পদ্মা নদী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মায় বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবাহী নৌকার ধাক্কায় নিহত ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে যাত্রীবোঝাই এক নৌকার ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা আলীমনগর ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ভিখু (৫৭)। তিনি সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের এগারো রশিয়া রুস্তুম মড়লের পাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনেরা জানান, বিকেলে পদ্মা নদীর আলীমনগর ঘাট থেকে যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা নারায়ণপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় ঘাটের কাছাকাছি নদীতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাল্কহেডকে ধাক্কা দেয় নৌকাটি। তখন নৌকায় থাকা ভিখু গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্বার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা জানান, নৌকা দুর্ঘটনায় হাত ও বুকে ব্যথা পেয়েছিলেন ভিখু। পাশাপাশি হার্টের সমস্যাও ছিল তার। সেজন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম জানান, ঘটনার খবর তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ মিনিট আগে
র্যাম্প ছিঁড়ে ভেসে গেল পন্টুন, পাটুরিয়ার চার নম্বর ঘাট দিয়ে পারাপার বন্ধ
পন্টুনে ফেরি ভিড়তে গিয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় র্যাম্পের তার ছিঁড়ে গেছে। এর ফলে পন্টুনসহ র্যাম্প পদ্মার তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ঘাটে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এতে করে ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম আবদুস সালাম জানান, বাইগার নামে রো রো ফেরিটি ৪ নম্বর ঘাটে ভেড়ার আগ মুহূর্তে হঠাৎ র্যাম্পের লোহার মোটা তার ছিঁড়ে যায়। এ সময় পন্টুনটি প্রবল স্রোতে ভেসে যায়। পরে উদ্ধারকারী টাগ জাহাজ দিয়ে পন্টুন ও র্যাম্পটি টেনে ঘাটের কাছে রাখা হয়েছে। আপাতত চার নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে।
ঘাটটি পুনরায় স্থাপনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
১২৩ দিন আগে
চাঁপাইয়ে পদ্মার পানি সরলেও দুর্ভোগ কমেনি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনো পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার কমে আজ রবিবার (১৭ আগস্ট) বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোর মানুষের মধ্যে। কোথাও কোথাও উঁচু এলাকায় পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে পানি নামার গতি ধীর হওয়ায় এখনো সদর উপজেলার আলাতুলী ও নারায়ণপুর ইউনিয়ন এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর ও মনাকষা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। ফলে এসব এলাকার মানুষ এখনো চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল পাঁকা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে পানি কমায় মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি এলেও বন্যায় ধানসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
আরও পড়ুন: বন্যার পানি নামছে, জেগে উঠছে ক্ষত
তিনি বলেন, ‘যেভাবে পানি নামছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।’
পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, ‘পানি কমছে, তবে খুব ধীরগতিতে। এখনো অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। মানুষ খাবারের কষ্টে আছে। সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পানিবন্দি মানুষের জন্য ২৮ মেট্রিক টন চাল এবং কিছু শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ত্রাণের কোনো সমস্যা নেই। উপজেলা প্রশাসন তালিকা তৈরির কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র পাওয়া গেলে আবারও বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার কমে আজ (রবিবার) বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত চরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘গুচ্ছ বসতভিটা’
উল্লেখ্য, টানা সাতদিন ধরে পদ্মায় পানি বাড়ায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে প্রায় সাড়ে আট হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং দুই হাজার হেক্টর জমির আউশ, আমন ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়।
১২৬ দিন আগে
চাঁপাইয়ে পদ্মার পানি বেড়ে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি সাড়ে ৮ হাজার পরিবার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এতে জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানি ও মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে। তবে পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে চরাঞ্চলের অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তাঘাটেও পানি উঠেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি ফের বিপৎসীমার ওপরে, নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলী এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর ও মনাকষা ইউনিয়নের সাড়ে ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে এসব এলাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সরকারি পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
১৩০ দিন আগে
১৩ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু
পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতের কারণে অস্থায়ী লঞ্চঘাটের র্যাম্প ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে গতকাল থেকে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। তবে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে যাত্রীদের উঠতে হচ্ছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অস্থায়ী ভিত্তিতে পুনরায় পাটুরিয়া ১ নাম্বার ফেরির ঘাট এলাকার পাশের কড়ইতলা এলাকা থেকে লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী।
এর আগে, পদ্মার ভাঙনে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট বিলীন হওয়ার পর অস্থায়ীভাবে লঞ্চ সার্ভিস স্থানান্তর করা হয়েছিল পাটুরিয়া ২ নম্বর ফেরিঘাটে। তবে গতকাল প্রবল স্রোতের কারণে ওই ফেরিঘাটের র্যাম্পের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে নৌপথে লঞ্চ যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পান্না লাল নন্দী বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে লঞ্চঘাটের জেটি নদীতে বিলীন হওয়ায় লঞ্চগুলোকে পাশের ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে সরিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকেই কোনোরকমে যাত্রী ওঠানামা করা হচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যার দিকে সেই ঘাটের একটি র্যাম্পের তার ছিড়ে পানিতে ডুবে যায়। আর একটি র্যাম্পের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। যেকোনো সময় এটার তারও ছিড়ে যাবে। তাই ঝুঁকি এড়াতে আমরা লঞ্চগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাই।’
আরও পড়ুন: পাটুরিয়ার অস্থায়ী লঞ্চঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত, আবারও লঞ্চ লাচল বন্ধ
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে পাটুরিয়া ১ নম্বর ফেরির ঘাট এলাকার পাশের কড়ইতলা এলাকা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে, এখানে কোনো পন্টুন নেই। আমরা খুব কষ্ট করে যাত্রী পারাপার করছি। দ্রুত আমাদের জন্য একটি স্থায়ী লঞ্চঘাটের ব্যবস্থা করা হোক। তা না হলে এই নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পদ্মার প্রবল স্রোতে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের একটি জেটি ধসে পড়ে এবং অপর জেটি ঝুঁকিতে পড়ে। পরে জরুরি ভিত্তিতে লঞ্চগুলোকে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে সরিয়ে সীমিত আকারে যাত্রী ওঠানামা চলছিল।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান নৌপথ।
১৩৫ দিন আগে
ভাঙন ঝুঁকিতে দৌলতদিয়ার সবগুলো ফেরিঘাট
জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার তিনটি ফেরিঘাটের সবকটি ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে। জরুরি মেরামতের অংশ হিসেবে বিআইডব্লিউটিএ ফেরিঘাট রক্ষায় বালুভর্তি বস্তা ফেললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। এ ছাড়া ঘাটসংলগ্ন তিনটি গ্রাম, বাজার, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসাসহ বহু স্থাপনাও ঝুঁকিতে পড়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয় জানায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরিঘাট রয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট তিনটি সচল রয়েছে। ৬ নম্বর ঘাট থাকলেও সেটি এখনো সচল হয়নি। ঘাটটি পানি উঁচু স্তরের হওয়ায় ভরা বর্ষায় সেটি সচল হবে। এ ছাড়া কয়েক বছর আগে ১, ২ ও ৫ নম্বর ঘাটগুলো নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় সবকটি (৩, ৪ ও ৭ নম্বর) ফেরিঘাট এখন ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট রয়েছে অধিক ঝুঁকিতে। ঘাটসংলগ্ন বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া, মজিদ মাতুব্বর পাড়া ও শাহাদত মেম্বার পাড়াসহ স্থানীয় বাজার, মসজিদ, স্কুলসহ একাধিক স্থাপনাও রয়েছে ঝুঁকিতে।
দৌলতদিয়া ঘাটের সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখতে শনিবার (২ আগস্ট) ভাঙনকবলিত এলাকায় আসেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। তারা ঘাটের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
আরও পড়ুন: ধরলার ভাঙনে নিঃস্ব অর্ধশতাধিক, ঝুঁকিতে আরও পাঁচ শতাধিক পরিবার
সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাটসহ মধ্যবর্তী এলাকার সর্বত্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভাঙন বাড়ায় ৭ নম্বর ঘাটে ফেরির পন্টুন ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। ৪ ও ৭নম্বর ফেরিঘাটে কিছু বালুর বস্তা ফেলা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। আতঙ্কে অনেকে আশপাশের স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন। ছাত্তার মেম্বার পাড়ার চারটি পরিবার তাদের ঘরও সরিয়ে নিয়েছে।
১৪০ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নির্যাতনে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো- শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের সিরাজুলের ছেলে শফিকুল(৪৫) ও একই এলাকার মৃত মর্তুজার ছেলে সেলিম(৩৫)। তবে বিএসএফের নির্যাতনে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা—তা নিশ্চিত করেনি বিজিবি।
স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বাতাসি মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে দুই জনের লাশ ভাসতে দেখে মাসুদপুর বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়। এরপর লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমির উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার গরু আনার জন্য ভারতে যান সফিকুল ইসলাম ও সেলিম। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা। আজ শনিবার পদ্মা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে লাশ শনাক্ত করা হয়। দুজনের পুরো শরীর অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানো এবং শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পড়ুন: পুলিশের ভয়ে নদীতে লাফ, দুদিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের দাবি ভারতের বিএসএফ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে কৌশল পরিবর্তন করে অপরাধ ঢাকতে নির্যাতণ করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
এদিকে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বিজিবি সদস্যরা বিকাল ৩টার দিকে মাসুদপুর সীমান্তের ৪/২-এস নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদীতে ২টি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে লাশ নিয়ে যাবার জন্য। তবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিএসএফকে জানানো হলো তারা কিছু জানেনা বলে জানিয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
১৪১ দিন আগে
নাটোরের ঝড়ের কবলে নৌকা ডুবে নিখোঁজ মৎসজীবী
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে জহুরুল ইসলাম নামে এক মৎসজীবী নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার গভীর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জহুরুল (৪৫) লালপুর উপজেলার লক্ষিপুর এলাকার হযরত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পাহার ধসের ঝুঁকি এড়াতে ১২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু
স্থানীয়রা জানান, জহুরুল পদ্মা নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার গভীর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যান। এসময় নৌকাটিতে থাকা অন্য আটজন জেলে সাঁতরে নদীর চরে উঠতে সক্ষম হলেও জহুরুল পানির স্রোতে ভেসে যান।
ঘটনার সময় অন্ধকার ও বৈরী আবহাওয়া থাকায় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারেননি বলে জানান।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান জানান, আজ (সোমবার) সকালে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করার কথা রয়েছে।
২০৩ দিন আগে
পদ্মা নদীতে বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান, ড্রেজার-ট্রলার জব্দসহ আটক ৫
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু করে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ড্রেজার মেশিন, ২টি বালু ভর্তি ট্রলার জব্দ করা হয়।
নাটোর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা জানান, লালপুরে পদ্মা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তাদের ধরতে একাধিকবার অভিযান চালালে আগেই খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনা সদস্যরা সকাল থেকে লালপুর উপজেলায় পাদ্মা নদীর চর জাজিরা পয়েন্টে অভিযান চালায়। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বালুভর্তি ট্রলার জব্দসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
সেনা কর্মকর্তারা জানান, জব্দ মালামাল ও আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, ‘জব্দকরা মালামাল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
২৩৩ দিন আগে
অবৈধ ড্রেজিং চলছেই, ভাঙন ঝুঁকিতে পদ্মাপাড়ের ৭ গ্রাম
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে রয়েছে অন্তত ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা।
নদী যেভাবে ভাঙছে, তাতে ঝুঁকিতে রয়েছে গ্রামগুলোর অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে; আর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সম্প্রতি বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার ভাঙনে প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে পদ্মা পাড়ের এসব গ্রামের মানুষের।
জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের টিলারচর, ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী, সবুল্যা শিকদারের ডাঙ্গী, হরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরের শুরাসহ অন্তত সাতটি গ্রাম ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
সবুল্যা শিকদার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ হরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরের শুরা খালের মাথা থেকে গাজিরটেক ইউনিয়নের হাজিগঞ্জ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এবং উপজেলা সদরের সবুল্যা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সুপারির বাগান এলাকা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এসব এলাকা-সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দিনের পর দিন অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। যার ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা না হলে নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা কোনোভাবেই রক্ষা পাবে না।
আব্দুর রশিদ নামের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেন, এইখানে নদী থেকে গত সরকারের সময় যেভাবে মেশিন দিয়ে দিন-রাত বালু কাটা হয়েছে, এখন লোক পরিবর্তন হয়ে সেই একইভাবে চলছে বালু কাটা। সরকার বদলালেও এই অবৈধ কাজ থেমে নেই। তাদের কাছে (অবৈধ বালু উত্তেলনকারী) আমরা নদী পাড়ের মানুষ অসহায়।
পাউবোর আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চরভদ্রাসন উপজেলার জাকেরেরশুরা বাজারে প্রস্তাবিত নদীর পাড় রক্ষার প্রকল্পের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। পরে ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসন ও পাউবোর কর্মকর্তারা।
ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রকল্পের গুরুত্বের বিষয়ে স্থানীয় জনমত ও নদীপাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। প্রকল্পটি হওয়া জরুরি, তবে তার আগে দরকার বালু লুটেরাদের তাড়ানো।’
ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘সোয়া তিন কিলোমিটার নদীতীর অরক্ষিত অবস্থায় আছে এবং এটাকে প্রোটেকশনের (নিরাপত্তা) মধ্যে নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যে আমরা প্রকল্পের প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এছাড়া বর্তমান সরকারের নির্দেশনা রয়েছে যে, প্রকল্পের সুবিধাভোগী এলাকাবাসীর মতামত নিতে হবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গণশুনানি করা হয়েছে এবং মতামত অনুযায়ী দ্রুত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’
দ্রুততম সময়ের মধ্যেই প্রকল্পটির অনুমোদন হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।
ফরিদপুর পাউবো সূত্রে জানা যায়, প্রায় সোয়া ৩ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে প্রাক্কালিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪’শ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে চলতি বছরে কাজ শুরু হয়ে ২০২৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা শেষ হবে। আর এতে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাবে নদীপাড়ের হাজারো মানুষ।
২৯৬ দিন আগে