ট্যাক্স রিটার্ন
বাজেট ২০২৪-২৫: ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ট্যাক্স নেটওয়ার্ক প্রসার ও রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে ব্যক্তি আয়কর নীতিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। এ লক্ষ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল ও এর পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
এমনকি হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, কমিউনিটি সেন্টার, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, প্যাথলজি সেন্টার ও কনভেনশন হলের লাইসেন্স পেতে ও নবায়নের জন্যও ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, যা মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রায় (৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা) অবদান রাখবে। রাজস্বের বাকিটা আসবে কর-বহির্ভূত খাত থেকে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে প্রায় ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এনবিআরের এবারের লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের চেয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে প্রাথমিকভাবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্বের লক্ষ্য দেয় সরকার। পরে চাপের মুখে তা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কমানো সত্ত্বেও এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এখনও হিমশিম খাচ্ছে এনবিআর।
আরও পড়ুন: যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
৬ মাস আগে
ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়া যাবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত
ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি বিবেচনায় সময়সীমা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
বুধবার সময়সীমা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারি এই সংস্থাটি।
এর আগে, পৃথক করদাতাদের কাছ থেকে সাড়া কম পাওয়ার কারণে রাজস্ব বোর্ড রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় থাকলেও অধিকাংশই রিটার্ন জমা দেয় না: এনবিআর কর্মকর্তা
১ বছর আগে
অনলাইনে ই-টিন সার্টিফিকেট করার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
টি-আই-এন বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারসহ একজন আয়কর যোগ্য নাগরিক কোন কর অঞ্চলের আওতাভুক্ত তার যাবতীয় তথ্য সম্বলিত নথিপত্রটিকে সংক্ষেপে টিন সার্টিফিকেট বলা হয়। প্রাথমিকভাবে নাগরিকটি কর দেয়ার জন্য উপযুক্ত হয়েছেন কিনা তা যাচাইয়ের জন্য সরকারের নিকট ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হয়। এই রিটার্ন জমা দানের সময় টিন সংখ্যাটির প্রয়োজন হয়। রিটার্নে প্রদানকৃত তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকের উপর কর ধার্য হয়। প্রতি অর্থ বছরে তিনি সেই পরিমাণ কর দিতে বাধ্য থাকেন। অর্থাৎ সামগ্রিক কর ব্যবস্থার মূলে আছে টিন সনদপত্র। বর্তমানে ইন্টারনেট থেকে এর ইলেকট্রনিক সংস্করণও সংগ্রহ করা যায়, যা ই-টিন নামে পরিচিত। এই নিবন্ধটিতে অনলাইনে ই-টিন সার্টিফিকেট করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কাদের জন্য ই-টিন করা জরুরি
যেহেতু আয়করযোগ্য প্রতিটি ব্যক্তিকেই রিটার্ন জমাদানের জন্য টিন করতে হয়, তাই প্রথমেই জেনে নেয়া জরুরি কাদের জন্য আয়কর দেয়া আবশ্যক।
আয়করযোগ্য ব্যক্তি
অনিবাসী বাংলাদেশীদের যাদের স্থায়ী ভিত্তি আছে, হিন্দু যৌথ পরিবার, ব্যক্তি সংঘ, অংশীদারী ফার্ম এবং আইনত সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তি, যাদের আয়কৃত টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৫০ হাজারের উপরে। তবে এদের মধ্যে
· মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের আয়ের পরিমাণ ৩ লাখ টাকার উপরে হতে হবে
· প্রতিবন্ধিদের আয়ের পরিমাণ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার উপরে হতে হবে
· গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আয়কৃত টাকার পরিমাণ ৪ লাখ ২৫ হাজারের উপরে হতে হবে|
পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ই-টিন সনদ যাদের জন্য আবশ্যক
· মোটরযানের মালিকানা লাভ করলে
· মূল্য সংযোজন করের অধীনে নিবন্ধিত ক্লাবের সদস্য পদ থাকলে
· ব্যবসা বা পেশা পরিচালনার নিমিত্তে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্ত হলে
· ডাক্তার, দন্ত বিশেষজ্ঞ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি বা সার্ভেয়ার বা অন্য কোন অনুরূপ পেশাদার সংস্থার সাথে নিবন্ধিত হলে
· আয়কর অনুশীলনকারী বোর্ডের সাথে নিবন্ধিত হলে
· চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বা ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন বা সংস্থার সদস্যপদের অধিকারি হলে
· পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা সংসদ সদস্যবৃন্দ হলে
· স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সরকারী বা আধা-সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত দরপত্রে অংশগ্রহণকারি হলে
· কোম্পানি বা কোম্পানির একটি গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তা হলে
· ব্যাংক থেকে প্রাইজ বন্ড বা সেভিং সার্টিফিকেট কিংবা ক্রেডিট কার্ডধারী হলে|
পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম
ই-টিন সার্টিফিকেট থাকার সুবিধা
· এই শংসাপত্রটি থাকলে যে কেউ ব্যাংক থেকে ২ লাখ বা তার বেশী অঙ্কের টাকার সঞ্চয়পত্র তৈরি করতে পারবে
· ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করতে পারবে
· কমার্শিয়াল ব্যাংক অথবা লিজিং কোম্পানি থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে
· সাধারণ বীমার সার্ভেয়ারের লাইসেন্স নিতে পারবে
· কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর আওতায় কোম্পানীর স্পন্সর পরিচালক এবং যে কোন শেয়ারহোল্ডারের সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর পরিচালক হতে পারবে
· আমদানি সংক্রান্ত ব্যবসা ক্ষেত্রে আমদানিপত্র নিবন্ধন করতে পারবে
· আবশ্যিক না হলেও ব্যাংকে সেভিংস ও কারেন্ট একাউন্ট পরিচালনা করতে টিনের প্রয়োজন হয়। তবে এই একাউন্টগুলোতে টিন থাকার সুবিধা হলো- অধিক পরিমাণ লেনদেন করা যায়, সুদের উপর কম ট্যাক্স ধার্য হয় প্রভৃতি।
· ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের উপর অর্জিত সুদ বা লাভ থেকে বর্তমানে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স ধার্য করা হয়। এখানে টিন থাকলে সেই সুদ বা লাভের উপর ধার্যকৃত ট্যাক্স কমে ১০ শতাংশ হয়।
পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার ডিজিটাল পদ্ধতি
অনলাইনে ই-টিন সার্টিফিকেট করার উপায়
ই-টিন করতে যা যা প্রয়োজন
অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট করার জন্য শুধু এনআইডি (ন্যাশনাল আইডেন্টিটি) কার্ড সাথে থাকলেই হয়। তবে ব্যবসা বা কোম্পানির ক্ষেত্রে আরো কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। যেমন-
· ম্যামোর্যান্ডাম অফ আর্টিকেল (এমওএ)
· আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশন (এওএ)
· ট্রেড লাইসেন্স
· ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট|
ধাপে ধাপে ই-টিন সার্টিফিকেট করার ডিজিটাল পদ্ধতি
প্রথম ধাপ:
ই-টিন করার জন্য প্রথমে যেতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এর ওয়েবসাইটে। এই সাইটের অধীনে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আগে নিবন্ধন করতে হবে। তার জন্য ক্লিক করতে হবে রেজিস্টার বাটনে। এবার একটি নিবন্ধন ফর্ম পাওয়া যাবে, যেখানে মাঝে কোন স্পেস ছাড়াই ইংরেজি ছোট হাতের অক্ষরে একটি আইডি, পাসওয়ার্ড, নিরাপত্তা প্রশ্নোত্তর, দেশ এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
পড়ুন: বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার নিয়ম
সবশেষে ক্যাপচা ছবি দেখে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে ভেরিফিকেশন লেটার লিখার পর রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফর্মে প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বারে একটি যাচাইকরণ কোড আসবে। এই কোডটি নির্ভুলভাবে ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে সক্রিয় বাটনে চাপ দিতে হবে। আর এর মাধ্যমেই নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে এবং সেই সাথে প্রার্থীর অ্যাকাউন্টও সক্রিয়ও হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ:
এখন সেই আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে। তারপর যে ইন্টারফেসটি আসবে তাতে উল্লেখিত এখানে ক্লিক করুন বোতামে ক্লিক করতে হবে। এরপর যে পেজটি আসবে সেখানে
করদাতার অবস্থা, রেজিস্ট্রেশনের ধরন, আয়ের প্রধান উৎস, আয়ের প্রধান উৎসের অবস্থান, প্রার্থীর অবস্থান নির্বাচন করতে হবে। সব তথ্য সঠিক ভাবে প্রদান করে শেষে গো টু নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এবার প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার পালা। এখানে এনআইডি অনুসারে প্রার্থীর নাম, লিঙ্গ, এনআইডি কার্ড নাম্বার, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার নাম, স্ত্রীর নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেল এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা প্রতিটি তথ্য নির্ভুল ভাবে প্রদান করতে হবে। এরপর আবার গো টু নেক্সট-এ যেতে হবে।
এখন এতক্ষণ ধরে প্রদানকৃত যাবতীয় তথ্য এনআইডি কার্ডে প্রার্থীর ছবি সহ একবারে দেখানো হবে। সবকিছু ভালো করে যাচাই করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর এর মাধ্যমে তৈরি হয়ে যাবে ই-টিন সার্টিফিকেট।
পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
ই-টিন সার্টিফিকেট সংগ্রহ
টিন সার্টিফিকেট দেখুন-এ ক্লিক করে ইলেকট্রনিক টিন সার্টিফিকেটটি দেখা যাবে। এটি এখন বা পরবর্তীতে যে কোন সময় ডাউনলোড করে ফোন বা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে লাগানোর জন্য এটি মুদ্রণ করেও ব্যবহার করা যাবে৷ এমনকি এখান থেকে নিজের বা প্রয়োজনে অন্য কোন ইমেইলেও ই-টিন সনদটি পাঠানো যাবে।
ই-টিন নাম্বার পুনরুদ্ধার করার উপায়
টিন শংসাপত্র হারিয়ে গেলে সাহায্যের জন্য এনবিআর হেল্পলাইন হচ্ছে- ০৯৬১১৭৭৭১১১ বা ৩৩৩। এছাড়া প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ১টি অনুলিপি সহ ট্যাক্স অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে নিবন্ধনকৃত অ্যাকাউন্টের আইডি/ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে, প্রথমে ইউজার আইডি তারপর পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে হবে। এর জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট করার সাইটে এ আবার যেতে হবে।
পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
সেখানে সরাসরি চলে যেতে হবে ফরগেট পাসওয়ার্ড মেন্যুতে। সেখানে ফরগেট মাই ইউজার নেম বাছাই করে নেক্সট-এ ক্লিক করতে হবে। তারপরের পেজে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধনের মুহুর্তে প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে ক্যাপচা পূরনের করে নেক্সট-এ ক্লিক করতে হবে। মোবাইল নাম্বার মনে না থাকলে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারগুলো দিয়ে চেষ্ঠা করা যেতে পারে।
যে মোবাইল নাম্বারটি টিনের জন্য আগে ব্যবহার করা হয়নি সে নাম্বারের ক্ষেত্রে ইউজার আইডি ইনঅ্যাক্টিভ মেসেজ দেখাবে। কাঙ্ক্ষিত মোবাইল নাম্বারটি পাওয়া গেলে তা প্রদানের পর নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পেজ আসবে। এই অংশটি সাধারণত সবারই মনে থাকে, কারণ নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সম্পর্কিত খুব সহজে মনে থাকে এমন তথ্যই সবাই এখানে দিয়ে রাখে।
প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেয়ার পর এবার মোবাইল নাম্বার যাচাই করার জন্য প্রার্থীর মোবাইলে ৪ অঙ্কের একটি যাচাইকরণ কোড যাবে। এই কোডটি লিখে মোবাইল নাম্বারটি পুনরায় টাইপ করে সাবমিটে ক্লিক করতে হবে। এর সাথে সাথেই দেখা যাবে টিন অ্যাকাউন্টের ইউজার আইডিটি।
পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
এবার পাসওয়ার্ড বের করার জন্য আবার ফরগেট পাসওয়ার্ড মেন্যুতে যেতে হবে। তারপরের পেজে ফরগেট মাই পাসওয়ার্ড অপশনটি বাছাই করে নেক্সটে যেতে হবে। এবারে সবেমাত্র বের করা ইউজার আইডি দিয়ে ভেরিফিকেশন অক্ষরগুলো লিখে নেক্সটে যাওয়ার সাথে সাথে প্রার্থীর মোবাইলে ৪ অঙ্কের ভেরিফিকেশন কোড যাবে। কোডটি লিখে রিকভার মাই অ্যাকাউন্ট-এ ক্লিক করার পর যে পেজটি আসবে সেখানে কমপক্ষে ৪টি অক্ষর বা সংখ্যা দিয়ে বানিয়ে নেয়া যাবে একটি নতুন পাসওয়ার্ড।
শেষাংশ
অনলাইনে ই-টিন সার্টিফিকেট করার উপায় একদম সহজ এবং ঝামেলামুক্ত, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি দারুণ প্রয়াস। টিন গ্রহণকারীদের যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হলো- টিন থাকলেই যে আয়কর রিটার্ন দিতে হবে এমনটি নয়। বাংলাদেশে স্থায়ী কোন ভিত্তি নেই এমন অনিবাসি, শুধুমাত্র জমি বিক্রি বা ক্রেডিট কার্ড নেয়ার জন্য টিন নিয়েছেন অথচ করযোগ্য আয় নেই এমন নাগরিকদের টিন থাকা সত্ত্বেও আয়কর রিটার্ন দাখিলের দরকার নেই।
২ বছর আগে
২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট জমা দেয়ার নিয়ম বাতিল নিয়েছে।
রবিবার রাজস্ব বোর্ড এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। যা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে ৩৮টি বিভাগের অধীনে সেবা পেতে ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট দেখানোর নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৫ লাখ টাকার বেশি ব্যাংক ঋণের জন্য ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট বাধ্যতামূলক ছিল।
সংশোধিত নির্দেশনা অনুসারে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর সংক্রান্ত নথি দেখাতে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধের ভিত্তিতে এনবিআর তাদের শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কুটির,ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) ঋণ বিতরণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ঋণের জন্য বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট এর কারণে গ্রামীণ পর্যায়ে ঋণ বিতরণ ধীর গতিতে হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজস্ব বোর্ড ঋণগ্রহীতার করযোগ্য আয় না থাকলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট দেখানোর শর্ত বাদ দেয়।
আরও পড়ুন: আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩৫ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এনবিআরের
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা
২ বছর আগে
কর নিয়ে নতুন যুগে প্রবেশের প্রস্তুতি বাংলাদেশের
ভিশন-২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনের লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে করের নতুন যুগে প্রবেশের জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।
৪ বছর আগে