গোলাম মোহাম্মদ কাদের
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গুজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশ দেওলিয়া হয়ে গেছে। দেশ শ্রীলংকা হওয়ার আশঙ্কা আছে, কারণ শ্রীলংকা যে কাজ করেছে বাংলাদেশও তা করছে।
শনিবার বিকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, সেটা হলো বড় প্রকল্পের জন্য যে লোন নেয়া হয়েছে তা অনেক বেশি। বড় লোন নিয়ে শ্রীলংকা দিতে পারে নাই। যার জন্য শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় প্রকল্পে যে বিনিয়োগ করা হয়েছে তা অনেকগুণ বেশি। কয়েকদফা সময় বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারছেনা। ফলে রির্জাভ থেকে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতি,অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আলমগীর কবির মজুমদার।
এসময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আওতাধীন ১০ উপজেলা এবং ৪ পৌরসভার শীর্ষ নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উবায়দুল কবির মোহন এর নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
১ বছর আগে
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না তা জানা যাবে আগামীকাল। এ বিষয়ে সোমবার শুনানি শেষ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামীকাল মঙ্গলবার আদেশের জন্য ধার্য করেছেন।
আদালতে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা। আর জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।
জিয়াউল হক মৃধার আবেদনে গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
পরে ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন জি এম কাদের। পরে আবেদনটি শুনানি করে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
এই আবেদন শুনে গত ৩০ নভেম্বর জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল থাকে। একই সঙ্গে জিয়াউল হক মৃধার আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। এখন আগামীকাল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখাতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজকেই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
২ বছর আগে
লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের শোক
ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান দেশবরেণ্য শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
৪ বছর আগে