স্বামী-স্ত্রীর লাশ
গাজীপুরে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মাওনা মুলাইদ এলাকার মো. ফারুক খানের বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী স্বামী মো. ইসরাফিল শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে। আর স্ত্রী মোছা. রোকেয়া খাতুন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
ইসরাফিল একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া একটি কারখানায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালেই তাদের মৃত্যুর খবর পান তারা।
নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের বাসায় করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার লাশ খাটের উপর বিছানায় দেখতে পান।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রী আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বাড়ি ফেরার পথেই স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
৭ মাস আগে
নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণার মদনে নিজ বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে নান্দু মীর (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী মেরাজু আক্তার (৪৫)। মেরাজু আক্তার বালালী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে আলমশ্রী গ্রামের নান্দু মীরের সাথে বিয়ে হয় মেরাজু আক্তারের। দীর্ঘদিন আলমশ্রী গ্রামের বসবাস করার পর ১২ বছর আগে বালালী গ্রামে এসে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।
তাদের সংসার জীবনে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রায় সময়েই স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক কলহে লিপ্ত হতেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে সন্তানদের ঘুম পারিয়ে নিজ ঘরেই স্বামী স্ত্রী শুয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় নিজ বসতঘরে স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পাশেই স্বামীর লাশ ঝুলছে। পরে তারা মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ জানান, সকালে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করলে তাদের শিশু ছেলে দরজা খোলে। এ সময় স্থানীয়রা নান্দু মিয়ার ঝুলন্ত ও তাঁর স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে থাকতে দেখতে পান।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে সিআইডির তদন্ত দল এসেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার কোন কারণ জানতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
৩ বছর আগে
কুড়িগ্রামে নিজ ঘরে মিলল স্বামী-স্ত্রীর লাশ
কুড়িগ্রাম, ২৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বানিয়াটারী পাড়া গ্রামে নিজ ঘরের ভেতর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৫ বছর আগে