সমঝোতা স্মারক
দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রথমবারের মতো সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
চুক্তিতে আগেই সই করেছিলেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, যুগ্ম সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বের আরেকটি প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলে আমরা যেতে পারব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আর্জেন্টিনা খুবই সম্পদশালী দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। ফুটবলের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্ক কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর কৃষিখাতে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আর্জেন্টিনা কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের উপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। অনেক কৃষিপণ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শিল্প স্থাপনে আমরা আর্জেন্টিনার সহযোগিতা পাব। ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা আর্জেন্টিনার সহায়তা পাব।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে। এছাড়া, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজির ক্ষেত্রে দেশটির সহায়তা নেওয়া যাবে।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রযেছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্যেদিয়ে সেসব খাতে কাজ করার সুযোগ আরও বাড়ল।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা বা গ্যাপ, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়নসহ প্রভৃতি বিষয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দেশের জ্বালানি খাতে কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সই হওয়া এ চুক্তির আওতায় জাপানি ব্যাংক এ খাতে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এই সমঝোতা স্মারক জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এলএনজি ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গ্যাস সেক্টরে প্রায় ৩ মিলিয়ন স্মার্ট গ্যাস মিটার প্রয়োজন হবে। ‘যদি আমরা জেবিআইসি, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্ট মিটার স্থাপন করতে পারি, তাহলে এটি গ্যাসের অপব্যবহার ও অপচয় রোধে বিশাল ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াকে কাজ করার আহ্বান নসরুলের
তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসের জন্য প্রায় ৭ লাখ প্রি-পেইড গ্যাস মিটার এবং কর্ণফুলীতে আরও ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে, যা গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব লায়লাতুন ফেরদৌস এবং দিল্লিতে জেবিআইসি’র প্রধান প্রতিনিধি কুরিহারা তোশিহিকো নিজ নিজ পক্ষে তিন বছর মেয়াদী সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম এবং জেবিআইসি সুজুকি রিউতার মহাপরিচালক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ
জ্বালানি খাতের চাহিদা মেটাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন: নসরুল হামিদ
ঢাকা-প্যারিস দুটি সমঝোতা স্মারক সই
ঢাকা ও প্যারিস অবকাঠামো ও স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপস্থিতিতে নথিপত্রে সই করা হয়।
এগুলো হলো:
১. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এফডিএ)-এর মধ্যে ‘ইমপ্রুভিং আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার প্রোগ্রাম’- বিষয়ে একটি ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যাগ্রিমেন্ট এবং
২. বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএস- এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।
এর আগে, হাসিনা ও ম্যাক্রোঁ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
৩৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সফরকারী প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের পর ভারত থেকে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) দুপুর ২টায় ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে ফরাসি নেতার।
ফ্রাঁসোয়া মিটাররান্ড শেষ ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৯০ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে বর্তমানে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে এবং ফ্রান্স রপ্তানির ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ।
ফরাসি কোম্পানিগুলো এখন ইঞ্জিনিয়ারিং, এনার্জি, এরোস্পেস ও ওয়াটার সেক্টরসহ বিভিন্ন খাতে সম্পৃক্ত।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স আবারও আপনার পাশে থাকবে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-টোয়েন্টি নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের ভারত সফরে শুক্রবার নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। অফিসিয়াল সময়সূচি অনুযায়ী, ফ্লাইটটি দুপুর সোয়া ১ টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপির (দুই দেশের সাধারণ মানুষ) মধ্যে লেনদেন সহজ করার বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছাবেন এবং বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন, যা শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) 'এক পৃথিবী, একটি পরিবার এবং একটি ভবিষ্যৎ' প্রতিপাদ্য নিয়ে নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপম সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
‘এক পৃথিবী’ এবং 'এক পরিবার' শিরোনামের দুটি সেশনে গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের বৈশ্বিক সরবরাহের ব্যাঘাতের মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করবেন তিনি।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের কাছে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী।
মোমেন জানান, শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর (শনিবার) অন্যান্য দেশের চার থেকে পাঁচ নেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে (দ্বিপাক্ষিক) বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের সম্মেলনে বাংলাদেশসহ নয়টি দেশকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জি-২০ এর চেয়ারম্যান ভারত। জি-২০ হলো ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি ফোরাম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ অন্যরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) প্রধানমন্ত্রী দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করে দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া
ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনডিপি জানায়, এই সমঝোতা স্মারক এর আওতায় দুই সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা বিশেষত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করবে।
এছাড়া উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি সাধন করাই এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই খাত একটি বড় ভূমিকা পালন করছে এবং এই অংশীদারিত্ব এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে আরও জোরদার করবে।
ভ্যান নুয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পোদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সমঝোতা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক সুযোগ সৃষ্টি, আর্থিক খাত ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং গ্রামাঞ্চলে এসএমই পরিষেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশকে শক্তিশালী করা। এই অংশীদারিত্ব আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ও রপ্তানিমুখী দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, জাতীয় প্রকল্প স্বপ্ন এর পরিচালক কাজল চ্যাটার্জি, এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উইং প্রকল্প, জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, উইং প্রকল্প ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাহ জিতা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভারতের দু’টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা মহাসাগর বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কার্যক্রমের জন্য একটি কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে।
এর ফলে সমাজের কল্যাণে গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে এবং ফলাফল উভয় দেশের মধ্যে ব্লু ইকোনমি (সমুদ্র অর্থনীতি) মিশনে অবদান রাখবে।
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছে যে এছাড়াও, এই সমঝোতা স্মারক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে।
সিএসআইআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি, গোয়া (সিএসআইআর-এনআইও) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা, বাংলাদেশ (বিএসএমআরএমইউ) এর মধ্যে শুক্রবার ভারতের গোয়ায় সমুদ্র বিজ্ঞানে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবে
সিএসআইআর-এনআইও'র পরিচালক অধ্যাপক সুনীল কুমার সিং এবং বিএসএমআরএমইউ'র উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের (বিএসএমআরএমইউ) ডিন ক্যাপ্টেন এস এম মঈন উদ্দিন; ক্যাপ্টেন জয়ন্ত মহাদিক, নৌ উপদেষ্টা, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা; শ্রী ভেঙ্কট কৃষ্ণমূর্তি, ইনচার্জ, সহযোগিতা ডেস্ক (সিএসআইআর-এনআইও); ড. নরসিংহ এল ঠাকুর, প্রধান, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গ্রুপ (সিএসআইআর-এনআইও) এবং ড. মমতা শর্মা, প্রধান বিজ্ঞানী, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অধিদপ্তর, সিএসআইআর সদর দপ্তর এর যৌথ সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
সুইজারল্যান্ড নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবে
বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড দক্ষতা প্রশিক্ষণ সক্ষমতা এবং জ্ঞান ভাগাভাগি অংশীদারিত্ব বাড়াতে বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে দক্ষ জনশক্তি, বিশেষ করে চিকিৎসা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে রপ্তানির সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেইন বেরসেট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পর প্যালাইস ডেস নেশনসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে এই চুক্তি সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে ৮-১০টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা
সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জুর্গ লাউবার এবং সুফিউর রহমান নিজ নিজ সরকারের পক্ষে ‘নলেজ পার্টনারশিপ অ্যান্ড স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বেরসেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি সই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের মধ্যে দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞান ভাগাভাগি করার পথ প্রশস্ত করবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সুইজারল্যান্ডের কিছু বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিশেষ করে জুরিখে একটি যা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ওপর বিশেষায়িত। এই ইনস্টিটিউট সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে।
বাংলাদেশ গবেষণা ও উদ্ভাবনে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য জুরিখের এই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তার নতুন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযুক্ত করতে চায়।
সুইজারল্যান্ড দক্ষ বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানি করতে চায়, বিশেষ করে চিকিৎসা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে। এজন্য দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
চুক্তির আওতায় সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশে প্রাথমিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করবে যাতে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ করতে পারে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: বিপিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (ইউএনএলডিসি৫) একটি পার্শ্ব বৈঠকে কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (কিউএফএফডি) এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের অধীনে ‘এডুকেশন অ্যাবাভ অল ফাউন্ডেশন’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরের ড্রপ-আউট শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সহায়তার লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
কাতার ন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারের একটি হলে কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট-এর পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক খলিফা বিন জসিম আল কুওয়ারী সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কাতারের উন্নয়ন তহবিলের অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: বতসোয়ানার সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
চুক্তি অনুসারে, কাতার সরকার কিউএফএফডি-এর মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরের স্কুলের শিক্ষাবঞ্চিত সাড়ে ছয় লাখ শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে সহায়তার লক্ষ্যে মোট ১২ লাখ ৬৮ হাজার মার্কিন ডলারের তহবিলের যোগান দিবে। প্রকল্পটি পরিচালনা করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, এডুকেশন অ্যাবাভ অল (ইএএ) মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু দেশে কিউএফএফডি-এর অধীনে পরিচালিত একটি আউটরিচ প্রোগ্রাম, যার বার্ষিক বাজেট ৬০০ মিলিয়ন ডলার।
কাতার সরকার কাতারের জাতীয় রূপকল্প ২০৩০-এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এসডিজি’র লক্ষ্য পূরণে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য রাখে।
উল্লেখ্য, কাতারের আরেকটি মানবিক সংস্থা ‘কাতার চ্যারিটি’ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের এবং কিছু স্থানে প্রান্তিক মানুষকে মানবিক ও ত্রাণ সহায়তাও দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের সমঝোতা স্মারক
বতসোয়ানার সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার সঙ্গে একটি চুক্তি এবং একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
এরমধ্যে একটি হলো, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং অপরটি হলো দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে দেশটির প্রতিমন্ত্রী লেমোগাং কোয়াপে-এর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা এ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় সফরে প্রতিমন্ত্রী দুই দিনের সফরে বতসোয়ানায় রয়েছেন। এসময় বতসোয়ানায় স্বীকৃত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেমোগাং শাহরিয়ারের এই সফরকে সম্পর্ক জোরদার করার পারস্পরিক ইচ্ছার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, বতসোয়ানা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে এবং সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষই জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা করছে এবং সংস্থাগুলোতে একে অপরকে সমর্থন করছে।
লেমোগাং শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের সমঝোতা স্মারক
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে বাংলাদেশ- নেদারল্যান্ডের ষষ্ঠ ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটি’র সভায় বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা (বিডিপি-২১০০) এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২২ হতে ২০৩২ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার উক্ত সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সচিব শরিফা খান ও নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রদূত রেনে ভ্যান হেল স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ ও নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ইআরডি’র সচিব এই সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়াও, এ সভায় বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ) ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
এই সভায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে ডাচ এবং বাংলাদেশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কিভাবে আকৃষ্ট করা যায় এবং বিভিন্ন প্রকল্পসমূহকে কীভাবে বিজনেস মডেলে রূপান্তর করা যায় তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের মধ্যে সমন্বয় করে ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতাধীন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করা অধিক ফলপ্রসূ হবে সভায় আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রুট-টু-মক্কা : বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সফর সহজে সমঝোতা স্মারক সই