকে বাতিল করেছে।’
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
বিয়ের কর বাতিলের সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর হবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিয়ের ট্যাক্সে আজকে সাইন করলাম। আপনি ট্যাক্স ছাড়া বিয়ে করতে পারবেন।’
আসিফ নজরুল বলেন, “এছাড়া বিয়ের ফরমে লেখা থাকত—বিবাহিতা নাকি কুমারী। এটা একটা মেয়ের জন্য অমার্যাদাকর শব্দ। সেটা আমরা (পরিবর্তন করে) ‘অবিবাহিতা’ করে ফেলেছি। এমন ছোটো ছোটো অনেক কাজ করেছি। আরও অনেক কাজ করার চিন্তা আছে।”
ডকুমেন্ট সত্যায়ন প্রক্রিয়া
আসিফ নজরুল বলেন, ‘৩৬ ধরনের ডকুমেন্ট সত্যয়ন করে আইন মন্ত্রণালয়। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে এই সত্যায়ন প্রক্রিয়াকে অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। তাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সত্যায়ন করার জন্য জনগণকে আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না।’
‘আমি শুনেছি, আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে দীর্ঘ লাইন থাকত সত্যায়ন করার জন্য। বর্তমান পদ্ধতিতে দুই-একদিনের মধ্যেই ঘরে বসে কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে সত্যায়নের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশি দূতাবাসে সার্ভিস ফি দিয়ে সত্যায়ন করা লাগছে না। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এতে বছরে জনগণের ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা বেঁচে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে ঐকমত্য সব দল: আসিফ নজরুল
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির আরও কিছু এরিয়া (জায়গা) চিহ্নিত করেছি। ১৫ থেকে ২০টি এরিয়া ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সমস্ত আইনগত সংস্কার আগামী ছয় মাসের মধ্যে করব। আমাদের যে প্রত্যাশা, সেই অনুসারে সবগুলো সংস্কার করে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগ সংস্থার কমিশন করা হয়েছে। তাদের সাহায্য নিয়ে আমরা এ কাজগুলো করার চেষ্টা করছি, যাতে একটা সমন্বয় থাকে।’
৮৫ দিন আগে
দিল্লি দূষণ: দশম, দ্বাদশ ছাড়া সব শ্রেণির ক্লাস চলবে অনলাইনে
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় সোমবার থেকে দিল্লি এনসিআরে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি) স্টেজ ৪ জারি করেছে। দিল্লির বায়ুর গুণগত মান সূচক (একিউআই) ‘অত্যন্ত গুরুতর’ ক্যাটাগরিতে নেমে এসেছে।
রবিবার বিকেল ৪টার দিকে দিল্লির একিউআই স্কোর দ্রুত বেড়ে ৪৪১ এবং সন্ধ্যা ৭টায় তা বেড়ে ৪৫৭ হয়ে যায়। এরপর জিআরএপি উপকমিটির জরুরি বৈঠকে স্টেজ-৪ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জিআরএপির স্টেজ-৪ এর পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে দিল্লিতে প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহকারী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো ট্রাক প্রবেশ বন্ধ করা এবং নির্মাণ ও উচ্ছেদ অভিযান নিষিদ্ধ করা।
এদিকে, দূষণের কথা বিবেচনা করে দিল্লি সরকার দশম ও দ্বাদশ ছাড়া অন্য সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ দিয়েছে। স্কুলের প্রধানদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এসব শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত অনলাইন মোডে ক্লাস করবে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শারীরিক ক্লাস আগের মতো চলতে থাকবে।
রাজু লাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার দুই সন্তান এখানে পড়ে, একজন নবম শ্রেণিতে এবং অন্যজন দশম শ্রেণিতে। আমি দশম শ্রেণিতে পড়া সন্তানকে দিয়েছি স্কুলে দিলাম। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটির অনলাইন ক্লাস। দূষণ শিশুদের বেশি প্রভাবিত করে।’
বাতাসের গুণমান ক্রমাগত খারাপ হতে থাকায় গুরুগ্রাম শহরে ধোঁয়াশার পুরু আস্তরণ তৈরি হয়েছে।
এছাড়া হরিয়ানার নুহ প্রশাসন সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগুলোতে ছুটি ঘোষণা করেছে।
নুহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসের নির্দেশ অনুসারে, হরিয়ানার নুহ জেলার সবি সরকারি, আধা-সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রশাসন সব ব্লক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তাদের নিজস্ব ব্লকে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে।
১৫০ দিন আগে
অনলাইনে কর দিতে ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন করেছেন: এনবিআর
স্বেচ্ছায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালের ই-রিটার্ন অপশন ব্যবহার করে প্রায় ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে।
নির্বিঘ্নে রিটার্ন দাখিল ও ঝামেলামুক্ত সেবার জন্য সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।
২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও পরিশোধের সুবিধার্থে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করেছে।
স্বতন্ত্র করদাতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd ব্যবহার করে সহজেই এবং দ্রুত অনলাইনে তাদের রিটার্ন প্রস্তুত এবং দাখিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে করদাতারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড), মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা, রসিদ, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদের সুবিধা পেতে পারেন।
যে কেউ পূর্ববর্তী বছরের জন্য দাখিল করা ই-রিটার্নটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা করার জন্য একটি কল সেন্টার চালু করেছে।
করদাতারা অফিস চলাকালীন সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১৭১ ৭১ নম্বরে কল করে ই-রিটার্ন সংক্রান্ত প্রশ্নের তাৎক্ষণিক টেলিফোন সমাধান নিতে পারবেন।
ইতোমধ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের দুইজন আইটি দক্ষ প্রতিনিধির টিওটি প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা www.etaxnbr.gov.bd ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে পারবেন, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করা হচ্ছে।
এছাড়াও অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবপেজ (www.nbr.gov.bd), ইউটিউব চ্যানেল www.youtube.com/@nbr.bangladesh এবং ফেসবুক পেজে www.facebook.com/nbr.bangladesh পাওয়া যাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই ই-রিটার্ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া করদাতাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ই-রিটার্নে সফল নিবন্ধনের জন্য করদাতার নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত বায়োমেট্রিক সিম প্রয়োজন হয়।
করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত কিনা *১৬০০১# ডায়াল করে তা জানা যায়।
যাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিম নেই তারা নতুন সিম সংগ্রহ করে এর মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা বিশেষ আদেশে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের আওতাধীন সকল সরকারি কর্মচারী, সকল তফসিলি ব্যাংক, সকল মোবাইল টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন এই পেজের (www.etaxnbr.gov.bd) মাধ্যমে। তাদের জন্য (ই-রিটার্ন) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ই-রিটার্ন ব্যবস্থাকে করদাতাবান্ধব করে তুলতে নিবন্ধন ব্যবস্থার হালনাগাদ করাসহ www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে ডাটা অটোমেশনে ঝুঁকছে এনবিআর
১৬২ দিন আগে
সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের একাংশের অনলাইনে কর দাখিল বাধ্যতামূলক
ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং বেসরকারি খাতের আয়কর সার্কেলের আওতাধীন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন (ই-রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সব তফসিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানি যথাক্রমে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও পরিশোধ পদ্ধতি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। স্বতন্ত্র করদাতারা সহজেই তাদের রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd ব্যবহার করে অনলাইনে দাখিল করতে পারেন।
এ পদ্ধতিতে করদাতারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, রশিদ, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদের কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা পেতে পারেন। এ ছাড়া যে কেউ আগের বছরের জন্য দাখিল করা ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্টও করতে পারবেন।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা দিতে কল সেন্টার স্থাপন করেছে এনবিআর। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে ফোন করে ই-রিটার্ন প্রশ্নের তাৎক্ষণিক সমাধান পাচ্ছেন করদাতারা।
এছাড়া ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান লিখিতভাবে www.etaxnbr.gov.bd ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকে পেতে পারেন করদাতারা।
ই-রিটার্ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে ইতোমধ্যেই করদাতাবান্ধব করে তোলা হয়েছে। ই-রিটার্নে সফল নিবন্ধনের জন্য প্রত্যেক করদাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নিবন্ধিত একটি বায়োমেট্রিক সিম প্রয়োজন।
করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত কিনা *১৬০০১# ডায়াল করে তা যাচাই করা যাবে।
যাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিম নেই তারা নতুন সিম সংগ্রহ করে এর মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালের ই-রিটার্ন অপশন ব্যবহার করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১ লাখ (এক লাখ) ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করতে পারে এনবিআর সংস্কার পরামর্শক কমিটি
১৭৬ দিন আগে
অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনলাইন জুয়ার সঙ্গে দেশের ৫০ লাখ মানুষ জড়িত বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'অনলাইন জুয়া নিয়ে আমরা মত বিনিময় করেছি। এটাতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আমাদের বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা। এমনকি অনেক বয়স্ক ও অবসরপ্রাপ্তও এর মধ্যে আসছেন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি ৫০ লাখ মানুষ কীভাবে যেন এই অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোকে ব্লক করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি একটা সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যাতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কোনো প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত না হন। আমাদের দেশের মুদ্রা যাতে বিদেশে পাচার না হয়। একটা সচেতনতা আর একটা প্রযুক্তিগত প্রয়োগ, পাশাপাশি কঠোর আইনের প্রয়োগ।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মোট ২ হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট ব্লক করেছি। এখন আমরা মোবাইল অ্যাপগুলো প্রতিনিয়ত ব্লক করছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া।'
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, 'সেটা নিয়ে আমরা যৌথভাবে বসে ছিলাম ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি ও সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি- সবাইকে নিয়ে। যার যতটুকু সক্ষমতা আছে পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স, সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা ড্রাইভ দিচ্ছি।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা অবিরাম এটা আমরা ব্লক করতে থাকব। মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোর্সে আমরা যেটা পাচ্ছি, সেটা ব্লক করার চেষ্টা করছি।'
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
২৯৭ দিন আগে
তাপপ্রবাহে বাকৃবিতে ক্লাস অনলাইনে, পরীক্ষা সশরীরে
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ শারীরিক সমস্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কর্তৃপক্ষ।
এসময় তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলোতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাকৃবি: একজনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদীয় সভাকক্ষে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিন কাউন্সিরের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার।
ড. ছাজেদা আখতার বলেন, প্রবহমান তীব্র্র তাপদাহের (হিটওয়েভ) কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষা চলমান রেখে শুধু ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে ডিন কাউন্সিল সদস্যরা। তবে সব পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কথা বিবেচনা করে ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল প্রতিদিনের ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি পরিস্থিতির অবনতি হয় অর্থাৎ এই তাপপ্রবাহ চলমান থাকে সেক্ষেত্রে প্রশাসন এই কার্যক্রমকে আরও বর্ধিত করবে। অন্যথায় ক্লাস আবারও পূর্বের ন্যায় সশরীরে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে গবাদিপশুর নির্ভুল রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি অধ্যাপকের
বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
৩৫৯ দিন আগে
ঈদে ঘরে ফিরতে অনলাইনে প্লেন, বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটার উপায়
প্রসঙ্গ যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের, তখন প্রথমেই আসে জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধাগুলোর কার্যকারিতার কথা। এখানে হাজারও প্রতিবন্ধকতার মাঝে উন্নয়নের মুখ দেখতে শুরু করেছে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা। দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসেই টিকেট কাটতে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলছে ঈদের সময়ের চরম দুর্ভোগ থেকে। তাছাড়া দেশের পর্যটন ও পরিবহন খাতে তথ্য-প্রযুক্তির যে সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে, এটি তারও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চলুন, প্লেন, বাস, ও ট্রেনের ই-টিকেট করার ১০টি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
প্লেন, বাস, ও ট্রেনের টিকেট কাটার কয়েকটি অনলাইন পরিষেবা
বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস ২০১২ সালের ২৯ মে চালু হয় ঘরে বসে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা। বিভিন্ন ব্যাংক বা এমএফএস (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস)-এর বদৌলতে দিন দিন আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে এই সরকারি পরিষেবা।
eticket.railway.gov.bd ওয়েব ঠিকানায় যেয়ে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে থেকে টিকিট কাটা যায়। এখানে প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নাম্বার। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব অ্যাপ ‘রেল সেবা’ আরও এক ধাপ উন্নত করেছে বিআরআইটিএস (বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেম) ব্যবস্থাকে।
যারা ট্রেনে যেতে চান, তারা এক লেনদেনে সর্বোচ্চ মোট ৪টি টিকিট কিনতে পারেন। প্রতিদিন লেনদেন করা যায় সর্বোচ্চ ২টি; অর্থাৎ একজন যাত্রী এক দিনে সর্বোচ্চ ৮টি টিকিট কাটতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
তবে এই ঈদে ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত শুধুমাত্র ১টি লেনদেন করা যাবে। ফলে সর্বোচ্চ ৪টি সিট পাওয়ার উপায় থাকছে। এই নিয়ম ফেরার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যা নির্ধারিত থাকবে ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
২০১০ সালে অনলাইন বিমান টিকেট বুকিং সুবিধা যুক্ত হয় বিমান বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য। ২০১৯-এ অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি হয় বিমান অ্যাপ। আসন্ন ঈদে biman-airlines.com ও বিমান অ্যাপ থেকে টিকেট ক্রয়কারীদের জন্য নতুন সুযোগ রয়েছে। টিকেট ক্রয়ের সময় BGDEAL24 প্রোমোকোড ব্যবহার করে যাত্রীরা নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
বিমান বাংলাদেশ অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকেট ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিমান স্মার্ট কল সেন্টার নাম্বার ১৩৬৩৬। এটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
আরও পড়ুন: সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
সহজ
মূলত বাসের টিকেটের জন্য জনপ্রিয়তা পেলেও সহজ বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি টিকেট বিক্রয়ের রেকর্ড রয়েছে। ট্রেনের টিকিটগুলো বিআরআইটিএস ইস্যু করলেও সামগ্রিক কারিগরি বিষয়গুলো দেখাশোনা করে সহজ-সাইনেসিস-ভিন্সেন জেভি সিস্টেম।
মালিহা এম কাদির ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সহজ। shohoz.com ওয়েবসাইটটি দেশের প্রায় সব পরিবহন প্রতিষ্ঠান, তাদের স্ব স্ব যাত্রাপথ, ও ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যের এক বিশাল সংগ্রহশালা। বাস-ট্রেনের পাশাপাশি এখানে লঞ্চ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ প্লেনের টিকেটও পাওয়া যায়।
যে কোনও পরিবহনে যাত্রা পরিবর্তন বা বাতিলকরণে তাদের গ্রাহক সেবা নাম্বার ১৬৩৭৪ সার্বক্ষণিক উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
বাসবিডি এবং বিডিটিকেটস
রবি আজিয়াটার টিকেটিং পোর্টাল বাসবিডি ও বিডিটিকেটস বাসের টিকেট সংগ্রহের জন্য আরও দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাসবিডির সাইট busbd.com.bd ২০১৩ সালে এবং বিডিটিকেটসের সাইট bdtickets.com ২০১৫ সালে চালু হয়। বর্তমানে অবশ্য বাসবিডি new.busbd.com.bd ওয়েব ঠিকানার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে তাদের মোবাইল অ্যাপ একটি; বিডিটিকেটস, যার অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই সংস্করণই আছে।
ওয়েবসাইটে যাত্রীর নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে অথবা অ্যাপ থেকে যাত্রা সময় পরিবর্তন বা বাতিল সবই করা যায়। এ ক্ষেত্রে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রয়েছে হটলাইন নাম্বার ১৬৪৬০। বাসের টিকেটগুলো অনলাইনে বুকিং দেওয়া গেলেও প্লেন বা লঞ্চের টিকেটের জন্য এই নাম্বারে ফোন দিয়ে বুকিং দিতে হয়।
অবশ্য ঈদের সময়টা একদম ভিন্ন। এ সময় কোনও টিকিট বাতিল বা যাত্রার সময় পরিবর্তনের উপায় নেই। আগামী ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
যাত্রী
বাস ট্র্যাকিং-এর অনন্য সুবিধা যাত্রী নামক এই টিকিটিং প্ল্যাটফর্মকে আলাদা করেছে অন্যান্য পরিবহন পরিষেবাগুলো থেকে। বাসের বর্তমান অবস্থান দেখে কখন সেটি স্ট্যান্ডে পৌঁছাবে তার একটা ধারণা লাভ করতে পারেন যাত্রীরা।
২০১৯ সাল থেকে চালু হওয়া infojatri.co ওয়েবসাইটটি এভাবেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে যাত্রীদের।
টিকিট বাতিল বা যাত্রার সময় পরিবর্তনের জন্য যোগাযোগের নাম্বার ০৯৬৪২০৮০৮০৮। সঙ্গত কারণে ফেরতযোগ্য অর্থ যাত্রীকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দিয়ে থাকে। অবশ্য ঈদের সময়ের ক্ষেত্রে রিফান্ড তখনই করা হয়, যখন স্বয়ং পরিবহন প্রতিষ্ঠান ট্রিপ বাতিল করে এবং বিকল্প কোনও ট্রিপের ব্যবস্থা করে দিতে না পারে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
পরিবহন
দেশের অন্যান্য পরিবহন সেবার সঙ্গে এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টার্ফেস) ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে paribahan.com ওয়েবসাইটটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সেবা প্রদান করতে পারে। ফলে শুধু বাসেরই নয়, লঞ্চ ও প্লেনের টিকেটেরও ব্যবস্থা করতে পারে পরিবহন। এছাড়া টিকেট নিশ্চিতকরণে সার্বক্ষণিক সচল থাকে হটলাইন নাম্বার ০৯৬১৩৫৫৫০০০। সেই সঙ্গে রয়েছে দেশের প্রায় সবগুলো পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুবিধা।
অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবার ন্যায় পরিবহনেও ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত টিকেটের কোনও পরিবর্তন বা বাতিল গ্রহণযোগ্য নয়।
চক্রযান
মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন চক্রযান। Chokrojan.com ওয়েবসাইটে রয়েছে ব্যবহারকারীদের জন্য স্বতন্ত্র অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনার সুযোগ। ফলে নিজ প্রোফাইল থেকেই যাত্রীরা টিকেটের পরিবর্তন সম্পর্কে আবেদন রাখতে পারেন। চক্রযানের শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ আছে। এই অ্যাপ আর হটলাইন নাম্বার ০১৭৯৯০০৫৭৪৭-এ যোগাযোগের মাধ্যমেও টিকেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের আবেদন রাখা যায়। তবে এই সুযোগটি ঈদের মৌসুমে থাকে না।
আরও পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
শেয়ার ট্রিপ
২০১৩ সালে ট্রাভেল বুকিং বিডি নামক ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্লেনের টিকেট ব্যবসায়ে অসামান্য সাড়া পান কাশেফ রহমান। এই ট্রাভেল বুকিং বিডি পরবর্তীতে ফুলে ফেপে ২০১৪ সালে শেয়ার ট্রিপ-এর জন্ম দেয়। এটিই বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন বিমান টিকেটিং সিস্টেম, যেটি শুরু থেকে ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল দুই ফ্লাইট-ই পরিচালনা করে আসছে।
শেয়ার ট্রিপের অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপেল দুই প্ল্যাটফর্মের জন্যই মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। এমনকি sharetrip.net ওয়েবসাইট ও অ্যাপ দুটোই ফ্লাইটগুলোর বর্তমান সময় ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে। অর্থ পরিশোধের পর কর্মদিবসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুকৃত ই-টিকিট ইমেইলের মাধ্যমে যাত্রীকে পাঠানো হয়। তবে ছুটি ও সপ্তাহাহের শেষ দিনগুলোতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
ফ্লাইট বাতিল বা তারিখ পরিবর্তনের জন্য অ্যাপ বা ওয়েব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদন রাখা যেতে পারে। এছাড়া সরাসরি কল করা যেতে পারে গ্রাহক সেবা নাম্বার ০৯৬১৭৬১৭৬১৭ বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ০১৯৫৮৩৯১১৬৪-এ।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
গোজায়ান
২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া রিদওয়ান হাফিজের গোজায়ান বাংলাদেশের পথিকৃৎ ওটিএ’র (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি) মধ্যে অন্যতম। আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্লেন ভ্রমণের পাশাপাশি এটি পর্যটন শিল্পেও ইতোমধ্যে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সঙ্গে নিয়ে gozayaan.com সাইটটি বিমান ভ্রমণে উৎসুক শ্রেণীর এক বিরাট অংশের চাহিদা পূরণ করছে।
টিকেট ও ট্রিপ সংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে সব সময় তাদের মেসেঞ্জার গ্রাহকদের সেবায় নিয়োজিত আছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রয়েছে হটলাইন নাম্বার ০৯৬৭৮৩৩২২১১।
ফ্লাইট এক্সপার্ট
স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানি ‘মক্কা গ্রুপ’-এর একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ অবস্থাতেই ছিল তাদের ট্রাভেল এজেন্সিটি। কিন্তু ২০১৭ সালের ১ মার্চ সালমান বিন রশিদ শাহ সাঈম পুরোদস্তুর কার্যকর এক টিকেটিং সিস্টেমে রূপ দেন। অতঃপর ২০২২-এর ৯ জুলাই flightexpert.com ওয়েব ঠিকানায় আত্মপ্রকাশ করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। ওয়েবসাইটটি মোবাইল-বান্ধব হলেও এর রয়েছে স্বতন্ত্র অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল অ্যাপ।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
ওয়বসাইটের ‘বুক ন্যাউ (পে লেটার)’ ফিচারটি ফ্লাইট এক্সপার্টকে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে সমসাময়িক এজেন্সিগুলোর থেকে। এর মাধ্যমে বুকিং আবেদন গ্রহণ করে কোনও পেমেন্ট ছাড়াই যাত্রীর জন্য সীটটি বুক করে রাখা হয়। এভাবে বুকিং করা টিকেটের অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা রাখা হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীর কাছে এলার্ট চলে যায় টিকেটটি কেনার জন্য।
অর্থ পরিশোধের পর এয়ারলাইন্স থেকে টিকেট ইস্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকেটের পিডিএফ ফাইল যাত্রীকে ইমেইল করা হয়।
শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কল সেন্টার নাম্বার ০৯৬১৭১১১৮৮৮ চালু থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর বাকি দিনগুলোতে এই নাম্বারে যোগাযোগ করা যায় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
বাইটিকেটস
ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারস্প্যান লিমিটেড-এর একটি সহযোগী উদ্যোগ হিসেবে ২০১৮-এর ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাইটিকেটসের কার্যক্রম। সেই থেকে buytickets.com.bd সাইটটি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সব রকম বিমান টিকেটিং পরিষেবা দিয়ে আসছে। অন্যান্য ওটিএগুলোর মত এটিও ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে যাত্রীদের ই-টিকেট সরবরাহ করে থাকে।
যাত্রা ও টিকেট মূল্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য সরাসরি তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ০১৭৩০০২৪৪৮৭-এ যোগাযোগ করা যেতে পারে।
শেষাংশ
অনলাইনে প্লেন, বাস, ও ট্রেনের টিকেট কাটার এই ১০টি মাধ্যম সার্বিক দিক থেকে ঈদে রাজধানীমুখী মানুষের জন্য উপযুক্ত উপায়। যেখানে ট্রেন ব্যবহারকারী বিশাল শ্রেণীর জন্য এককভাবে নিবেদিত রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস। বাসযাত্রীদের চাহিদা মেটাতে রয়েছে সহজ, বাসবিডি, বিডিটিকেটস, যাত্রী, পরিবহন, এবং চক্রযান। আর যারা প্লেনে আসতে চান, বিমান বাংলাদেশ, শেয়ার ট্রিপ, গোজায়ান, ফ্লাইট এক্সপার্ট, এবং বাইটিকেটস তাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট হতে পারে। উপরন্তু, কাগুজে টিকেটের সুবিধাজনক বিকল্প হলেও ভ্রমণের পূর্বে ই-টিকেট প্রিন্ট করে নেওয়াটাই উত্তম।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
৩৮১ দিন আগে