দুর্নীতিবাজ
শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি
শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছে ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি।’
তারা ক্যাডারে বিভিন্ন টায়ারে পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন নীতিমালা, পদ সৃজন, পদ আপগ্রেড, ছুটি ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে দাবি জানান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল হোসেন।
তিনি প্রত্যেক উপজেলায় কলেজ জাতীয়করণের নামে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারি করা ৩০০ কলেজের জাতীয়করণ বাতিলের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কোটা ছাড়াই বিসিএসে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, শিক্ষা দপ্তর থেকে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের অপসারণ, রাষ্ট্র সংস্কার ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানানো হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে যে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি।
প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে তারা এই আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী সকলকে জাতীয় বীরের মর্যাদা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের নাম, স্মৃতিফলক উন্মোচন, জাতীয় পাঠ্য পুস্তকে এই বিপ্লবী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে পাঠ্যভুক্ত করার দাবি জানান।
বিভিন্ন দপ্তরে বিগত স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া দলদাস ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা হলেও শিক্ষা প্রশাসনের সর্বস্তরে তারা এখনও বহাল তবিয়তে। এজন্য তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে বিগত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীদের আবারও লাভজনক পদে পদায়ন শুরু হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনা বিরোধী। তাই অবিলম্বে মন্ত্রণালয়ের কলেজ উইং ও শিক্ষা প্রশাসনের সকল স্তর ঢেলে সাজাতে হবে।
পদোন্নতিযোগ্য সবাইকে সব টায়ারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে একসঙ্গে পদোন্নতি প্রদান করা, পূর্বে তিন টায়ারে একসঙ্গেই পদোন্নতি দেওয়া হতো। কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। ১৬ ব্যাচের বিসিএসের কর্মকর্তা দীর্ঘ ২৮ বছর চাকরি করে পদোন্নতি না পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন যা খুবই কষ্টকর। আমরা ১৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ভুতাপেক্ষিকভাবে মার্চ ২০২৩ থেকে পদোন্নতির দাবি করছি।
আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে বিসিএস শিক্ষা সমিতির কর্মবিরতি শুরু
শূন্য পদ না থাকায় শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরকে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারসহ অনেক ক্যাডারে সুপারনিউমেরারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া হয়। শিক্ষা ক্যাডারেও সুপারনিউমেরারি পদে পদোন্নতি দিয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের করতে হবে। শিক্ষা ক্যাডারে বদলি-পদায়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিদ্যমান। নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা ঘুরে-ফিরে মাউশি, ডিআইএ, ব্যানবেইস, নায়েম, শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবিসহ বিভিন্ন দপ্তর এবং ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলার প্রধান কলেজগুলোতে কর্মরত আছেন।
অপরদিকে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নিরীহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রত্যন্ত অঞ্চল, হাওর-দ্বীপ, পাহাড় এবং জেলা-উপজেলার ছোট কলেজে কর্মরত আছেন। এই বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে সুষ্ঠু বদলি পদায়ন নীতিমালা জারি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিপ্লবী সরকারের সময়ও বিগত সময়ের সুবিধাভোগীরা ভালো পদায়ন পাচ্ছেন বা পূর্বের পদায়ন ধরে রেখেছেন।
এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পঞ্চম গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান এবং আনুপাতিক হারে গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি করে ৬ স্তরের পদসোপান তৈরি করার দাবিও জানান তারা।
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সহসভাপতি সংগঠনের উপদেষ্টা ড. আ জ ম রুহুল কাদীর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ, অধ্যাপক মোহা. আবেদ নোমানী, অধ্যাপক কাজী ফারুক আহম্মদ, অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, আকলিমা আক্তার, মো. এনামুল হক, মো. ইমরান আলী, মো. কামরুল হাসান, ড. সালাহ উদ্দিন আফসার, মো. গোলাম আজম।
আরও পড়ুন: সুপারিশপ্রাপ্ত পাঁচজনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ
২ মাস আগে
আজিজ-বেনজীরের মতো অনেক দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে আ. লীগ সরকার: ফারুক
আওয়ামী লীগ সরকার আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদের মতো অসংখ্য দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে 'অবৈধ সরকারের অবৈধ চুক্তির' প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে বিরোধীদলীয় মঞ্চ প্রজন্ম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
বিক্ষোভে ফারুক প্রশ্ন করেন, ‘এখন কোথায় বেনজির (সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ), আজিজ (সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ), মতিউর (রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান)?’
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (ট্যাক্স, লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের মতো নতুন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে।
ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারের আশ্রয়ে অসংখ্য ব্যক্তি লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, বিদেশে ঘরবাড়ি বানিয়েছেন। তারা রাতে সাঁতার কাটার জন্য সুইমিং পুলসহ প্রাসাদও তৈরি করেছিল। এই মানুষগুলোর মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে, তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কখনো ক্ষমা করবে না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে সরকারকে সমর্থন করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করেন সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই সচেতন। গুটিকয়েক আমলার সমর্থন নিয়ে আপনি ক্ষমতায় আছেন। আপনারা একদিনের জন্যও বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
ফারুক বলেন, দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রহসন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মীয়দের যুক্ত করে উপজেলা নির্বাচনেও একই প্রক্রিয়া চালিয়েছে।
তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ পাঁচ মিনিট সংসদে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এবং হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স এনে এমপি বানিয়েছে, তারা আবারও ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করতে রেললাইন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ভারত সরকারের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এই অসম চুক্তি আমরা মেনে নেব না। দেশের মানুষ তাদের মেনে নিতে পারছে না। এসব অন্যায্য চুক্তি প্রত্যাহার করুন।’
ভারতের সঙ্গে এসব অসম চুক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে বিএনপিকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানান ফারুক।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
৪ মাস আগে
এখন দুর্নীতিবাজদের দখলে রাজপথ: দুদক চেয়ারম্যান
দেশের স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনুদ্দীন আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আগে দুর্নীতিবাজরা রাতের আঁধারে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটত, যাতে লোকজন তাদের দেখতে না পায়। আর এখন দুর্নীতিবাজরা প্রকাশ্যে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটে।’
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) দুদকের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) স্মরণিকা ‘সুপথ’-এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু, আরেক আসামি গ্রেপ্তার
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ আরও বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করার পরও নিজেদের দুর্নীতিবাজ মনে করে না। সমাজে দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) আছিয়া খাতুন বলেন, মামলার অভিযোগপত্র ছাড়াও প্রতিরোধের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে খবর প্রকাশ করুন। যাতে আমরাও ঘটনার গভীরে পৌঁছাতে পারি।
র্যাক সভাপতি জেমসন মাহবুবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাফি উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
৭ মাস আগে
বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে দুর্নীতিবাজ মা ও ছেলেকে রক্ষার রাজনীতি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে দুর্নীতিবাজ মা ও ছেলেকে রক্ষার রাজনীতি।
তিনি বলেন, তারা দেশের উন্নয়নের রাজনীতি করে না। বিএনপি বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে ২০০১ সালে লুটপাট করেছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ছিল বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিরলের ভান্ডারা ইউনিয়নে বেতুড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত তিনতলা উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারিত ভবন, শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও বালান্দোর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন শেষে সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওয়া ভবন থেকে সারাদেশে লুটপাট চালানো হয়েছিল। ঘরে ঘরে চোর তৈরি করা হয়েছিল বিএনপি সরকারের শাসনামলে। অথচ বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র হাত ধরে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঈদযাত্রা পুরোটাই ভাল ও আনন্দদায়ক হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘কারা এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, কারা এই সার আত্মসাৎ করেছে- সুনির্দিষ্ট করে তাদের নাম দিন। দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না।
আদালত আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কোর্ট থেকে ধরে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেব।’
বিসিআইসির পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে শুনানিকালে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আদালত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে বিসিআইসি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোল্লা কিসমত হাবিব। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ৪ জানুয়ারি ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা। মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মের মধ্যে। সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
পাশাপাশি ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে শিল্পসচিব ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যানকে চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে বিসিআইসির পক্ষে আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে ছিলেন।
শুনানিতে বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, প্রতিবেদন এসেছে, তবে হলফনামা করতে পারেনি।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রতিবেদনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বিসিআইসির আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ওই ঘটনায় কারা জড়িত? নাম–ঠিকানা পাওয়া যায়নি? মানুষ আত্মসাৎ করেনি? তাহলে বাতাস খেয়ে ফেলেছে? তদন্ত প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ না থাকলে এর কী দাম আছে? এ সময় বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, আত্মসাৎ হয়েছে। আদালত বলেন, সুনির্দিষ্ট করে বলেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী বলেন, মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের পোটন নিজে জড়িত। আদালত বলেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে–ই হোক।
শুনানিতে অগ্রগতি জানাতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এক দিনের সময়ের আরজি জানান। এই পর্যায়ে আদালত আগামী রোববার শুনানির দিন রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তখন বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব বলেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি অনেক পৃষ্ঠার, হলফনামা করে আগামী রোববার দাখিল করা প্রায় অসম্ভব। অবকাশ শেষে দিন রাখার আরজি জানান তিনি। পরে আদালত আগামী ৯ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন রাখেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
১ বছর আগে
সজাগ থাকুন, যাতে যুদ্ধাপরাধী, গ্রেনেড হামলাকারী, দুর্নীতিবাজরা আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের দিন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও দুর্নীতিবাজরা যাতে আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় এলে আবারও এই দেশকে ধ্বংস করে দেবে এবং আমাদের সব অর্জন শেষ হয়ে যাবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, বিচারক ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন।
তিন বছর পর ব্যক্তিগতভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়নের সূচনা করেছে তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে পারে। ‘আমরা ২০২৬ সাল থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমাদের যাত্রা শুরু করব... আমরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি বলেন, আ.লীগ জনগণের সেবায় আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা...তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমার কর্তব্য।
আরও পড়ুন: ‘ভাল এবং নিরাপদ থাকুন’: প্রধানমন্ত্রী
২০১৩-১৪ এবং ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া এবং তাদের ওপর হামলা করা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, এসব ঘটনার কারণে তিনি সন্দেহ করছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, মাত্র ১৪ বছরে তার সরকার বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে এবং সরকার দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।
মহামারির সময়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য তিনি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে চরম দরিদ্রের সংখ্যা কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে এবং দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না এবং দেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্রমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে দলীয় নেতা-কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন ও পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে তিনি বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, এবং সচিবের সমতুল্য পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: তিন বছর পর গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে বয়কটের আহ্বান দুদক প্রধানের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান। দিবসটি বিশ্বব্যাপী ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
দুদক প্রধান বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল। যা এখন পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি রাতারাতি নির্মূল করা যায় না। এটি ধীরে ধীরে নির্মূল হবে।’
দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন দুর্নীতিবাজ কারা। তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন।’
দেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস দুর্নীতিবিরোধী এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র তুলে ধরার চেষ্টা করে। এর মূলে যে ধারণাটি রয়েছে- অপরাধ মোকাবিলা করা প্রত্যেকের অধিকার ও দায়িত্ব। শুধুমাত্র সহযোগিতা এবং প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এই অপরাধের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
রাষ্ট্র, সরকারি কর্মকর্তা, বেসামরিক কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, একাডেমিয়া, জনসাধারণ ও যুবসমাজ সবারই এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন বহাল
১ বছর আগে
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষই দুর্নীতিবাজ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। পারিবারিক, সামাজিক ও আশপাশের পরিবেশই মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘আপনার অধিকার, আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সৎ, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবানদের সামাজিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই সমাজে দুর্নীতি হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের চাহিদার সীমা থাকে, কিন্তু লোভ সীমাহীন। দুর্নীতি এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক সমাজে প্রচলিত আছে। পৃথিবীর কোনো দেশই এর কুপ্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। ’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সামাজিকভাবে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব জাগ্রত না হলে কেবল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একার পক্ষে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।’
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষের মাঝে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা তৈরি এবং দুর্নীতগ্রস্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমেই কেবলমাত্র দুর্নীতিকে সহনশীল মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব।’
তিনি কমিশনের সকল পর্যায়ে কর্মচারীদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অন্যের দুর্নীতি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আগে আপনাকে নিজের অনিয়ম ও অসততা দূর করতে হবে। যারা রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে এবং দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না জনমনে এমন ধারণা জন্মাতে পারলেই দুদকের ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে।’
দিবসটি উপলক্ষে দুদক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
দুর্নীতিকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগের ফলে ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘে দুর্নীতিবিরোধী সনদ আনকাক গৃহীত হয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
২ বছর আগে
দুর্নীতিবাজ আত্মীয়কেও প্রধানমন্ত্রী ছাড় দিচ্ছেন না: প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, দুর্নীতিবাজ আত্মীয়-স্বজনকেও প্রধানমন্ত্রী ছাড় দিচ্ছেন না। দুর্নীতি না থাকলে দেশের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়তো। দুর্নীতি একটি বড় সামাজিক সমস্যা। সরকার দুর্নীতিকে উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘এলডিসির চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারের প্রস্তুতি’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:সাকিবের অনন্য রেকর্ড, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পথে দুর্নীতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। ২০২৬ পরবর্তী সময়ে শুল্কমুক্ত রপ্তানি অব্যাহত রাখতে সরকার সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আটটি দেশের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে যে বাড়তি টাকা দিতে হবে সেই সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এবছর ১৯ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে জিডিপি ৩ শতাংশ বাড়বে। এলডিসি উত্তরণের জন্য নির্ধারিত ৩টি মানদণ্ড পর পর দু‘বার বাংলাদেশ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে যা বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় বহন করে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে দরিদ্র লোকের সংখ্যা ৪২ শতাংশ হয়েছে মর্মে কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যে তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নয়। তাদের সমীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি অনেক বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে তাদের প্রক্ষেপণগুলো বাস্তবসম্মত নয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম কর্তৃক অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা না করে শুধু কোভিড রেসপন্স প্ল্যান করার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তা সংবিধান বিরোধী।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম পথ প্রদর্শক ফজিলাতুন্নেছা মুজিব: প্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে পরাজিত করে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া চ্যাম্পিয়ান হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস.এম. মোর্শেদ, সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয়, সাংবাদিক উম্মান নাহার আজমী এবং সাংবাদিক আবদুর রহিম হারমাছি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
৩ বছর আগে
ত্যাগীদের রাজনীতিতে সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান কাদেরের
দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করে সৎ ও ত্যাগীদের রাজনীতিতে সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
৩ বছর আগে