ধর্ষণ মামলা
ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে ধর্ষণের মামলায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম।
রায় ঘোষণার সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মাওলানা হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই করে তাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের নামে মামলা হয়।ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সেময় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার মহানন্দপুর কইষ্টা বাজার গ্রামের মো. আসলামের ছেলে সাগর আহমেদ (২১) ও জিতাশহরি গ্রামের মৃত আবু সাইদের ছেলে নাইচ আহমেদ নাবিল (২১)।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান, সখিপুরের বাসারচালা এলাকায় ১৩ বছরের একটি কিশোরীকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন আসামি সাগর। ২০২২ সালের জুনে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সাগর ও তার বন্ধু নাবিল। পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানালে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ২ জুলাই সাগর, নাবিল ও ফরহাদকে আসামি করে সখিপুর থানায় মামলা করেন। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই মো. সালাউদ্দিন। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতেই রায় পড়ে শোনান বিচারক।
তিনি আরও জানান, আসামি ফরহাদ হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মহিউদ্দিন মিয়া মামুন।
আরও পড়ুন: হলমার্ক কেলেঙ্কারি: এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ পাচার চক্রের ৫ জনের যাবজ্জীবন
৮ মাস আগে
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার(২১ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেতে র্যাব-১৪ এর সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস অফিসার উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।
এতে বলা হয়, শনিবার(২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে র্যাবের একটি দল দুই ভাইকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
গ্রেফতাররা হলো- আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের শাহজাহানের দুই ছেলে মো. অসীম (২৫) ও মো. রাজু মিয়া (২৩)।
র্যাব জানিয়েছে, ধর্ষণ মামলার বাদী সেলিনা আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
র্যাব আরও জানায়, নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার গত ০৮ জানুয়ারি ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পলাতক ছিল।
গ্রেপ্তার দুজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
৯ মাস আগে
ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুম ইসলাম জামিন শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অপর দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জামিনে বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ৫০০০ টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। ঘটনার পর থেকে সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত।
তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় সিনিয়র এএসপির মৃত্যু
১ বছর আগে
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মিলনকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার ভট্টপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র্যাব)।
র্যাবের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মিলনকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বামী ঢাকায় চাকরি করায় নাটোর শহরের মল্লিকহাটী এলাকায় নিহত গৃহবধূ শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
তিনি সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে নিয়মিত মিলন ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে ইভ টিজিং করে আসছিল।
র্যাব আরও জানায়, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় লাঞ্ছিতও করা হয় তাকে। পরে ৫ জুন রাতে মিলন ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানান র্যাব।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
নাটোরের নলডাঙ্গায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০ বছর আগের একটি ধর্ষণ মামলায় দুলাল মিয়া নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
এসপিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট নলডাঙ্গা উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে দর্জির কাজ শেখানোর কথা বলে অপহরণ করে পাশের তেঘর গ্রামের দুলাল মিয়া।
এরপর তাকে ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার এ রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খানকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকাল ৪টায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
আদালত থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকরী (পিএ)।
এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন উপাচার্য।
জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।
সোমবার বিকালে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান আবেদন বাতিল করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২১ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোরকিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য শহীদুর রহমান নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া করা প্রশাসনিক ভবনের ৫ম তলায় একা থাকতেন। কিন্তু সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্ট্রার ওই নারীকে উপাচার্যের খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন।
এরপর থেকে ওই নারী প্রতিদিন তাকে খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে উপাচার্য বিভিন্ন সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী তার কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে জানান। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই ভুক্তভোগী খাবার দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় উপাচার্য তাকে ধর্ষণ করেন।
উপাচার্যের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য ও ওই নারী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকে। পরে উপাচার্য বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারী আদালতের শরণাপন্ন হন।
উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেছেন। তিনি সেখানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্পাদকসহ ৬ নেতা কারাগারে
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
১ বছর আগে
খুলনায় সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. শহীদুর রহমান খান ও বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামালার এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম এ আদেশ দেন।
আদালতে অভিযোগকারী নারী ২০২১ সাল থেকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহম্মেদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসের পঞ্চম তলায় আবাসিকভাবে থাকতেন সাবেক উপাচার্য।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্টার ওই নারীকে খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন। ওই নারী প্রতিদিন খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে তাকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন ভিসি।
এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় খাবার দিতে গেলে পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে রেজিস্টারের সহযোগিতায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে রেজিস্টার ওই নারীকে বলেন, ‘আজকের ঘটনা তুমি কাউকে বলবে না, তাহলে তোমার চাকরি থাকবে না, আর স্যারকে বলে স্যারের সঙ্গে তোমার বিবাহ করিয়ে দিব। তুমি তোমার স্বামীকে তালাক দিয়ে দাও।’
পরে ওই নারী চাকরির কথা বিবেচনা করে ও সামাজিক অবস্থান লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজ স্বামীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নারীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভিসির মেয়াদ শেষ হলে খুলনা বদলি হয়ে যান এবং নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক ভিসি খুলনাতে আসলে ওই নারী তার সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে বিবাহ করার আকুতি জানান। তবে ভিসি তাতে রাজি হননি।
পরে ওই নারী স্বজনদের বিষয়টি জানিয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় এসি ল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর আদেশ
১ বছর আগে
ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ এর সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে আইনজীবী আহসানুল হক চৌধুরীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আরজু।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর স্বপন আসামির জামিন আবেদনে বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৬ জানুযারি একই আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গত বছরের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন।
তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইয়ের পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে প্রথম স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় বাসায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। তখন তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে সফল হয়।
আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। সামাজিক নির্ভরতা এবং একাকিত্বের অবসান ঘটাতে নতুন সংসার শুরু করতে চান বাদী। তিনি আসামিকে ভালবেসে ফেলেন এবং বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন।
২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ছলছাতুরীর মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাদী দৃঢ়তার জন্য বাচ্চা নষ্ট করতে পারেনি। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। আসামি বাদীর বাসায় আসা কমিয়ে দেন। ইতোমধ্যে বাদীর নামে ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার কথা বলে তার বাবার কাছ থেকে নেয়া ১০ লাখ টাকা ও জমা আট লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বিক্রি করে আসামিকে টাকা দিলেও সে কোনো ফ্ল্যাট কিনে দেননি। টাকাও ফেরত দেননি।
একপর্যায়ে বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন আসামি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামির প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। সে ঘরে কন্যাসন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন আসামি।
আরও জানা যায়, আসামি বাদীর কাছে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে প্রতারণা করা হয়েছে। এরপর আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন।
একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে সরাসরি অস্বীকার করেন। মামলার তদন্তে বাদীর কন্যাসন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়।
সেখানে কন্যাসন্তান বাদীর গর্ভজাত এবং বিবাদীর জন্মদাতা বাবা বলে প্রতিবেদন উঠে আসে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: চট্টগ্রামের ৩ সার্ভেয়ার কারাগারে
কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
১ বছর আগে
সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীর সোনাগাজীতে মামলার ১৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. পারভেজকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সোনাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি পারভেজ উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর সোনাপুর কাবিল ভূঁঞা বাড়ির মৃত বজলুর রহমান ভূঁঞার ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ জানায়, ২০০৭ সালে সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব বাবুলের বাসার গৃহকর্মী বান্ধবীদের মুহুরি প্রজেক্টে বেড়াতে যান। সেখানে পারভেজসহ কয়েকজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। অপমান সইতে না পেরে বাসায় ফিরে পরদিন ভোরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সে। দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহকর্মী মারা যায়। মৃত্যুকালীন জবানবন্দীতে সে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা পুলিশকে জানিয়ে যায়।
২০১৬ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পারভেজসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। যাবজ্জীবন সাজার সঙ্গে তাকে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান জানান, সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জোড়া খুন: কুড়িগ্রাম থেকে পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
১ বছর আগে