স্বেচ্ছাসেবক লীগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া প্রধান আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক নির্মলেন্দু দাশ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাজমুল আজম জানান, জেম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোখলেসুর রহমান মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত বিচার-বিশ্লেষণ করে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, হত্যা মামলার ৪৮ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়। এরপর গত ৩০ মে উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ৩২ জন জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত ২৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খায়রুল আলম জেমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা,পরে গত ২২ এপ্রিল নিহত খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র,দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা: ৬ আসামি কারাগারে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা: ৬ আসামি কারাগারে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর খায়রুল আলম জেম হত্যা মামলায় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটনসহ ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আদীব আলী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত একই মামলার আত্মসমর্পণ করা ৩২ আসামির মধ্যে ২৬ জনকে জামিন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
জামিন নামঞ্জুর হওয়া ছয় আসামি হলেন- জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটন, চরবাগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু, আব্দুল কাদের, আলমগীর হোসেন, জামিল হোসেন ও মাহিন রেজা উরফে মুমিন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নাজমুল আজম জানান, খাইরুল আলম জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ ৩৪ আসামি উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন।
নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার ৩২ জন জেলা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে বিচারক ছয় জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং ২৬ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড়ে কুঁপিয়ে হত্যা করা হয় খায়রুল আলম জেমকে। এই ঘটনায় তার ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ১২ জনকে আসামি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১১ জনসহ মোট ১৪জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে ৫ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: শেরপুরে ২ আসামি কারাগারে
ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলা: ৭ আসামি কারাগারে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য খায়রুল আলম জেমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়নমোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খায়রুল আলম জেম জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়াও তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।
জেম জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার মর্দানা এলাকার মাইনুল আহসানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ইফতার সামগ্রী কেনার জন্য উদয়নমোড়ে যান খায়রুল আলম জেম। এ সময় পাঁচ-ছয়জন দৃর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথারী আঘাত করে চালে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুনিরা খাতুন জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন যুবক খায়রুল আলম জেমকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জেমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়ির সামনে বোমা বিস্ফোরণ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মির হোসেন মিরুর বাড়ির গেটে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত দুইটার দিকে ফতুল্লার ফতুল্লা মডেল থানার কুতুবপুর শাহী মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মির হোসেন মিরু বলেন, ‘স্থানীয় সন্ত্রাসী লিমন, ইমরান ও চাঁদ সেলিমের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। রাতের অন্ধকারে তারা সদলবলে তার বাড়ির গেটে তালা মেরে হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নির্বাচনী সভায় তিনটি হাত বোমা বিস্ফোরণ
তিনি জানান, পুলিশ এসে বিস্ফোরিত হাত বোমার আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায় একই সঙ্গে গেইটের তালা ভেঙ্গে অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের কথাও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত বোমার আলামাত সংগ্রহ করেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ভুক্তভোগী মিরু ও তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেন।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ: ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ
ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা, ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০২০ সালে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্রকে হত্যার দায়ে এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামরায় গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, তার দুই ভাইসহ নয় জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন, মইলাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, ছাত্রদলকর্মী মাঈন উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, রুহুল আমিন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন, মাসুদ পারভেজ ওরফে কার্জন, শরীয়ত উল্লাহ ওরফে সুমন ও রাসেল মিয়া। তাদেরও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
যাদের খালাস দেয়া হয়েছে তারা হলেন, পৌর মেয়রের দুই ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, শাহজাহান মিয়া, কামাল মিয়া, রিফাত, হানিফ ওরফে আবু হানিফা, জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান। রায় ঘোষণার আগে ১৯ জনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর মধ্যবাজার পান মহালে রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করে।
গত ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামিদের পক্ষে নয় জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে শরীয়তপুরে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বুধবার রাতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মামুন খান (৩২) নড়িয়া পৌরসভার বাড়ৈপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম খানের ছেলে ও নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, নড়িয়া পৌরসভা শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেস বেপারী ও মামুনের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। শত্রুতার জের ধরে নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মামুনকে বাড়ি ফেরার পথে মোখলেসের সমর্থকরা তাকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শরীয়তপুর জেলার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে মামুনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হামলায় মামুনের সঙ্গে থাকা জুয়েল মোল্লা নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওসি জানান, মামুনের মৃত্যুর সংবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পক্ষের লোকজন মোখলেছ বেপারীকে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালের সামনে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
চট্টগ্রামে ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বাসু বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত রমজান আলী (৩৫) ইছানগর পাথরঘাটা ৭নং ওয়ার্ডের বাদশা ফকিরের ছেলে। তিনি কর্ণফুলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঠাগার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: লটারির টিকিট কেনা নিয়ে বিরোধে যুবক খুন!স্থানীয়রা জানান, কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাতে সদস্য পদে জয়ী সাইদুল হক মেম্বারের অনুসারী খোরশেদ ও শাহেদ মারধর ও ছুরিকাঘাত করে পরাজিত মেম্বার ইসহাকের অনুসারী রমজান আলীকে।তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় রমজান আলী নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘দেবরের হাতে’ ভাবি খুন
ফরিদপুর জেলা আ’লীগের সম্মেলন বৃহস্পতিবার
দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ১২ মে (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। ফলে পদপ্রত্যাশী নেতারা ব্যাপক দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে।
সূত্র বলছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একডজন পদপ্রত্যাশীর নাম।
জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়ক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার মহাসড়কগুলোতেও তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও তোড়ণ স্থাপন করে জানান দেয়া হচ্ছে তাদের নাম।
এ পর্যন্ত তৃণমূলে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল হক ভোলা মাস্টার, আরেক সহ-সভাপতি শামীম হক, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলী গের সভাপতি এমএ এমন মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের এক নং যুগ্ন সম্পাদক বেগম ঝর্ণা হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপপরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে কামরুজ্জামান কাফি, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, আওয়ামী লীগ নেতা মো. লিয়াকত হোসেন ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু।
এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের নামেও বিলবোর্ড ও ফেস্টুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। ওই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এর এক বছরপর ৭১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জন
চট্টগ্রামে ভিপি নুরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে ভিপি নুরের নেতাকর্মীদের।শনিবার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনারে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টার দিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজের নেতৃত্বে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন নবগঠিত মহানগর নেতাকর্মীরা।এর আগে মাঠে অবস্থান নেয় ভিপি নুরের সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। এ সময় সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সবাই দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। শেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২০
এসময় নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল এসে নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তিমূলক স্লোগান দেয়ায় ভিপি নুরের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তবে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগর সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু বলেন, ২৬ মার্চে স্বাধীনতা দিবসে আমরা যখন ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ঢুকছি তখন ভিপি নুরের সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী হাতে প্লেকার্ডসহ মাঠে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তিমূলক স্লোগান দিচ্ছিল। তাই তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
বগুড়ায় পুলিশের ওপর আ.লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের হামলা: গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পুলিশের ওপর আওয়ামী লীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদ (৩৫),ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য সোহেল রানা, ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর আলী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী শাফি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি থানার এএসআই (উপপরিদর্শক) জানে আলম ও কনস্টেবল নাজমুল জোড়গাছা বাজারে ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজ্জাককে আটক করেন। আসামি থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ আসামি রাজ্জাককে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে আহত দুই পুলিশকে উদ্ধার করেন।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে এএসআই জানে আলম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহৃত শিশু আরাফাতের লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গায় শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ, গ্রেপ্তার