অক্সিজেন
আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। কোথাও আমরা ভুমিকা পালন করছি বাস্তবায়নকারী হিসেবে, কোথাও পরামর্শক হিসেবে আবার কোথাও সহায়ক হিসেবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানে দি ওয়েস্টিন হোটেলে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক আয়োজিত “ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিসের লঞ্চিং সিরেমনি” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ আমাদের শিখিয়েছেন কাজগুলো করতে হবে আইসোলেটেড ওয়েতে নয় বরং হোল অব গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ নিয়ে, কোলাবোরেশন এবং কো-অর্ডিনেশন মাইন্ডসেট নিয়ে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন সরকার ব্যবসা করবে না, কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কাজ করলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আমরা যে নিজেদের শক্তিশালী মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি তার মূল তিনটি শক্তি হলো- কৃষি, পোষাক ও প্রবাসী। এই কৃষি, পোশাক ও প্রবাসী এই তিনটি সেক্টর হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একদিকে প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। অপর দিকে পোশাকশিল্প থেকে ভাইবোন ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। কৃষিতে সাড়ে তিন কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। সেকারনে আমরা স্যালুট জানাই আমাদের এক কোটি ২০ লক্ষ ভাই বোনদের যাদের রক্ত, ঘাম ও শ্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের বেতন ভাতা হয়, রাস্তাঘাট হয়, আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ মৌলিক চাহিদাগুলোর মূল যোগান দেয় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারাও স্মার্ট প্রসেস ব্যবহার করছে। যারা বেশি করে ডেটা প্রডিউস করছে এবং ডেটা এনালাইসিস করতে পারছে তাদের যে সম্পদ তৈরি হচ্ছে তা ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সম্পদ তেল, সোনা বা হীরার থেকেও বেশি মুল্যবান হয়ে যাবে। এবং তার বড় প্রমান আজকের ডিজিটালাইজেশন অফ বিএমইটি সার্ভিস ‘প্রবাসী’ অ্যাপ।
তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের এই মধ্যম আয়ের দেশ থেকে জ্ঞান ভিত্তিক উদ্ভাবনী অর্থনীতির দিকে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হয় তবে প্রযুক্তিকে আমাদের পোশাক শিল্পে ব্যবহার করতে হবে, প্রবাসী কর্মসংস্থানে ব্যবহার করতে হবে এবং আমাদের কৃষিতেও ব্যবহার করতে হবে। তবেই আমরা একটা স্মার্ট ইকোনমির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
আরও পড়ুন: ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ উদ্বোধন করলেন পলক
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা বলি, সেটাকে অংশীদারত্বই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয় কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে যার একটি উদাহরণ হল বিএমইটি ডাটাবেজ।
তিনি বলেন, যে বিএমইটির একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে আমার কাজ কর্মীদের বিদেশ পাঠানো। এখন আর এনালগ পদ্ধতিতে পাঠানো যাবে না, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাতে হবে। এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে কর্মীদের যেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না হয়। কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন আমাদের তাতে সহায়তা করবে এবং বিদেশে কর্মী পাঠানোর ধাপ কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, এনডিসি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)-এর সভাপতি মোহাম্মাদ আবুল বাশার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের প্রতিনিধিগণ, জনপ্রতিনিধিসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ক্যাশ-লেস ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: পলক
২ বছর আগে
‘প্রতিদিন এক জনের ৮০০ ডলারের অক্সিজেন লাগে’
পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, একজন মানুষ প্রতিদিন ৫৫০ লিটার অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকলে ওই হিসাব অনুযায়ী ৮০০ ডলার লাগে প্রতিদিন। সে কারণেই প্রত্যেকের পরিবেশ সুন্দর রাখার ব্যবস্থা করা উচিত।শনিবার রাজধানীর নটরডেম কলেজে নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব’ আয়োজিত প্রতিদিন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালোবাসুন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিবেশটাকে সুন্দর রাখা দূষণমুক্ত করে তোলা, নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব এই বার্তাটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রকৃতি, বন, পরিবেশ এই নিয়েই আমাদের জীবন। আমরা বাতাসের মধ্যে থাকি কিন্তু বাতাস যতক্ষণ বন্ধ না হয় ততক্ষণ আমরা টের পাই না। আমরা এতো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছি যে সারা বিশ্বকে বহুবার ধ্বংস করে দেয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক অক্সিজেন তৈরি করতে পারিনি।
আরও পড়ুন:ছাত্র রাজনীতি থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা ভাবতে পারি প্রতিদিন যে অক্সিজেন আমরা বিনা পয়সায় পেয়ে যাচ্ছি, তা কিন্তু প্রকৃতি আমাদের দিচ্ছে। একইসঙ্গে গাছের কথা বলি —গাছ শুধু অক্সিজেন দিচ্ছে তাই নয়, কার্বনডাই অক্সাইডও দিচ্ছে। তাহলে এর চেয়ে পরম বন্ধু আর কে হতে পারে? বলা হয়ে থাকে খাবার না খেয়ে ২১ দিন থাকা যায়, পানি পান না করে দিন তিনেক থাকা যায়, কিন্তু অক্সিজেন ছাড়া মিনিট তিনেক আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবো না, কতজন তা মনে করে গাছ লাগাই? আমরা প্রতিদিন ৮০০ ডলার মূল্যের অক্সিজেন গ্রহণ করছি। সে কারণেই গাছের যত্ন নিতে হবে একইসঙ্গে পানির যে আধার পুকুর, নদী, খালসহ যেসব জলাধার আছে সেগুলোরও যত্ন নিতে হবে। আমরা খুবই বেখেয়ালিভাবে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলি, সেগুলো আবার আমাদেরই তৈরি। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা কেউ ভাবি না। প্রত্যেকে যদি নিজের ময়লাটা সঠিক জাগায় ফেলে তাহলে পৃথিবীতে একটি বিশাল কাজ হয়ে যায়। আমাদের কারও দরকার নেই অন্য আরও ১০ জনের ময়লা ফেলা, নিজে যেটুকু তৈরি করছি সেটুকুই সঠিকভাবে ব্যবস্থপনা করি, তাহলেই হয়ে যায়। একইভাবে গাছের ক্ষেত্রেও আমরা যতটুকু অক্সিজেন গ্রহণ করি ততটুকুর জন্য চেষ্টা করি।প্রসঙ্গত, প্রতিদিন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালোবাসুন’ এই স্লোগান নিয়ে নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব’ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন:২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন: শিক্ষামন্ত্রী
এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ১১টায় শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে অক্সিজেনের অভাবে ২ নবজাতকের মৃত্যু
বিল পরিশোধে দেরি হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে জমজ দুই নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ক্লিনিকের চার জনকে থানায় নিয়ে গেছে এবং ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় ‘মাতৃসেবা নরমাল ডিলিভারি সেন্টার’ নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই নবজাতকের বাবা মো. মনির পেশায় একজন টেম্পু চালক। তার স্ত্রী লাভভী বেগম (২২) পেশায় গৃহিনী।
মো. মনির বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা টের পেলে তাকে ঝর্ণপাড়ার ‘মাতৃসেবা নরমাল ডিলিভারি সেন্টার’ নামের ক্লিনিকে ভর্তি করি। এর আধা ঘণ্টা পর তার দুটি বাচ্চা জন্ম নেয়। ক্লিনিক থেকে বাচ্চাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘তখন ওই ক্লিনিক থেকে ১০ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়। আমি পাঁচ হাজার দিয়ে বলি, বাচ্চা তো নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। ১০ হাজার কেন দিতে হবে? আপাতত ৫ হাজার রাখেন। বাচ্চার চিকিৎসা শেষে বাকি টাকা দিবো। কিন্তু তারা বাচ্চাগুলোকে অক্সিজেনও দিতে পারেনি, অন্য হাসপাতালেও নিতে দেয়নি। ফলে অক্সিজেন না পাওয়ায় আমার দুই সন্তান মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্লিনিকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, দুই নবজাত শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশের টিম ওই ক্লিনিকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিকের চার জন নার্স ও কর্মচারীকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ আপাতত ওই ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
চট্টগ্রামে ২ নবজাতককে হত্যার অভিযোগ, ক্লিনিকে তালা
২ বছর আগে
দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে না: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে গেলেও, দেশে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
বুধবার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংক্রমণ পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অক্সিজেনের যে মজুদ আমরা রেখেছি, সামনে যদিও ওমিক্রন অথবা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে হাসপাতালে অনেক বেশি রোগী আসে, আমরা আশা করছি অক্সিজেনের খুব একটা সমস্যা হবে না।
রোবেদ আমিন বলেন, বিভাগ অনুযায়ী আমাদের যে সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, সেগুলোর জন্য অনেক বেশি অক্সিজেন সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়। এই বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এইগুলোতে প্রায় ১১৮টি অক্সিজেন সেন্ট্রাল লাইন করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ২৯ হাজারের মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার এভেলেবেল আছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
তিনি বলেন, এছাড়াও হাইফ্লোনাজাল ক্যানুলা, যেটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের অধিক বেশি পরিমাণ প্রয়োজন হতে পারে -প্রায় দুই হাজার করা আছে। প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আমাদের বিভিন্ন বিভাগে মিলিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান যদি আমরা দেখি, সেখানেও ঢাকা বিভাগ এগিয়ে আছে। দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৪৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ মৃত্যু শুধু ঢাকাতেই হচ্ছে। তার পরে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ; যেখানে ২০ শতাংশের মতো মৃত্যু হচ্ছে। এরপর রয়েছে খুলনা বিভাগ; সেখানে ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে, রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহের সবচেয়ে কম ৩ দশমিক ২ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বাংলাদেশকে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন জেনারেটর উপহার দিল কোরিয়া
২ বছর আগে
পুষ্টিগুণ অটুট রেখে শীতকালীন সবজি খাওয়ার সঠিক উপায়
শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সবজি খাবারে স্বাদের ভিন্নতা আনার পাশাপাশি অনেক পুষ্টি যোগায়। কিন্তু বাজার থেকে ঘরে আনার পর রান্না করা সেই সবজিতে সম্পূর্ণ পুষ্টি আর পাওয়া যায় না। বিভিন্ন মশলার সংযোজনে হয়ত রান্নাটা বেশ সুস্বাদু হয়ে উঠছে, কিন্তু তাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পুষ্টিগুণ হারিয়ে যাবার ফলে শীতের সবজি দিয়ে শরীর গঠনের কাজটা পুরোপুরি ব্যাহত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বাইরে থেকে আনার পর সবজিগুলো পরিষ্কার করার পর সঠিক উপায়ে সেগুলো রান্না করা আবশ্যক। তাই চলুন জেনে নিই, পুষ্টিগুণ অটুট রেখে শীতকালীন সবজি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করার সেরা কয়েকটি উপায়।
শাকসবজি বেশি ছোট করে না কাটা
সবজি ছোট ছোট টুকরো করে কাটলে রান্নার সময় অতিরিক্ত অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে তাদের শুধু পুষ্টিই ধ্বংস হয় না, অল্প রান্নাতেই বেশি পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে স্বাদও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরা শীতের সবজি
সবজি বেশিক্ষণ ভিজিয়ে না রাখা
অনেকেই শাকসবজি ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। সবজি কেটে রাখার পর বেশিক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত নয়। শাকসবজিকে দীর্ঘক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে প্রায় ৪০ শতাংশ দ্রবণীয় ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। তাই অল্প সময়ের জন্য ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। অবশিষ্ট পানি উদ্ভিজ্জ স্টক হিসাবে অথবা স্যুপ তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।
শিকড় জাতীয় সবজি খোসা ছাড়ানোর আগে সিদ্ধ করে নেয়া
আলুর ক্ষেত্রে সিদ্ধ করার পরে খোসা ছাড়িয়ে নিলে, এগুলোর ত্বকে উপস্থিত পুষ্টিগুলো নষ্ট হবে না। এর ফলে অন্য খাবারের সাথে গ্রহণের সময় সহজেই সমস্ত পুষ্টি শোষণ করা সম্ভব হবে।
যেগুলোর ক্ষেত্রে খোসা না ছাড়িয়ে উপায় নেই সেগুলো খুব পাতলা করে খোসা ছাড়ানো যেতে পারে। খেয়াল রাখা দরকার যে সব শাকসবজিরই পুষ্টিগুণ ত্বকের ঠিক নিচে থাকে। শুধু তাই নয়, সিদ্ধ করার আগে শাকসবজির খোসা ছাড়ালে তা থেকে ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ভিটামিন আলাদা হয়ে যায়। গাজর, মুলা, লাউ এবং আদার সম্পূর্ণ খোসা ছাড়ার পরিবর্তে ওপরের আবরণ থেকে হাল্কাভাবে চেঁছে ফেলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
আর্দ্র-তাপে রান্না যেমন সিদ্ধ করা স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি
সিদ্ধ করা বা শুধু আর্দ্র-তাপে গরম করা সবজি প্রস্তুত করার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় কারণ এতে তুলনামুলক কম তাপমাত্রা ব্যবহৃত হয়।
ডুবো তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন কারণ এটি খাবারের স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ায়। এছাড়াও এটি ওজন বৃদ্ধি ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
রান্নার সময়ে সাইট্রাস ব্যবহার
অভ্যন্তরীণ পুষ্টিগুণ অব্যাহত রেখে রান্নার মাধ্যমে সবজিকে খাবার জন্য উপযোগী নরম করা দরকার। এর জন্য সাইট্রাস ব্যবহার করে সবজির তন্তুযুক্ত টিস্যুকে নরম করা যায়। লেবুর রস বা চালের ভিনেগারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রাস থাকে।
আরও পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
হিমায়িত সবজি রান্না করা
টাটকা সবজি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হলেও গ্রাম থেকে শহরে আসতে অথবা দোকানে অনেক পড়ে থাকার দরুন পুষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে সবজি ঘরে এনে ফ্রিজে রেখে দেয়া যায় যেটা এখন সবাই করে থাকেন। হিমায়িত শাকসবজিতে থাকে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজ-এর মত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। হিমায়িত সবজি রান্নার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।
চুলার উপর পাত্রে মাত্র দুই বা তিন ইঞ্চি পানি রেখে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ফুটন্ত পানির ঠিক উপরে একটি চালনি রাখতে হবে। প্রয়োজনে পাত্র থেকে কিছু পানি ঝরিয়ে নেয়া যেতে পারে।
চালনী বসানোর পর তাতে হিমায়িত সবজি দিয়ে পুরো পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পুরো রান্না শেষ হওয়ার সময়টি নির্ভর করে কি ধরনের সবজি রান্না হচ্ছে তার উপর। তাই যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সতর্ক খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: লবঙ্গের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও ঝুঁকি
শেষাংশ
উপরোল্লিখিত পদ্ধতিগুলো শীতকালীন সবজি রান্নায় পুষ্টিগুণ বজায় রাখার পাশাপাশি খাবারের স্বাদও উন্নত করবে। শীতকাল শরীরচর্চার জন্যও অনেকের কাছে বেশ আরামপ্রদ একটা সময়। তাদের জন্যও এই পুষ্টি ধরে রাখা সবজি খাওয়ার উপায়গুলো বেশ উপযুক্ত হবে। সর্বপরি, সুস্থতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য খাবারের তথা রান্নার ক্ষেত্রে যত্নশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়।
৩ বছর আগে
অক্সিজেন খুলে দেয়ায় রোগীর মৃত্যু: ওয়ার্ডবয় আটক
বগুড়া জেলার সরকারি হাসপাতালে এক কিশোরের অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলার পর কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগে অভিযুক্ত এক ওয়ার্ড বয়কে আটক করেছে র্যাব।বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আসাদুল ইসলাম ধুলু গাইবান্ধা জেলার জয়নুদ্দিন মিয়ার ছেলে ।
র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ধুলুকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তার দোষ স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: বকশিস কম পেয়ে অক্সিজেন খুলে দেয়ায় রোগীর মৃত্যু!
তিনি জানান, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (এসজেডএমসিএইচ) ১৭ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বিকাশ চন্দ্র দাসের মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় অভিযোগের একদিন পর ধুলুকে আটক করা হয়ধুলু গত ছয় বছর ধরে এসজেডএমসিএইচ-এ দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তার কাজ ছিল বহির্বিভাগ থেকে রোগীদের স্ট্রেচারে করে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া।
কমান্ডার খন্দকার বলেন, বিকাশের মৃত্যুর পর, ধুলু প্রথমে নওগাঁয় পালিয়ে যায় এবং তারপর চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ঢাকায় আসে। তাকে ঢাকায় আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দুটি মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে ভারতের ‘আইএনএস সাবিত্রী’ চট্টগ্রাম বন্দরে
ধুলু বিকাশকে সার্জারি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টিপ হিসাবে ২০০ টাকা দাবি করেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিকাশের স্বজনরা তাকে ১৫০ টাকা দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলে।
অক্সিজেন মাস্ক অপসারণের পরপরই বিকাশের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং রাত ১০ টা ৩০ এর দিকে সে মারা যায়।
৩ বছর আগে
বকশিস কম পেয়ে অক্সিজেন খুলে দেয়ায় রোগীর মৃত্যু!
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে বকশিসের টাকা না দেয়ায় অক্সিজেন খুলে দেয়ায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয় পলাতক রয়েছে।
মৃত রোগী বিকাশ চন্দ্র দাস (১৮) গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার শিয়ালকুন্ডি গ্রামের বিশু দাসের ছেলে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওয়ার্ডবয় দুলু অনিয়মিত কর্মচারী। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মারা যাওয়া নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে বিকাশকে প্রথমে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১০টার দিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেন স্বজনেরা। শজিমেক হাসপাতালে নেয়ার পর ওয়ার্ড বয় দুলু ট্রলি নিয়ে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। পরে বিকাশকে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে সার্জারি বিভাগে নিয়ে যায় সে। ফ্লোরে বিকাশকে নামিয়ে দেয়ার পর ওয়ার্ড বয় দুলু ট্রলিতে করে উপরে নেয়ার জন্য তাদের কাছে ২০০ টাকা বকশিস চায়। কিন্তু ২০০ টাকার জায়গায় ১৫০ টাকা দেয়ায় দুলু রোগীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু তারা তাকে মাস্ক না খোলার অনুরোধ করেন। এরপরও ৫০ টাকা না পেয়ে সে রেগে গিয়ে টান দিয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেয়। এর পরপরই বিকাশের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন তারা ওয়ার্ড বয়কে অক্সিজেন লাগিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে । কিন্তু ওয়ার্ড বয় ৫০ টাকা না দিলে লাগাবে না জানায়। এরপরেই বিকাশ অক্সিজেন অভাবে মারা যান।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ- পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, 'দুলু কোন সরকারি কর্মচারি নন। মাঝে মধ্যে সেখানে ডিউটি করতো। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে সে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পলাতক দুলুকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সব মন্দির ও পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত
বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ নিহত ৩
বগুড়ায় বাউল শিল্পীকে মাথা ন্যাড়া, স্কুল শিক্ষকসহ আটক ৩
৩ বছর আগে
বাংলাদেশে আরও ২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে বাংলাদেশকে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং টিকা নিরাপদে সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কোল্ড চেইন সরঞ্জামের জন্য জরুরি কোভিড-১৯ এর সহায়তা হিসেবে আরও ২৫ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানকৃত টিকার অতিরিক্ত, নতুন এই আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশকে দেশব্যাপী মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে টিকা কার্যক্রম সম্প্রসারণে সহায়তা করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের গুরুতর অসুস্থ রোগীদের আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম করে তুলবে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত মিলার
মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে মোট ১২১ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে এবং বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘আমরা আগামী কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশব্যাপী গুরুতরভাবে অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্য যত্ন ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে হাসপাতালগুলোকে অক্সিজেন ও অন্যান্য বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত করার মাধ্যমে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে পেরে গর্বিত। ’তিনি বলেন, এবারের এই নতুন আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশকে এই বছরের শেষ নাগাদ দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে: রাষ্ট্রদূত মিলার
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া কোভিড-১৯ সহায়তার মধ্যে রয়েছে ১১.৫ মিলিয়ন ডোজ ফাইজার ও মডার্না ভ্যাকসিন অনুদান এবং জাতীয় টিকাদান প্রচারাভিযানের জন্য বাড়তি সহায়তা।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন যন্ত্রপাতি, পালস অক্সিমিটার এবং দেশব্যাপী ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য লাখ লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
৩ বছর আগে
দুটি মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে ভারতের ‘আইএনএস সাবিত্রী’ চট্টগ্রাম বন্দরে
করোনা মহামারিতে ভারতের উপহার দুটি মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট (এমওপি) ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস সাবিত্রী’ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় নৌবাহিনীর অফশোর টহল জাহাজ আইএনএস সাবিত্রী প্ল্যান্টগুলো নিয়ে বন্দরের এনসিটি ৫ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
এসময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডারের পক্ষ থেকে জাহাজটিকে স্বাগত জানান চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মইন। তিনি আইএনএস সাবিত্রীর কমান্ডার এন রবি সিংকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বিএনএস পতেঙ্গার নেভি হাসপাতালের কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার এম মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাগজপত্র গ্রহণ করেন।
ক্যাপ্টেন মইন জানান, ভারতের ডিআরডিও দ্বারা নির্মিত প্ল্যান্টগুলি কোভিড মহামারির মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতায় উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে। প্ল্যান্টগুলোর অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি মিনিটে ৯৬০ লিটার। একটি প্ল্যান্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ও অপরটি বিএনএস পতেঙ্গায় স্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ ও অত্যাধুনিক এই প্ল্যান্টগুলি অত্যন্ত সাশ্রয়ী উপায়ে তাৎক্ষণিক মেডিকেল অক্সিজেন তৈরি করে। হাসপাতালে সরাসরি স্থাপনের পাশাপাশি এগুলো অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার জন্যও ব্যবহার উপযোগী।
প্ল্যান্টগুলো চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য প্রেসার স্যুইং অ্যাবসর্পশন (পিএসএ) নীতিসহ জিওলাইট (মলিকুলার সীভ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানসম্মত মেডিকেল অক্সিজেন উৎপন্ন করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড মহামারির চলমান ঢেউ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সরকারি সংস্থার চলমান প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করার জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশের পৌঁছেছে।
আইএনএস সাবিত্রী গত ৩০ আগস্ট বিশাখাপত্তনম ছেড়ে এসে ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে যেখানে নানা রকমের ক্রিয়াকলাপ ও বিনিময় বিরাজমান এবং যা বছরের পর বছর ধরে শক্তিশালী হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের একটি ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্যে উভয় দেশের একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিল এফসিসিআই
ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দু'টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও মাস্ক দিয়েছে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফসিসিআই)।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলামের হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেন চেম্বারের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
এফসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালক মো. আলী আকবর, মো. আনিসুজ্জামান ও মো. লিয়াকত হোসেন লিটন এসব সামগ্রী তুলে দেন সংশ্লিষ্টদের হাতে। এসময় ফরিদপুরের বিএমএ সভাপতি ডা. আসম জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী টিটে, স্বাচিপের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেবাচিমের ১শ’ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও
বিএসএমএমসি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসময় বলেন, এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন বাতাসে থাকা অক্সিজেনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন ঘাটতি পুরণ করে। নতুন দু'টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসায় সুফল দিবে। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে ফরিদপুরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমের দিকে।
৩ বছর আগে