পুলিশ সদস্য
সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী তিন মাসে দেড় লাখ পুলিশকে প্রশিক্ষণ
আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে পরবর্তী তিন মাসে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে সরকার।
এ ছাড়া, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি মূল্যায়নে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আইজিপি জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনকেন্দ্রিক বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
শফিকুল আলম আরও জানান, এই প্রশিক্ষণ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসজুড়ে চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে।
১২৯ দিন আগে
যশোরে আ.লীগ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযান
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কাউকে অবশ্য আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশের দাবি, দলীয় পরিচয়ে কোনো নেতার বাড়িতে অভিযানে যায়নি তারা। বিভিন্ন মামলার আসামি ধরাসহ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবি শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে
এদিকে, দিনদুপুরে পুলিশি বহর নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে অবস্থান ও অভিযানের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। অভিযানের চলাকালে অনেক বাড়ির সামনে উৎসুক জনতাকে ভিড় করতেও দেখা যায়।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথমে তারা যায় শহরের কাঁঠালতলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বাড়িতে। যদিও ওই বাড়িটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনার পর থেকে শাহীন চাকলাদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িটিতে আর দেখা যায়নি। বাড়িটির সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে চলে যায়।
এরপর যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের বাসায় যায় পুলিশের দলটি। সেখান থেকে শহরের কদমতলায় অবস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েলের বাড়িতে যায়। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চলে আসে।
এ বিষয়ে জুয়েলের ভাবী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ‘বাসায় পুলিশ এসে জুয়েলের খোঁজ নেয়। আমরা বলি, সে অনেক আগে থেকেই বাড়িতে নেই। তারপর পুলিশ চলে যায়।’
এরপর কাজীপাড়ায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুল ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানেও কাউকে আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘দলীয় পরিচয়ে কারও বাড়িতে অভিযান চালানো হয়নি। বিভিন্ন মামলার আসামি আটক করতে অপরাধ ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাদক কারবারি, সন্ত্রাসী, বিভিন্ন মামলার আসামি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মাজারে প্রশাসনের মাদকবিরোধী অভিযান, রুখে দিলেন ভক্তরা
তিনি বলেন, ‘শুধু আওয়ামী ঘরানার লোকজনের বাড়িতে অভিযান চলছে—এমনটি নয়। চলমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেটগুলোর দিকেও নজরদারি রয়েছে পুলিশের। সুনিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদে বিরুদ্ধে এ অভিযান চলছে।’
তবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, যশোরসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করছেন। গতকাল (শনিবার) ঝটিকা মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তারই অংশ হিসেবে (আওয়ামী লীগের) নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পুলিশের এই অভিযান।
২২৮ দিন আগে
দর্শনায় পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ব্যারাকের নিজ কোয়ার্টার থেকে শামীম রেজা সাজু (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে চেকপোস্ট সংলগ্ন পুলিশ ব্যারাকের নিজ কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শামীম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন জুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। তিনি কয়েক মাস আগে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশে যোগদান করেন।
পুলিশ জানায়, শামীম ব্যারাকের একটি কক্ষে একাই থাকতেন। সকালে তিনি ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকায় সহকর্মীরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।’
এছাড়া পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন বলে জানান দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর।
ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ও বিস্তারিত খোঁজখবর নেন।
২৩১ দিন আগে
ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা: গ্রেপ্তার ৭, বরখাস্ত ৩ পুলিশ সদস্য
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে জানিয়েছেন, তিন উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ 'ক্লোজড' করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স (এনসিসি) থানায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আগরতলা হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের 'সহিংস বিক্ষোভ ও হামলায়' 'গভীর ক্ষোভ' প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে এই 'জঘন্য হামলা' এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ২৮ নভেম্বরে কলকাতায় অনুরূপ সহিংস বিক্ষোভের মতই ছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আগরতলার এই বিশেষ কাজটি কূটনৈতিক মিশনের আইনের লঙ্ঘন। একইভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১- এর লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
ভারত সরকার পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশে তাদের উপসহকারী হাইকমিশনগুলোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরণের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা স্বাগতিক সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ঘটনার সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে আর কোনো সহিংসতা যাতে না ঘটে সে জন্য পদক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে।
গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থকদের বিক্ষোভের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নিহত হন সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩২)।
আরও পড়ুন: ভারত সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল-গঠনমূলক সম্পর্ক চায়: ভার্মা
৩৬৬ দিন আগে
বল প্রয়োগ করায় পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দলমত দমনে মাত্রারিক্ত বল প্রয়োগ করা ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবি করেছেন ৭১.৫ শতাংশ মানুষ৷
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত 'কেমন পুলিশ চাই' শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ৷ সেখানেই এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৮.৮ শতাংশ উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিস্থাপিত প্রমিত পদ্ধতি অনুসরণকে প্রবিধানভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এছাড়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত পুলিশ সদস্যকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে পুরস্কার ও তিরস্কাররের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে ৬৮.২৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সভা-সমাবেশ আয়োজনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের পূর্বানুমতিগ্রহণকে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি মনে করেন ৫১.৮ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে প্রত্যয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন ৩৭.৪ শতাংশ। ১০.৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত বা দ্বিধান্বিত।
আরও পড়ুন: ‘জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুলিশ সংস্কার জরুরি’
একটি বিষয় স্পষ্ট যে সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সভা-সমাবেশ আয়োজন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন ১৯৭৬ এর ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী পুলিশ কমিশনারকে অনুরুপ সমাবেশ জনস্বার্থে সর্ব্বোচ্চ ৩০ দিন স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আয়োজনে পূর্বানুমতি গ্রহণের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশে ৭১.২ ভাগ উত্তরদাতা বিধানটির পরিবর্তন চান।
জরিপে দেখা যায়, উত্তরদাতাদের শতকরা ৮২.৫ শতাংশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা বিধানকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন। উত্তরদাতাদের ৪৬.২ শতাংশ ধারাটি যুগোপযুগী সংস্কার চান। ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযুগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনমাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯.৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন৷ এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের বয়সিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬.৬ শতাংশ৷ উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬.৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭.২ শতাংশ, ব্যাবসায়ী ৭.৬ শতাংশ এবং প্রকৌশলী ৭.১ শতাংশ৷ এসব উত্তরদাতাদের সর্বাধিক ঢাকা জেলা এবং পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়৷
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে সর্বাধিক মতামত এসেছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশের পক্ষে৷ এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে নিরপেক্ষ পুলিশ এবং তৃতীয় অবস্থানে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ চাই ' এমন ক্যাটাগরিতে মতামত এসেছে৷
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯.৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭.৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
এছাড়া গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত মানবাধিকারের চরম লংঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন ৭৪.৯ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ভুয়া ও গায়েবি মামলার অবসান চান ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত
৩৬৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় থানা থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা হেফাজত থেকে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালানোর ঘটনায় পুলিশের তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অনুসন্ধান করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- জীবননগর থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে৷ এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরে। এ সময় শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান ওই নারী আসামি। পালানোর ঘটনায় তার (পালানো নারী আসামি) বিরুদ্ধে পেনালকোডে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আসামি মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।
এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি- ৫৮) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মনোয়ারা খাতুন তার সহযোগী নাজমুল হুদাকে আটক করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। ওইদিনই বিজিবির পক্ষ থেকে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, মনোয়ারা খাতুনকে নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সকালে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান তিনি। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।
৩৯৯ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
নারায়ণগঞ্জে একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ছুরিকাঘাতে কামরুজ্জামান নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা মোড়ের ভিক্টোরিয়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন।
তিনি বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিকাশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার কামরুজ্জামান একটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে যান। এসময় আসামি বাবু ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সহকর্মীরা কামরজ্জামানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব বলেন, কামরজ্জামানকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয় বরে জানান এসআই শিহাব।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, যে বাবু ছুরিকাঘাত করেছে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। সে মাদক ব্যবসায়ী। আসামি বাবুর অবস্থান জানতে কামরুজ্জামান সেখানে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের লোক টের পেয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বাবু। কামরুজ্জামান বর্তমানে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
৪০৮ দিন আগে
আত্মগোপনে থাকা পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহায়তা চাইলেন ডিএমপি কমিশনার
জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে জড়িত থাকার পর আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করতে জনসাধারণকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা ৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এবং এখনও কর্মে ফিরে আসেননি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা হয়তো পালিয়ে গেছেন। 'আমাদের ধারণা কিছু কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন।’
তিনি এই কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে সাবের হোসেন চৌধুরী
হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করি, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন। যদিও আমরা তাদের খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবুও আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিএমপি কমিশনার হাসান ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত আইনি পদক্ষেপের বিষয়টিও তুলে ধরেন, যার ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের করা মামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে আরও মামলা ঝুলে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশনে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।’
পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসান স্বীকার করেন, সাময়িক কাজে বিঘ্ন ঘটেছে তবে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, পুলিশি পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। তিনি জনসাধারণকে আশ্বাস দেন পুলিশ দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবে, বিশেষত দুর্গাপূজা উৎসবের আগে, পরিষেবায় কোনো বিঘ্ন ছাড়াই।
কমিশনারের মন্দির পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক সংসদ সদস্য শিউলি আজাদ
৪২২ দিন আগে
খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ২৫
খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনা ২০ থেকে ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ২৩ শিক্ষার্থী আটক
শুক্রবার (২ আগস্ট) খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কনস্টেবল মো. সুমন পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সংঘর্ষে আমাদের ২০ থেকে ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নিহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।’
আরও পড়ুন: খুলনায় বৈষম্যবিরোধী সমাবেশে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
কোটা সংস্কার: খুলনা-যশোর মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
৪৮৯ দিন আগে
এসএসসি পাস করলেন ৫৭ বছরের পুলিশ সদস্য সামাদ
৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বগুড়া সদরের ট্রাফিক কনস্টেবল আব্দুস সামাদ।
তিনি মহর কয়া নতুনপাড়া কারিগরি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তার এমন সফলতায় জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আব্দুস সামাদ ১৯৬৮ সালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরে ১৯৮৭ সালে অষ্টম শ্রেণি পাস করে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ: লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চাকরিসূত্রে তিনি বগুড়ার শেরপুর, সদর ও নন্দীগ্রাম ডিএসবি, সদর কোর্ট এবং সর্বশেষ বগুড়া ট্রাফিক বিঘাবে কাজ করেছেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলে ও মেয়েদের করেছেন উচ্চ শিক্ষিত।
তার এখন চাকরি রয়েছে ২ বছর ১০ মাস। চাকরি শেষে হোমিও চিকিৎসায় যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। কিন্তু সেই কোর্সে ভর্তি হতে তার এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত নেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২২ সালে তিনি নাটোর মহর কয়া নতুনপাড়া কারিগরি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেই ইনস্টিটিউট থেকেই এ বছর তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন এবং জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আব্দুস সামাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ওপর ছোট থেকেই দুর্বলতা ছিল। অবসরে যাওয়ার পর যেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করে সবার সেবা করতে পারি সে কারণে চাকরির পাশাপাশি নিয়মিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করতাম। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কোর্সে ভর্তি হতে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট লাগে। তাই ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত নেই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার। অতঃপর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে এ বছর এসএসসি পাস করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার আর চাকরি আছে ২ বছর ১০ মাস। এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিএইচএমএস কোর্সে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার। অবসরে যাওয়ার পর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সবাইকে সেবা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার এই বয়সে আমার পরিবার ও ডিপার্টমেন্ট অনেক সহযোগিতা করেছে। আমার মা বেঁচে আছেন। তার বয়স একশো বছর। আমার মা আমার এই সফলতার কথা শুনে অনেক খুশি হয়েছেন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করার সময় অনেকেই কটূ কথা বলেছেন। কিন্তু পরিবার ও ডিপার্টমেন্টের উৎসাহে আমি পিছপা হইনি। ইচ্ছা থাকলে সফলতা আসবেই। আমি এ জন্য পরিবার ও পুলিশ বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি ভবিষ্যতে হোমিও চিকিৎসক হতে সবার দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: দাবদাহ মোকাবিলায় দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা পূজা উদযাপন পরিষদ
জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
৫৭০ দিন আগে