মাদরাসা
খালে নেমে নিখোঁজ মাদরাসার খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
চাঁদপুর মতলবে খালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া আনোয়ার হোসেনে নামে এক মাদরাসার খাদেমের লাশ পার্শ্ববর্তী একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর পাম্প হাউস এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
আনোয়ার মতলব দক্ষিণের শামছুল হক মডেল মাদরাসার খাদেম ছিলেন।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
মতলব দক্ষিণ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আনোয়ার হোসেন মাদরাসার পাশে খালের পানিতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন। একদিন পর শুক্রবার বিকালে স্থানীয় লোকজন ধনাগোদা নদীতে আনোয়ারের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় তার লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মতলব দক্ষিণের শামছুল হক মডেল মাদরাসার পরিচালক মো. সিফাত উল্লাহ বলেন, তার মাদরাসার কর্মচারী আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণেই এ ঘটনা ঘটতে পারে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল ইউএনবিকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
৫ দিন আগে
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক মাদরাসার ভেতরে, ১২ শিক্ষার্থী আহত
লালমনিরহাটে চলন্ত ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদরাসার দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ায় ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাদেরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৫
বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার হাড়িভাঙা তালিমুল ইনসান হাফেজিয়া ও কওমি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে একটি ট্রাক লালমনিরহাট যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো পথে গিয়ে মাদরাসার ওয়ালে ধাক্কা দেয়।
এতে মাদরাসার দেয়াল ভেঙে ঘুমন্ত ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়। এদের মধ্যে মোরসালিন (১২), নোমানসহ (১১) ৩ থেকে ৪ অবস্থা আশঙ্কাজনক।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, ট্রাকটি আটক করা হলেও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৩৯২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৬, আহত ৮১৩
১ মাস আগে
অফিস সহকারীর উত্ত্যক্তের কারণে মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ ছাত্রীর, আতঙ্কে পরিবার
গাইবান্ধার দক্ষিণ শ্রীপুর কুরুয়াবাদা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী মো. আল আমিন মিয়ার উত্ত্যক্তের কারণে প্রায় ১৭ দিন ধরে মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ রয়েছে এক ছাত্রীর। আতঙ্কে রয়েছে পরিবার।
সম্প্রতি সময়ে তাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) নানা কথা ছড়িয়ে পড়ায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এছাড়া আল আমিনের হুমকির কারণে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না অভিভাবক ও ওই মেয়ে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে আবেদন করেও নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না তার পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে পিটিয়ে আহত
আবেদনে উল্লেখ আছে, যে এসএমএসটিকে কেন্দ্র করে অভিযোগ দেওয়া হয় সেটি আল আমিন মিয়ার মোবাইল ফোন থেকে মেয়েটির ফোনে আসে। তারও আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের এসএমএস দিয়ে বিরক্ত করা হয় তাকে। ফোন করা হয় গভীর রাতেও। আল আমিনের কথা মতো চলতে বাধ্য করার জন্য শারীরিক নির্যাতনের কথাও উল্লেখ আছে অভিযোগে। বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে একাধিক অভিযোগও দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। কোনো সুরাহা না পেয়ে ইউএনও অফিসে অভিযোগ দেন সঠিক বিচারের আশায়।
ভুক্তভোগী মেয়েটির মামা আমজাদ হোসেন বলেন, ভাগ্নি আমাদের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। বর্তমান সে ওই মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ছে। ঘটনার দিন ভাগ্নির মোবাইল ফোনটি আমাদের কাছে ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে আল আমিনের মোবাইল নম্বর থেকে একটি এসএমএস আসে। পরে বিষয়টি নিয়ে ভাগ্নির সঙ্গে কথা বলি। তখন অফিস সহকারী তাকে উত্যক্ত করে বলে বিষয়টি তখন স্বীকার করে সে। পরে ইউএনও অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পর অশান্তি আরও বেড়ে যায়। আপস-মিমাংসার জন্য এলাকার এবং সুন্দরগঞ্জের মাতবররা চাপ ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা গরিব মানুষ। ন্যায় বিচার পাব কি না সন্দেহ হচ্ছে।
মেয়ের বাবা আয়নাল হক বলেন, আমরা বিচারের আশায় গত ৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দিয়েছে আমার মেয়ে। এখনও বিচার পাইনি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হুমকি-ধমকিসহ চাপ দিচ্ছে। ঘটনার দিন থেকে মাদরাসা যাচ্ছে না মেয়েটি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না তাদের ভয়ে।
এ বিষয়ে অফিস সহকারী আল আমিন মিয়ার বলেন, আমার মোবাইল ফোন থেকে মেয়েটির ফোনে এসএমএসটি গিয়েছে এটা ঠিক। তবে আমি পাঠাইনি। আমার মাদরাসার নাইটগার্ড আমার মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসটি পাঠিয়েছেন।
আল আমিনের বড়ভাই ও দক্ষিণ শ্রীপুর কুরুয়াবাদা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. আনোয়ার হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
২ মাস আগে
মাদরাসার পাশের পুকুরে ভেসে উঠল নিখোঁজ ছাত্রের লাশ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় মাদরাসার পাশের পুকুরের পানি থেকে শিক্ষার্থীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম সিয়াম হোসেন (১৪)।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শিতলী গ্রামের শিতলী বেগম রোকেয়া খাতুন নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসার পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পিকনিকের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার
সিয়াম কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দাহ গ্রামের শামিম হোসেনের ছেলে এবং শিতলী বেগম রোকেয়া খাতুন নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
মাদরাসার সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মাদরাসার পাশের পুকুরে গোসল করতে নামে সিয়াম। গোসল শেষে সবাই মাদরাসায় ফিরে এলেও সিয়াম ফেরেনি। পরে দুপুর ৩টার দিকে পড়ানোর সময় তাকে না পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে গোসল করতে নেমে আর ফেরেনি। পুকুরে মাছ ধরার জাল ফেলেও তার খোঁজ মেলেনি। পরে শনিবার সকালে পুকুরে তার লাশ ভেসে ওঠে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে লাশ উদ্ধার
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ওই মাদরাসা ছাত্র সাঁতার জানতো না বলে জানিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাই পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা থেকে ৫ জিম্মির লাশ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল
৩ মাস আগে
বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় পেয়ারা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নাকিব হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নিহত নাকিব হোসেন ওই এলাকার নাসির হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন।
দুপচাঁচিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল ইমরান বলেন, ‘দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস মাস্টারপাড়া এলাকায় পুকুরের ধারে রয়েছে পেয়ারা গাছ। ওই পেয়েরা গাছ ঘেষেই বৈদ্যুতিক খুঁটি।’
‘নাকিব দুপুরে ওই গাছ থেকে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে পা ফসকে যায় এবং নিজের ভারসাম্য রক্ষায় খুঁটির টানা তার ধরে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে সে পুকুরের পানিতে ছিটকে পড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের কারও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হনুমানের মৃত্যু
৪ মাস আগে
সিলেটে মাদরাসার মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠ থেকে রাশেদ আহমদ নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর চৌহাট্রা এলাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠের পশ্চিম প্রান্ত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কিছুদিন থেকে রাশেদ মাঠের পাশেই থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে কোতোয়ালি থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে চাকরি না পাওয়ায় হতাশা, প্রকৌশলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তার পরিপূর্ণ ঠিকানা এখনও পাওয়া যায়নি। পরিচয় নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে চাকরি না পাওয়ায় হতাশা, প্রকৌশলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
বগুড়ার কাহালুতে আব্দুল মোমিন নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাহালু থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
মৃত আব্দুল মোমিন কাহালু উপজেলার বিরকেদার ইউনিয়নের অবিলম্ব গ্রামের মৃত মমতাজ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, আব্দুল মোমিনের লাশ হাফেজিয়া মাদরাসার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে আব্দুল মোমিনের ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে কাহালু থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফুটপাত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
প্রতিপক্ষের মারধর: মাদরাসা সভাপতির মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
পাবনার চাটমোহরে মাজার শরীফের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুল আলীম সরকার নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বড় গুয়াখড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল আলীম সরকার বড় গুয়াখড়া গ্রামের মৃত ইছাহাক সরকারের ছেলে। তিনি মা মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদরাসার সভাপতি ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- একই গ্রামের মৃত আরজান সরদারের ছেলে আফসার আলী মাস্টার ও তার ছেলে টেঙ্গরজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান ওরফে খোকন মাস্টার।
আরও পড়ুন: সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মা মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদরাসার অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইসলামি জলসার আয়োজন নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে মহেলা বাজারে চা খেতে যান আব্দুল আলীম সরকার।
সেখানে চা খাওয়া শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বড় গুয়াখড়া গ্রামের মাজার শরীফ গেটের সামনে এলে আফসার আলী মাস্টার ও কামরুল হাসানসহ তাদের সহযোগীরা আলীমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে খোকন মাস্টার উত্তেজিত হয়ে আলীমকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার উপর পড়ে যান। এ সময় অভিযুক্তরা আলীমকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের এক পর্যায়ে আলীম সরকার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এ সময় আশপাশের লোকজন ও আলীম সরকারের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ঘটনাস্থলে এলে আফসার আলী ও তার লোকজন পালিয়ে যান। পরে আলীম সরকারকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ও ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িত অভিযোগে দুইজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই গোলজার হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আফসার আলী মাস্টার ও কামরুল হাসানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
৯ মাস আগে
মাদরাসা থেকে পালাতে গিয়ে ৬ তলার কার্নিশে আটকে পড়ল শিশু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের একটি মাদরাসা থেকে পালাতে গিয়ে ভবনের ছয়তলার কার্নিশে আটকে পড়ে এক শিশু।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার।
তিনি বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সালমা সাঈদ তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার এক শিক্ষার্থী পালানোর জন্য সাততলা মাদরাসা ভবনের ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে নামছিল।
আরও পড়ুন: পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বাক্স থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কিছুদূর নামার পর সে আতঙ্কিত হয়ে ছয়তলার কার্নিশে আটকে পড়ে। এরপর সে নিচেও নামতে পারছে না, উপরেও উঠতে পারছে না।
সাগর নামে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল কাজী রাসেল। কনস্টেবল রাসেল তাৎক্ষণিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ ভ্যানচালক নিহত
সংবাদ পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাড়ে ১৩ বছর বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া সিনিয়র স্টেশন অফিসার নাজমুল আলম ৯৯৯-কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
১০ মাস আগে
নাটোরে ইসলামী আন্দোলন কর্মীর হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
নাটোরে এবার ইসলামী আন্দোলনের এক কর্মীকে মাদরাসা থেকে তুলে নিয়ে হাত ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষ করে নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা নুরানী মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাইদুল ইসলাম কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পণ্যবাহী নছিমন আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
এ সময় একটি সাদা মাইক্রোবাসে পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙে মাদরাসা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
আহত মাওলানা সাইদুল ইসলামের আর্তনাদে লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনাটি তারা শুনেছেন অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
১ বছর আগে