জন্মদিন
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জন্মদিন আজ
অসংখ্য জনপ্রিয় বাউল গান ও গণসংগীতের রচয়িতা বাউল শাহ আব্দুল করিমের জন্মদিন আজ। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধল-আশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান।
দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তার নিত্যসঙ্গী। জীবন কেটেছে সাদাসিধে ভাবে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন— কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে। কিংবদন্তিতুল্য এই বাউল স্বশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তার গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সকল স্তরের মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।
কিংবদন্তিতুল্য এই শিল্পী ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মারা যান। মৃত্যুর পর সর্বস্তরের বিশেষ করে সাধারণের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাউল শাহ আব্দুল করিম
শাহ আবদুল করিম বাংলার লোকজ সঙ্গীতের ধারাকে অশ্বস্থ করেছেন অনায়াসে। ভাটি অঞ্চলের সুখদুঃখ তুলে এনেছেন গানে। নারী-পুরুষের মনের কথা ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশ করেছেন আকর্ষণীয় সুরে। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা বলে সকল অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।
তিনি তার গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহের দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অসংখ্য গণজাগরণের গানের রচয়িতা বাউল শাহ আব্দুল করিম অত্যন্ত সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন।
গানে-গানে অর্ধ শতাব্দীরও বেশী সময় লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এজন্য মৌলবাদীদের নানা লাঞ্চনারও শিকার হয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, ভাষার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মানুষকে প্রেরণা যোগায় শাহ আবদুল করিমের গান।
শাহ আবদুল করিম লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন ১৬শর বেশি গান। যেগুলো সাতটি বইয়ে গ্রন্থিত আছে। বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজীতে অনূদিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে ঢাবিতে বসন্ত বরণ
কিশোর বয়স থেকে গান লিখলেও কয়েক বছর আগেও এসব গান শুধুমাত্র ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছেই জনপ্রিয় ছিল। তার মৃত্যুর কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকজন শিল্পী বাউল শাহ আব্দুল করিমের গানগুলো নতুন করে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলে তিনি দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। পেয়েছেন একুশে পদক।
শাকুর মজিদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ভাটির পুরুষ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। এখনও সুবচন নাট্য সংসদ করিমকে নিয়ে শাকুর মজিদের লেখা ‘মহাজনের নাও’ নাটকের প্রদর্শনী করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এছাড়াও ২০১৭ শাহ আবদুল করিমের জীবনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস লিখেন সাইমন জাকারিয়া। নাম কূলহারা কলঙ্কিনী।
বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের গানের মধ্যে দিয়ে তাকে খুঁজতে প্রতিদিন ভক্ত ও স্বজনরা গানের আসর বসান। তার গান গেয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা আর গানের মধ্যে তাকে বাঁচিয়ে রাখতেই সবার মাঝে তার গান ছড়িয়ে দিতে চান ভক্ত আশেকানরা। একইসঙ্গে তার সুরধারাকে বিকৃতভাবে না গাওয়ার দাবিও তুলেছেন বাউলরা।
বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে/আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না/আমি কূলহারা কলঙ্কিনী/কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া কোন মেস্তরি নাও বানাইছে/কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু/বসন্ত বাতাসে সইগো/আইলায় না আইলায় নারে বন্ধু/মহাজনে বানাইয়াছে ময়ুরপংখী নাও/আমি বাংলা মায়ের ছেলেসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা শাহ আব্দুল করিম না থাকলেও গানে আর সুরে তিনি আমাদের মাঝে রয়েছেন, অনন্তকাল থাকবেন।
একটি সাক্ষাৎকারে শাহ আবদুল করিম গাড়ি চলে না গানটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, বন্ধুর বাড়ি এ আত্মায়। গাড়িতে চড়ে আত্মশুদ্ধির সন্ধানে ছুটি। কিন্তু পাই না। রিপু থামিয়ে দেয়। একদিন হয়তো এই গাড়ি পুরোদমে থেমে যাবে। প্রকৃত মালিকের কাছে ধরা দেবে। এই করিমকে তখন মানুষ খুঁজে পাবে শুধুই গানে আর সুরে।
৬১ দিন আগে
‘তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি’: জন্মদিনে শাহরুখকে মেয়ে সুহানা
২ নভেম্বর (এএনআই/ইউএনবি)-সুপারস্টার শাহরুখ খান শনিবার ২ নভেম্বর) ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন করছেন। এ উপলক্ষে মেয়ে সুহানা খান তাকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সুহানা ছোটবেলার কিছু মূল্যবান ছবি দিয়ে একটি কোলাজ শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি, তার বাবা শাহরুখ খান এবং ভাই আরিয়ান খানকে দেখা গেছে।
পোস্টটি শেয়ার করে সুহানা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তোমাকে’।
শাহরুখ খানের ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব তার বিপুল ভক্তদের প্রভাবিত করে। "বলিউড কিং" নামে পরিচিত শাহরুখের পথচলা শুরু হয় দিল্লিতে। ১৯৮৯ সালে টিভি সিরিজ ফৌজি দিয়ে তিনি প্রথম নজরে আসেন।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা উৎসব-২০২৪
তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আকাশচুম্বী সাফল্য লাভ করে দেওয়ানা, ডর এবং বাজিগর এর মতো হিট সিনেমার মাধ্যমে। তবে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে তাকে প্রকৃতপক্ষে সুপারস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। দীর্ঘ বিরতির পর, তিনি পাঠান, জওয়ান ও ডানকি ’র মতো ব্লকবাস্টারের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেছেন। এটি আবারও তাকে "বলিউডের কিং" হিসেবে প্রমাণ করেছে।
ক্যারিয়ারের দিক থেকে সুহানারও শাহরুখ খানের সঙ্গে কিং সিনেমায় স্ক্রিন শেয়ার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগস্ট মাসে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জিওনা এ নাজারোর সঙ্গে এক আলোচনায় শাহরুখ খান তার ক্যারিয়ার এবং অর্জন নিয়ে কথা বলেন। তিনি তার পরবর্তী সিনেমা কিং নিয়ে প্রস্তুতি এবং নির্মাতা সুজয় ঘোষের সঙ্গে তার সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
শাহরুখ বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু সিনেমা রয়েছে, যেগুলো আমি করতে চাই। সম্ভবত এগুলো বয়সের সঙ্গে মানানসই এবং গত ৬-৭ বছর ধরে আমি এ বিষয়ে ভাবছি। একদিন সুজয় ঘোষের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে কথা বলি। তিনি আমাদের অফিসে কাজ করেন এবং আমাদের জন্য কিছু সিনেমা বানিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, ‘স্যার, আমার একটা বিষয় আছে।’”
শাহরুখ তার কিং সিনেমার জন্য ওজন কমানো সম্পর্কেও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমার পরবর্তী সিনেমা কিং, এটির জন্য আমাকে কাজ শুরু করতে হবে, কিছুটা ওজন কমাতে হবে, কিছু স্ট্রেচিং করতে হবে।”
সিনেমাটি নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
সুহানা তার অভিনয় ক্যারিয়ারের সূচনা করেন গত বছর নেটফ্লিক্সের চলচ্চিত্র দ্য আর্চিস দিয়ে, যা পরিচালনা করেছিলেন জোয়া আখতার।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
১৬৬ দিন আগে
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন পালনের আহ্বান আওয়ামী লীগের
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, এ উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্রবাদী দেশি-বিদেশি চক্রের রক্তপাত, সন্ত্রাস, লুটতরাজের মাধ্যমে দেশধ্বংসের তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। কিন্তু জাতির পিতা এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের লাখো শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার আজীবনের সংগ্রাম কখনো বৃথা যাবে না।
শেখ হাসিনা এবং তার লাখ লাখ ভক্ত, অনুসারীর সংগ্রাম অব্যাহত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সহ অতীতে বারবার হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেই দুরভিসন্ধি সফল হয়নি বলে উল্লেখ করা হয় পোস্টে।
২০৩ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন ও শেখ হাসিনা সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী রবিবার
সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সই করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি অনেক বছর ধরে সারা দেশে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকেসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন দুই ডেপুটি গভর্নরের
৩৯৬ দিন আগে
আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে ছাত্রদল নেতার জন্মদিন পালন, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
নরসিংদী আদালতের হাজতখানায় কেক কেটে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদের জন্মদিন পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে নাহিদকে। এ নিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
এ ঘটনার একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদল নেতা ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ হাজতখানায় আসার পর একাধিক ছাত্রদল নেতা জন্মদিন পালন করতে সেখানে কেক নিয়ে হাজির হন। পরে তারা হাজতখানার ভেতরে বসে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।
এদিকে জন্মদিন পালনের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে হাজতখানায় জন্মদিন পালনের বিষয়টি।
নরসিংদী আদালতের হাজতখানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জমান জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে নির্বাচন বর্জনের প্রচারণায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও লিফলেট বিতরণ
৪০২ দিন আগে
জন্মদিনে শেখ রাসেলকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার ছোট ভাই রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নৃশংসভাবে নিহত হন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
২০২১ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বনানী কবরস্থানে যান এবং রাসেলের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার শেখ রাসেল দিবস পালিত হবে
শেখ হাসিনা ও রেহানা ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় লেখক, প্রখ্যাত দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে বঙ্গবন্ধু নিজে এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব তার নামকরণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি সংস্থা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশ-বিদেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: রংপুরের শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস
ক্যানবেরায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
৫৪৭ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রওশনের শুভেচ্ছা
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অভিনন্দন বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, গতিশীল নেতৃত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, বিচক্ষণতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্রান্তিলগ্নে বাঙালি জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে গৌরবের আসনে সমাসীন করেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তার অসাম্প্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে দিয়েছে এক আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজনীতিতে তার সুদীর্ঘ পথচলা মোটেই কণ্টকমুক্ত ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু তিনি তার প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, সাহস ও সাংগঠনিক দক্ষতাবলে সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন।
বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করে বলেন, পরম করুণাময় আল্লাহতালা তার সহায় হোন। যাতে তিনি দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত, দুর্নীতি, সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারেন এবং দেশবাসীকে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও উন্নত জীবন গঠনে সহায়তা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পথ শিশুদের নিয়ে কেক কাটলেন পলক
রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে: জিএম কাদের
৫৬৬ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে নৌকা বাইচের আয়োজন করবে বিআইডাব্লিউটিএ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে নৌকা বাইচের আয়োজন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়৷
আরও পড়ুন: সিলেটে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ ঢাকা উদ্যান প্রধান সড়কের শেষ প্রান্তে তুরাগ নদে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন- বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, তুরাগ, ধলেশ্বরী, ইছামতি, কর্ণফুলী, সুরমা, কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, ডাকাতিয়া, বংশী ও বালু নদের নামে মোট ১২টি দল বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
৫৬৮ দিন আগে
সামান্থার জন্য মন্দির বানালেন এক ভক্ত!
দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর জন্মদিন উপলক্ষে তার জন্য মন্দির বানালেন তার ভক্ত। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাতলা জেলার আলাপাদু গ্রামের বাসিন্দা তেনালি সন্দীপ এই মন্দিরটি বানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওয়েবফিল্মে শ্রীলেখা মিত্র
সামান্থার রুথ প্রভুর জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) মন্দিরে সামান্থার একটি মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি। এছাড়া ৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেকও কাটেন তিনি।
দেখা যায়, সামান্থার মূর্তিটিতে সবুজ ব্লাউজের সঙ্গে লাল রঙের শাড়ি পড়ানো হয়েছে।
৭১২ দিন আগে
জন্মদিনে ফিরে দেখা: আইসিসির টুর্নামেন্টে শচীন টেন্ডুলকারের আইকনিক ১০টি মুহূর্ত
আজ জীবনের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসুন ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে 'মাস্টার ব্লাস্টার' শচীনের আইকনিক কিছু মুহূর্ত ফিরে দেখি-
১৯৯২ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ রান
১৯৯২ সালে ১৮ বছর বয়সী টেন্ডুলকার তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৪ রান করে প্রথমবারেই তিনি তার জাত চিনিয়েছিলেন।
তার স্কোর ওই ম্যাচে ভারতকে ৫০ ওভারে ২১৬/৭ পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। পাকিস্তান সেদিন ভারতের কাছে ৪৩ রানে হেরে যায়।
১৯৯২ বিশ্বকাপ: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রান
অজয় জাদেজা চোট পেয়ে অবসর নিতে বাধ্য হওয়ার পর ১০৭ বলে ৮৪ রানের এব দৃর্দান্ত ইনিংস খেলেন শচীন। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩০/৬ রান করে ভারত।
ম্যাচে শচীন তার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন; তবে ভারত ম্যাচটি হেরে যায়।
এছাড়া শচীন তার অভিষেক বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে তিনটি অর্ধশতক এবং ৪৭ দশমিক ১৬ গড়ে ২৮৩ রান করেছিলেন।
১৯৯৬ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০ রান
অজিদের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে টেন্ডুলকার দলের পক্ষে মজবুত দেয়ালের ভূমিকা রাখেন।
সেদিন ৮৪ বলে ১৪ চার ও একটি ছক্কায় ৯০ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্নের মতো বিশ্বমানের বোলারদের তিনি ঘাম ছুটিয়েছিলেন।
কিন্তু মিডল অর্ডার টিকে থাকতে ব্যর্থ হয় এবং ভারত ১৬ রানে হেরে যায়।
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেতে নেমে লিটল মাস্টার অজিদের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ বলে ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৪১ রান করে ভারতকে ৩০৭/৮ পৌঁছে দেন।
এছাড়া তিনি স্টিভ ওয়া, মাইকেল বেভান এবং ড্যামিয়েন মার্টিনের মতো খেলোয়ারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ: কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রান
বাবার মৃত্যুর কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ মিস করার পর টেন্ডুলকার ১০১ বলে ১৬ চার এবং তিনটি ছক্কায় ১৪০ রান করেন।
তার রান ভারতকে ৩২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। টুর্নামেন্টে পরপর দুইটি হারের পর এ জয় তাদের আশার আলো দেখায়।
আরও পড়ুন: 'সবচেয়ে ধনী টি-টোয়েন্টি লিগ' চালু করার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব
৭২৩ দিন আগে