চাল আমদানি
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ১০৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এক সপ্তাহে ৯ চালানে ভারত থেকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারকেরা জানান, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিনা শুল্কে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব চাল আমদানি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩৩টি ট্রাকে ভারত থেকে মোট ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সর্বশেষ আমদানি হয়েছে ১০৫ মেট্রিক টন স্বর্ণা মোটা চাল। শুল্কায়ন শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল বন্দর থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অর্ক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই হাজার মেট্রিক টন আতপ ও তিন হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন পেয়েছি। এর মধ্যে ১০৫ মেট্রিক টন সেদ্ধ স্বর্ণা চাল এরই মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে। যা পরিবহন ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে ৫৩ টাকা।’
শার্শার চৌধুরী অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার হাইব্রিড মোটা চাল ৪৬ টাকা ও স্বর্ণা মোটা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে। নতুন আমন ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। এখন থেকে চালের দাম কমতে থাকবে। যদিও এবার অতিবৃষ্টির কারণে চালের উৎপাদন কমেছে। সে কারণে চাল আমদানির প্রভাবও বাজারে থাকবে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে একসপ্তাহে ৯ চালানে ৩৩ ট্রাকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও চালের চালান বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
আমদানি এভাবে অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজিব জানান, ৯ চালানে ভারত থেকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার রাতে ১০৫ টনের একটি চালের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে বৃহস্পতিবার সকালে চালের চালানটি খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
৩ সপ্তাহ আগে
২ বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
প্রায় দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন নন-বাসমতি চাল আমদানি করেছেন। আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, চালের আমদানি মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ ,পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতি কেজি চালের মূল্য দাঁড়ায় ৫৫ টাকা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হবে বলে জানা গেছে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে রবিবার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বাড়বে আমদানি। দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন
২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে যশোর এলাকার ১২ জন আমদানিকারক ৭৩ হাজার সিদ্ধ ও ১৯ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কি না সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই আমদানিকারকের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিনহা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয় বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে।
আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের প্রথম একটি চালের চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতে যাত্রী চলাচল কমেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে
১ মাস আগে
হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু, প্রথম চালানে আসল ১৩১ টন
সরকার আমদানিতে পুরোপুরি শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ২০ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল ১৩১ মেট্রিক টন আমদানি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় ভারত থেকে চালের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করে। এরফলে চালের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনাল ভারতীয় ৩টি ট্রাকে প্রায় এই চাল আমদানি করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে চালের দামে লাগাম টানতে সরকার গত ৩১ অক্টোবর চালের উপর থেকে সম্পূর্ণ শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর চাল আমদানিকারকরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আমদানির জন্য আবেদন করেন। সেখান থেকে গতকাল রবিবার অনুমতি পেয়ে আজ সোমবার ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই পর্যন্ত বন্দরের পাঁচজন আমদানিকারক ৩৩ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। বর্তমানে ভারতে ৪২০ থেকে ৪৩০ ডলারে এলসি করে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তাতে সব খরচসহ প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা। বাজারে চাহিদা থাকায় এই মুহূর্তে লোকসানের কোনো আশঙ্ক নেই বলে জানান তিনি।
আরেক আমদানিকারক মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ললিত কেশরা জানান, দেশে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চাল আমদানি করা হচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠানের নামে আজ ভারতীয় ৩টি ট্রাকে প্রায় ১৩১ মেট্রিকটন চাল আমদানি করেছি। এখন প্রতিদিনই চাল আমদানি হবে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী মো. ইউসুফ আলী জানান, সরকার গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ রাখে। সেসময় চাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত করতে সরকার চালের উপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করেছিল। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়নি।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
দাম নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে সরকার
দেশে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে চালের আমদানি শুল্ক কমানোর কথা ভাবছে সরকার।
অর্থ, বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় ধান চাষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ প্রধান কৃষি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে রংপুর, শেরপুর, লালমনিরহাট, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ বন্যার কবলে পড়েছে। এই অঞ্চলগুলো দেশের ধান উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ফলে স্থানীয় বাজারে চালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা সংকটে পড়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বেড়েছে ৮-১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ অবস্থায় সরকারের লক্ষ্য চাল আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণ ও বাজার স্থিতিশীল করা। চালের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
বর্তমানে চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এই শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুগ্ম সচিব লুৎফর রহমান এনবিআরকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান।
উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকদের প্রণোদনা দিতে চলতি বোরো মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান ও ১ কোটি ৪৭ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩১ আগস্ট পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭০ টন ধান ও ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৭ টন চাল। বর্তমানে সরকারি গুদামে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৪০ টন চাল ও ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯২৮ টন গম মজুদ রয়েছে।
তবে বন্যার পর উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ কারণে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার নজরদারি বাড়িয়েছে। সুষ্ঠু বাজার পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এরপরও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সম্প্রতি ১৪টি জেলায় বন্যায় আউশ, আমনের চারা এবং আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চালের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সরবরাহ কমে গেলে দাম আরও বাড়তে পারে। উপরন্তু, ভারতের গম রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়া এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বৃদ্ধি শস্যের দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
এ প্রেক্ষাপটে চালের বাজার স্থিতিশীল করা এবং সরকারের মজুদ বাড়ানো অপরিহার্য। বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানিরও প্রয়োজন হতে পারে। এরই মধ্যে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন পেয়েছে সরকার।
যদিও বর্তমানে স্থানীয় বাজারের তুলনায় বৈশ্বিক বাজারে চালের দাম বেশি, তবে বিদ্যমান চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে কমানোর সিদ্ধান্তকে দাম স্থিতিশীল রাখতে একটি জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বর্তমানে চালের আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক, ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম ট্যাক্স, ১ শতাংশ বীমা, ১ শতাংশ ল্যান্ডিং চার্জ এবং ০.৫ শতাংশ ডি এফ ভ্যাট প্রযোজ্য।
সম্প্রতি ভারত তাদের চাল রপ্তানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে। বাংলাদেশ যদি তার আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে, তাহলে ভারত থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ সম্মিলিত শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, এই শুল্ক হ্রাস আমদানিকারকদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে উৎসাহিত করবে। সরকারি-বেসরকারি আমদানিতে বাসমতি ছাড়াই অন্যান্য সিদ্ধ চাল ও সুগন্ধি ছাড়াই আতপ চালের শুল্ক কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের
২ মাস আগে
সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, চালের বাজার ৯ মাস স্থির ছিল।
তিনি বলেন, করোনা অতিমারিতেও চালের দাম বাড়েনি। এখন বাড়ছে কেন? মিল মালিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ধান চালের মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করে কয়েক জেলার ব্যবসায়ীরা। আমরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিবেক জাগ্রত করুন। বেপরোয়া না হয়ে মানব সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করুন।
তিনি বলেন, কৃষক ধানের দাম বেশি পেলে খুশি হতাম। এখন বেশি দামে ধান বিক্রি হলেও কৃষকের লাভ হচ্ছে না। সুবিধা নিচ্ছে মজুতদাররা।
তিনি আরও বলেন, চালের বস্তার দাম কত? তা মিল গেটেই লিখতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে উৎপাদনের তারিখও। নতুন আইন করা হয়েছে। দ্রুত কার্যকর হবে।
এ আইন কার্যকর হলে মিনিকেট নামের কোনো চাল থাকবে না।
আরও পড়ুন: না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ৫ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় আমদানির প্রয়োজন হবে না।
আরও পড়ুন: খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর সাপাহারে নবনির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে সরকারের গোডাউনে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যশস্য রাখার জায়গা না থাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই মাসের চাল একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তা ছাড়া আরও পাঁচ লাখ টন গম পাইপলাইনে রয়েছে। ফলে দেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
চাল আমদানিতে সরকারকে এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। চাল আমদানির জন্য সরকারের এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না।
তিনি বলেন, দেশে খাদ্যের অভাব নেই। এসময়ে দেশে সরকারি খাদ্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে চলমান বোরো সংগ্রহ-২০২৩ উপলক্ষে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই- আগস্টের মধ্যে কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস এর চাল বিতরণ শুরু করবে খাদ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য লজ্জার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, জুলাই মাসের শুরু থেকে টিসিবির মাধ্যমেও ৫ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হতে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে আমাদের অপচয় কমাতে হবে। চাল চকচক করতে গিয়ে অপচয় হয়। আবার পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, হাওর অঞ্চলের কৃষক সচেতন হলে ধানের নায্যমূল্য নিতে পারে। মৌসুমের শুরুতেই তারা জমিতে ধান কেটে সেখানেই মাড়াই করে বিক্রি করে দেন, বাড়িতে নিতে চান না।
তিনি বলেন, এই সুযোগে ধানের দাম কমিয়ে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেন।
মন্ত্রী বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাহায্যে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার চেক করে খাদ্যগুদামে আনলে কৃষকের সুবিধা হবে। কর্মকর্তারা ধান ভেজা বলে ফেরত পাঠাতে পারবে না।
তিনি বলেন, গুদামে নিয়ে ধান আবার ফেরত নিতে হলে কৃষক সরকারি গুদামে দান দিতে আগ্রহ হারায়।
এসময় মন্ত্রী ধান দিতে এসে কোনো কৃষক যেন কষ্ট না পায় সেটা নিশ্চিত করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিতে আমাদের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক। কৃষক বেশি বেশি ধান উৎপাদনকরে আমাদের স্বস্তিতে রেখেছে। আমাদের খাদ্য সংকট নেই।
আরও পড়ুন: সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চায়: খাদ্যমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আজ খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিটিংয়ের রেজ্যুলেশনসহ সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রুতই পাঠানো হবে এবং এরপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চাল শুল্কমুক্তভাবে যেন আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে করে কৃষক, বাজার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। তবে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে।
চলমান অভিযান নিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, অভিযানের সুফল ভোক্তা পেতে শুরু করেছে। বেসরকারিভাবে আমদানি হলেও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত থেকে মতামত পেশ করেন।
এছাড়াও বৈঠকে এনবিআর এর চেয়ারম্যান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব ( সমন্বয় ও সংস্কার) এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব অংশ নেন।
আরও পড়ুন: অভিযানের ফলে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
আরও সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার
সরকার আরও সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৩ বছর আগে
শিগগিরই সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার
দেশের বর্তমান খাদ্য মজুদ বাড়াতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৩ বছর আগে