সমঝোতা স্মারক
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক
চার দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) চীনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে। এছাড়াও কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণাও আসতে পারে।
রবিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা আছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত ব্যাংকুয়েটের (ভোজের) মাধ্যমে গ্রেট হলে এসবের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও অন্যান্য সচিবসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যোগে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিন চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার এবং যথাযথ সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানানো হবে।।
পরদিন (৯ জুলাই) সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
একই দিন সাংগ্রিলা সার্কেলে ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনটিতে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করবে।
ওইদিন দুপুরে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হিউনিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর রাতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের পর শেখ হাসিনা ও লি ছিয়াং দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন।
এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে এবং কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
এদিন বিকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।
বুধবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন ত্যাগ করবেন এবং দুপুর ২টায় ঢাকায় পৌঁছাবেন।
সফরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৫২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়। সে সময় চীনের তৎকালীন নেতা মাও সে-তুংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু রচনা করেন “আমার দেখা নয়াচীন” বইটি।
ড. হাছান বলেন, চীন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, যার ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক “কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্ব”পর্যায়ে উন্নীত হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের পক্ষ থেকে সরকারি সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
চীন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অগ্রাধিকার
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি আরও জানান, কোনো চুক্তি হবে না, দুই দেশের মধ্যে শুধু সমঝোতা স্মারক সই হবে।
চীনের বিভিন্ন প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা ও নির্ধারিত প্যারামিটারগুলো পূরণ হলে যেকোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, 'চীনের যেকোনো প্রস্তাব অবশ্যই আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক, তবে আমরা যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’
অফশোর ব্যাংকিং সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত এবং যেকোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি বাংলাদেশে এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি বলেন, 'কোনো দেশ যদি আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখতে চায়, তারা রাখতে পারে, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাদের সঙ্গে আমরা স্বস্তি পাই।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক নবায়ন এই সফরের সময় নয়, পরে হতে পারে।
সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা গেলে প্রেসিডিয়াম সদস্যের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পরে চীন যাবে বলে জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ব্যবধান রয়েছে এবং দুই দেশ অ-শুল্ক বাধা দূর করে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি রপ্তানির উপায় খুঁজে বের করবে।
তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সফর এই সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
তিস্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী এবং তারা একটি ভালো প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন। নতুন মেয়াদ শুরু হওয়ার পর এবং চীনে তার শেষ সফরের পাঁচ বছর পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম চীন সফর।
মুখপাত্র বলেন, 'দুই দেশের নেতারা কীভাবে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব গভীর করা যায় এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা প্রসারিত করা যায়। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে গভীরভাবে মত বিনিময় করবেন।’
মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে পাঁচটি মূলনীতির চেতনা সামনে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। মূলনীতিগুলো হলো- শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা গভীর করা, উন্নয়ন কৌশল আরও সমন্বয় করা, উচ্চমানের বেল্ট-রোড সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ-বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন স্তরে উন্নীত করা।'
আরও পড়ুন: বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
রেল করিডোর ও ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ভারতকে রেল করিডোর এবং সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সই হওয়া ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে সরকার মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এইঅভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) কখনোই বাংলাদেশের জনগণকে সত্য কথা বলেনি। তারা সব সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সই করা সমঝোতা স্মারকের অর্থ হলো- এগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করবে।’
তিনি বলেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো- সরকার যে রেল করিডোর দিচ্ছে তা বাংলাদেশের কোনো কাজে আসবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (ভারত) তাদের রেললাইনের জন্য আমাদের জমি ব্যবহার করবে। সেখানে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। তারা (ভারত) আকাশ, স্থল ও নৌপথে অংশীদারিত্ব দিয়েছে। অংশীদারিত্ব ও কানেক্টিভিটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বাংলাদেশ কী পেল? সেটাই মূল প্রশ্ন। আমারা কিছুই অর্জন করিনি।’
আরও পড়ুন: খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পরিণতি ভোগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখনো তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা সমঝোতা স্মারক নিয়ে সত্য কথা বলছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। বরং অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে অন্যের মুখাপেক্ষী করার ষড়যন্ত্র করছে।’
এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন পদপ্রাপ্তদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সব কাঠামো ধ্বংস করে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আইনের শাসনের অভাবে ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। ‘আর্থিক অনটনের কারণে মানুষও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আজ জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শপথ নিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দল সব সময় যে কোনো ধরনের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদ দমনের নামে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও কারাগারে আটকে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক আত্মঘাতী হবে: ফখরুল
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক আত্মঘাতী হবে: ফখরুল
নয়াদিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা ১০টি সমঝোতা স্মারককে 'দাসত্বের নতুন সংস্করণ' উল্লেখ করে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি অনতিবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটি উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, ভারতকে একটি রেল করিডোর প্রদান করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া আত্মঘাতী এবং জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
রবিবার (৩০ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা হবে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, 'জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া অবৈধ মাফিয়া সরকারের বর্তমান প্রধান শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। এটা দাসত্বের নতুন সংস্করণ।’
ভারতকে যোগাযোগের নামে একটি করিডোর দেওয়া, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া রেললাইনের মাধ্যমে ভারতের এক অংশকে অন্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে এসব সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারতের দাসত্বের ফাঁদে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশকে আটকে ফেলার নিন্দনীয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। জাতীয় স্বার্থবিরোধী এ ধরনের চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, গণম্যান্ডেট ছাড়াই শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে রাষ্ট্রক্ষমতার ওপর আওয়ামী লীগের অবৈধ নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের বিনিময়ে ভারতকে ঘুষ হিসেবে রাষ্ট্রবিরোধী সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দাবি জানাচ্ছি, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। আমরা আবারও বলতে চাই, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী এসব চুক্তি জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। বিএনপি এসব দেশবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক প্রত্যাখ্যান করে।’
গত ২১ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরের দ্বিতীয় দিনে, ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে যার মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সংহত করতে পুনর্নবীকরণ করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, 'চিকেনস নেক' নামে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে ২২ কিলোমিটার পথ বাইপাস করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতীয় রেলপথকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথ স্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন-সীমান্ত হত্যা সমাধানে ব্যর্থ শেখ হাসিনা: ফখরুল
৫ মাস আগে
রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়নসহ ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি।
এর মধ্যে রয়েছে ব্লু ইকোনমি, সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা, মৎস্য, দুর্যোগ ও স্বাস্থ্য, মহাকাশ ও সামরিক শিক্ষা।
নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুটি অভিন্ন অংশিদারিত্ববিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিসহ পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং তিনটি পুরোনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।
নতুন সাতটির মধ্যে দুটি হলো- ভারত-বাংলাদেশ ডিজিটাল অংশীদারিত্বের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ভারত-বাংলাদেশ সবুজ অংশীদারিত্বের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
অন্য পাঁচটি নতুন চুক্তিগুলো হচ্ছে- বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ব্লু ইকোনমি এবং মেরিটাইম কো-অপারেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে যৌথ গবেষণার জন্য বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ওআরআই) এবং ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক; যৌথ উদ্যোগে ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস) ও বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং প্রতিরক্ষা স্টাফ কলেজগুলোর মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র।
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
তিনটি নবায়ন করা সমঝোতা স্মারক হলো- মৎস্য খাতে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্র।
অভিন্ন অংশিদারিত্ববিষয়ক সামুদ্রিক সহযোগিতা ও ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, স্বাস্থ্য ও ওষুধ বিষয়ে নতুন সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
যৌথ কৃত্রিম উপগ্রহ প্রকল্প বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং ভারতের মহাকাশ বিভাগের সচিব এস সোমনাথ।
এছাড়া রেলওয়ে যোগযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের রেলওয়ে সচিব ড. হুমায়ুন কবির এবং ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপারসন জয়া সিনহা।
এছাড়া সমুদ্রবিজ্ঞান খাতে সহযোগিতার জন্য দুটি সমঝোতা স্মারক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মৎস্য খাতে সহযোগিতার জন্য দুটি নতুন সমঝোতা স্মারকে সই করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজের ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ডিএসএসসি, ওয়েলিংটন ও ডিএসসিএসসি মিরপুরের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ হাউজে হাসিনা-মোদির বৈঠক শুরু
৬ মাস আগে
দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রথমবারের মতো সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
চুক্তিতে আগেই সই করেছিলেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, যুগ্ম সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বের আরেকটি প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলে আমরা যেতে পারব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আর্জেন্টিনা খুবই সম্পদশালী দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ফুটবলের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্ক কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের উপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। অনেক কৃষিপণ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শিল্প স্থাপনে আমরা আর্জেন্টিনার সহযোগিতা পাব। ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা আর্জেন্টিনার সহায়তা পাব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে। এছাড়া, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজির ক্ষেত্রে দেশটির সহায়তা নেওয়া যাবে।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রযেছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্যেদিয়ে সেসব খাতে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়ল।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা বা গ্যাপ, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়নসহ প্রভৃতি বিষয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দেশের জ্বালানি খাতে কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সই হওয়া এ চুক্তির আওতায় জাপানি ব্যাংক এ খাতে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এই সমঝোতা স্মারক জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এলএনজি ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গ্যাস সেক্টরে প্রায় ৩ মিলিয়ন স্মার্ট গ্যাস মিটার প্রয়োজন হবে। ‘যদি আমরা জেবিআইসি, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্ট মিটার স্থাপন করতে পারি, তাহলে এটি গ্যাসের অপব্যবহার ও অপচয় রোধে বিশাল ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াকে কাজ করার আহ্বান নসরুলের
তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসের জন্য প্রায় ৭ লাখ প্রি-পেইড গ্যাস মিটার এবং কর্ণফুলীতে আরও ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে, যা গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব লায়লাতুন ফেরদৌস এবং দিল্লিতে জেবিআইসি’র প্রধান প্রতিনিধি কুরিহারা তোশিহিকো নিজ নিজ পক্ষে তিন বছর মেয়াদী সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম এবং জেবিআইসি সুজুকি রিউতার মহাপরিচালক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ
জ্বালানি খাতের চাহিদা মেটাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
ঢাকা-প্যারিস দুটি সমঝোতা স্মারক সই
ঢাকা ও প্যারিস অবকাঠামো ও স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে নথিপত্রে সই করা হয়।
এগুলো হলো:
১. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ)-এর মধ্যে ‘ইমপ্রুভিং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার প্রোগ্রাম’- বিষয়ে একটি ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যাগ্রিমেন্ট এবং
২. বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএস- এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।
এর আগে, হাসিনা ও ম্যাক্রোঁ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
৩৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সফরকারী প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের পর ভারত থেকে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) দুপুর ২টায় ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে ফরাসি নেতার।
ফ্রাঁসোয়া মিটাররান্ড শেষ ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৯০ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে বর্তমানে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে এবং ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ।
ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি, এরোস্পেস ও ওয়াটার সেক্টরসহ বিভিন্ন খাতে সম্পৃক্ত।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স আবারও আপনার পাশে থাকবে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-টোয়েন্টি নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের ভারত সফরে শুক্রবার নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। অফিসিয়াল সময়সূচি অনুযায়ী, ফ্লাইটটি দুপুর সোয়া ১ টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপির (দুই দেশের সাধারণ মানুষ) মধ্যে লেনদেন সহজ করার বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছাবেন এবং বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন, যা শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) 'এক পৃথিবী, একটি পরিবার এবং একটি ভবিষ্যৎ' প্রতিপাদ্য নিয়ে নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপম সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
‘এক পৃথিবী’ এবং 'এক পরিবার' শিরোনামের দুটি সেশনে গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের বৈশ্বিক সরবরাহের ব্যাঘাতের মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করবেন তিনি।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের কাছে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী।
মোমেন জানান, শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর (শনিবার) অন্যান্য দেশের চার থেকে পাঁচ নেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে (দ্বিপাক্ষিক) বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের সম্মেলনে বাংলাদেশসহ নয়টি দেশকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জি-২০ এর চেয়ারম্যান ভারত। জি-২০ হলো ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ অন্যরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) প্রধানমন্ত্রী দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করে দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া
ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
১ বছর আগে
ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনডিপি জানায়, এই সমঝোতা স্মারক এর আওতায় দুই সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা বিশেষত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করবে।
এছাড়া উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি সাধন করাই এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই খাত একটি বড় ভূমিকা পালন করছে এবং এই অংশীদারিত্ব এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে আরও জোরদার করবে।
ভ্যান নুয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পোদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সমঝোতা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক সুযোগ সৃষ্টি, আর্থিক খাত ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং গ্রামাঞ্চলে এসএমই পরিষেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশকে শক্তিশালী করা। এই অংশীদারিত্ব আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ও রপ্তানিমুখী দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, জাতীয় প্রকল্প স্বপ্ন এর পরিচালক কাজল চ্যাটার্জি, এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উইং প্রকল্প, জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, উইং প্রকল্প ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাহ জিতা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
১ বছর আগে
সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভারতের দু’টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা মহাসাগর বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কার্যক্রমের জন্য একটি কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে।
এর ফলে সমাজের কল্যাণে গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে এবং ফলাফল উভয় দেশের মধ্যে ব্লু ইকোনমি (সমুদ্র অর্থনীতি) মিশনে অবদান রাখবে।
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছে যে এছাড়াও, এই সমঝোতা স্মারক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে।
সিএসআইআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি, গোয়া (সিএসআইআর-এনআইও) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা, বাংলাদেশ (বিএসএমআরএমইউ) এর মধ্যে শুক্রবার ভারতের গোয়ায় সমুদ্র বিজ্ঞানে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবে
সিএসআইআর-এনআইও'র পরিচালক অধ্যাপক সুনীল কুমার সিং এবং বিএসএমআরএমইউ'র উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের (বিএসএমআরএমইউ) ডিন ক্যাপ্টেন এস এম মঈন উদ্দিন; ক্যাপ্টেন জয়ন্ত মহাদিক, নৌ উপদেষ্টা, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা; শ্রী ভেঙ্কট কৃষ্ণমূর্তি, ইনচার্জ, সহযোগিতা ডেস্ক (সিএসআইআর-এনআইও); ড. নরসিংহ এল ঠাকুর, প্রধান, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গ্রুপ (সিএসআইআর-এনআইও) এবং ড. মমতা শর্মা, প্রধান বিজ্ঞানী, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অধিদপ্তর, সিএসআইআর সদর দপ্তর এর যৌথ সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
১ বছর আগে