জাতীয় নির্বাচন
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিন: মিয়া গোলাম পরওয়ার
জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিচার, সংস্কার ও স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজবাড়ী শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে অবাধ ও সুষ্ঠু স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। সরকার আন্তরিক হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব বলে অভিমত দেন তিনি।
নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য যতটুকু যৌক্তিক সময় দরকার সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবিও জানান জামায়াত সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন: সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে: হামিদুর রহমান আযাদ
পরওয়ার বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজরা জয়ী হতে পারবে না। তাই তারা আগে জাতীয় নির্বাচন চায়। কিন্তু আমরা চাই, আগে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক।’
বর্তমানে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় অবকাঠামো নির্মাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
এ ছাড়াও রিলিফ, ভিজিডি, কাবিখা ইত্যাদি প্রকল্পের জন্য জনগণ সাধারণত জনপ্রতিনিধিদের কাছে আসে। কিন্তু, তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দেশে হানাহানি, রক্তারক্তি রোধ করার জন্য ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের নামে মামলা করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে—নির্বাচনের আগেই জাতি তাদের বিচার দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
তিনি নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগে নির্বাচন কমিশনের যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। তারপর অপরাধীদের বিচার করতে হবে। এরপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি। সবশেষে অর্ন্তবর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলেন তিনি।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আরির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. দেলাওয়ার হোসেন ও অন্যান্য নেতারা।
৫০ দিন আগে
আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর উপযুক্ত সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার সড়কে চাঁদপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত, যাতে কারও ভোট নষ্ট না হয় এবং প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
এ সময় নির্বাচনকে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি করেন, তাদের বলছি— আল্লাহ ভিক্ষাকে হালাল করেছেন, কিন্তু চাঁদাবাজিকে হারাম করেছেন। তাই চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করাও উত্তম। অথবা আপনারা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চান, আমরা আপনাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত, কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে চাঁদাবাজি করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা বিভিন্ন গাড়ীতে চাঁদাবাজি করেন, এ চাঁদাবাজির টাকা ১৮ কোটি মানুষের পকেট থেকে যায়। ভিক্ষুকের পকেট থেকেও যায়। সুতরাং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নইলে আবারও ৫ আগস্ট আসবে, আপনাদের দশাও তাদের মতো হবে।’
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।
আরও বক্তব্য দেন জেলার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মুহাদ্দিস আবু নসর আশরাফী, শহর জামাতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৫৩ বছরের হওয়া সব খুনের বিচার হতে হবে: জামায়াত আমির
এদিন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা করেন সদর উপজেলা আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী। পথসভায় দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাসহ হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
৫৬ দিন আগে
আগে জাতীয়, পরে স্থানীয় নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচন সবার আগে, তারপরই স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম সভায় বসেছিলেন কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে তিনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। সংস্কার প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আলোচনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে দলগুলো কমিশনগুলোর সঙ্গে কথা বলবে, এরপর একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এটিই ছিল আজকের (বৈঠকের) মূল কথা ও প্রাথমিক আলোচনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে কথা বলেছেন। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য ঐকমত্য তৈরি হবে; সেটার ওপর ভিত্তি করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
জাতীয় নাকি স্থানীয় নির্বাচন—কোনটি আপনারা আগে চাচ্ছেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন সবার আগে হতে হবে, তারপরে স্থানীয় (সরকার) নির্বাচন।’
৬৩ দিন আগে
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে সবচেয়ে আগের সময়টি ধরে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেটা তাদের আমরা বলেছি। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫–এ ইলেকশন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬–এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব।’
বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, একটি প্রশ্ন এসেছিল, দুটো নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কি না। এতে কেমন সময় লাগতে পারে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সব কটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ধাপে ধাপে করতে গেলে এক বছর সময় লেগে যায়।
‘পুরোপুরি এভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করতে হলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচন এখন নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই এ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের, সেটা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কি না। তার আগে এটি বলা সম্ভব নয়।
৬৭ দিন আগে
ডিসেম্বরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন
ডিসেম্বরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, সরকার 'রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা' বজায় রাখা ও সমঝোতাকে 'অত্যন্ত গুরুত্ব' দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই এ বৈঠকের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের সুবিচার হতে হবে, অবিচার যেন না হয়: প্রধান উপদেষ্টা
৬৮ দিন আগে
আমাদের ফোকাস জাতীয় নির্বাচনেই: ইসি
জাতীয় নির্বাচনকে মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেই এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে সব স্থানীয় নির্বাচন একসাথে করাও সম্ভব না বলে জানিয়েছেন তারা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্যই দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামগ্রিক ফোকাস (মনোযোগ) জাতীয় নির্বাচন নিয়ে, অন্য কোনো নির্বাচন নিয়ে নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগের রি-অ্যাকশন টাইম দিতে হবে। তাই জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করে এমন ইভেন্ট আসা ঠিক হবে না।’
১৪তম নির্বাচন কমিশনের এই দ্বিতীয় সভায় আগামী জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘ইসি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকলে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে। এটাকে ধারণ করে আইন-বিধিমালায় কোনো সংশোধন দরকার হলে, সেটা করতে একটা সময়ও লাগবে।’
দেশের আবহাওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেও জানান তিনি। আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘তারপরেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্কার কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা তা বাস্তবায়ন করবেন। তবে সরকার যদি চায় আমাদের দিয়ে সব নির্বাচন একসঙ্গে করাবে, সেই ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হলো সব নির্বাচন একসঙ্গে করা ঠিক হবে না।’
‘সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভবও নয়। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়নি। আলোচনার আলোকে স্বপ্রণোদিতভাবে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে,’ যোগ করেন এই ইসি কমিশনার।
৯৭ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: সারা দেশে র্যাবের ৭০০ টহল দল মোতায়েন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সারা দেশে ৭০০ টহল দল মোতায়েন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার মিরপুরে নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি শেষে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছি। আগামীকাল র্যাবের ৭০০ টহল দল কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি কিছু ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখেছি, সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।’
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং বিশেষ প্রয়োজনে র্যাবের হেলিকপ্টার থাকবে। এর বাইরে আমাদের একটি নতুন ডিভাইস আছে যার নাম ওআইভিএস। এই ডিভাইস দিয়ে এলাকার বাইরের কেউ এলে শনাক্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা জব্দ, আটক ৩: র্যাব
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মত বিনিময় সভা করা হয়েছে। তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, সবার মধ্যে ভালো সমন্বয় রয়েছে।
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কিছু দলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের আগে যেমন নাশকতা দেখা গেছে তার তুলনায় বাংলাদেশে কিছুই হয়নি।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় দেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে বলে মন্তব্য করেন র্যাবের মহাপরিচালক।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে নাগরিক হিসেবে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সহযোগিতা করবেন। পাশাপাশি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
৪৬৯ দিন আগে
পুলিশের কাছে সব প্রার্থীই সমান: ডিআইজি আনোয়ার
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সব প্রার্থীই পুলিশের কাছে সমান এবং কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে সব প্রার্থী সমান। প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পান সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়ে সারা দেশে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেও তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিআইজি আনোয়ার বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান। কোথাও এধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, মামলাও হচ্ছে। কোথাও কোথাও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি এবং কাউকে কাউকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
৪৭৬ দিন আগে
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ভোটার এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৩জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯১জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ২০৫ জন।
মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩০ হাজার ২৫৩টি। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানান।
খুলনা বিভাগের মোট ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ৩২২টি, যার মধ্যে বৈধ ২২৮টি, বাতিল ৯৪ টি এবং প্রত্যাহার করা হয় ৩৮টি মনোনয়নপত্র। বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৩৬ জন।
বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৪ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪৭২০টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২৭৯৬টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন।
সাতক্ষীরা জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬০২টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৭১৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।
যশোর জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৫জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৫জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮২৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩২জন।
নড়াইল জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ১৩২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ১২৯জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন।
মেহেরপুর জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৫জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ২জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৩জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ. লীগের প্রার্থীকে আদালতে তলব
ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ লাখ ১ হাজার ৪৮০জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭০ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২জন, জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩ হাজার ৪২১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬জন।
কুষ্টিয়া জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭৮ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৮২৩টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩১ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯২জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৫৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ হাজার ২২২টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন।
মাগুরা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯২০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০৫ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭১০জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৫ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৯৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১০ জন।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ জন রিটার্নিং অফিসার, ৭১ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ৪ হাজার ৯৮৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০ হাজার ২৫৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬০ হাজার ৫০৬ জন পোলিং দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে খুলনা- ৪ আসনের নির্বাচন, হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
৪৭৭ দিন আগে
সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অবশেষে প্রতীক পেলেন
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে প্রতীক পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব।
তার পছন্দের প্রতীক ছিল ‘ট্রাক’। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মুহিব এই প্রতীকই চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সেটি তাকে বরাদ্দ দিয়েছে ইসি।
মুহিবকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান।
এর আগে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর মুহিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ১৫ ডিসেম্বর তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
পরে ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান মুহিবুর রহমান। তবে মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতীকের দাবিতে ডিসি অফিসের সামনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবের অবস্থান
এর আগে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব। তিনি ‘ট্রাক’ প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে শুরু করেন প্রচারণা।
এজন্য মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মুহিবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন। তিনি নিজে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে সমর্থকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মুহিবুর রহমান। এরপর রাতে তাকে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন ও মুহিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
৪৭৭ দিন আগে