সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে এক চুক্তি, ৫ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
চুক্তিটি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সম্পর্কিত। বৈঠকে দুই পক্ষ বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারের নিচে।”
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) কাঠামোর আওতায় পাকিস্তানের বাজারে প্রবেশাধিকারের অনুরোধ জানিয়েছে। এর আওতায় তৈরি পোশাক, জ্বালানি, ওষুধ, কৃষিপণ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির সুযোগ চায় বাংলাদেশ।
সরকারের আমন্ত্রণে ইসহাক দার শনিবার দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
১০২ দিন আগে
জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ৫ সমঝোতা স্মারক ও ৩ নোট বিনিময়
জ্বালানি, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই এবং তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’ বিনিময় করেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় এ নোট বিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সমঝোতা স্মারক সই ও নোট বিনিময়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথম নোট বিনিময় হয়। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল নিজ নিজ দেশের পক্ষে নোট বিনিময় করেন।
দ্বিতীয় নোটটি ছিল কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত, যা বিনিময় করেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
হালাল ইকোসিস্টেম খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তৃতীয় নোট বিনিময় হয়। এটি বিনিময় হয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উপমন্ত্রী সিনেটর ড. জুলকিফলি বিন হাসান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মধ্যে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
প্রথম সমঝোতা স্মারকটি ছিল প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে। তাতে সই করেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ বিন নর্দিন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
১১৫ দিন আগে
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ৬ সমঝোতা স্মারক সই
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরের তৃতীয় দিনে দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতা বিষয়ে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩০ মে) টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জেবিআইসি) ও বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারকটি সই হয়। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জ্বালানি খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেবিআইসি ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপ-প্রেস সচিব।
বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) জমি ইজারা চুক্তির জন্য জাপানের ওনোডা ইনকরপোরেশনের সঙ্গে দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়। ওনোডা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে বাংলাদেশে গ্যাস মিটার স্থাপনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং বিএসইজেডের একটি কারখানায় গ্যাস মিটার অ্যাসেম্বলি, পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে জাপান
তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটিও বিএসইজেডের একটি জমি ইজারা চুক্তির জন্য বাংলাদেশ ন্যাক্সিস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সই হয়। বিএসইজেডের কারখানায় পোশাক সামগ্রী উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে ন্যাক্সিস।
ব্যাটারিচালিত সাইকেল ও ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল তৈরির একটি কারখানা স্থাপনে সহযোগিতার বিষয়ে গ্লাগিট, মুসাশি সেইমিৎসু ইন্ডাস্ট্রি গ্লাফিট ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মধ্যে চতুর্থ সমঝোতা স্মারকটি সই হয়।
পঞ্চম সমঝোতা স্মারকের আওতায় সাইফার কোর কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে তথ্য নিরাপত্তার জন্য ২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্ভাবক তাকাতোশি নাকামুরার কমপ্লিট সাইফার টেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে এই প্রকল্প বাংলাদেশকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।
ষষ্ঠ সমঝোতা স্মারকটি জাইকা ও বিআইডিএর মধ্যে সই করা হয়। এই সমঝোতা স্মারকটি ইন্টিগ্রেটেড সিঙ্গেল উইন্ডো প্ল্যাটফর্মের (আইএসডব্লিউপি) প্রাথমিক পর্যায়ের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত ও ইন-কাইন্ড সহায়তা প্রদানের জন্য জাইকার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশজুড়ে বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রচার সংস্থার পরিচালিত ব্যক্তিগত ওয়ান-স্টপ পরিষেবাগুলোকে একীভূত করার জন্য বিডার নেতৃত্বে একটি প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার ও সংস্কার প্রচেষ্টায় জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস এই চুক্তিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘এখন আমাদের কাজ এগুলো বাস্তবায়ন করা। আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত।’
বাংলাদেশের গত ১৬ বছরের পরিস্থিতিকে ভূমিকম্পের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘অনবরত ভূমিকম্পের মুখে পড়ার কারণে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট একটি আকৃতি পেতে ব্যর্থ হয়েছে।’
‘এই পরিস্থিতিতে একজন ভালো বন্ধু এগিয়ে এসেছে… সেই বন্ধু হলো জাপান। আমি এখানে এসেছি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে।’
এই চ্যালেঞ্জকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই—হ্যাঁ, এটি সম্ভব হয়েছিল এবং তা হয়েছিল নিখুঁতভাবে।’
‘আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি এবং বলছি— আমরা কাজে নামার জন্য তৈরি। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে এটি সম্ভব। চলুন একসঙ্গে এগিয়ে যাই এবং কাজটি শেষ করি। এটি অর্থ শুধু উপার্জন নয়, মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার বিষয়।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে তার সরকার, আর সে পথে জাপান বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘আরেকটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা “নতুন বাংলাদেশ” নাম দিয়েছি। আমরা একসঙ্গে সেই বাংলাদেশ গড়ব। আপনারা পাশে থাকলে এটি অবশ্যই সম্ভব, আর তার ভিত্তি ইতোমধ্যে আমরা স্থাপন করেছি।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি ভাইস-মিনিস্টার শিনজি তাকেউচি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোকে সংযুক্তকারী কৌশলগত কেন্দ্র এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির সংখ্যা এখন ৩০০ ছাড়িয়েছে, যা গত এক দশকে ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে জাপান এখন বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে চায়।
আরও পড়ুন: মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়ন জোরদারে জাইকার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেট্রো চেয়ারম্যান ও সিইও নোরিহিকো ইশিগুরো। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কমিটির চেয়ারম্যান এবং মারুবেনি করপোরেশনের নির্বাহী করপোরেট উপদেষ্টা ফুমিয়া কোকুবু।
১৮৮ দিন আগে
ইতালিতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে: ড. আসিফ নজরুল
ইতালিসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে পর্তুগাল ও অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের ৬টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে মাইগ্রেশন ও মোবিলিটি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং ইতালির পক্ষে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা ও বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতালির সঙ্গে প্রথমবারের মতো মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করল বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বৈধ পথে মাইগ্রেশন বৃদ্ধি করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। যারা ইতালি যেতে ইচ্ছুক তারা যেন নিরাপদে যেতে পারেন, ভালো পারিশ্রমিক পান সেটাই লক্ষ্য আমাদের’। তিনি বলেন, ‘ইতালি সিজনাল ও নন সিজনাল দুইভাবে লোক নিবে। আমাদের পরিকল্পনা আমরা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করব। তারা বছরে একবার করে মিটিং করবে। আমাদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার আছে, যেখানে ইতালি যেন আমাদের কর্মীদের ইতালি ভাষা শিখতে পারে, আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, আমাদের এম্বাসির ফাইল গুলো যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এছাড়া ইতালিতে যারা বাংলাদেশি ছাত্র আছে, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া যেন সহজ হয়। অভিবাসনের দিক দিয়ে আমাদের যেন ইতালির সরকারের ঝুকিপূর্ণ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, সেই বিষয়টিও আলোকপাত করা হয়েছে।
ইতালিতে কোন কোন সেক্টরে কি পরিমাণ লোক পাঠানো হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘সমঝোতা স্মারকে এত ডিটেইলস থাকে না। বর্তমানে আমাদের যে কোটা আছে, সেটা বাড়ানো হবে। কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে ইতালি চিন্তাভাবনা করবে। আমরা আশা করছি, অবৈধ পথে যাওয়া অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে।’
এসময় ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ইতালি সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা সবসময় শ্রমিকদের বৈধ পথে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করি। ইতালি সরকার দীর্ঘদিন থেকে এটা নিয়ে কাজ করে আসছে। এই সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্যে দুইটা দেশের বন্ধুত্ব আরও বাড়বে।’
এছাড়াও ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি সৌদি সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসকারী নারী কর্মীদের বৈধ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী প্রেরণের বিষয়েও সৌদি সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি জানান, ‘জর্ডানে পুরুষ কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও জর্ডান সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া জর্ডানে কর্মরত যে সকল নারী কর্মী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মস্থল পরিবর্তনসহ নানা কারণে অবৈধ হয়েছেন, তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে বৈধ হতে পারবেন। এর ফলে তারা জরিমানা ছাড়াই বৈধতা পাবেন।’ অন্যথায় তাদের বড় অঙ্কের জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
২১২ দিন আগে
বিটিভি-পিটিভির মধ্যে সমঝোতায় আগ্রহ পাকিস্তানি হাইকমিশনারের
বিটিভি-পিটিভি ও বাসস-এপিপির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
এ সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও পাকিস্তান টেলিভিশন (পিটিভি) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এপিপি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেন আহমেদ মারুফ।
আরও পড়ুন: কেউ দেশ অস্থিতিশীল করতে চাইলে সরকার হার্ডলাইনে যাবে: তথ্য উপদেষ্টা
সাক্ষাতে উপদেষ্টা পাকিস্তানে বাংলাদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময়ে পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফসিহ উল্লাহ ও তথ্য উপদেষ্টার একান্ত সচিব সৈয়দ এনামুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
২৩৯ দিন আগে
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা।
এর পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো— বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
২৫১ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক
চার দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) চীনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে। এছাড়াও কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ঘোষণাও আসতে পারে।
রবিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা আছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত ব্যাংকুয়েটের (ভোজের) মাধ্যমে গ্রেট হলে এসবের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও অন্যান্য সচিবসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট যোগে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিন চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার এবং যথাযথ সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানানো হবে।।
পরদিন (৯ জুলাই) সকালে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
একই দিন সাংগ্রিলা সার্কেলে ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনটিতে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করবে।
ওইদিন দুপুরে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হিউনিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর রাতে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের পর শেখ হাসিনা ও লি ছিয়াং দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন।
এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে এবং কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
এদিন বিকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।
বুধবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন ত্যাগ করবেন এবং দুপুর ২টায় ঢাকায় পৌঁছাবেন।
সফরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৯৫২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়। সে সময় চীনের তৎকালীন নেতা মাও সে-তুংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু রচনা করেন “আমার দেখা নয়াচীন” বইটি।
ড. হাছান বলেন, চীন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, যার ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক “কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্ব”পর্যায়ে উন্নীত হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের পক্ষ থেকে সরকারি সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
চীন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অগ্রাধিকার
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি আরও জানান, কোনো চুক্তি হবে না, দুই দেশের মধ্যে শুধু সমঝোতা স্মারক সই হবে।
চীনের বিভিন্ন প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা ও নির্ধারিত প্যারামিটারগুলো পূরণ হলে যেকোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, 'চীনের যেকোনো প্রস্তাব অবশ্যই আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক, তবে আমরা যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’
অফশোর ব্যাংকিং সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত এবং যেকোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি বাংলাদেশে এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
তিনি বলেন, 'কোনো দেশ যদি আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখতে চায়, তারা রাখতে পারে, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাদের সঙ্গে আমরা স্বস্তি পাই।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক নবায়ন এই সফরের সময় নয়, পরে হতে পারে।
সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা গেলে প্রেসিডিয়াম সদস্যের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পরে চীন যাবে বলে জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ব্যবধান রয়েছে এবং দুই দেশ অ-শুল্ক বাধা দূর করে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি রপ্তানির উপায় খুঁজে বের করবে।
তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সফর এই সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
তিস্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী এবং তারা একটি ভালো প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন। নতুন মেয়াদ শুরু হওয়ার পর এবং চীনে তার শেষ সফরের পাঁচ বছর পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম চীন সফর।
মুখপাত্র বলেন, 'দুই দেশের নেতারা কীভাবে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব গভীর করা যায় এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা প্রসারিত করা যায়। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে গভীরভাবে মত বিনিময় করবেন।’
মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে পাঁচটি মূলনীতির চেতনা সামনে রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। মূলনীতিগুলো হলো- শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা গভীর করা, উন্নয়ন কৌশল আরও সমন্বয় করা, উচ্চমানের বেল্ট-রোড সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ-বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন স্তরে উন্নীত করা।'
আরও পড়ুন: বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫১৫ দিন আগে
রেল করিডোর ও ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক নিয়ে মিথ্যাচার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ভারতকে রেল করিডোর এবং সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সই হওয়া ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে সরকার মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এইঅভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) কখনোই বাংলাদেশের জনগণকে সত্য কথা বলেনি। তারা সব সময় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সই করা সমঝোতা স্মারকের অর্থ হলো- এগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করবে।’
তিনি বলেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো- সরকার যে রেল করিডোর দিচ্ছে তা বাংলাদেশের কোনো কাজে আসবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (ভারত) তাদের রেললাইনের জন্য আমাদের জমি ব্যবহার করবে। সেখানে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। তারা (ভারত) আকাশ, স্থল ও নৌপথে অংশীদারিত্ব দিয়েছে। অংশীদারিত্ব ও কানেক্টিভিটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বাংলাদেশ কী পেল? সেটাই মূল প্রশ্ন। আমারা কিছুই অর্জন করিনি।’
আরও পড়ুন: খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পরিণতি ভোগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখনো তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা সমঝোতা স্মারক নিয়ে সত্য কথা বলছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। বরং অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশকে অন্যের মুখাপেক্ষী করার ষড়যন্ত্র করছে।’
এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন পদপ্রাপ্তদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের সব কাঠামো ধ্বংস করে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আইনের শাসনের অভাবে ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। ‘আর্থিক অনটনের কারণে মানুষও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আজ জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শপথ নিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দল সব সময় যে কোনো ধরনের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদ দমনের নামে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও কারাগারে আটকে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক আত্মঘাতী হবে: ফখরুল
৫২১ দিন আগে
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক আত্মঘাতী হবে: ফখরুল
নয়াদিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা ১০টি সমঝোতা স্মারককে 'দাসত্বের নতুন সংস্করণ' উল্লেখ করে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি অনতিবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটি উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, ভারতকে একটি রেল করিডোর প্রদান করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া আত্মঘাতী এবং জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
রবিবার (৩০ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা হবে বলে জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, 'জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া অবৈধ মাফিয়া সরকারের বর্তমান প্রধান শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। এটা দাসত্বের নতুন সংস্করণ।’
ভারতকে যোগাযোগের নামে একটি করিডোর দেওয়া, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া রেললাইনের মাধ্যমে ভারতের এক অংশকে অন্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে এসব সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ভারতের দাসত্বের ফাঁদে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশকে আটকে ফেলার নিন্দনীয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। জাতীয় স্বার্থবিরোধী এ ধরনের চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, গণম্যান্ডেট ছাড়াই শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে রাষ্ট্রক্ষমতার ওপর আওয়ামী লীগের অবৈধ নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের বিনিময়ে ভারতকে ঘুষ হিসেবে রাষ্ট্রবিরোধী সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দাবি জানাচ্ছি, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। আমরা আবারও বলতে চাই, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী এসব চুক্তি জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। বিএনপি এসব দেশবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক প্রত্যাখ্যান করে।’
গত ২১ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরের দ্বিতীয় দিনে, ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে যার মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সংহত করতে পুনর্নবীকরণ করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, 'চিকেনস নেক' নামে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে ২২ কিলোমিটার পথ বাইপাস করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতীয় রেলপথকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথ স্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন-সীমান্ত হত্যা সমাধানে ব্যর্থ শেখ হাসিনা: ফখরুল
৫২২ দিন আগে
রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়নসহ ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি।
এর মধ্যে রয়েছে ব্লু ইকোনমি, সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা, মৎস্য, দুর্যোগ ও স্বাস্থ্য, মহাকাশ ও সামরিক শিক্ষা।
নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুটি অভিন্ন অংশিদারিত্ববিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিসহ পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং তিনটি পুরোনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে।
নতুন সাতটির মধ্যে দুটি হলো- ভারত-বাংলাদেশ ডিজিটাল অংশীদারিত্বের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ভারত-বাংলাদেশ সবুজ অংশীদারিত্বের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
অন্য পাঁচটি নতুন চুক্তিগুলো হচ্ছে- বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ব্লু ইকোনমি এবং মেরিটাইম কো-অপারেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত মহাসাগরের সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে যৌথ গবেষণার জন্য বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ওআরআই) এবং ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক; যৌথ উদ্যোগে ক্ষুদ্র উপগ্রহ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস) ও বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং প্রতিরক্ষা স্টাফ কলেজগুলোর মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র।
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
তিনটি নবায়ন করা সমঝোতা স্মারক হলো- মৎস্য খাতে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমঝোতা স্মারক এবং স্বাস্থ্য ও ওষুধ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্র।
অভিন্ন অংশিদারিত্ববিষয়ক সামুদ্রিক সহযোগিতা ও ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, স্বাস্থ্য ও ওষুধ বিষয়ে নতুন সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
যৌথ কৃত্রিম উপগ্রহ প্রকল্প বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং ভারতের মহাকাশ বিভাগের সচিব এস সোমনাথ।
এছাড়া রেলওয়ে যোগযোগ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের রেলওয়ে সচিব ড. হুমায়ুন কবির এবং ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপারসন জয়া সিনহা।
এছাড়া সমুদ্রবিজ্ঞান খাতে সহযোগিতার জন্য দুটি সমঝোতা স্মারক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মৎস্য খাতে সহযোগিতার জন্য দুটি নতুন সমঝোতা স্মারকে সই করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজের ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ডিএসএসসি, ওয়েলিংটন ও ডিএসসিএসসি মিরপুরের মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ হাউজে হাসিনা-মোদির বৈঠক শুরু
৫৩০ দিন আগে