বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গায় ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ১ জনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্রলার এমভি মনপুরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন কামাল হোসেনের (৩৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
এ নিয়ে ট্রলার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হলো।
কামালের বাড়ি ভোলার মনপুরা উপজেলায়। এমভি মনপুরা নামে ওই ট্রলারটির শ্রমিক ছিলেন তিনি।
চিকিৎসক জানান, কামালের শরীরের ৫৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, কামালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তালায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
৪ মাস আগে
বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন: ১ জনের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় ১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ড হয়। দুপুরে সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
এর আগে দুপুর ২টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ট্রলার থেকে পুড়ে যাওয়াএক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত আরেক শ্রমিককে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা একজনের লাশ উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
৪ মাস আগে
বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে আগুন: নিখোঁজ ৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে বিস্ফোরণের পর তেলবাহী ট্রলারে আগুন লেগে তিন শ্রমিক নিখোঁজ ও একজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে মেঘনা ডিপো জেটির কাছে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগুনে পুড়ে ছাই হলো গরু-ছাগল
তিনি বলেন, ট্রলারে থাকা তেলবোঝাই সব ড্রাম বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিপদ আঁচ করতে পেরে ট্রলারে থাকা চার জন নদীতে ঝাঁপ দেন। এক শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তেলের ড্রামবোঝাই ট্রলারটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল বলে জানান মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিকরা রান্না করার সময় চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮টি বাড়ি-ঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
ফতুল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম জানান, ড্রামে ডিজেল ও পেট্রোল ছিল। তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিখোঁজদের খোঁজ চলছে।
৪ মাস আগে
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে দুই লঞ্চের মাঝে পড়ে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় সাদেক মিয়া নামে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বড়ভাই শফিক মিয়া তার লাশ শনাক্ত করেছেন। এনিয়ে পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সেলিম শিকদার ও আতাউর রহমান নিখোঁজ ছিলেন। ঠিক দুইদিন পর শনিবার তাদের লাশ ভেসে উঠার পর রবিবার বিকালে আগানগর এলাকা থেকে সাদেক মিয়ার লাশটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসে উঠে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নৌকাডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঢাকার সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবাহান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট এলাকা থেকে একটি নৌকায় চড়ে পাঁচ যাত্রীহ কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে এমভি এমআর খান ও এমভি কুয়াকাটা-১ লঞ্চের মাঝে চাপা পড়ে নৌকা ডুবে যায়।
এ সময় মাঝিসহ তিন যাত্রী পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। তবে সেলিম ও আতাউরসহ সাদেক মিয়া নিখোঁজ থাকে। সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার দিনভর অনেক চেষ্টা ও খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজদের উদ্ধার করতে পারেনি।
শনিবার প্রথমে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রহমান ডকইয়ার্ডে সামনে সেলিমের লাশ ভেসে ওঠে। পরে বিকালে একই থানার মিরেরবাগ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে আতাউরের লাশটিও ভেসে ওঠে। এরপর পর রবিবার বিকালে আগানগর এলাকা থেকে সাদেক মিয়ার লাশটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসে উঠে। নৌ পুলিশ তিনটি লাশই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম সুমন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
কিশোরগঞ্জে নৌকাডুবিতে যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবিকুলের
৮ মাস আগে
যমুনা-বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার জন্য বিএনপির রোড মার্চ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন শকুনরা তাদের দিকে নজর দিয়েছে। এই শকুন ও রাজনীতির কাক থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি গঠন করেন, তখন বিভিন্ন দলের নেতারা কাকের মতো জড়ো হয়ে মন্দকে মেনে নেন। তারা রাজনীতির কাক।’
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি শকুনের চোখ যখন দেশের দিকে পড়েছে, তখন রাজনীতির কাকগুলো তাদের মিত্র হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের যাত্রা শুরু করবে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরকার পতনের যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিল, গোলাপবাগের পশুর হাটে মারা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এবারও বিএনপি সরকার উৎখাত করে যমুনা বা বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়ার যাত্রা শুরু করবে। আর চট্টগ্রামে করলে কর্ণফুলী নদী বা বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাবে। আসলে ২৮ তারিখে বড় ধরনের পিকনিক করতে চায় বিএনপি। আমরা পিকনিক থেকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচের জন্য পাঠাব।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ ও রাজপথের দল। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম। আমরা ২১ বছর বিরোধী দলে থেকে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা জানি, রাস্তায় কারা আছে তাদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়।’
তথ্যমন্ত্রী ফিলিস্তিন ইস্যুতে আবারও বিএনপির সমালোচনা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনে শিশু হত্যা, হাসপাতালে বোমা হামলা, গির্জায় হামলা করে ১৮ জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন প্রতিদিন প্রতিবাদ করছে তখন ‘শকুন’ অখুশি হতে পারে এমন ধারণায় কথা বলে না বিএনপি। শকুনরা দেশের সব সম্পদ লুট করলেও বিএনপি নীরব থাকবে। তারা আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখেন। তাদের হাতে দেশ হস্তান্তর করা যাবে না। তাদের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটন, সহসভাপতি প্রকৌশলী গোলাম নওশের আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা উপদেষ্টা মোহাম্মদ আখতার হোসেন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলেন তথ্যমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধার
কেরাণীগঞ্জের তেলঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে রবিবার (১৬ জুলাই) রাতে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে নদীর তলদেশ থেকে ওয়াটার বাসটিকে উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাস ডুবে নিহত ৪
তিনি জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ এমভি রুস্তম সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ওয়াটার বাসটিকে টেনে তুলেছে।
এই দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে- দুইজন পুরুষ এবং একজন ছেলেশিশু। তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এছাড়া নদী থেকে ৮জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন এবং বাকিদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রায় ১০০ যাত্রী নিয়ে ওয়াটারবাসটি ডুবে যায়।
খবর পেয়ে সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এছাড়াও উদ্ধার তৎপরতা ত্বরান্বিত করতে কোস্টগার্ডের ডুবুরিরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন।
জানা যায়, নদীর তীরের কাছে তলিয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
এছাড়া ইউএনবি’র কেরাণীগঞ্জ প্রতিনিধি বলেন, ওয়াটারবাসটি দিনের শেষ যাত্রার জন্য ওয়াইজঘাট থেকে কেরাণীগঞ্জের নগরমহলের দিকে যাচ্ছিল।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান বলেন, বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন বলে তাদের ধারণা।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে মাঝি নিখোঁজ
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আগানগর খেয়াঘাট থেকে নৌকা নিয়ে মিটফোর্ড ঘাটে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আব্দুর রশিদ (৬৫) পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার সোহাগদল এলাকার আবুল বাশারের ছেলে।
কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দুজন নারী ও একজন পুরুষকে পার করার সময় মাঝ নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী নৌপুলিশকে খবর দেয়।
বরিশুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মাঝির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শুক্রবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান চালাবে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা নদী থেকে স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কাজের সামান্য অগ্রগতি
গত আট মাসে কামরাঙ্গীরচরের কাছে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারের কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও প্রাথমিক কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম, উচ্ছেদ অভিযান, পুনঃখনন ও বর্জ্য অপসারণ।
দূষণ ও দখলের কারণে গৌরব হারানো আদি চ্যানেলটির অবস্থান বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পুরান ঢাকার শহীদনগর-হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ আর কামরাঙ্গীরচরের মাঝ বরাবর।
গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দূষণ আর দখলের থাবায় প্রাণ হারিয়েছে নদীর চিরচেনা রূপ। প্রায় ৭ কিলোমিটার জায়গার দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা।
তবে আদি বুড়িগঙ্গার গৌরব ফিরিয়ে আনতে ডিএসসিসি গত বছরের জুন মাসে দখলদারদের কাছ থেকে চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয়। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে চ্যানেলটি উদ্ধারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন ও অবস্থার পরিবর্তন
ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ধাপে রাজধানীর লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
তারা বলেন, চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের ফলে ঢাকার হাজারীবাগ, লালবাগ, ধানমন্ডি ও কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।
সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটি ঢাকাবাসীর জন্য বুড়িগঙ্গা থেকে তুরাগ নদীতে যাতায়াত সহজ করবে এবং খরচ কমার কারণে পণ্য পরিবহনও সহজ হবে।
ডিএসসিসি জানায়, নান্দনিক ডিজাইনের পাশাপাশি চ্যানেলের দুই পাশে গড়ে তোলা হবে ওয়াকওয়ে ও আলাদা সাইকেল লেনসহ আধুনিক নানান সুযোগ-সুবিধা।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীরচরে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল দখলকারীদের হাত থেকে পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে নির্দেশও দেন তিনি।
বিস্তারিত পরিকল্পনার পর ডিএসসিসি চ্যানেলটিকে দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করার প্রকল্প হাতে নেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী চ্যানেলের দুই পাশে ১৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ ও সাইকেল লেন নির্মাণ করা হবে। রাজধানীর বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সেতু নির্মাণ করা হবে।
ডিএসসিসি জানায়, এ বিষয়ে বিস্তারিত যাচাই-বাছাই ও পরিকল্পনা শেষে ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ডিএসসিসি। প্রথম পর্বের কাজ বর্তমানে চলমান।
তিনটি প্যাকেজের মধ্যে প্রথম প্যাকেজের আওতায় আদি বুড়িগঙ্গার প্রান্ত স্লুইস গেট থেকে ইসলামবাগ পর্যন্ত পলি, রাবিশ ও আবর্জনা অপসারণ করা হবে। এখানে ১২০০ মিটার খনন কাজ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান ইউএনবিকে বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল রক্ষায় শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) রেকর্ড অনুযায়ী উদ্ধার ও খনন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৮টি বিমানবন্দরের অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরেই: বেবিচক প্রধান
তিনি আরও বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল দখল ও ভরাট করে নির্মাণ করা কারখানা ও বাড়িঘরের পানি বিদ্যুৎ গ্যাসসহ সব নাগরিক সুযোগ এখনই বন্ধ করে দেয়া এবং অবিলম্বে সব দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। সিএস রের্কড অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।’
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ইউএনবিকে জানান, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল দখল করে অবৈধভাবে যেসব ভবন ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো ইতোমধ্যে ডিএসসিসি, রাজউক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, জরিপ অধিদপ্তর চিহ্নিত করেছে। চিহ্নিত করা সেসব ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলতে মেয়র আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে উদ্ধার করা অংশে আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।’
এ বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ইউএনবিকে বলেন, ‘দখলদারদের নানাবিধ বাধা উপেক্ষা করেই বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখানে অনেক বাধা ছিল, অনেকগুলো মামলাও করা হয়েছে। হাইকোর্ট ডিভিশনে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প অনুযায়ী বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলটি চলমান উদ্ধারকাজ শেষ করতে বদ্ধপরিকর।’
মেয়র বলেন, ‘মাত্র অর্ধশতাধিক বছরে আদি বুড়িগঙ্গা ভরাট হয়েছে ময়লা-বর্জ্য দিয়ে। এই প্রথম আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কাজটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও দুরূহ। চারপাশ দখল করে এটাকে সংর্কীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এখন আমরা এটার প্রশস্ততা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমাদের কার্যক্রম চলমান।’
শেখ তাপস বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। সেটার আওতায় আমরা কাজ আরম্ভ করেছি। এছাড়াও এরই মাঝে আমরা পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি এবং নতুন করে প্রকল্প প্রাক্কলনের কাজ চলমান রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নদীটাকে পুনরুদ্ধার করা এবং স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা। যাতে আর কেউ এটা দখল করতে না পারে এবং ময়লা-বর্জ্য ফেলার সুযোগ না পায়। তাছাড়া নদীর দুই পাশ দিয়ে হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ, গণপরিসর ব্যবস্থা করা হবে, যাতে করে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যাতে করে পর্যটকরা এখানে আসতে পারেন এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে সীমানা নির্ধারণ, দখলদারদের উচ্ছেদ ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করার পর চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা দীর্ঘ ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে শুধুমাত্র ভরাট হয়েছে। ময়লা-বর্জ্য দিয়ে এটা সয়লাব করা হয়েছে। এই প্রথম আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান উচ্ছেদ, পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদীমুখী গোড়াপত্তন দৃশ্যমান হবে: ডিএসসিসি মেয়র
তিনি বলেন, কার্যক্রমটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দুরূহ। চারপাশ দিয়ে দখল করে এটাকে সংর্কীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। আজকে আপনারা লক্ষ করেছেন, যে পাশে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেটার মাঝামাঝি জায়গায় এখন সরু পানি প্রবাহের যে জায়গাটা দেখা যাচ্ছে, (কার্যক্রম শুরুর পূর্বে) নদীটা ততটুকু বিস্তৃত ছিল। কিন্তু এখন আমরা এটার প্রশস্ততা প্রায় দশ গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
দখলদারদের নানাবিধ বাধা উপেক্ষা করেই বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এখানে অনেক বাধা ছিল। অনেকগুলো মামলাও করা হয়েছে। হাইকোর্ট ডিভিশনে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলকে ঘিরে স্বপ্নের কথা জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। সেটার আওতায় আমরা কাজ আরম্ভ করেছি।
এছাড়াও এরই মাঝে আমরা পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি এবং নতুন করে প্রকল্প প্রাক্কলনের কাজ চলমান রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো পূর্ণভাবেই নদীটাকে পুনরুদ্ধার করা। স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা, যাতে করে আর কেউ এটা দখল করতে না পারে। আর কেউ ময়লা-বর্জ্য ফেলার সুযোগ না পায়।
তাছাড়া নদীর দুই পাশ দিয়ে হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ, গণপরিসর ব্যবস্থা করা যাতে করে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পর্যটকরা এখানে আসতে পারেন। আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
পরে মেয়র বাহাদুর শাহ পার্ক পরিদর্শন করেন এবং নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি সম্পর্কিত নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও মেয়র নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৪৭ জন নারীর প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে ব্যবসায়িক অনুদান বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরে আলম, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইদুল ইসলাম, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মকবুল হোসেন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল, সংরক্ষিত আসন ১৯ এর শেফালী আক্তারসহ দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পুরানা মোগলটুলী স্কুল: ডিএসসিসি মেয়র
দোকান বরাদ্দে অনিয়ম রোধ করা হয়েছে: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে সাকিব (২০) নামে এক পিকআপ চালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. নাইমুল হোসেন ওরফে সিয়াম (২২)।
এর আগে ২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় র্যাব-২ ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেলের) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানায়, শনিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাইমুল ও মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ি চালকের হত্যার চাঞ্চাল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
তিনি জানান, ৬ নভেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটিবাজার বুড়িগঙ্গা শাখা নদীর পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখ স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় গাড়িচালক সাকিবের লাশ অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় তার চাচা মো. জামাল অজ্ঞাতদের আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
এঘটনায় গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে নাইমুল হোসেন সিয়ামকে আটক করা হয়। তাকে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নাইমুল একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। দুই মাস আগে তার চাকরি চলে যায়। চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তিনি বিভিন্ন জায়গায় চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজ করতেন।
এই ছিনতাইয়ের টাকায় তার সংসার চলছিল না। তখন তিনি ও তার বন্ধু মিজানুর রহমান মিলে পরিকল্পনা করে একটি গাড়ি ছিনতাই করে সেটি বিক্রি করে যে টাকা আসবে সেই টাকা দিয়ে তারা একটি ব্যবসা করবেন। গাড়ির চালক সাকিবকে মোবাইলে কল করে আরশি নগর আসতে বলেন। সাকিব সেখানে গেলে তারা বলে আমরা মুন্সীগঞ্জ যাবো। সাকিব মুন্সিগঞ্জ যেতে রাজি না হলে তারা তাদের রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা সাকিবের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং কালো স্কচটেপ দিয়ে তার মুখ ও মাথা পেঁচিয়ে ফেলে। এরপর রাতে তারা তাকে নদীতে ফেলে দেয়। পরে সাকিবের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দু’জনের দেয়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তার নাইমুলকে রবিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
কেরানীগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে