বিটিআরসি
মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, চারটি বেসরকারি টেলিকম অপারেটর- গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং এয়ারটেলের টু-জি স্পেকট্রাম ফি এবং লাইসেন্স ফি এর ভ্যাট হিসাবে সরকারের কাছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
রবিবার রাজধানীর কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, ‘সরকারের টাকা মানে জনগণের টাকা, তাই অপারেটরদের অবশ্যই টাকা দিতে হবে।’ বিটিআরসি টাকা তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
তিনি আরও বলেন, ‘বিটিআরসির সকল আইন ও নীতি জনগণের কল্যাণে প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা টেলিযোগাযোগ খাতকে দেশের একটি যুগোপযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
প্রদেয় পরিমাণের বিষয়ে তিনটি প্রধান টেলিকম অপারেটরকে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিটিআরসি নিরলসভাবে কাজ করছে।’
স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার অধ্যাপক শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, বকেয়া প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ও জনগণের টাকা। টেলিকম অপারেটরদের এই টাকা দিতে হবে।
বিটিআরসির মহাপরিচালক (আইন ও লাইসেন্সিং বিভাগ) আশিস কুমার কুন্ডু বলেন, গত বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কাছে এক হাজার ১৬৩ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা, বাংলালিংকের কাছে ৬২৫ দশমিক ২৭ কোটি টাকা, রবির কাছে ৫৬৫ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ৫৯ দশমিক ০৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, বিটিআরসি অপারেটরদের কাছ থেকে শতভাগ রাজস্ব পাবে এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করা যাবে না।
বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রকিব বলেছেন, বিটিআরসি অবশ্যই অপারেটরদের কাছ থেকে তার বকেয়া পাবে কারণ তারা অবৈধভাবে অর্থ দাবি করেনি।
তারেক হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অন্যান্যদের মধ্যে বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ পরিচালক (আইনি ও লাইসেন্সিং)।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
গ্রামীণফোন নতুন-পুরাতন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না: বিটিআরসি
গ্রামীণফোন নতুন-পুরাতন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না: বিটিআরসি
গ্রামীণফোনের নতুন সিম কার্ড বিক্রি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার পর এবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠানটি পুরানো সিমকার্ড বিক্রি করতে পারবে না।
রবিবার বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোনকে ১৩ লাখ পুরনো সিমকার্ড বিক্রির বিটিআরসির অনুমোদন আজ স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩০.৩১ কোটি টাকা জমা দিলো গ্রামীণফোন
অপারেটরদের ‘গুণগত মানসম্পন্ন পরিষেবা দিতে ব্যর্থতার’ কারণে ২০২২ সালের ২৯ শে জুন গ্রামীণফোনের নতুন সিমকার্ড বিক্রির ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সে সময় ইউএনবিকে বলেন, বারবার বলা সত্ত্বেও গ্রামীণফোন তার ব্যবহারকারীদের মানসম্পন্ন সেবা প্রদান না করায় বিটিআরসি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘টেলিকম কোম্পানিটির মানসম্পন্ন পরিষেবা প্রদানের কোন ইচ্ছা নেই। কেননা গ্রাহকরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সমাধানের জন্য কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না গ্রামীণফোন।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
তরুণদের অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে কাজ করবে ইউএনডিপি-গ্রামীণফোন
অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সোমবার চালু করা একটি নির্দেশিকা অনুসারে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের অক্টোবর থেকে কলড্রপের জন্য টকটাইম ফেরত দিয়ে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মোবাইল ফোন কলড্রপ, কলড্রপ সংক্রান্ত তথ্য ও টকটাইম ফেরত সংক্রান্ত অপারেটরদের জন্য নতুন নির্দেশিকাটি বিটিআরসি কার্যালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:
একজন গ্রাহক সকল মোবাইল অপারেটরের জন্য একই ইউএসএসডি কোডের (*১২১*৭৬৫#)মাধ্যমে পূর্ববর্তী দিন বা সপ্তাহ অথবা মাসিক অননেট কলড্রপের পরিমাণ জানতে পারবে যা ১ অক্টোবর কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মোবাইল অপারেটররা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন প্রথম ও দ্বিতীয় কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য তিনটি পালস (৩০ সেকেন্ড) টকটাইম এবং পরবর্তী ৩য় থেকে ৭ম কলড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কলড্রপের জন্য চারটি পালস (৪০ সেকেন্ড) সহ গ্রাহকদের ফেরত দেবে।
কলড্রপের ফলে ফেরত টকটাইম পরের দিনের প্রথম কল (০০:০০ ঘন্টা) থেকেই ব্যবহারযোগ্য হবে। যার অর্থ দাঁড়ায়- ফেরত টকটাইম সর্ম্পণূরূপে ব্যবহার হওয়ার পূর্বে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হতে কলের জন্য কোনো টাকা কাটা যাবে না।
কলড্রপের ফলে ফেরত পাওয়া টকটাইম সম্পর্কে গ্রাহককে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
একজন অপারেটর চাইলে কলড্রপ হওয়ার দিন থেকে কল মিনিট ফেরত দিতে পারে।
কলড্রপের ফেরত দেয়া টকটাইম ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক ১৫ দিনের সময়কাল প্রযোজ্য হবে।
নতুন গাইডলাইনকে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক টাকা দিয়ে সেবা গ্রহণ করেন। তাই অপারেটরকে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ না দেয়ার চেয়ে অপারেটররা টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় বিনিয়োগ করলে কল ড্রপের হার কমে যাবে।’
মন্ত্রী অপারেটরদের প্রতি তাদের গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
এক এনআইডিতে ১৫টির বেশি সিমকার্ড বন্ধ করছে বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) শিগগিরই একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ডের অধীনে ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) কার্ড নিষ্ক্রিয় করতে যাচ্ছে।
বিটিআরসি-এর ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র রবিবার ইউএনবিকে বলেছেন, বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন গ্রাহককে তার এনআইডি দিয়ে সর্বাধিক ১৫ টি সিমকার্ড নিবন্ধন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা, গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে একটি এনআইডি’র বিপরীতে ১৫টির অতিরিক্ত সিমকার্ড নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার উপায়
এছাড়া ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসি এক এনআইডিতে নিবন্ধিত এ ধরনের সিম কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করছে।
২০১৬ সালের ২০ জুন বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নেয় যে একটি এনআইডি কার্ডের বিপরীতে ২০টি সিমকার্ড নিবন্ধন করা যেতে পারে এবং পরে ২০১৭ সালের আগস্টে এ সংখ্যা ৫টি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কমিশন তার সিদ্ধান্ত সংশোধন করে এবং এক এনআইডির বিপরীতে ১৫ টি সিমকার্ড নিবন্ধনের বিষয়টি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
ঈদ উদযাপনে ৪ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৭৩ লাখের বেশি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী
প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে দুই দশমিক তিন গিগাহার্জ ব্যান্ডের নতুন স্পেকট্রাম দিয়ে ফোরজি চালু করেছে টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) খুলনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস এই ঘোষণা দেন। পরে বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা থেকে এই নতুন স্পেকট্রামের ব্যবহার শুরু হয়।
চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত বিটিআরসি’র সর্বশেষ স্পেকট্রাম নিলাম থেকে নতুন স্পেকট্রাম নেয়া প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি ) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
তিনি বলেন, বাংলালিংক যেভাবে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দেখে, তা দেখে আমি আনন্দিত। এই ধরনের উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, খুলনা বাংলালিংকের কাছে সবসময়ই বিশেষ একটি মার্কেট। আজকের এই উদ্যোগে বাংলালিংককে সমগ্র দেশে বিস্তৃত একটি অপারেটর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যও প্রতিফলিত হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুততর ইন্টারনেট এবং মানসম্মত ডিজিটাল সেবা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আরও পড়ুন: দেশের ফাসটেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা’র স্বীকৃতি পেলো বাংলালিংক
সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন স্পেকট্রামের ফলে বাংলালিংক গ্রাহকরা দ্রুততর ইন্টারনেট ও আরও উন্নত ডিজিটাল সেবা পাবেন। টাইম ডিভিশন ডুপ্লেক্স ( টিডিটি ) প্রযুক্তির মাধ্যমে এই স্পেকট্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলালিংক গত আট মাসে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তিন হাজারটি নতুন বেইজ ট্রান্সসিভার স্টেশনও ( বিটিএস ) স্থাপন করেছে। চলতি বছরে বিটিআরসি’র কাছ থেকে ৪০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম নেয়ার ফলে বাংলালিংকের স্পেকট্রামের পরিমাণ ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ মেগাহার্জে উন্নীত হয়। গ্রাহক প্রতি স্পেকট্রামের হিসেবে বর্তমানে দেশের শীর্ষ বেসরকারি অপারেটর বাংলালিংক। এছাড়াও ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে বাংলালিংক ২০২২ এর দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়। সম্প্রতি টানা তিন বছর দেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা’র স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলালিংক ।
আরও পড়ুন: জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস ডিভিশনের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো.মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ টেকনোলজি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার হুসেইন তুরকার , বাংলালিংকের ক্লাস্টার ডিরেক্টর এফ এম শাহরিয়ার ওমর প্রিন্স ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
তিন অপারেটর থেকে পৌনে তিন কোটি টাকা জরিমানা আদায় বিটিআরসি’র
অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) পরিচালনার অভিযোগে দেশের তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছ থেকে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রবি, গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের কাছ থেকে মোট ২ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
১২ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে রবি ২ কোটি ১০ লাখ টাকা, গ্রামীণফোন ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বাংলালিংক ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।
১০ এপ্রিল, অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট, ২০০১ এর ধারা ৬৫ এর উপ-ধারা ৫ এর অধীনে কমিশনের শুনানির পর অপারেটরদের জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৪ মোবাইল অপারেটরকে ৭.৬৫ কোটি টাকা জরিমানা বিটিআরসির
গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
দেশে ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভজি চালু হবে
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব মোবাইল অপারেটরে ফাইভজি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ প্রণয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, প্রযুক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, নারী, শারিরীকভাবে অক্ষম জনগোষ্ঠীসহ অনানুষ্ঠানিক খাতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার এক কর্মশালায় শ্যাম সুন্দর সিকদার এ তথ্য জানান। কর্মশালার শুরুতে মিশ্রিত শিক্ষা (ব্লেন্ডেড এডুকেশন) বাস্তবায়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সর্ম্পকে বিশদ উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির সিস্টেমস্ এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মোবাইলফোন ব্যবহারকারী ১৮ কোটি ৪০ লাখ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাড়ে ১২ কোটি। প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৫ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ৪,৪৩১টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি দেয়া হয়েছে এবং দুর্গম অঞ্চলে আরও ১২৩টি ইউনিয়নকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কানেক্ট করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এক লাখের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫ ভাগ এবং ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছ। তবে এজন্য প্রায় ১৪ লাখ ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি ৯৮ হাজার ৬৩৬টি ডিজিটাল ডিভাইস তথা ল্যাপটপ এবং প্রতিটি ক্লাসরুমের জন্য ২০ থেকে ৩০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে সবুজ-বান্ধব ফাইভজি নেটওয়ার্কএছাড়া, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় ন্যাশনাল ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম বা এনএমএস চালু করতে হবে, যার কাজ হবে কানেক্টিভিটি বজায় রাখা এবং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।
উপস্থাপনায় মো. নাসিম পারভেজ ডিজিটাল কানেক্টিভিটির স্থাপনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সারাদেশে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সার্বক্ষণিক সচল রাখতে কারিগরি জনবল ও মনিটরিং ব্যবস্থা, সেবার মান নিশ্চিতকরণ, নির্ধারিত গতিতে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।কর্মশালায় এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল ও গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা মিলে একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রবেশ করা, যাতে দেশের প্রান্তিক এলাকাসহ সকল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকারের সুযোগ পায়।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্রডব্যান্ডের মুল কানেক্টিভিটি সরকারের হাতে রেখে গ্রাহক পর্যায়ের কার্যক্রম বেসরকারি খাতে দিয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলে তা ফলপ্রসু হবে।কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে অংশগ্রহণকারীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে ওয়ার্কিং সেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
গ্রুপগুলো নিম্নোক্ত চারটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন: (১) সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (২) বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা (৩) কারিগরী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও (৪) জনসাধারণের তথ্যপ্রযুক্তি সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি ।
এফোরএআই- এর জাতীয় সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসাইন, এফোরএআই এর হেড অব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্জু মঙ্গলসহ এটুআই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিকম সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফাইভজি’র জন্য এ বছর প্রস্তুতি, আগামী বছর চালু: বিটিআরসি
৪ মোবাইল অপারেটরকে ৭.৬৫ কোটি টাকা জরিমানা বিটিআরসির
অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) ব্যবহারের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটকসহ চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরকে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানিয়েছে, কমিশনের নির্দেশনা ও লাইসেন্সের শর্ত অমান্য করায় বিটিআরসি টেলিটককে ৫ কোটি টাকা, রবিকে ২ কোটি টাকা এবং গ্রামীণফোন ও বাংলালিংককে যথাক্রমে ৫০ লাখ ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
এসব অপারেটরকে ৩০ জুনের মধ্যে প্রশাসনিক জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বিটিআরসির সচিব মো. নুরুল হাফিজ স্বাক্ষরিত চিঠিটি সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও কমিশন জানিয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনার সময় অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) জব্দের অভিযোগের ওপর শুনানি শেষে বিটিআরসি এসব অপারেটরকে জরিমানা করে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে অপারেটরদের সতর্কও করেছে বিটিআরসি।
টেলিটকের ৩২ হাজার ৮৪৫টি, রবির ১৬ হাজার ৩৯০টি, গ্রামীণফোনের দুই হাজার ৩৫৬টি ও বাংলালিংকের ৭৫৩টি সিম জব্দ করেছে কমিশন।
ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে নজরদারি চেয়ে রিট
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক পোস্টের (কনটেন্ট) প্রচার-প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী তাপস কান্তি বল এই রিটটি দাখিল করেন।
সাংবাদিক সেলিম সামাদ,ড. মাসুম বিল্লাল,অ্যাডভোকেট জর্জ চৌধুরী ও সমাজ সেবক ভিক্টর রায় বাদী হয়ে এই রিট করেন।
রিটে বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক এবং ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই দেশে ফেসবুকের অপব্যবহার ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, গত নভেম্বর মাসে বিটিআরসি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলাম। তাতে ফেসবুকসহ অন্যান্য যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে উস্কানিমূলক, বিদ্বেষপূর্ণ ও কুরূচিপূর্ণ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে তাদেরকে; বিশেষ করে ফেসবুককে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে যে জবাব এসেছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নয়। এ কারণে একটি রিট দায়ের করেছি। রিট আবেদনটি সুপ্রিমকোর্টের অবকাশ শেষে আগামী জানুয়ারিতে শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রিট
এর আগে গত নভেম্বরে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ১৩ অক্টোবর হিন্দুদের মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখা হয়েছে বলে এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়। সেটি ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের ২৭ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগেও রামু, নাছিরনগর, শাল্লা, বোরহানউদ্দিন, পাটগ্রাম, দেবহাটায় ফেসবুকের এমন ব্যবহারের এ ধরনের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে এ ধরনের ঘৃণিত পোস্ট বন্ধে বা নিয়ন্ত্রণে বিবাদীরা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়,‘ডিজিটাল নিরপত্তা আইন অনুযায়ী ভুয়া, অসত্য তথ্য ছড়ানো বন্ধ করা ১ থেকে ৪ নম্বর বিবাদীর দায়িত্ব। কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের জনগণের জান-মালের যে ক্ষতি হয়েছে সে সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের গাইড লাইন, আন্তর্জাতিক আইন ও দেশীয় আইন পালনে ব্যর্থ হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ফেসবুকে এসব অসত্য তথ্য প্রচার বন্ধে বিবাদীরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পরে আইনজীবী তাপস কান্তি বল বলেন,‘ফেসবুক ব্যবহার করে ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক (হেট স্পিচ) পোস্ট ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। হেট স্পিচের মাধ্যমে ছড়ানো সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। সেই দায়িত্ব প্রতিপালনে তারা ব্যার্থ হয়েছে। তাই এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যেখানে সরকারের কাছে ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুরাদের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
চট্টগ্রামে নালায় পড়ে মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
গ্রামীণ ফোনের কল ড্রপ সবচেয়ে বেশি: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছেন, ‘কল ড্রপ নিয়ে জিপিকে (গ্রামীনফোন) দোষতেই হবে । কারণ জিপির কল ড্রপ বেশি । সবচেয়ে বেশি কল ড্রপ গ্রামীনফোনের ছিল। অতি সম্প্রতি গ্রামীন ফোনের কল ড্রপ কিছুটা কমেছে।’
বৃহস্পতিবার বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ( টিআরএনবি ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কল ড্রপ নিয়ে আমিও ভোগান্তিতে আছি। আরেকটি আমার বড় ভোগান্তির কারণ হচ্ছে মানুষের ভোগান্তি। ১৭ কোটি মানুষের সমস্ত দায় আমার ওপরেই। কারণ তাদেরকে কোয়ালিটি সার্ভিস এনসিওর করার দায় আমার ওপর।’
শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং কল ড্রপের সমস্যা কমাতে বিটিআরসি ৩০০টি উপজেলায় টেস্ট ড্রাইভ পরিচালনা করছে।
আর পড়ুন: গ্রামীণফোনের ওপর বিটিআরসি’র নতুন বিধিনিষেধ আরোপ
তিনি বলেন, ‘কল ড্রপ নিয়ে আমাদের প্রায় ২২৭টি উপজেলায় আমাদের টেস্ট ড্রাইভ হয়েছে । তাতে ১২৮০০ কিলোমিটার কাভার করেছে । রংপুরের টেস্ট ড্রাইভ রিপোর্ট অনুযায়ী, সব টেলিকম অপারেটরের কল ড্রপের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন মোবাইল ব্যবহারকারীরা।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ড্রাইভের সাথে নিয়মিতভাবে চিঠি এবং নির্দেশনা পাঠিয়ে টেলিকম অপারেটরদের ওপর আমাদের চাপ অব্যাহত রেখেছি।’
ভাইস চেয়ারম্যান ও কমিশনারের নেতৃত্বে দুটি হাই-প্রোফাইল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান বিটিআরসি প্রধান। তিনি বলেন, ‘অপারেটর অফিস এবং ক্ষেত্র থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাদের নেটওয়ার্ক পরিষেবার অবস্থা সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হচ্ছে। কারণ ডাটা ফরওয়ার্ডিংয়েও সমস্যা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ মার্চ আমরা অপারেটরদের কাছে স্পেকটাম নিলামে বিক্রি করেছিলাম। আবার ২.৩, ২.৬ ও ৩.৫ এই তিনটি ম্যাগাহার্টস অকশন করবো আগামী বছর মার্চ মাসে । এ বছরই ডিসেম্বর মাসেই অকশন দেয়ার প্ল্যান ছিল। কিন্তু অপারেটরদের অনুরোধে সেটি পিছানো হয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় টিআরএনবি’র সভাপতি রাশেদ মেহেদী ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দের নেতৃত্বে টিআরএনবি’র সদস্যরা এবং ও বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্হিত ছিলেন ।
আরও পড়ুন: বিটিআরসিকে আরও ১ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে গ্রামীণফোন
বিটিআরসিকে আরও ১ হাজার কোটি টাকা দিল গ্রামীণফোন