গোয়ালন্দ
গোয়ালন্দে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ক্যানেল ঘাট সাইনবোর্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা (৩৭) রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ভবোদিয়া (উড়াকান্দ) এলাকার জালাল উদ্দিন মৃধার ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য নিহত
তিনি পেশায় একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তার পরিবারে স্ত্রী ও একটি পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির প্রমোশনাল অফিসার হিসেবে গোয়ালন্দে চাকরি করতেন। দৌলতদিয়া বাজারের একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধের টাকা নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে গোয়ালন্দের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় দৌলতদিয়া নুরু মন্ডল পাড়া এলাকা নামক স্থানে মোটরসাইকেল চালিয়ে পৌঁছালে পেছন থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস তাকে চাপা দেয়।
স্থানীয়ারা জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ মোড় আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী বাসটিকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু বাসটির চালক ও সহযোগী পলাতক রয়েছে।
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক ও হেলপার নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
১ বছর আগে
পদ্মার ভাঙনে গোয়ালন্দে ফেরি চলাচল ব্যাহত
পদ্মা নদীর ভাঙনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ৩নম্বর ও ৪নম্বর ঘাট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া একটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। আরও চারটি বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বরও ভাঙনের কারণে ৫নম্বর ঘাট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ৩নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। আড়াইটার দিকে ভাঙনের মাত্রা বেড়ে গেলে নদীর পাড়ের সিদ্দিক কাজী পাড়ায় সালাম বেপারীর এক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়।
তারা জানিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটারের মতো জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়ায় পাশের ৪নম্বর ঘাট ভাঙনের মুখে পড়ে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিন নম্বরের পাশাপাশি ৪নম্বর ঘাটটিও বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
আরিচা অফিসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আবদুস সাত্তার জানান, খবর পেয়ে তিনি বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি খারাপ দেখে তখন ৩নম্বর ঘাটের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙনের কারণে ৪নম্বর ঘাটের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, নতুন করে পানি বাড়তে থাকায় নদীতে প্রচণ্ড স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতের তীব্রতায় ৩নম্বর ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ১০০ মিটারের মতো ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দর এলাকায় সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ দু’টি এলপিজি প্লান্টের কার্যক্রম ঝুঁকিতে ফেলবে
বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে ৩নম্বর ঘাট এলাকায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তবে ঘাটটি চালু হতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেরিঘাটে ভাঙন, নদীগর্ভে বিলীন বসতভিটা
২ বছর আগে