কোরবানির পশু
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, কোরবানির পশুর সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় সরকারের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি আছে।
আব্দুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি।
কোরবানির পশু নিয়ে কোনোরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই বলে জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির পশুর জন্য অতীতে পর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি।’
মন্ত্রী আরও জানান, দেশে অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটতে পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, খামারি ও উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করায় প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে উৎপাদন বেড়েছে।
কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।’
তিনি আরও বলেন, লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে। কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কি না বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কি না পরীক্ষা করে দেখতে প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গত বছরের মতো এবছরও অনলাইন প্লাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু থাকবে। নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করতে খামারিদের পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোনো রকম সমস্যা হলে হট নম্বরে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় আরও ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, রেলপথ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
৬ মাস আগে
প্রবাসীদের জন্য থাকছে ‘ডিজিটাল হাটে’ পশু ক্রয়ের সুবিধা
প্রবাসী ক্রেতাদের কোরবানির পশু ক্রয়ের সুযোগ থাকছে এ বছরের ডিজিটাল হাটে। ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ‘ডিজিটাল হাট’ এবারও অনলাইনে পশু বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) প্রবাসী ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ব্যবস্থাপনায় ও সরকারের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্পের একশপ-এর কারিগরি সহায়তায় ইতোমধ্যে অনলাইনে কোরবানির পশুবিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্থানীয় পর্যায়ের হাটগুলো যুক্ত রয়েছে এবারের ডিজিটাল হাট-এ।
সেইসঙ্গে ডিজিটাল হাটে যুক্ত হয়েছে প্রবাসী ক্রেতাদের জন্য অনলাইনে পেমেন্টের মাধ্যমে গরু ক্রয়ের সুবিধা। সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন। ২০ জুন থেকে শুরু হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে পশু বিক্রয়।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমরা বিগত তিন বছরে প্রায় ১০ হাজার খামারিকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছি। বিভিন্নভাবে তারা অনলাইনে পশু বিক্রয় করেছেন এবং অনেকে প্রত্যক্ষভাবেও এর সুফল পেয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
তিনি আরও বলেন, ‘খামারি,অনলাইন উদ্যোক্তা ও কোরবানির পশুর ক্রেতা; সকলের কথা চিন্তা করেই আমরা এই উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি।’
একশপ-এর দলনেতা ও এটুআই-এর কমার্শিয়াল স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বা চলাচল সংক্রান্ত কোনো সরকারি নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-নিষেধ না থাকলেও ক্রেতাদের আগ্রহের কারণে এবারও ডিজিটাল হাট-এর মাধ্যমে কোরবানি পশু বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল ওয়েব ঠিকানা digitalhaat.gov.bd ছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় পশু বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্মগুলো এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আরও যুক্ত রয়েছে জেলা পর্যায়ের ফেসবুক ও ওয়েবভিত্তিক পশু বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্মগুলো।’
২০২০ সালে ডিজিটাল হাটের প্রথম বছরেই ২৭ হাজার পশু বিক্রয় হয়েছিল। পরবর্তী বছরে (২০২১ সাল) ৩ লাখ ৮৭ হাজার কোরবানির পশু বিক্রয়ের মাধ্যমে এক অনন্য রেকর্ড স্থাপন করে প্ল্যাটফর্মটি। যার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কারে ভূষিত হয়।
ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ বলেন, ‘এবারের ডিজিটাল হাটের বিশেষ সংযোজন হচ্ছে প্রবাসী ক্রেতাদের জন্যেও অনলাইনে পশু ক্রয়ের সুযোগ। তবে সেটা শুধুমাত্র মূল প্ল্যাটফর্ম digitalhaat.gov.bd থেকে ক্রয়ের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং ক্রেতা যে জেলার জন্য ক্রয় করবেন সে জেলায় পশুর অবস্থান হতে হবে।’
আরও পড়ুন: গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে বুথ বসাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিজিটাল হাট-এর মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়ক ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ডিজিটাল হাটে পেমেন্টের প্রক্রিয়া যেমন হবে- পশু পছন্দ ও দাম নির্ধারণের পরে কতৃপক্ষ ক্রেতা ও বিক্রেতাকে ভেরিফাই করে একটি অনলাইন পেমেন্ট লিংক ক্রেতার জন্য প্রেরণ করবেন। সেই লিংকে ক্রেতা পেমেন্ট প্রদান করবেন। বিক্রেতা তার ঠিকানা অনুযায়ী পশু ডেলিভারি করবেন। পুরো বিষয়টি ডিজিটাল হাট ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ তদারকি করবেন।
তিনি আরও বলেন, এবারও স্লটারিং সেবার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এটা সম্ভব হবে স্লটারিং-এর জন্য নির্ধারিত স্থান খালি থাকা সাপেক্ষে এবং আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে। আশা করা যাচ্ছে এবারও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যান্য অনেকে ডিজিটাল হাট থেকে পছন্দের পশু ক্রয় করবেন।
এবার ডিজিটাল হাটের স্পন্সর হিসেবে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস দারাজ এবং গেটওয়ে পার্টনার হিসেবে রয়েছে ওয়ালেটমিক্স।
সরকারের নির্ধারিত বিধি মোতাবেক ডিজিটাল হাট পরিচালনা করা হবে। কোরবানি পশু সংক্রান্ত শরিয়তের বিধান ও অন্যান্য বিষয় তদারকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ডিজিটাল হাট-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
১ বছর আগে
সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আসন্ন কোরবানির ঈদে সন্ধ্যার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
একইসঙ্গে এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৪ জুন) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম জানান, সাধারণত সন্ধ্যার মধ্যেই পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এবারও সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে। এটা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে করে পরিবেশ দূষণ না হয়।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অংশীদারদের মতামতের সমন্বয় জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের সঙ্গে নাগরিক সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
অনলাইনে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা
ডিজিটাল বিপ্লবের হাত ধরে বাংলাদেশে অনলাইন বেচাকেনা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে মানুষ ঘরে বসেই সময় বাঁচিয়ে হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে তার পছন্দসই পণ্য। বর্তমান সময়ে এসে করোনা পরিস্থিতির মাঝে বাজারে গিয়ে কোরবানির পশু কেনা খুবই ঝামেলার কাজ। যার ফলে এবার দেশে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগেভাগেই অনলাইনে পশু কেনাবেচা জমে উঠেছে। যদিও বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে পশু বেচাকেনা দেখা যাচ্ছে, তবে মহামারির কারণে গত বছর থেকে এটি বেশ আলোচিত হচ্ছে।
এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নিজেদের উদ্যোগে অনলাইনে পশু বেচাকেনা করলেও গত বছর সরকারি ভাবে 'ডিজিটাল হাট' নামে অনলাইনে পশু বেচাকেনার একটি বাজার চালু করা হয়েছে।
‘ডিজিটাল হাট’ কি?
‘ডিজিটাল হাট’ হল মূলত ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি উদ্যোগে অনলাইনে পশু বেচাকেনার একটি অনলাইন নির্ভর বাজার। গত বছর এটি শুরু করা হলেও এবার বাজারটি জমে উঠেছে। মহামারির কারণে গত বছরও বেশ বেচাকেনা হয়েছে। গত কোরবানির ঈদে ২৭ হাজারের মতো পশু বিক্রি হয়েছে, এবার সরকার আশা করছে এক লাখের মতো পশু বিক্রি হবে এই মাধ্যমে। যদিও এটি মূলত ঢাকা উত্তর সিটি ভিত্তিক। তবে অন্য এলাকা থেকেও এখানকার সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
‘ডিজিটাল হাট’ কাজ করে যেভাবে
অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতোই এটি কাজ করে। বিক্রেতারা ওয়েবসাইটে পশুর ছবি ও বিস্তারিত তথ্য দেন এবং ক্রেতারা সেটা দেখে পশু কিনেন। ক্রেতারা বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেখে পছন্দ অনুযায়ী ফার্ম এবং বিক্রেতার কাছ থেকে পশু কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে অন্যতম সুবিধা হলো আপনি পশু হাতে পাওয়ার পরই টাকা পরিশোধ করবেন। পশু কেনা ছাড়াও আপনি এই হাট থেকে কসাইও বুক করতে পারবেন।
বিভিন্ন জেলায় অনলাইন পশুর হাট
মহামারিকালীন এই সময়ে ভিড় এড়াতে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও অনলাইন পশুর হাট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে গাজীপুরের শ্রীপুরে অনলাইন পশুর হাট যাত্রা শুরু করেছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে 'অনলাইন পশুর হাট' নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকায় তিন পশুর হাট বাতিল
বেসরকারি উদ্যোগ
সরকারিভাবে ডিজিটাল হাট ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ই-কমার্স সাইটগুলোও অনলাইনে কয়েক বছর ধরে পশু কেনাবেচা করে আসছে। 'বিরাট হাট' নামে একটি ক্যাম্পেইনের আওতায় বিক্রয় ডট কম বেশ কয়েকবছর ধরে গরু, ছাগল বিক্রি করছে। এখানে ক্রেতা ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পশু নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে 'গরুর হাট' নামে একটি ক্যাম্পেইনের আওতায় দারাজ ঈদে অনলাইনে পশু বিক্রি করে আসছে। দারাজ সরাসরি পশুর ওজন, রং, দাঁত ইত্যাদি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। প্রাণ-আরএফএল এর ই-কমার্স কোম্পানি ২০২০ সাল থেকে 'অনলাইন কোরবানির হাট' নামে অনলাইনে পশু বিক্রি করছে। শুদ্ধ ডট কম সরাসরি কৃষকদের একটি প্ল্যাটফর্ম। বাজার দামে নয় বরং মূল দামেই এখানে পশু বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি সম্পূর্ণ ফ্রি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
এছাড়া আজকের ডিল ডট কম, দেশি গরু ডট কম, মাদল নামে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইনে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই মাংস কাটা থেকে শুরু করে ঘরে দিয়ে আসা পর্যন্ত সব সেবা দিচ্ছে।
৩ বছর আগে
বিশেষ ট্রেনে ঢাকায় আসবে কোরবানির পশু
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামী ১৭ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেন 'ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন' পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল আলম এ তথ্য জানিয়েছন।
আরও পড়ুন: গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি জানান, ১৭ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেন 'ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন' চলবে, তবে ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে এর সংখ্যা কম বেশি হবে।
আরও পড়ুন: দেশের বাইরে থেকে কোরবানির পশু আসতে দেওয়া হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ঢাকার মধ্যে এ ট্রেন চলবে। দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে বিকাল সাড়ে ৩টায় ট্রেনটি ছেড়ে ঢাকার কমলাপুর পৌঁছাবে পরের দিন ভোর ৬টায়। একটি ট্রেনে ৪০০ টি পর্যন্ত পশু পরিবহন করা যাবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা
এছাড়া খুলনা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় পশু পরিবহনের জন্য রেল ব্যবস্থা রেখেছে। ব্যবসায়ীদের আগ্রহ থাকলে এখান থেকেও স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।
৩ বছর আগে
বগুড়ায় লাখ টাকার গরুর চামড়া মাত্র ৪০০ টাকায় বিক্রি
এবারও বগুড়ায় পানির দামে কোরবানির পশুর চামড়ার কেনাবেচা হয়েছে। এতে চামড়ার টাকার সুবিধাভোগীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক চামড়া রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বাসার সামনে পড়ে থাকলেও কেনার কেউ ছিল না।
৪ বছর আগে
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার জুড়ে যানজট, আটকা ৬ হাজার যানবাহন
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুক্রবার ৩৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজট তৈরি হয়েছে। এর ফলে ঈদের ছুটি কাটাতে যাওয়া মানুষ এবং ঢাকাগামী গবাদি পশু ব্যবসায়ীরা তাদের কোরবানির পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
৪ বছর আগে
ডিজিটাল হাট থেকে কোরবানির পশু কেনার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
করোনাভাইরাসের এ সংকটের সময়ে ক্রেতাদের কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে না এসে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
৪ বছর আগে
করোনা: ঝালকাঠিতে আর্থিক সংকটে পড়ার আশংকা খামারিদের
চলমান করোনা মহামারির কারণে ঝালকাঠির খামারিরা এ বছরের কোরবানিতে মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ার আশংকা করছেন।
৪ বছর আগে
কুমিল্লায় কোরবানির পশু কেনাবেচায় অ্যাপ চালু
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে পশুর হাট বসা নিয়ে শঙ্কার মাঝে কুমিল্লায় খামারিদের অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচার সুবিধা দিতে অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
৪ বছর আগে