অতিবৃষ্টি
বন্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
চট্টগ্রামে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কোথাও কোথাও সড়কের আশেপাশে ফুটপাতে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও নগরীতে ২ দশমিক ১৯ কিলোমিটার নালা ও প্রায় ২ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় মহানগরী ও জেলার ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চসিক ও জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কয়েকদিনের সৃষ্ট জলবদ্ধতায় নগরীর বন্দর, আগ্রাবাদ, পতেঙ্গা, বড়পোল, হালিশহর, দেওয়ানহাট, মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন রোড, বায়েজিদ বোস্তামী রোড, সুন্নিয়া মাদরাসা রোড, খতিবের হাট, জাকির হোসেন রোড, ডিসি রোড, লয়েল রোড, মাইজপাড়া, কে বি আমান আলী রোড, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রোড, কে সি দে রোড, জামালখান, সার্সন রোড, খাজা রোড, ওমর আলী মাতব্বর রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ। নগরীর কাজীর দেউড়ি থেকে লাভলেইন, জুবলী রোড়ের বিভিন্ন স্থানে ফুটপাত দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে গর্তগুলো ভরে গেছে, রয়েছে কাদাও। অলি-গলির অনেক রাস্তাও ভেঙ্গেছে। নানা দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যানবাহন চলছে এসব রাস্তায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সড়ক সংস্কারের জন্য ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই টাকা বরাদ্দ চাওয়া হবে। এর আগে বৃষ্টি মৌসুম চলে গেলে চসিকের ব্যবস্থাপনায় সড়ক সংস্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যা: আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ১৫,৬০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
১ বছর আগে
সাজেকে পাহাড় ধস, সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক
রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে নন্দারাম নামক স্থানে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল। সেনাবাহিনীর সহায়তায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার।
অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে সাজেক-খাগড়াছড়ি প্রধান সড়কে পাহাড়ের বেশ বড় অংশ ধসের কারণে সকাল থেকে যানচলাচল বন্ধ হয়। প্রধান সড়কের ওপর পাহাড় ধসের ঘটনায় রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়ে কয়েক হাজার পর্যটক। মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সড়ক থেকে মাটি সরাতে সকাল থেকে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা পর সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে সেনাবাহিনী।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান, সকালে পাহাড় ধসের ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুইশ গাড়ি রয়েছে। যা মঙ্গলবার এসেছিলো। বুধবার সকালে অনেকের চলে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু পাহাড় ধসের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় সবাই আটকা পড়ে। দুপুরের দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হলে গাড়ি ছাড়তে শুরু করে। আমাদের এখানে ১১২টি কটেজ আছে। সব মিলে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ২ শ্রমিক নিহত
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, সাজেকে পাহাড় ধসের কারণে দুই পাশে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি’র সদস্যদের সাথে স্থানীয়রা মাটি সরানোর কাজে নেমে পড়ে। দুপুর আড়াইটার দিকে মাটি সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এখন কোনো সমস্যা নেই। বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা ৯ দিনের ছুটির কারণে সাজেকে বাড়তি পর্যটকের চাপ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে দুই হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। আরও তিন হাজার পর্যটক প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান।
আরও পড়ুন: পাহাড় ধসের আশঙ্কা: সরিয়ে নেয়া হচ্ছে রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাবাসীকে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
২০২২ সালের জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে পাকিস্তান স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানিতে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় আছে। বিধ্বংসী এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২ শতাধিক মানুষ মারা গেছে, ১০ লক্ষাধিক বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং প্রায় ২,২০০ মাইল রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত শিবিরে রয়েছে এবং আরও অনেকের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মতে পাকিস্তানের এই বন্যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এখনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সারা বিশ্বের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় সতর্ক সংকেত। পাকিস্তানের এই ভয়াবহ বন্যার নেপথ্যের কারণ নিয়ে আজকের নিবন্ধ।
পাকিস্তানে এই ভয়াবহ বন্যার কারণ
বৈশ্বিক জলবায়ুর সংকট সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলেছে পাকিস্তানের বন্যায়। আশঙ্কাজনক প্রাণঘাতী অবস্থাকে ক্রমাগত ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দেয়ার পেছনে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয়গুলো যুগপৎ ভূমিকা রেখেছে।
অতিবৃষ্টি
বন্যার প্রধান কারণ হিসেবে সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছে পুরো শতাব্দিতে পাকিস্তানের রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত। আট সপ্তাহের বিরতিহীন অতিবৃষ্টি দেশের বিশাল অংশকে পানির নিচে ফেলে দিয়েছে। জুন মাসের শুরু থেকেই সিন্ধু প্রদেশে বৃষ্টিপাত ছিলো সাধারণ গড়পড়তার চেয়ে নয় গুণ বেশি এবং সমগ্র পাকিস্তানে পাঁচ গুণ বেশি। এ যেন সারা দেশ জুড়ে দানবীয় মৌসুমী বৃষ্টির প্রলয় লীলা।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২শ’ ছাড়িয়েছে
অত্যধিক তাপের দাবদাহ
বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধির মৌলিক কারণ হলো উষ্ণ বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকা। যে অতিবৃষ্টি বন্যার সৃষ্টি করছে তার পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দায়ী। এর আগে পাকিস্তানে প্রাণঘাতী বন্যা হয়েছিলো ২০১০ সালে। সেই সুপারফ্লাড-এর জন্য মুল কারণ ছিলো উত্তাপ বৃদ্ধি, যার ফলে সে বছর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল।
আর্কটিকের উষ্ণ মহাসাগরীয় বাতাসও এর সাথে জড়িত ছিল, কারণ এটি জলীয়বাষ্পকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে আকাশে ভাসমান বাতাস অত্যধিক গরম ও ভারী হয়ে যায়। এই জলীয়বাষ্পের বৃহত্তর গতিপথ পাকিস্তানে দীর্ঘায়িত বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। আর এখন বৈশ্বিক উত্তাপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃষ্টিকে আরও তীব্র এবং আরও অনিয়মিত করে তুলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রতি ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধির ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ে ৫ শতাংশেরও বেশি।
বন উজাড়
সিন্ধু নদীতে মিশে যাওয়া কাবুল নদীতে বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হয় পাহাড়ী ঢল। আর বন উজাড়ের কারণে এই ঢলের গতি আরো বেড়ে যায়। এতে অসহায় মানুষ নিরাপদ অবস্থানে যাওয়ারও সময় পায় না। তাই উচ্চ মৃত্যুর সংখ্যার জন্য আকস্মিক বন্যা ও নদীর বাঁধ ধ্বংসের পাশাপাশি বন উজাড়ও দায়ী। কিছু জায়গা এতটাই খাড়া ছিলো যে, ঢল কোন বাধা ছাড়াই দ্রুত প্রবাহিত হয়ে সমতল ভূমিতে আঘাত করেছে।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা ও বাতাসের তারতম্য
এল নিনো–সাউদার্ন অসিলেশন (ইএনএসও) জলবায়ুর এমন একটি সংকটপূর্ণ অবস্থা যেখানে ক্রান্তীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে বায়ু এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার অনিয়মিত পরিবর্তন ঘটে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। সমুদ্রের তাপমাত্রার উষ্ণ পর্যায়কে এল নিনো এবং শীতল পর্যায়কে লা নিনা বলা হয়। ইএনএসও এখন লা নিনা পর্যায়ে রয়েছে ঠিক যেমনটি ছিলো ২০১০ সালে। লা নিনার অত্যন্ত দৃঢ় প্রভাব পাকিস্তানের সাধারণ মৌসুমী বৃষ্টিকে দানবীয় অতিবৃষ্টির রূপ দিয়েছে।
শেষাংশ
পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা শুধু দক্ষিণ এশিয়াই নয়; গোটা পৃথিবীবাসীর জন্য সাবধানবাণী। আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি প্রচন্ড তাপের দাবদাহ, দাবানল, মেরু অঞ্চলে ক্রমাগত বরফ গলতে থাকা এখন গোটা বিশ্বকে জলবায়ুর ব্যাপারে গ্রাউন্ড জিরোর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বর্ষা মৌসুমের শেষ ঘনিয়ে আসায় আগামী দিনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের আশা করছেন না। কিন্তু এটি সৌভাগ্যজনক কোন খবর নয়। আপাত দৃষ্টে এ বছর বেঁচে গেলেও পরের বছরে কি হবে, যেখানে দুর্যোগগুলো প্রতি বছর দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানছে! তাই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এখনি সময়।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
২ বছর আগে
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে গেছে ৩২০০ হেক্টর আমন
উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ার ফলে ধরলা অববাহিকায় প্রায় সহস্রাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর রোপা আমন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সোমবার সকালে তিস্তা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ১ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা জেলায় ৩ হাজার ২০০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। অন্যান্য নদ-নদীগুলোর নিচু এলাকায় রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার এলাকায় বাড়িঘরে পানি না উঠলেও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক হেক্টর আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর জামাল জানান, ধরলা অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলে শেষ মূহূর্তে যারা রোপা আমন লাগিয়েছে সেগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদরের হলোখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উমর ফারুক জানান, গত দুদিনে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডে প্রায় ৬ শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এছাড়াও নিচু জমির রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন জানান, সদরের বন্যাকবলিতদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। বেশ কিছু এলাকার বাড়িঘর তলিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। এছাড়াও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে। তথ্য পেলে গোটা চিত্রটা জানা যাবে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, চলতি বছরে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ বেশ কিছু নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ৩ হাজার ২০০ হেক্টর রোপা আমন ধান নিমজ্জিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: কুড়িগ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হয়েছে সব গেট
সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভয়াবহ ভাঙন, অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন
৩ বছর আগে
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ
উজানে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৮টি পয়েন্টে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে নদীর করাল গ্রাসে গৃহহীন হয়েছে চার শতাধিক পরিবার। বিলীন হয়েছে শতশত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা, জলাশয়, পুকুরসহ দুটি মসজিদ।
এ অবস্থায় ভাঙনকবলিতরা আশ্রয় নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। একদিকে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে চলছে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা। অপরদিকে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ভাঙন কবলিতদের কান্না। এরকম বিষাদময় অবস্থা বিরাজ করছে তিস্তা পাড়ের জনপদে।
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে পড়ে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহমুদ হাসান, থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার জানান, তিস্তা ব্রীজ থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার ব্যাপি উন্মুক্ত জায়গায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন শুরু করেছে। ফলে গত এক সপ্তাহে জেলার রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪ শতাধিক পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছে।
তারা বলেন, বর্তমানে প্রচণ্ড ভাঙন দেখা দিয়েছে উলিপুরের থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার ও বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা এলাকায়। এছাড়াও রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম, সরিষাবাড়ি ও খিতাব খাঁ গ্রামে প্রচণ্ড ভাঙন দেখা দিয়েছে। যদিও এই তিন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এর আপার সাইডে আবার নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত পাঁচদিনে থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার গ্রামে ৬১টি ভাঙনকবলিত পরিবারকে উলিপুর উপাজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুর-ই-জান্নাত রুমি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে থেতরাইয়ের গোড়াই পিয়ার গ্রামে ম্যাচাকার ভাঙনে ৬১ ঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিতদের সরকার থেকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
বগুড়ার ৩ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী
অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
৪ বছর আগে
বন্যায় প্রায় ৩৪৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি: কৃষিমন্ত্রী
অতিবৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও নদ নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৪৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
৪ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে মাটির ঘর ভেঙে বৃদ্ধার মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে সোমবার ভোর রাতে মাটির ঘর ভেঙে চাপা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে