সন্ত্রাসবাদ
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ কনভেনশনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় মানবাধিকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বের ওপর জোর দেন, রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করা নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের চলমান সংস্কারের কথা তুলে ধরেন।
কুয়েত সিটিতে 'স্ট্রেংদেনিং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্টার-টেরোরিজম কো-অপারেশন অ্যান্ড বিল্ডিং এজাইল বর্ডার সিকিউরিটি মেকানিজম' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দায়িত্বশীল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘এআইকে অবশ্যই মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলোকে তাদের দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বহুপাক্ষিকতার সারমর্ম তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্যিকারের নিরাপত্তা তখনই অর্জিত হয় যখন প্রতিটি সমাজ সুরক্ষিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, 'আজকের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে প্রতিটি সমাজ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমাজই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ নয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও সীমান্ত সুরক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ২০১৮ সালে চালু হওয়া একটি উদ্যোগ ‘দুশানবে প্রসেস’-এর চতুর্থ পুনরাবৃত্তি এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনটি।
এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রথমবারের মতো ‘দুশানবে প্রসেস’-এর সুযোগ ও প্রভাব মধ্য এশিয়ার বাইরেও প্রসারিত করেছে এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেরোরিজম স্ট্র্যাটেজির বাস্তবায়ন জোরদার করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
২ সপ্তাহ আগে
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকালে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর ১৮ ধারা অনুযায়ী ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ নেওয়ার পর অনেকের প্রাণহানি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে আসছে আওয়ামী লীগ সরকার।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের ফাইল যাচাই-বাছাই করে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সুপারিশ করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলটির ওপর এটি দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞা এবং এর সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের অভিযোগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য যেহেতু ধর্ম, তাই স্বাধীন বাংলাদেশে দলটির সাংগঠনিক অস্তিত্ব কার্যত বিলীন হয়ে যায়।
কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করে।
১৯৭৬ সালের ৩ মে রাষ্ট্রপতি এ এস এম সায়েম এক অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন।
তবে জামায়াতে ইসলামী তাৎক্ষণিকভাবে জামায়াতে ইসলামী নামে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করেনি। পরিবর্তে, তারা একটি ভিন্ন রাজনৈতিক দল বেছে নিয়েছে।
১৯৭৬ সালের ২৪ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দল ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামে একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠন করে। জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা এই দলে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগের ব্যানারে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন নেতা ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে অংশ নেন এবং ছয়টি আসনে জয়লাভ করেন।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন।
১৯৭৯ সালের ২৫, ২৬ ও ২৭ মে ঢাকার ইডেন হোটেল প্রাঙ্গণে দলের এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় এবং এই সম্মেলনে দলটির নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।
এরপর ১৯৭৯ সালের ২৭ মে চার দফা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে জামায়াতে ইসলামী।
এরপর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে সভা-সমাবেশ করে আসছিল দলটি।
জেনারেল এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১৮টি আসনে জয়লাভ করে।
তৎকালীন বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। সেসময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন ছাড়া বিএনপির পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব ছিল না।
তখন থেকেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়।
২০০৮ সালের পর জামায়াত
২০০৮ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
এরপর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হয়।
এই বিচারে গোলাম আযমসহ জামায়াতে ইসলামীর অনেক শীর্ষ নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। গোলাম আযমকে দেওয়া হয় ৯০ বছরের কারাদণ্ড। এই কারাদণ্ডাদেশ নিয়ে কারাগারেই মারা যান গোলাম আযম।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য শীর্ষ নেতারা হলেন- মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
৩ মাস আগে
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
শুক্রবার মার্কিন সরকার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রায়শই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দেন এবং আল-কায়েদা ও আইএসআইএসের মতো বিশ্বব্যাপী সংগঠিত জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে চলেন।
'কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০২২' এর বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বিশেষত আল-কায়েদা অনুমোদিত গোষ্ঠী, জামাত-উল-মুজাহিদীন (জেএমবি) এবং আইএসআইএস অনুমোদিত জেএমবি শাখা, নব্য জেএমবি’র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আমলে নেওয়ায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সহিংসতার অল্প কিছু ঘটনা ঘটেছে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে নির্মূল করার জন্য অভিযানের ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশ কয়েক ডজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অনুসারে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানকালে আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে ব্যাহত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান পরিচালনা করে।
কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটি জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে সহযোগিতা করেছিল।
কর্তৃপক্ষ বছরের বাকি সময়জুড়ে কয়েক ডজন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৫ সালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে হামলার ঘটনায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে গত ২০ নভেম্বর ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষিত আল-কায়েদা অনুমোদিত আনসার আল-ইসলামের ২০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে পালানোর পরিকল্পনা এবং/অথবা কার্যকর করতে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা ২০২২ সালের শেষে পর্যন্ত পলাতক ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগার ব্যবস্থায় মৌলবাদ থেকে সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী নিয়োগ গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেই রয়ে গেছে।
সিটিটিসিইউ (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নির্বাচিত কারাগারগুলোতে বাস্তবায়নের জন্য সহিংসতা থেকে একটি সমন্বিত ‘ডেরাডিকালাইজেশন’ প্রোগ্রাম তৈরি শুরু করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
১১ মাস আগে
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতায় রয়েছে ঈর্ষনীয় সফলতা। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশে যেসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মতৎপরতা দেখা দিয়েছিল, তা পুলিশ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।
আরও পড়ুন: আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ বাড়ল দেড় বছর
শুক্রবার সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবন স্টুডিও এপার্টমেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ওইসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
আইজিপি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে পার্বত্য জেলা বান্দারবানের গহীন জঙ্গলে অনেক শক্তিশালী সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়েছিল, বাংলাদেশ পুলিশ তাও সফলভাবে প্রতিহত করেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি বলেন, আমি যখনই শাল্লায় আসি, মা ও মাটির গন্ধ পাই। আমি শাল্লার সন্তান, এখানের কাদামাটি, আলো-বাতাসে বড় হয়েছি। দিনের পর দিন হাওরের মুক্ত বাতাসে চষে বেড়িয়েছি। তাই শাল্লা নিয়ে আমি সর্বদাই গর্ববোধ করি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে শাল্লার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। পরে শাল্লা থানা পুলিশের আবাসিক ভবন স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট উদ্বোধন শেষে দুপুর ১২টায় নিজ বাড়ি শ্রীহাইল গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি
বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
১ বছর আগে
জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব: মহাপরিচালক
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হয়ে র্যাব অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-৯ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১টায় র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে র্যাব ডিজি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে র্যাব-৯। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব-৯ এর যেসকল সদস্য দেশের তরে কাজ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কমনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সকল দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াসহ নানা সহায়তা প্রদান করেছে র্যাব-৯। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড র্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এসকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে র্যাব-৯।
আরও পড়ুন: জঙ্গিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে: র্যাব মহাপরিচালক
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞায় র্যাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সব অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সংস্থার কেউ আইনবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
র্যাব তার নীতিতে অবিচল উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকা ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বান্দরবনের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। গহীন অরণ্যে শুধু নয়;জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে র্যাব হবে আতঙ্কের নাম।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্রগ্রামে র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আটক ১০
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
আধুনিক সন্ত্রাসবাদ দমনে জাতিসংঘকে ৫ লাখ ডলার দেবে ভারত
আধুনিক সময়ের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জাতিসংঘকে পাঁচ লাখ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, সমাজকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে মৌলবাদ ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমগুলো সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে ভারত: জয়শঙ্কর
শনিবার জয়শঙ্কর ভারতের রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ দমন কমিটির এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। শুক্রবার মুম্বাইয়ে এটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোকে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানে ইউএনওসিটি-এর প্রচেষ্টা বাড়াতে ভারত এ বছর স্বেচ্ছায় জাতিসংঘের ট্রাস্ট ফান্ড ফর কাউন্টার টেরোরিজম-এ পাঁচ লাখ ডলার প্রদান করবে।’
প্রথমবারের মতো ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাউন্টার টেরোরিজম কমিটির এ বৈঠকের আয়োজন করছে। এ বছরের থিম হলো- ‘ সন্ত্রাসবাদি কর্মকাণ্ডে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিরোধ করা’।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
২ বছর আগে
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ও চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসা জাতিসংঘের
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) ভ্লাদিমির ইভানোভিচ ভরনকভ সন্ত্রাস দমন ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
ভরনকভ ২০২৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রধানদের আসন্ন উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে নিজেদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল সন্ত্রাসে অর্থায়ন, পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কারিগরি সহায়তাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রসারিত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বজায় রেখেছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিবৃতিটি কোনো বৈশ্বিক প্রতিবেদন ছিল না: জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়
২ বছর আগে
মানব নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সন্ত্রাসবাদ: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আজকের বিশ্বে গণতন্ত্র, শান্তি এবং মানব নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ একটি। বৈশ্বিক হুমকি হওয়ায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে এ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে মামলা ব্যবস্থাপনা এবং প্রসিকিউটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওপিডিএটি-এর সহযোগিতায় ঢাকায় আয়োজিত ছয়মাস মেয়াদি এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও প্রসিকিউটরগণ অংশ নেন।বক্তৃতার প্রারম্ভে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি বন্দুকধারীর গুলিতে নিরপরাধ ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিহতদের স্মরণে কিছু সময় দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের আহ্বান জানালে সকলে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবাদের প্রস্তুতি, সহায়তা এবং উস্কানিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২০০৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে। এছাড়া ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত অপরাধ দমনের জন্য ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। উভয় আইন অনুসারে, সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধের সুষ্ঠু ও কার্যকর বিচারের জন্য সারা দেশে সাতটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এবং আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।আনিসুল হক বলেন, করোনার মহামারির সময়েও জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ’ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত চালু করা হয়েছিল। করোনার মহামারি পরিস্থিতি সত্ত্বেও, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি করেছে যা জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এবং কারাগারে বন্দীদের ভিড় কমাতে অনেক অবদান রেখেছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক ডেভিড কার্টার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা মিশেল প্রিন্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি আরব
সৌদি আরবে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ’র বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১২ মার্চ) ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, যা সংখ্যায় পুরো গত এক বছরের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে ইয়েমেন এবং সিরিয়ার নাগরিকও রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ থেকে বিপথগামীতা, এরকম নানা 'জঘন্য অপরাধের' অভিযোগ ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী, আল কায়েদা, হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সৌদি আরবে প্রায়শই অনেকে ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রক্রিয়ার অধিকার পান না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ১৩ জন বিচারক এই ব্যক্তিদের বিচার করেছেন এবং তারা তিন ধাপের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছেন।
পড়ুন: সৌদি আরবে ২০২১ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ চুক্তি বেড়েছে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে থাকে সৌদি আরব তাদের মধ্যে অন্যতম।
শীর্ষ পাঁচটি দেশের তালিকায় রয়েছে চীন, ইরান, মিশর এবং ইরাক।
সৌদি আরবে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেশটিতে গত বছর ৬৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
সন্ত্রাসবাদে উস্কানিদাতাদের তালিকা তৈরি করুন: কাদের
সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে উস্কানিদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বুধবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
তিনি বলেন, 'আক্রমণ করলে তাদের কীভাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানে।
কাদের বলেন, একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হেফাজত ইসলাম বিদ্যমান স্বস্তি ও শান্তি বিনষ্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা সহনশীলতার সকল মাত্রা অতিক্রম করেছে।
জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিশ্চিত করে ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা দেশব্যাপী সহিংসতা চালিয়েছে বা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছে বলেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিপরীতে আওয়ামী লীগ এখনও দায়িত্বশীল আচরণ করছে।
আওয়ামী লীগ নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। তারা ধর্ম পালন করে কিন্তু কোনো ধর্মান্ধতার সমর্থন করে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে।'
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অবমাননা জাতি আর সহ্য করবে না।'
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভাস্কর্যগুলোতে যারা হামলা করেছেন তাদের এই নৈরাজ্যের জবাব দেবে আওয়ামী লীগ কর্মীরা,’ বলেন কাদের।
আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে বলে ওবায়দুল কাদের সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
দুই-একদিনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু করার তথ্যটি সত্য নয় জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।
৩ বছর আগে