লিবিয়া
লিবিয়ায় ২৩ অপহৃত বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
লিবিয়ার মিসরাতা শহরে ২৩ অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, লিবিয়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২৩ জন অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে এবং এ ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মিসরাতার আল-গিরান থানায় বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি এই তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে পিটুনিতে শ্রমিকদল নেতার মৃত্যু, লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার ৪
তদন্তের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান চিহ্নিত করে পুলিশ সফল অভিযান পরিচালনা করে জিম্মিদের মুক্ত করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস মিসরাতার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
১৫ দিন আগে
লিবিয়ায় আটক থাকা ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী ঢাকায় ফিরলেন
লিবিয়ার বেনগাজী থেকে ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টায় বুরাক এয়ার চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলায়, এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর বেশিরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন।
তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যান এ বিষয়ে তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটকে থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সমগ্রী উপহার, মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টোরে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
৬৩ দিন আগে
লিবিয়ায় আটকে থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন
লিবিয়ার বেনগাজি গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিরা ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।আরও পড়ুন: লিবিয়া-তিউনিশিয়া থেকে ফিরলেন আটকে পড়া ১৬১ জন বাংলাদেশি
দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) কাজী আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে তাদের গ্রহণ করে এবং বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল এরইমধ্যে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং আইওএম-এর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের বিনা খরচে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
৬৪ দিন আগে
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫৭ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিক।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
ফিরে আসাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা।
লিবিয়ার মিসরাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হতে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ১৫৭ জন আটকে পড়া অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী, লিবিয়া ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
ফিরে আসা বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যায় এ বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়ার জন্য এবং সবাইকে সচেতন করার জন্য আহ্বান জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
আইওএমের পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে ফেরা প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে একসঙ্গে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি
১৭৭ দিন আগে
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে ১৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) সকাল সোয়া ৯টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফেরেন তারা।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা লিবিয়ার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রচেষ্টায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
ফেরত নাগরিকদের প্রত্যেকের জন্য ছয় হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সমগ্রী ও মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজন অনুসারে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে তিউনিশিয়া থেকে ৫ সেপ্টেম্বর চারজন ও ৬ সেপ্টেম্বর ১৮ জন এবং ৬ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার ত্রিপোলির ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৫৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে ইইউকে ইউরোপপ্রবাসী বাংলাদেশিদের স্মারকলিপি
২১৬ দিন আগে
ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ দেশে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় লিবিয়া থেকে বিমানযোগে লাশগুলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে পাঁচজন মাদারীপুরের ও তিনজন গোপালগঞ্জের।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী, কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ, তেলিকান্দি গ্রামের কাজী মিজানুরের ছেলে কাজী সজীব, কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত, ফতেহপট্টি গ্রামের রাসেল ও গয়লাকান্দি গ্রামের মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
আরও পড়ুন: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ আজ দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে
এ ঘটনায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। তাদের মধ্যে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের অভিযোগ, ওই ৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন শরিফুল হাসান।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে নৌকায় করে একটি অভিবাসী দল ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে ডুবে যায়।
নৌকাটিতে মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন।
বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক ছিলেন।
ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ছিলেন। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলা দায়ের করার দুই দিন পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে চেয়েছিলেন। সজলের পূর্বপরিচিত যুবরাজ কাজী ও লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে বৈধ পথে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে গত ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে সজলের কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় দুবাই রওনা হন তিনি।
এরপর ৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে আসেন সজলের বাবা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।
পরে গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে সজল একজন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে ২০ জনের একটি চক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করে থাকে। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২৫০০ অভিবাসনপ্রতাশী নিহত বা নিখোঁজ
৩৫০ দিন আগে
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে আরও ১৪৪ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
তাদের বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।
শুক্রবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককেই পকেট মানি হিসেবে ছয় হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান লিবিয়া ফেরত অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন।
তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন মোস্তফা জামিল খান।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
৪১৯ দিন আগে
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে আরও ১৪০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১১৩ জন লিবিয়ার দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৭জন বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৬টায় দেশে ফেরেন তারা।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই লক্ষ্যে দূতাবাসের টিম একাধিকবার দারনা শহর সফর করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
এছাড়া, দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে দারনা শহরে বন্যাকবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে দেশে প্রত্যাবাসনে কিছুটা বিলম্ব হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৫ হাজার ৯১৯ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান বিমানবন্দরে ফিরে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক অভিবাসীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর লিবিয়াতে তাদের ভংঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ত্রিপলি ও বেনগাজীর বন্দিশালায় আটকসহ বিপদগ্রস্থ মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
খুব শিগগিরই অনিয়মিত সব বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
৪৮৩ দিন আগে
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
লিবিয়ার বেনগাজির বন্দিশালায় আটক আরও ১৩৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
এরআগে গত ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা বন্দিশালায় আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন এবং ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী বন্দিশালায় আটক ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের খোঁজ-খবর নেন।
তিনি বাড়ি ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
খুব শিগগিরই আরও অনিয়মিত বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চাটার্ড ফ্লাইটে মোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
৪৯০ দিন আগে
লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়ার বেনগাজির বন্দিশালায় আটক ১৪৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে সাড়ে ৬ হাজার টাকা এবং কিছু খাদ্য সমগ্রী দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া অন্য বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান। এরই ধারাবহিকতায় খুব শিগগিরই অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে।
এর আগে ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা বন্দিশালায় আটক ১৪৩ জন এবং ৩০ নভেম্বর আরও ১১০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে।
এ নিয়ে সর্বশেষ মোট ৩৯৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৪৯৮ দিন আগে