জাতীয় নির্বাচন
জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: সারা দেশে র্যাবের ৭০০ টহল দল মোতায়েন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সারা দেশে ৭০০ টহল দল মোতায়েন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার মিরপুরে নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি শেষে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছি। আগামীকাল র্যাবের ৭০০ টহল দল কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি কিছু ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখেছি, সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।’
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং বিশেষ প্রয়োজনে র্যাবের হেলিকপ্টার থাকবে। এর বাইরে আমাদের একটি নতুন ডিভাইস আছে যার নাম ওআইভিএস। এই ডিভাইস দিয়ে এলাকার বাইরের কেউ এলে শনাক্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা জব্দ, আটক ৩: র্যাব
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মত বিনিময় সভা করা হয়েছে। তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, সবার মধ্যে ভালো সমন্বয় রয়েছে।
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কিছু দলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের আগে যেমন নাশকতা দেখা গেছে তার তুলনায় বাংলাদেশে কিছুই হয়নি।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় দেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে বলে মন্তব্য করেন র্যাবের মহাপরিচালক।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে নাগরিক হিসেবে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সহযোগিতা করবেন। পাশাপাশি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
১০ মাস আগে
পুলিশের কাছে সব প্রার্থীই সমান: ডিআইজি আনোয়ার
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সব প্রার্থীই পুলিশের কাছে সমান এবং কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে সব প্রার্থী সমান। প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পান সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়ে সারা দেশে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেও তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিআইজি আনোয়ার বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান। কোথাও এধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, মামলাও হচ্ছে। কোথাও কোথাও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি এবং কাউকে কাউকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
১০ মাস আগে
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ভোটার এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৩জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯১জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ২০৫ জন।
মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩০ হাজার ২৫৩টি। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানান।
খুলনা বিভাগের মোট ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ৩২২টি, যার মধ্যে বৈধ ২২৮টি, বাতিল ৯৪ টি এবং প্রত্যাহার করা হয় ৩৮টি মনোনয়নপত্র। বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৩৬ জন।
বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৪ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪৭২০টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২৭৯৬টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন।
সাতক্ষীরা জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬০২টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৭১৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।
যশোর জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৫জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৫জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮২৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩২জন।
নড়াইল জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ১৩২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ১২৯জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন।
মেহেরপুর জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৫জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ২জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৩জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ. লীগের প্রার্থীকে আদালতে তলব
ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ লাখ ১ হাজার ৪৮০জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭০ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২জন, জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩ হাজার ৪২১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬জন।
কুষ্টিয়া জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭৮ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৮২৩টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩১ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯২জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৫৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ হাজার ২২২টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন।
মাগুরা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯২০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০৫ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭১০জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৫ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৯৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১০ জন।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ জন রিটার্নিং অফিসার, ৭১ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ৪ হাজার ৯৮৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০ হাজার ২৫৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬০ হাজার ৫০৬ জন পোলিং দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে খুলনা- ৪ আসনের নির্বাচন, হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
১০ মাস আগে
সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অবশেষে প্রতীক পেলেন
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে প্রতীক পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব।
তার পছন্দের প্রতীক ছিল ‘ট্রাক’। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মুহিব এই প্রতীকই চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সেটি তাকে বরাদ্দ দিয়েছে ইসি।
মুহিবকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান।
এর আগে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর মুহিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ১৫ ডিসেম্বর তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
পরে ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান মুহিবুর রহমান। তবে মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতীকের দাবিতে ডিসি অফিসের সামনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবের অবস্থান
এর আগে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব। তিনি ‘ট্রাক’ প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে শুরু করেন প্রচারণা।
এজন্য মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মুহিবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন। তিনি নিজে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে সমর্থকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মুহিবুর রহমান। এরপর রাতে তাকে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন ও মুহিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
১০ মাস আগে
‘বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক এটা আমরা কখনোই চাইনি’
বিএনপিসহ যারা আসেননি, তারা আসলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক এটা আমরা কখনোই চাইনি। অনেকেই এসেছেন কিন্তু বিএনপিসহ যারা আসেননি, তারা আসলে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুস্থ ও সুষ্ঠু করবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মনে করেছিল তারা না থাকলে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে না, ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোটায় যাবে। এরকম দুঃস্বপ্ন নিয়ে তারা আন্দোলন করে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, ‘এখন তারা সরকার কীভাবে ব্যর্থ হবে, ভোটার টার্নওভার কীভাবে কম হবে এবং নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে না বলে নানান গল্প বলে যাচ্ছে।’
দলীয় এজেন্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা আমরা খুব ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন সত্যিকার অর্থে চান। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে। সে ব্যাপারে পোলিং এজেন্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
ইউক্রেন, সুদান ও মাধ্যপ্রাচ্য সংকটের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে আমরাও সংকটে আছি। দোষটা বড় বড় দেশগুলোর কিন্তু দায় পড়ছে আমাদের উপর, শাস্তি পাচ্ছি আমরা। দেশে আমাদের গরিবেরা সাফার করছে, প্রান্তিক মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। বাজারে জিনিসপত্রের যে ঊর্ধ্বগতি সেটা নিয়েও মানুষের দুঃখ-কষ্টের আবহ তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে, ডলারের সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহনে অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে।’
তারেক রহমানের সমালোচনা করে কাদের বলেন,’ তিনি এখন রাজনীতি করছেন না, রাজনীতিটাকে ধ্বংস করছেন। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন। তার বাবা জিয়াউর রহমান এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
১০ মাস আগে
দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আ. লীগ সরকারকে পছন্দ করে: বাগেরহাট-২ আসনের প্রার্থী শেখ তন্ময়
বাগেরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ তন্ময় বলেছেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার কারণে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে পছন্দ করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আবারও সরকারে দেখতে চায়।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাদের নেতা নেই। দল নেই। সামাথ্য নেই। শক্ত করে দাঁড়ানোর জন্য শক্তিটুকুও নেই। বিএনপি কাঠের নড়বড়ে পুলের মতো। বিএনপির এবার বিদায নেওয়ার পাল্লা। ওরা মাটির নিচে মিশে গেছে। আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নির্বাচনকে ঘিরে প্রত্যাশার শেষ নেই নতুন ভোটারদের
শেখ তন্ময় বলেন, ‘দেশবাসীর সমর্থন ছাড়া স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে শুধুমাত্র বিদেশি শক্তির ভরসায় কেউ রাজনীতি করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। বিএনপি ও তার স্বাধীনতাবিরোধী বন্ধুরা গত কয়েক বছর ধরে গণঅভ্যুত্থানের নামে দেশবাসীর সঙ্গে প্রহসন করেছে।’
শেখ তন্ময় উপস্থিত জনসাধারণের প্রতি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাইকে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা ‘ভোট হয় না’ বা ‘ভোট দিতে পারি না’ বলবে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। তারা তাদের ইচ্ছা মতো ভোট দেবে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছেন শহরের সুবিধা
জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোহা. খালিদ হোসেন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৩ জন এবং বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন অফিসার শেখ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, বাগেরহাটের ৪টি আসনে মোট ভোটার সংখ্য ১২ লাখ ৮১ হাজার ২৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ জন এবং নারী ভোটার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮ জন। ৭ জানুয়ারি মোট ৪৮৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
১০ মাস আগে
রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর -পুঠিয়া) আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌস জারি করেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন অফিস থেকে দারা ও তার সমর্থককে এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের বানেশ্বর ট্রাফিক মোড়ে সড়ক বিভাজনের উপর বড় ছবি দেখতে পান অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা।
এ ছবিটি নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করে টাঙ্গানো হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার মধ্যে এই ঘটনার লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। তা না করলে দারার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
রাজশাহী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
১০ মাস আগে
ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সমর্থকদের ২ জন আহত হয়েছেন। এদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
ফরিদপুর সদর আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামীম হক বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে তার সমর্থকদের উপর হামলা করে আসছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের কর্মীরা। আজ (সোমবার) রাত ৯ টার দিকে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আমার কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
স্থানীয় নৌকার কর্মী মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের কর্মীরা ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে পোস্টার লাগাচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে কিছু লোক আসে। এ সময় আমাদের কর্মীরা নৌকার পোস্টার লাগাচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই মাইক্রো ও মোটরসাইকেল থেকে লোকজন নেমে নৌকার কর্মী সমর্থকদের মারধোর করে। এ সময় দৌড়ে অনেকে পালিয়ে যায় এবং ২ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে কামরুল মোল্যা ও সেলিম শেখের অবস্থা গুরতর। তাদের প্রথমে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন: অর্থের কাছে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার নতজানু হয়ে গেছেন: কাজী জাফর উল্যাহ
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার অহিমুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘২ জন এসেছিল, তাদের অবস্থা গুরতর। একজনের মাথায় আঘাত রয়েছে, অপরজনের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী সমন্বয়কারী মো. শোয়েবুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা পুরোপুরি একটা সাজানো নাটক। গত কয়েকদিন ধরে ওই ইউনিয়নে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগও দেওয়া আছে। সেইসব ঘটনাকে আড়াল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে নৌকার প্রার্থী।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) আব্দুল গফ্ফার হোসেন বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমারা হাসপাতাল ও ঈশান গোপালপুরের পুলিশ পাঠিয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-২ আসন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে অর্থদণ্ড
১০ মাস আগে
কুষ্টিয়া-৩: মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রশিক্ষণে আসা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন তদন্ত কমিটি।
রবিবার বিকালে কুষ্টিয়া-৩ আসনের কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাযহারুল ইসলাম এ নোটিশ পাঠান।
২৬ ডিসেম্বর তাদেরকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে বলা হয়, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর আগে নির্বাচনী সভা করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
মাহবুবউল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো নোটিশের কথা এখনো আমি জানি না। ওসব কিছু না। এ নিয়ে এতো পেরেসানির কিছু নেই।’
রবিবার সকালে কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক হাজার ২৮০ জন শিক্ষককে ডেকে পাঠান শিক্ষক সমিতির নেতারা। কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী সভায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ভোট চান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তণু নির্বাচন কমিশন ও কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হকের সমর্থকদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গণসংযোগের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের শেয়ার পাড়া এলাকায় গণসংযোগকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬টি গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ির চাকা কেটে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী গণসংযোগ শেষে একজন নেতার বাসায় যান৷ এ সময় বাইরে অপেক্ষামান তার গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলামের সমর্থিত কাশেম চেয়ারম্যানের নেত্বত্বে এই হামলা চালানো হয়। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যক্তিগত গাড়িসহ ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং চাকা কেটে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আচরণবিধিসহ নানা অপরাধে বিচারিক দায়িত্বে ২৩ ম্যাজিস্ট্রেট
হামলায় সামশুল হকের ঈগল প্রতীকের প্রায় ২০-২৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এর আগে বুধপুরা বাজারে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয় বলে জানা যায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হকের ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন অভিযোগ করেন, ‘কাশিয়াইশে গণসংযোগকালে আমাদের গাড়ি বহরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ: চট্টগ্রাম-১ আসনের আ. লীগের প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
১১ মাস আগে