বিটিআরসি
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বিটিআরসিকে প্রস্তাব দিল আইআইজিএবি
ইন্টারনেটের দাম কমাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রস্তাবনা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইআইজিএবি)। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন আইআইজি খাত সংশ্লিষ্টরা।
সংগঠনের (আইআইজিএবি) পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে গত ২৯ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে বিদ্যমান বাজারমূল্যের চেয়েও বিভিন্ন স্ল্যাবে দাম কমিয়ে বিটিআরসিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজিএবির প্রস্তাবিত ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হলে আইএসপিগুলো প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা (বিভিন্ন স্ল্যাবে) কমাতে বা গ্রাহকের কাছ থেকে কম রাখতে পারবে। এতে করে গ্রাহকের ইন্টারনেট খরচ কমবে।
জানা গেছে, সরকারও ইন্টারনেটের দাম কমাতে কাজ করছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।
সোমবার(৪ নভেম্বর) একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদ-উল বারী জানান, ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে।
এমদাদ-উল বারী বলেন, ইন্টারনেটের দাম পানির দরে হওয়া উচিত। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতেই হবে, যা নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলে ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর বিষয়টি সহজ হতে পারে।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছানো এবং ব্যবহারকারী বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। সরকারও চাইছে ইন্টারনেটের দাম কমাতে। সরকারের সঙ্গে আমরাও উদ্যোগী হয়েছি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে। সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইআইজি খাতে ব্যান্ডউইথ (বিভিন্ন স্ল্যাবে) যে মূল্য বিক্রি হচ্ছে সেই দর নির্ধারণ হয়েছে ২০২১ সালে। ৩ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। এখনও সেই দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হচ্ছে। এই মূল্য রিভিউয়ের সময় হয়েছে। মূল্য রিভিউ হলে ইন্টারনেটের দাম কমবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
২ সপ্তাহ আগে
ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে কাজ করছে বিটিআরসি: চেয়ারম্যান
ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণে ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম কমাতে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের (টিআরএনবি) উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ বিষয়ের গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন দুদক চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনার
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। এখনই নতুন করে আর কোনো এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স দেওয়া হবে না। টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফ্রেন্ডলিতে যাব।’
এমদাদ উল বারী বলেন, আজকের দিনে ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার আইন হওয়া উচিত। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে।’
আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল অপারেটররা মাত্র ৩০ শতাংশ টাওয়ারকে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ফলে গ্রাহকরা মানসম্মত সেবা পাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী কমন নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতাকে দায়ী করেছে মোবাইল অপারেটররা।
‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। সংগঠনের সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
মূল প্রবন্ধে রাশেদ মেহেদী বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গিয়েছে। এই নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফররুখ ইমতিয়াজ, টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, এমটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার. রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার্স সাহেদুল আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান ও আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতকে দুদকে তলব
২ সপ্তাহ আগে
সংঘর্ষের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ব্যাহত: বিটিআরসি
চলমান সংঘর্ষের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
শনিবার বিটিআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সংঘর্ষে স্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে আগুনের ঘটনার ফলে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেটের (বিটিসিএল) অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬টি টাওয়ার নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
এতে আরও বলা হয়, জেলায় রবির প্রায় ১৫০টি টাওয়ার রয়েছে। কিন্তু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলমান থাকায় সঙ্গে সঙ্গে সেসব টাওয়ার মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার রবি ১৪টি টাওয়ার সচল করতে পেরেছে এবং দুটি টাওয়ার এখনো মেরামত করা যায়নি। শিগগিরই সবগুলো সাইট সচল করা হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় টেলিটকের ৭২টি টাওয়ার রয়েছে। পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৩টি ও অন্যান্য কারণে আরও ৬টিসহ মোট ২৯টি টেলিটকের টাওয়ার বর্তমানে অচল রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সচল রয়েছে বলে দাবি বিটিআরসির। তবে কিছু কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় স্বল্পসংখ্যক গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বএল জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এলাকায় আিইএসপি অপারেটরদের ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন ও জেনারেটরের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম চলছে। এলাকাগুলোতে ক্রমান্বয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও চালু হচ্ছে।
বিটিআরসি থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিটিআরসি গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: বিটিআরসি-বিআইজিএফের সমঝোতা স্মারক সই
১ মাস আগে
নতুন চেয়ারম্যান পেল বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাকে তিন বছরের জন্য এই নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ৭(১) ও ৯ (২) অনুযায়ী এমদাদ উল বারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে এই নিয়োগ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে বিটিআরসির শোকজ, জরিমানা হতে পারে ৩০০ কোটি টাকা
এতে আরও বলা হয়, যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন ক্যাটাগরিতে বিটিআরসির কমিশনার পদে নিয়োগ করে চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হয় তাকে।
এর আগে এমদাদ উল বারী বিটিআরসির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৪ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
এরপর গত ১৯ আগস্ট বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে সরকার।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
২ মাস আগে
বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলার ১৩ হাজার ৪৯১টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ১ হাজার ২৩৫টি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
জেলাগুলো হলো- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার অপারেটরদের পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করার জন্য সরঞ্জাম, জেনারেটর এবং জ্বালানি বহনের জন্য জাহাজ এবং স্পিডবোটসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া টাওয়ারগুলো সচল হবে না।
জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপিত হওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় চার্জিং সুবিধাও দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মৌলভীবাজার ও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে মোবাইল অপারেটর, টাওয়ার কো-অপারেটর ও কর্তৃপক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনরায় সচল করার চেষ্টা করছে।
২ মাস আগে
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগ
পদত্যাগপত্রে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
মহিউদ্দিন আহমেদ ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় চাঁবিপ্রবির প্রধান ফটকে তালা
৩ মাস আগে
ফের বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে আবারও বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।
রবিবার (৪ আগস্ট) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বিটিআরসি।
শুধুমাত্র কল করার জন্য টুজি পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে এক বিবৃতিতে গ্রামীণফোন জানায়, 'কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
৩ মাস আগে
বিটিআরসি-বিআইজিএফের সমঝোতা স্মারক সই
ইন্টারনেট গভর্নেন্স বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার(৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
কমিশনের পক্ষে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান এবং বিআইজিএফের পক্ষে সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ইন্টারনেট গভর্নেন্স বিষয়ে গণসচেতনতা ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় ‘সামিট ফর দ্যা ফিউচার’ এবং ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপেক্ট’ সম্মেলনে বাংলাদেশের মতামত ও অবস্থান বিষয়ক কর্মকাণ্ড পারস্পরিক সহযোগিতা কার্যক্রম সম্পাদনে সহায়তা করবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিআরটিসি বিগত বছরগুলোতে বিআইজিএফকে ইন্টারনেট পলিসি গভর্নেন্স বিষয়ক নানা কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছে এবং এই সমঝোতা স্মারক সই এই কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও অর্থবহ করবে।
বিআইজিএফের চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু বলেন, সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে বিটিআরসির সঙ্গে ‘সামিট ফর দ্যা ফিউচার’ এবং ডিজিটাল কমপ্যাক্ট বাস্তবায়ন ও ইন্টারনেট পলিসি বিষয়ে কাজ করার আরও সুযোগ তৈরি হলো।
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন, কমিশনের সকল বিভাগের মহাপরিচালকগণ এবং বিটিআরসি ও বিআইজিএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৭ মাস আগে
উন্নত প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানে একীভূত লাইসেন্স পেল বাংলালিংক
উন্নত সংযোগ ও গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ইউনিফাইড (একীভূত) লাইসেন্স পেয়েছে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি অফিসে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে এই একীভূত লাইসেন্স গ্রহণ করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস।
একীভূত এই লাইসেন্স সুবিধা টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জিসহ ভবিষ্যতে আসন্ন সব প্রযুক্তিগত সেবাপ্রদানের লাইসেন্সকে একত্রীকরণ করেছে।
বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কান তেরজিওগ্লু বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যৌথ লক্ষ্যে কাজ করতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের এই সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলালিংকে সহযোগিতা করার জন্য বিটিআরসিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলালিংককে একীভূত লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে টেলিকম খাতকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।’
একীভূত লাইসেন্স প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘এটি সারা দেশে উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা বিস্তৃতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। এই পদক্ষেপটি বাংলালিংকের জন্য গ্রাহকের পরিবর্তিত চাহিদা অনুযায়ী আরও বেশি ডিজিটাল সেবা প্রদানের পথ সহজ করে দিল।’
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
৮ মাস আগে
আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
দেশে ব্যবহৃত আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। ২১ জানুয়ারি রবিবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শুধুমাত্র অফিসিয়াল ফোনগুলোকে দেশের বাজারে রাখার এই পদক্ষেপটি বিটিআরসি প্রণীত এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) ব্যবস্থার একটি উদ্যোগ। মূলত বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করতে এবং অবৈধভাবে তৈরি বা আমদানিকৃত ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতেই এই কার্যক্রমের অবতারণা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জুলাই থেকে দেশজুড়ে অনিবন্ধিত ফোন নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমতাবস্থায় ফোন ব্যবহারকারীদের সর্বপ্রথম যে কাজটি অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হচ্ছে- তাদের ফোনটি অফিসিয়াল কি না তা জেনে নেওয়া। এবারের আয়োজনে চলুন অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কী
যে ফোনগুলো দেশে প্রবেশকালে যথাযথ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন নিয়ে থাকে, সেগুলোই অফিসিয়াল ফোন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিটি ফোনের বডিতে তাদের স্ব স্ব নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ অঙ্কের একটি অনন্য সংখ্যা লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়, যাকে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) বলা হয়।
আইনগতভাবে দেশে প্রবেশের সময় এই সংখ্যাটি সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। তাই এগুলোকে একইসঙ্গে অরিজিনাল এবং নিবন্ধিত ফোন বলা হয়ে থাকে। দেশের ভেতরে সরকারি নিয়ম মেনে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স এবং অভিবাসনের নানাবিধ খরচের কারণে স্বভাবতই এই ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোনগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি বা দেশের ভেতরেই উৎপাদন করার সময় ভ্যাট বা ট্যাক্সের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। অবিকল অরিজিনাল ফোনের মতো দেখতে হলেও নকল এই ফোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম থাকে। সরকারি ডাটাবেসে কোনো তথ্য না থাকায় অনিবন্ধিত এই ফোনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধে ব্যবহারকারী কি কি বিড়ম্বনায় পড়বেন
অনিবন্ধিত বা আনঅফিসিয়াল ফোনগুলোকে নেটওয়ার্ক বহির্ভূত করা হলে ইতোমধ্যে সেই ফোন ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হবে। যেমন-
- এই ফোনে কোনো সিম ভরে তার মাধ্যমে কোনো অপারেটর থেকে কল গ্রহণ বা কল প্রদান করা যাবে না
- কোনো ধরনের ম্যাসেজ লেনদেন করা যাবে না
- ডাটা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না
- সরকারি বা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি কোনো ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং, ও টাকা লেনদেনসহ কোনো ধরনের অ্যাপই ব্যবহার করা যাবে না।
এগুলো বাদে নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত নয়, যেমন ছবি তোলা, অডিও বা ভিডিও রেকর্ড করা, গান বা মুভি দেখাতে কোনো রূপ সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
৯ মাস আগে