অনলাইন
অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের
অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করল জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু করেছে। বিমানের যেসব যাত্রী অনলাইন (বিমান ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস)-এর মাধ্যমে টিকেট কিনবেন, তারা অনলাইনেই ভ্রমণতারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, যাত্রীরা টিকেট কেনার সময়ে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট কার্ডটি অথবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে বিমানের ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে তাদের ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন।
বিমানের ওয়েবসাইটে www.biman-airlines.com বুক ফ্লাইট অপশনের মধ্যে ম্যানেজ মাই ট্রিপ অপশনে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার মাধ্যমে সহজেই ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বিমান
এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জার্সি অনলাইনে কোথায় পাবেন
গ্যালারিতে অথবা টিভি স্ক্রিনের সামনে বসে খেলা দেখার আনন্দটা যেন বহুগুণে বেড়ে যায়, যদি গায়ে থাকে প্রিয় দলের জার্সি। ফুটবল খেলা দেখার সঙ্গে জার্সি পড়াটা যেন রীতিমত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। এবারের বিশ্বকাপ জ্বরে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে কেনা যাবে। খেলা মাঠে গড়াবার আগেই তাই চলছে প্রিয় দলের জার্সি সংগ্রহের তোড়জোড়। চলুন, দেখে নেয়া যাক অনলাইনে কোথায় কোথায় বিক্রি হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ জার্সি।
অনলাইনে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি কেনার ১০টি সাইট
দারাজ
দেশের স্বনামধন্য এই ই-কমার্স সাইটটি এবারের বিশ্বকাপের প্রতিটি দলের জন্য অফিসিয়াল বিশ্বকাপ জার্সি বিক্রি করছে। সফ্ট প্রথম শ্রেণীর ফ্যাব্রিকগুলো থেকে শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের যে কোনটি বাছাই করে নেয়ার সুযোগ তো আছেই। সেই সঙ্গে আছে পছন্দের জার্সিটি বাছাইয়ের মুহুর্তে ওয়েবসাইট থেকে ছবি ও বিস্তারিত যাচাই করার স্বাধীনতা। উচ্চ চাহিদার কারণে স্বভাবতই দ্রুত স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয় রয়েছে। দেশব্যপি কার্যক্রম থাকার কারণে দূরত্বের ভিত্তিতে পণ্য পেতে বিলম্ব হওয়ার ঝামেলা নেই। ডিলার ও আকারের উপর ভিত্তি করে জার্সির মূল্য মানে উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিদ্যমান। ক্রেতাদেরকে ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধের পরিকল্পনা রাখতে হবে।
ফেব্রিলাইফ
একজন ভক্ত হিসেবে প্রিয় দলটির সর্বোচ্চ মানের জার্সিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় নির্ভর করা যায় ফেব্রিলাইফের ওপর। এরা রীতিমত পুরো ফুটবল কম্বো সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে, যেখানে জার্সির সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন কিট। তাই বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ফুটবল ইভেন্টটিকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ধরে রাখতে চাইছেন যারা, তারা অনায়াসেই এই কিটগুলোর মালিকানা নিতে পারেন। বিশ্বকাপের পরের বছরেও কোন এক ভোরে বা সন্ধ্যায় এই জার্সি ও কিটগুলো শারীরিক অনুশীলনের সঙ্গী হতে পারবে। কাপড়ের গুণাগুণ নিয়ে কোন আপস নেই। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই অন্যান্য কস্টিউমের মধ্যে এই জার্সিকেই সবার উপরে রাখা যায়। অর্থাৎ এ কথা অকুন্ঠচিত্তে স্বীকার করা যায় যে, ১২৯০ থেকে ১৩৯০ টাকার পণ্যগুলো বেশ ন্যায়সঙ্গত হবে।
ডেলিভারি হবে
মানসম্পন্ন জার্সি বিক্রির তালিকায় অল্প সময়েই নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই ইকমার্স সাইটটি। নকশার আসল-নকল নিয়ে চিন্তার কোন অবকাশ নেই। এদের সফ্ট পলিয়েস্টার ফ্যাব্রিকে এয়ার-কুলিং-এর হিট এ্যান্ড ড্রাই প্রযুক্তির স্পষ্ট প্রতিফলন পাওয়া যায়।
পছন্দ মত ডাবল এক্সেল থেকে শুরু করে শর্ট পর্যন্ত আকারগুলো ত্বকের ভিন্নতা উপেক্ষা করে ঠান্ডা ও আরামদায়ক অনুভূতির পরশ দিবে। ২৭ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ১৮ ইঞ্চি প্রস্থ থেকে শুরু হওয়া ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারে ১০০০ থেকে ১৪৫০ টাকা পর্যন্ত এর দামগুলো ন্যায্যতা পেয়েছে। তবে এখানে জার্সিগুলো কেবল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সের মত শীর্ষস্থানীয় দলগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকছে।
নেইম্যাট
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু করা এই শোরুমটি অনলাইনেও তাদের বিশাল এক গ্রাহক গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছে। এবারের ফিফা কিটে এদের মিডিয়াম-থ্রি-এক্সেল বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পলিয়েস্টারের জার্সিগুলো অর্ডার করতে তাদের ফেসবুক বিজনেস পেজের ইনবক্স পর্যন্ত যাওয়াটাই যথেষ্ট। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতকৃত দেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নকশা এমব্রয়ডারির মাধ্যমে সুচারুরূপে বসানো আছে জার্সিতে। ঘরে বসেই ট্রায়াল দেয়ার অনুভূতি পেতে ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকার জার্সির ভিডিও রিভিউগুলো সেরা হতে পারে। সেখানে পণ্যের আকারগুলো কাপড়েরর গুণাগুণ ও ব্যবহার সহ খুব পরিণত ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। অন্যান্য জায়ান্ট ই-কমার্স সাইটগুলোর অভিজাত সারিতে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বেশ আয়োজন করে এগিয়ে যাচ্ছে নেইম্যাট।
জার্সি.নেট.বিডি
হাজারো পণ্যের ভেতর থেকে পছন্দের জার্সি খুঁজে নেয়ার ঝামেলা এড়াতে হলে আসতে হবে জার্সি.নেট.বিডির কাছে। শুধুমাত্র জার্সিকে কেন্দ্র করেই পুরো এক নিবেদিত অনলাইন শপিং সাইট হিসেবে এটিকে তৈরি করা হয়েছে। আমদানিকৃত মালামালের অরিজিনালিটি স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে এগুলোর ১০০ ভাগ পলিয়েস্টারের কাজ দেখে। শর্ট, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল এবং ডাবল এক্সেলের এর মত বাহারি আকারের জার্সি তো থাকছেই। পাশাপাশি এগুলোর উজ্জ্বলতা ক্রেতাদেরকে এদের নিপুণ কারুকাজের কথা জানান দেয়। ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার জার্সিগুলোকে মসৃণ ভাবে পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অধিকাংশ জার্সিতেই শার্টের মত হাতা, কিন্তু এগুলোর কোনটিতেই মসৃণতা ঘাটতি নেই।
জার্সি শপ বিডি
ফুটবল ভক্তরা খেলোয়ারদের জার্সি পড়ার অনুভূতি উপভোগ করতে জার্সি শপ বিডির উপর ভরসা করতে পারেন। বাংলাদেশে থেকে যে জার্সিগুলো রপ্তানি করা হয়, এরা সেই প্লেয়ার সংস্করণগুলো এদের সাইটে তুলেছে। এই খাঁটি প্রিমিয়াম নেট ফ্যাব্রিক জার্সি পরিহিত অবস্থায় একজন খেলোয়ার হিসেবে অনুভূতি পাওয়াটা একদমি কৃত্রিম নয়। কেননা এই জার্সিটি পরেই কোন এক মিড ফিল্ডার মাঠে নামবে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ৯৫০ থেকে ১০৯০ টাকার মধ্যে এই অনুভূতি পাওয়াটা একটি সেরা উপভোগ্য বিষয়। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেলের প্রতিটিতে রয়েছে সূচিকর্মের লোগো। গায়ে ঠিকমত ফিট হচ্ছে কিনা অথবা হাতে পলিয়েস্টারের পরশ পেতে চাইলে চলে যেতে হবে এদের মোহাম্মদপুরের একমাত্র শোরুমটিতে। আর অনলাইনে অর্ডারের জন্য আছে এদের ফেসবুক পেজ।
শপ্জ্
দাম নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হলে শপ্জ্-এর চাইনিজ জার্সিগুলো সেরা হতে পারে। কেননা এরাই একমাত্র জার্সি দিচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এরা স্লিম-ফিট জার্সিগুলোকে কেন্দ্র করেই সাজিয়েছে এদের শপিং সাইটটি। হালকা ওজনের ও খাঁটি পণ্যগুলো সঠিক ভাবে যাচাই করে নিতে সরাসরি যোগাযোগ করে নেয়াটা উত্তম। এতে জার্সির আকারটি শরীরের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে কিনা তা বোঝার একটা সুযোগ পাওয়া যাবে। চূড়ান্ত অর্ডার অথবা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্য সব সময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তাদের ফেসবুক পেজ।
দিয়ামু
এখানকার বেশিরভাগ জার্সি রেগুলার ফিট, রিবড ক্রুনেক এবং ১০০ ভাগ ডাবল নিট পলিয়েস্টারের। ছোট, মাঝারি, বড়, এক্সেল, এবং ডাবল এক্সেল আকার থাকায় জার্সি বাছাই নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। সাইটটি তেমন জনপ্রিয় নয়, তবে এর ৭৯০ টাকার খাঁটি জার্সি একটিবারের জন্য হলেও ভক্তদেরকে এই ই-কমার্স সাইটের দিকে ভ্রূক্ষেপ দিতে বাধ্য করবে। এর ২৭/১৬ ইঞ্চি অথবা ১৮/১৯ ইঞ্চি ক্যাটাগরিকে দেহের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে সাবলিল ভাবেই জার্সি বাছাই করা যাবে। এর জন্য সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন আকারের তালিকা। প্রায় সবগুলো দেশের জার্সিই আছে দিয়ামুতে, তাই প্রিয় জার্সিটি না পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
অ্যাটায়ার গুরু
পলিয়েস্টারের জার্সি নিয়ে ফেসবুক ভিত্তিক আরো একটি জনপ্রিয় শপিং সাইট এই অ্যাটায়ার গুরু। বিশ্বকাপ মৌসুমকে ঘিরে তাদের কৌশল হলো একটি নির্দিষ্ট দাম পরিবেশন করে অগ্রসর হওয়া। তাদের ১০৯০ টাকার প্রিমিয়াম জার্সির গুণগত মান ফেসবুকের বর্তমান মার্কেটপ্লেসের যে কোন জার্সিকেই টেক্কা দেয়ার সক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশে এফ-কমার্স বা ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসার ব্যাপক প্রসারের দরুণ হাজার হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সারিতে নিজেদেরও শামিল করে নিয়েছে অ্যাটায়ার গুরু। মিডিয়াম, লার্জ, এক্সেল কিংবা ডাবল এক্সেল; যে কোনটিরই আসল ছবি দেখে অর্ডার করতে সরাসরি তাদের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে ম্যাসেজ দেয়া যেতে পারে।
বিবর্তন
চট্রগ্রামের বিবর্তন তাদের নামের মতই উন্নতি করছে টি-শার্ট বিপণনে। এবার তাদের ফিফা জার্সি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পালা। চট্রগ্রামের ভেতরে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার জার্সিগুলো পৌছে দিতে তারা কোন ফি নিচ্ছে না। তবে চট্রগ্রামের বাইরে হলে ১০০ টাকার বিনিময়ে পন্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিচ্ছে তারা। তাদের বিশেষত্ব হলো তাদের আমদানিকৃত আসল থাই প্রিমিয়াম জার্সি। প্রয়োজন মত আকার ও অন্যান্য বিবরণ সহ পছন্দ মত জার্সি অর্ডার করতে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে তাদের ফেসবুক পেজে।
আরো পড়ুন: ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
শেষাংশ
এই সাইটগুলোর মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর জার্সি অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই ফুটবল মৌসুমে দারুণ সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে ডিজিটাল ব্যবসায়ীদের বিক্রি বৃদ্ধির। বড় বড় শপিং মলে ভীড়ের মধ্যে যেয়ে কেনাকাটা করার বিড়ম্বনা থাকছে না। অন্যদিকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের কারণে বিক্রির সংখ্যার আকাশ ছোঁয়ার দশা। সর্বসাকূল্যে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স সবকিছু ছাড়িয়ে এই বিশ্বমানের বিনোদনটি যেন খেলোয়ার আর দর্শকদের এক জার্সির বন্ধনে বাধতে চলেছে।
আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ দিল ফুডপ্যান্ডা!
ফুড প্যান্ডা প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবারদের জন্য আইফোন ১৪ প্রে জেতার সুযোগ করে দিয়েছে। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ নামে আকর্ষণীয় একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে জনপ্রিয় অনলাইন ফুড অ্যান্ড গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা আইফোন ১৪ প্রো জেতার সুযোগ পাবেন। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্যান্ডাপ্রো নামের বিশেষ এই সাবস্ক্রিপশন সেবা ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে এবং নিয়মিত ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারবেন বাড়তি সুবিধা। প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশনের ফলে গ্রাহকরা প্রত্যেক মাসে ১০টি ফ্রি ডেলিভারি, সব ধরণের পিকআপ অর্ডারে বাড়তি ৫ শতাংশ ছাড়, প্যান্ডামার্টে অর্ডারে প্রত্যেক মাসে ৩টি ভাউচার পাবেন।
এছাড়া শুধুমাত্র প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা ডাইন-ইনের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। আর সর্বশেষ ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকরা পাচ্ছেন আইফোন ১৪ প্রো জেতার আকর্ষণীয় সুযোগ।
এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাহককে প্রথমে ৪৯৯ টাকায় এক বছরের জন্য প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এ বছরের অক্টোবরের ১৬ তারিখের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি অর্ডার করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্ডারকারী সেই সপ্তাহের জন্য বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
ক্যাম্পেইন শেষে মোট চারজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং মানিষা সাফিয়া তারেক এ ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের ফলে আমাদের সেরা গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। দৈনন্দিন প্রয়োজনে শুধু প্যান্ডাপ্রো গ্রাহকদের জন্য বাড়তি অনেক সুবিধা থাকবে। আমাদের অ্যাপ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে গ্রাহকদের জন্য প্যান্ডাপ্রো চালু করতে পারায় আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ‘সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনটি দারুণ সব সুবিধা উপভোগের সুযোগের সঙ্গে একটি বড় আকর্ষণ।’
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
অনলাইনে কর পরিশোধে ১০ শতাংশ রেয়াত ডিএনসিসির
অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স, নতুন লাইসেন্স এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) পাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) নাগরিকেরা। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএনসিসি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতির সঙ্গে ডিএনসিসি'র এলাকার সম্মানিত করদাতা/ ব্যবসায়ীগণকে পরিচিতির সুবিধার্থে বকেয়াসহ চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের চার কিস্তি হোল্ডিং ট্যাক্স একত্রে অনলাইনে পরিশোধ করলে এর ওপরে ১০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) দেয়া হবে। এবং চার কিস্তি হোল্ডিং ট্যাক্স একত্রে অনলাইনে পরিশোধ করে রেয়াত পাওয়ার এবং সারচার্জ ব্যতীত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা আগামী ৩০ নভেম্বর, ২০২২ খ্রি. পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
আরও পড়ুন: সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা সামগ্রী সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি ডিএনসিসির
এতে আরও বলা হয়েছে, সম্মানিত করদাতাদেরকে বর্ধিত সময়ের মধ্যে বকেয়াসহ চলতি অর্থ বছরের চার কিস্তি হোল্ডিং ট্যাক্স একত্রে পরিশোধ করে ১০ শতাংশ রেয়াতের সুযোগ গ্রহণ এবং সম্মানিত ব্যবসায়ীদেরকে সারচার্জ ব্যতীত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন ও গৃহকর পরিশোধে নগরবাসী হয়রানি নিরসনে এবং নগরবাসীর মূল্যবান সময় বাঁচাতেও সহায়তা করবে।
উদ্যোগটি ডিএনসিসির সকল কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড করণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের একটি অংশ এটি।
আরও পড়ুন: মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
অনলাইনে প্রাথমিকের শিক্ষক বদলির আবেদন শুরু হতে পারে ১৫ সেপ্টেম্বর
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলির আবেদন শুরু হতে পারে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষাও শেষের দিকে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:সিজিপিএ পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বগুড়ায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অক্টোবরেও কিছু জায়গায় আমাদের ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) আছে। অক্টোবরে হয়তো চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা যাবে।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে নদীতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ক্লাস টাইমে মোবাইল গেম ও টিকটক তৈরি, ৯ শিক্ষার্থী আটক
ফেসবুক নিউজফিডে অনাকাঙ্ক্ষিত পোস্টে সয়লাব
বিশ্বের হাজার হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী বুধবার তাদের নিউজফিডে সমস্যা দেখা দেয়ার অভিযোগ করে। ব্যবহারকারীরা নিউজফিডের ওপরের দিকে বিভিন্ন তারকাদের ‘ফ্যান পেজ’ ও গ্রুপের বুস্ট (বিজ্ঞাপন) পোস্ট দেখতে পায়।
ডাউনডিটেকটর নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট (অভিযোগ) করতে থাকলে বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। ডাউনডিটেকটর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অনলাইন সেবা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ দিয়ে থাকে। ডাউনডিটেকটরের কাছে যতগুলো রিপোর্ট এসেছিল তার মধ্যে ৮১ শতাংশই ছিল নিউজফিড সম্পর্কে। এরপর থেকেই ব্যবহারকারীরা নানাধরনের ছবি ও মিম প্রকাশ করে সমস্যাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে।
আরও পড়ুন: নাম পরিবর্তন করে ফেসবুক ইনক এখন ‘মেটা’
ঘটনাটির জন্য ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা, ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে বলে জানায়।
বিবিসিকে কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আজ (বুধবার) দিনের শুরুর দিকে কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে কিছু ব্যবহারকারী তাদের নিউজফিডে সমস্যা দেখতে পায়। সমস্যাটি আমরা দ্রুত সমাধান করেছি।’
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিসেবা পুনরুদ্ধার করেছে ফেসবুক
বাংলায় শিক্ষাদানকারী অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম: পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির অনন্য মাধ্যম
প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলো ক্রমাগত জনপ্রিয়তা লাভ করছে। বর্তমানে শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ নিয়েই প্রগতির ধারার সঙ্গে তাল মেলানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এখানে শুধু পাঠ্যক্রম বহির্ভূত দক্ষতাই নয়; প্রয়োজন হয় চাকরির বাজারে সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন দক্ষতা অর্জনের। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলা অনলাইন ট্রেনিং প্ল্যাটফর্মগুলো বেশ সুনাম কুড়াচ্ছে। ঘরে বসেই খুব কম খরচে এবং সহজভাবে শেখার সুবিধায় বিভিন্ন বয়সের ও পেশার মানুষেরা সংযুক্ত হচ্ছে নতুন দক্ষতা লাভের প্রশিক্ষণে। অনলাইন ট্রেনিং সেন্টারগুলোও সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কোর্সগুলো শুরুর কারণে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি লাভবান হচ্ছে। এমনি কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন লার্নিং সেন্টার প্লাটফর্মের বিস্তারিত নিয়ে আজকের ফিচার।
বাংলায় শিক্ষাদানকারী সেরা ১০টি অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম
টেন মিনিট স্কুল
গোটা বাংলাদেশের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এক মঞ্চে নিয়ে আসতে তরুণ উদ্যোক্তা আয়মান সাদিকের অসামান্য উদ্ভাবন টেন মিনিট স্কুল। ২০১৫ সালের শুরু হওয়া এই অনলাইন শিক্ষার প্ল্যাটফর্মটি এখন আর স্কুলের গণ্ডির মধ্যে নেই।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে এর পরিধি। সারা দেশ থেকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নেয়। সম্ভাবনাকে খুব কম সময়েই বাস্তবে রূপ দেয়া প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষক এখন দেশের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো।
সাধারণ পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি এখানে আইইএলটিএস এবং চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলোর কোর্স আছে। জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিষয়ক কোর্সগুলোর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং মাইক্রোসফ্ট অফিস।
আরও পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
রেপটো এডুকেশন সেন্টার
রেপটোকে অনেকেই ইউডেমির বাংলাদেশ ভার্সন বলে থাকেন। বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ভিডিও তৈরি করে এই সাইটে আপলোড করেন। শিক্ষার্থীরা কোর্সে ভর্তি হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে তারা অনলাইনেই প্রশংসাপত্র পায়। তার মানে পুরোটাই ইউডেমির প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করছে।
এখানে প্রিমিয়াম এবং ফ্রি উভয় কোর্সই আছে। এগুলোর মধ্যে প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফটোগ্রাফি, ইংরেজি ভাষা, ডেটাবেস, এমএস অফিস, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি কোর্সগুলো বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সার্কুলার সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য ওয়েবসাইটের চাকরি বিভাগ ক্রমাগত আপডেট করা হয়।
বহুব্রীহি
এত এত কোর্সের মধ্যে কোনটি করা উচিত তা নিয়ে বিড়ম্বনায় থাকলে আসতে হবে বহুব্রীহির কাছে। কেননা এর বিভিন্ন কোর্সে নাম নথিভুক্ত করার আগে এর পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেয়া যায়। যেকোনো সেক্টরে পেশাদার হতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে এটি শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ ফ্রি-ল্যান্সিং-এর বিভিন্ন বিষয়গুলো এখানকার প্রধান কোর্সগুলোর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। তবে শুধু কোর্স-ই নয়; এই ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নের জন্যও আসতে পারে। বহুব্রীহির প্রতিষ্ঠাতারা এই সাইটটি প্রতিষ্ঠা করেছেন তরুণ প্রজন্মের জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে এবং তাদের শিক্ষায় আরও নিযুক্ত করতে। তাই নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করে স্ব-শিক্ষিত হতে হলেও এই সাইট ব্রাউজ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
ইশিখন
তথাকথিত পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল ও মডেল টেস্ট সহ নানা ধরণের প্রফেশনার কোর্সের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইশিখন। প্রতিটি কোর্সেই ট্রেনিং-এর সময় বিভিন্ন স্তরে উন্নীত হওয়ার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে নির্বাচিত বিষয়ে মডেল পরীক্ষা দেয়ার।
এর টেকনিক্যাল অডিও-ভিজ্যুয়াল কোর্সগুলোও উত্তোরোত্তর নাম করছে। এগুলোর মধ্যে সিপিএ ট্রেনিং, ওয়ার্ডপ্রেস, এসইও(সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি কোর্সগুলো যেকোন সময়ই নেয়া যায়।
এই ওয়েবসাইটের সবচেয়ে দরকারি দিকটি হল- এর ব্লগ বিভাগে অনেক তথ্যপূর্ণ লেখা পড়ে কোর্স পরবর্তী অনুশীলনের সময় কাজ করা যায়। তাছাড়া যে কেউই এই ব্লগের সাহায্যে শিক্ষার সর্বশেষ খবরের সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে সক্ষম হবে।
শিখবে সবাই
২০১৭ সালের ১৭ মে কয়েকজন সমমনা, তরুণ প্রাণ ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এবং দূরবর্তী কর্মসংস্থান গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করেন শিখবে সবাই প্ল্যাটফর্ম। গত পাঁচ বছরে এদের প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৬৩০-এর অধিক, যাদের একটি বিরাট অংশ এখন অব্দি কাজ করছে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
শিখবে সবাই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ বিনামূল্যের অনলাইন সহায়তা কেন্দ্র চালু করে। এদের গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, মোশন গ্রাফিক্স, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মত কোর্সগুলোতে বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে নথিভুক্ত হতে পারবে। এমনকি এদের কোর্সের রিসোর্সের পরিমাণও বেশ সমৃদ্ধ। এরা ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মরত আইটি অনুশীলনকারিদেরও বিভিন্ন প্রোজেক্টের কাজে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
ঘুড়ি লার্নিং
ঘুড়ি লার্নিং-এর শুরুটা ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও চর্চার মধ্য দিয়ে হলেও এখন এর ঝুলিতে যোগ হয়েছে আরও অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ কোর্স। ঘুড়ি লার্নিং প্রথমে বিবিসি জানালার ইংরেজি কোর্সগুলোকে দেশব্যাপি প্রোমোট করতো।
এখন এই সাইটে আইইএলটিএস এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, বিসিএস, এইচএসসি ও এসএসসি’র মত বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতিমুলক কোর্স আছে। ইংরেজির পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছে আরবি, কোরিয়ান জাপানি, এবং চাইনিজ ভাষাশিক্ষা। আর অনলাইন ট্রেনিং-এর সবচেয়ে বড় অংশটা দখল করে আছে ডিজিটাল মার্কেটিং, ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েব ডিজাইনের মত টেকনিক্যাল কোর্সগুলো।
শিক্ষক
বার্মিংহামের অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক ডক্টর রাগিব হাসান ২০১২ সালে তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো অনলাইন শিক্ষামূলক সাইট শিক্ষক। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও ভারতের গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় বিনামূল্যে অনলাইন শিক্ষা এবং উচ্চ মানের কোর্স প্রদানের স্বপ্ন দেখিয়েছিলো।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
এই প্ল্যাটফর্মটি বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্র ও গবেষকদের জন্য সেরা। এই সাইটের টিউটোরিয়ালগুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্স কর্নার, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল, এবং ভাষাশিক্ষা অন্যতম। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরি হচ্ছে এসএসসি এবং এইচএসসি স্তরের কোর্সগুলো। এর মেন্টররা শুধু দেশেরই নন; দেশের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাংলা ভাষাভাষি শিক্ষাবিদ এবং গবেষকরা তাদের দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সাথে বিনিময় করেন।
এমএসবি একাডেমি
ইউডেমি ও স্কিলশেয়ারের মত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সফলতার পর ২০১৮ সালে এমএসবি(মোস্ট সিগনিফিকেন্ট বিট) একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন সফল ইউটিউবার মাসুক সরকার বাতিস্তা। এটি তার অনলাইন ট্রেনিং প্রদানের দক্ষতার এক অভাবনীয় ফলাফল। ইউটিউবে টিউটর হিসেবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রিয় অনলাইন ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম হতে তার এমএসবিরও তেমন সময় লাগেনি।
ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অফিস টুল্সগুলো শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে কোর্স পরবর্তী শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইন সহায়তা প্রদান করে এমএসবি। যে কোন বয়সের লোকদের জন্য স্বনির্ভর এবং স্মার্ট নাগরিক হতে মাসুকের স্বচ্ছ ও সঠিক ট্রেনিং কোর্সগুলো বেশ যুগোপযোগী।
ইন্স্ট্রাক্টারি
অনলাইনে প্রসিদ্ধ আয়ের মাধ্যমগুলোতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি কল্পে বাংলাদেশের ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম জগতে নতুন সংযোজন ইন্স্ট্রাক্টারি। ফাইভার, আপওয়ার্ক, থিমফরেস্টের মত আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোকে টার্গেট করে এখানে আছে বিভিন্ন কোর্সের ব্যবস্থা।
পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
এগুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সগুলো ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্স্ট্রাক্টারির একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করেছে। অবশ্য এর পেছনে একটা বড় প্রভাব আছে ইন্স্ট্রাক্টারির দক্ষ প্রশিক্ষকদের। প্রত্যেকে স্ব স্ব দক্ষতার ক্ষেত্রগুলোতে কর্মরত থাকায় শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাদান করতে পারেন।
বাংলাডেমি
বাংলাদেশের প্রথম সারির অনলাইন লানিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বাংলাডেমি অন্যতম। এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মটি ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় মেন্টরদের কাছ থেকে দক্ষ-ভিত্তিক কোর্স অফার করে। এদের অনলাইন রেকর্ডকৃত গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এবং এনিমেশন কোসগুলো শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্যারিয়ার গড়তে যথেষ্ট।
শুধু নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের পরই সেবা শেষ হয়ে যায় না। বিশ্বের স্বনামধন্য মার্কেটপ্লেসগুলোর উপর সহজ টিউটোরিয়ালগুলো প্রশিক্ষণ পরবর্তী অবস্থাতেও শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেয়। এদের বিশেষত্ব হল প্রতিটি কোর্সে কোনো চার্জ ছাড়াই লাইভ সাপোর্টসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়।
শেষাংশ
চাকরীর পাশাপাশি ব্যবসা ক্ষেত্রেও তথ্য-প্রযুক্তির গুরুত্ব বাড়ার কারণে অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রধান কোর্সগুলো থাকে তথ্য-প্রযুক্তি কেন্দ্রিক। ক্যারিয়ারের ধারায় যুগান্তকারি পরিবর্তন আসায় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে অবশ্যাম্ভাবি হয়ে পড়েছে তরুণ ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তাদের সান্নিধ্য অর্জন। শুধু অনলাইনে ঘরে বসে শেখাটাই নয়, এখন আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে পড়েছে অনলাইনে আয়ের স্ট্র্যাটেজিগুলো জানা এবং ভালোভাবে সেগুলো কাজে লাগানো।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ সবর্দাই আনন্দদায়ক এবং ফলপ্রস। ইংরেজি মাধ্যমে অনেক অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম থাকলেও সেগুলো সবার জন্য বোধগম্য নাও হতে পারে। উপরোল্লিখিত বাংলায় শিক্ষাদানকারী অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলো সেই অভাব পূরণে এগিয়ে এসেছে। এই প্রশিক্ষণগুলো সম্ভব করতেই স্বনামধন্য ও স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করছে এই প্ল্যাটফর্মগুলো। ফলশ্রুতিতে বাংলায় অনলাইন ভিত্তিক প্রযুক্তি শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে।
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের উপায়
কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি বিভাগে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির দরুণ স্থায়ী চাকরির পাশাপাশি খণ্ডকালীন বা চুক্তি ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের তাগিদও বেড়ে চলেছে। শুধুমাত্র একটি চাকরি দিয়ে জীবনযাত্রার নিত্য প্রয়োজনীয় মৌলিক পণ্য বা সেবার মূল্যের উর্ধ্বগতির চাপ সামলানো প্রতিদিনি কঠিনতর হচ্ছে। এমতাবস্থায় অনলাইনে আয়ের উপায়গুলো যেন আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছে। এতে শুধু সংসারের বাড়তি খরচে যে সহায়তা হচ্ছে তা নয়, যাবতীয় খরচ মিটিয়ে সঞ্চয়ের জন্যও ব্যবস্থা হচ্ছে। এমনকি স্থায়ী চাকরিটির বদলে অনলাইন কাজটিকে গ্রহণ করা যাচ্ছে স্থায়ীভাবে। চলুন, জেনে নেয়া যাক- অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের উপায়গুলো সম্পর্কে।
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায়
একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা
এক সময় সাইড জব হিসেবে সেরা উপায় হলেও ইউটিউবিং এখন ক্যারিয়ারে পরিণত হয়েছে। প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার দরুণ এখন দিনের প্রায় পুরোটা সময় দিতে হয় একটি ইউটিউব চ্যানেলের পেছনে। তবে ভ্লগ শুরুর মাধ্যমে দিনের একটি ছোট অংশ অতিবাহিত করে এখনো ইউটিউবে সফল হওয়া যায়। ভ্লগ ভিডিওগুলো মুলত কন্টেন্ট নির্মাতার নিত্যদিনের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে জড়িত থাকে। তাই শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন থাকলেই নিজের কর্মকান্ডগুলো রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে দেয়া যায়।
পোস্ট প্রোডাকশন এবং ভিডিও ইডিটের কাজ কম থাকায় এধরণের ভিডিওগুলো কম সময়ে বেশি পরিমাণে বানানো যায়। তাই টার্গেট কীওয়ার্ডগুলোও তুলনামুলক কম সময়ের মধ্যে ভিডিওগুলোকে দর্শকদের নিকট জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। গুগল অ্যাডসের রেভেনিউ শেয়ারিং পদ্ধতি ছাড়াও এরকম ভ্লগাররা এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারের মাধ্যমেও বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকে।
আরও পড়ুন: যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
অনলাইন রিসেলিং
খুব সহজ করে বলতে গেলে অপেক্ষাকৃত কম দামে কোন কিছু কিনে তা বেশি দামে বিক্রি করাটাই রিসেলিং। এটা কোন নতুন বিষয় নয়, বরঞ্চ নেট দুনিয়ায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে ব্যবসায়ের এই পুরনো উপায়টি অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখানে শুরুতেই মার্কেট রিসার্চ করে দুটো বিষয়ে সম্যক ধারণা নিতে হবে।
প্রথমটি হলো কোথায় কম দামি জিনিসপত্র পাওয়া যায় এবং দ্বিতীয়টি হলো অনলাইন মার্কেটে সেই জিনিসগুলোর সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য কেমন। ইবে, অ্যামাজন, ইটসি, র্যাকুটেন হলো বর্তমানে রিসেলিং-এর জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বেশ পুরনো এই ব্যবসায়িক পদ্ধতিটির জন্য অর্থ ও কৌশলের সঠিকভাবে প্রয়োগ করা দরকার। ডিজিটাল ব্যবসার জগতে এই লিঙ্ক শেয়ারিং ভিত্তিক ধারণাটি ব্যবসার চিরাচরিত সূত্র মেনে চলে। স্বল্প মূল্যের পণ্যের উপর লাভ পেতে হলে বেশি গ্রাহক পেতে হবে। আর বেশি দামের পণ্যের জন্য সীমিত কিছু গ্রাহক হলেই চলবে।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করবেন যেভাবে
এখানে মার্কেটাররা পণ্য তৈরিকারকদের নিকট থেকে পণ্যের লিঙ্ক নিয়ে পুরো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। লিঙ্কে ক্লিক করে পণ্যটি কেনার সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে মার্কেটাররা লিঙ্কটির ডিজিটাল মার্কেটিং-এর উপর অর্থ বিনিয়োগ করেন। অতঃপর চূড়ান্ত ভাবে পণ্য বিক্রি হলে তারা পূর্ব নির্ধারিত স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অনুযায়ী তার একটা নির্দিষ্ট শতাংশ লাভ করেন। এই শতাংশ লাভের চুক্তিটি এককালীন অথবা প্রতি মাসে পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
উভয় ক্ষেত্রেই পণ্যের লিঙ্ক শেয়ারের সিস্টেমটি একবার চালু করে দিলেই পরবর্তীতে আর কাজ করার প্রয়োজন হয় না। গভীর রাতে মার্কেটার যখন ঘুমিয়ে তখন পৃথিবীর কোন না কেনা প্রান্তে কেউ একজন পণ্যটির লিঙ্কে ক্লিক করে তা কিনে ফেলে।
অনলাইনে ফটো বিক্রি
ইন্টারনেট ফটোগ্রাফারদের ছবি শেয়ারের জন্য পুরো জগৎটাকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। এর জন্য যে শুধু ডিএসএলআর ক্যামেরা থাকতে হবে তা নয়। মোবাইল ফটোগ্রাফিকেও এখানে আলাদা ভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। ছবি তুলে মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপলোড করার পর শুরু হয় তার প্রচারণার কাজ। এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং বেশ কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
অবশ্য এক যুগ আগে মার্কেটিং-এর প্রয়োজন হতো না। ওয়েবসাইটে আপলোড করার পরেই ক্রেতারা ছবি কেনার জন্য ভিড় জমাতো। এখনো জমায় বৈকি; কিন্তু ফটোগ্রাফারদের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় নতুনদের জন্য মার্কেটিং অবধারিত হয়ে পড়ে। অ্যাডোবি, শাটারস্টক, বিগস্টকফটোর মত সাইটগুলো ছবি বিক্রির জন্য প্রথম সারির মার্কেটপ্লেস।
চাকরির দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে চাকরির দক্ষতাটিই হতে পারে মুল হাতিয়ার। এক্ষেত্রে কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার প্রযুক্তি এবং আইটি(ইনফরমেশন টেকনোলজি) সেক্টরের কর্মচারিরা সবার থেকে এগিয়ে থাকেন। কেননা এই সেক্টরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলোই অনলাইনে বেশ চওড়া দাম উঠে। ছোট একটা মোবাইল অ্যাপ বানিয়েই বেশ ভালো পরিমাণ আয় করতে পারেন সফ্টওয়্যার ডেভেলপাররা।
অ-প্রযুক্তিগত বিভাগেও স্পেশালিস্টরা পিছিয়ে থাকেন না। হিসাব রক্ষক, আইন বিষয়ক কন্সালটেন্ট, অনুবাদক, ভয়েস-ওভার-আর্টিস্ট, কন্টেন্ট রাইটাররা তাদের দক্ষতার ভিত্তিতে উপার্জন করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, এমনকি ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতেও আনাগোনা হয় ফ্রিল্যান্সারদের।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পডকাস্ট শুরু করা
বিস্ময়কর হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অডিওবুক প্রকাশ করা পডকাস্ট সাইটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একটি পডকাস্টের জন্য প্রয়োজন হয় ভালো কন্ঠ, মাইক্রোফোন এবং কম্পিউটার। কি বলা হচ্ছে তা কতটুকু সাড়া ফেলবে তা নির্ভর করছে অডিও কন্টেন্ট এবং কথকের কন্ঠের মাধুর্যতার উপর।
পডকাস্টগুলো অর্থ উপার্জন করে বিজ্ঞাপন থেকে, তাই শ্রোতা সংখ্যা যত বাড়বে অর্থ উপার্জনও তত বেশি হবে। আর ঠিক এই জায়গাতেই আসে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর চাহিদা। বিখ্যাত পডকাস্টাররা সব সময় অ্যাপলের আইটিউনকে নির্বাচন করে থাকে। এছাড়াও শীর্ষস্থানীয় পডকাস্ট প্রকাশনার মধ্যে আছে বাযস্প্রাউট, ক্যাপটিভেট, এবং ট্রানজিস্টর-এর মত সাইটগুলো।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
যেহেতু গোটা বিশ্বই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জ্বরে আক্রান্ত, তাই এই রোগীদের দিকেই সব সময় দৃষ্টি থাকে সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর। ব্যবহারকারিদের সব সময় নিজেদের কন্টেন্টের প্রতি আকৃষ্ট রাখতে বিপুল বিনিয়োগ করে থাকে অনলাইন ব্যবসাগুলো। আর এই আকৃষ্ট রাখার কাজগুলোর ব্যবস্থা করেন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে শুরু করে পেজ, গ্রুপ, পোস্ট পরিচালনার পাশাপশি গ্রাহকদের সাথে রিয়েল টাইম চ্যাটে অংশ নেয়ার কাজগুলো করে থাকে এই ম্যানেজাররা। ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো মধ্যে অন্যতম প্রধান কাজ এটি। শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেসগুলো ছাড়াও এই কাজগুলোর দেখা মেলে ইন্ডিড, লিঙ্ক্ডইন, মডস্কোয়াড, এমনকি স্বয়ং ফেসবুকেও।
ডিজিটাল পণ্য বিক্রি
যে কোন ভিডিও, অডিও, গেম, অ্যাপ্স, ওয়েব টেমপ্লেট, প্লাগ-ইন্স এবং যে কোন বইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ ডিজিটাল পণ্যের অন্তর্ভূক্ত। প্রায় সময় তৈরিকারকরা তাদের বানানো ডিজিটাল পণ্যটি প্রচারের জন্য মার্কেটারদের সরণাপন্ন হন। প্রতি বিক্রিতে স্বল্প শতাংশ প্রদানের ভিত্তিতে পণ্য নির্মাতা ও মার্কেটারদের মধ্যে ব্যবসায়িক চুক্তি হয়।
অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে এই বিক্রির কাজ হয়ে থাকে। আর যারা কিনে থাকেন তারা ব্যবহার করেন পণ্য রিসেলিং পদ্ধতি। এ ধরণের পণ্যের জন্য শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে আছে ইটসি, শপিফাই, ইনভাটোর মত সাইটগুলো।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ পরীক্ষা করুন
বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসাগুলো তাদের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট উন্নত করতে তাদের টার্গেটকৃত অডিয়েন্সের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে থাকে। এই প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারটি সাইট বা অ্যাপটি পরীক্ষা করার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এই কাজের জন্য টেস্টারের একটি কম্পিউটার, একটি ওয়েবক্যাম, একটি মাইক্রোফোন এবং একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ থাকা বাঞ্ছনীয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্ল্যাটফর্ম-প্রদত্ত সফ্টওয়্যারগুলো ব্যবহার করে স্ক্রিন রেকর্ড দেখাতে হয়। ওয়েবসাইট বা অ্যাপটি চালানোটা সহজ কিনা তা পরীক্ষার ফলাফল হিসেবে পরিবেশন করতে হয়। ইউজার-টেস্টিং, ইউজারফিল, ইউজারলিটিক্স প্রভৃতি সাইটগুলো এ ধরনের কাজ সরবরাহ করে থাকে।
ওয়েবসাইট তৈরি করা
মুল ধারণাটি হলো ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করা। কিন্তু এখানে সুক্ষ্ম দুটি পার্থক্য আছে। প্রথমটি হলো এই ওয়েবসাইট এক পেজের হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো অন্যান্য ওয়েবসাইটের মত এখানে হাজার হাজার কন্টেন্টের প্রয়োজন হয় না। শুধু দরকার হয় নির্দিষ্ট কিছু অডিয়েন্সকে একটি সুনির্দিষ্ট সেবা প্রদান। যেমন গুগলে সার্চ করলে এমন অনেক এক পেজের সাইট পাওয়া যাবে যেগুলোর কোনটা শুধু বড় ছবিকে ছোট করছে, অথবা কোন ওয়েব পেজের লিঙ্ককে ছোট করছে।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
এধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ভিউ পাওয়া যায়। এগুলোর কীওয়ার্ড সীমিত কিন্তু সুনির্দিষ্ট থাকে বিধায় গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বেশ ভালো পরিমাণ আয় করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন একজন ওয়েব ডেভেলপার এবং একজন ডিজিটাল মার্কেটার। নিয়মিত আয়ের একটি ধারা তৈরি করতে এটি একটি সেরা বিনিয়োগ হতে পারে।
পরিশিষ্ট
চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের এই উপায়গুলো মানুষের জীবনে অভাবনীয়ভাবে স্বচ্ছলতা এনে দিচ্ছে। তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিড় বাড়ার সাথে সাথে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা পূর্বাপেক্ষা জটিলতর হয়ে উঠছে। এছাড়াও প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রসর হওয়ার কারণে আগের চেয়ে অধিক হারে অনেক কাজের চাহিদা কমে যাচ্ছে। তবে ভালো দিক হলো- অনেক নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোতে প্রয়োজন পড়ছে যথেষ্ট ব্যবহারিক দক্ষতার। মুলত অনলাইন টুল্সগুলো জীবনকে সহজ করলেও অফলাইনের মত এ জায়গাগুলোতেও সফলতা কিন্তু রাতারাতি সম্ভব নয়। অর্থের পরিমাণ কম লাগলেও অনলাইনে আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য যথেষ্ট মেধা, শ্রম এবং সময় বিনিয়োগের কোন বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) বৃহস্পতিবার অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) তাদের অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমসহ সব ধরনের বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন নিয়মিতভাবে বিবির ওয়েব পোর্টালে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় আমদানি ও বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং রোধ করতে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের নীতি কঠোর করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আমদানি নিরীক্ষণের অংশ হিসাবে, এডিকে প্রোফর্মা চালান/ক্রয় চুক্তির ওপর ভিত্তি করে লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন আমদানি পর্যবেক্ষণ সিস্টেমে (ওআইএমএস ) আমদানি তথ্য জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের ৩ অগ্রাধিকার
বিবি সার্কুলারে বলা হয়েছে, পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি বা সমতুল্য আমদানি মূল্যের জন্য জন্য প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয়তা হবে।
ডিলাররা এলসি খোলার পর রিপোর্ট চূড়ান্ত করবে।
বিবির বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে এবং বাংলাদেশের সকল ডিলারের প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ
টিভি চ্যানেলে একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল নয়
দেশের কোনো টিভি চ্যানেল একসঙ্গে একাধিক বিদেশি সিরিয়াল সম্প্রচার করতে পারবে না। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য -সংস্কৃতি- কৃষ্টি রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি'র তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন: তথ্যমন্ত্রীবিজেসির অন্যতম ট্রাস্টি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে আলোচনা করেন বিজেসি সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, পরিচালকদের মধ্যে রাশেদ আহমেদ, নূর উস-সাফা জুলহাজ, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে দেশের অন্যতম পথপ্রদর্শক, যা কোনভাবেই মালিকপক্ষের স্বার্থরক্ষায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়। একইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনের পরিবর্তন-পরিবর্ধনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সরকার একমত এবং সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনের লিখিত প্রস্তাবনার অপেক্ষায় রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। হাছান মাহমুদ এসময় দেশের গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধতর করতে বিজেসির ভূমিকা জোরদারে গুরুত্ব দেন। তথ্যসচিব এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সম্প্রচার সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে কোনো উৎসব করছে না সরকার: তথ্যমন্ত্রী