বইমেলা
বইমেলায় নজর কাড়ল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ‘স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা’
অমর একুশে বইমেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য স্টল ‘স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা’ নজর কেড়েছে আলাদা করে। স্টলটিতে ‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষদের বই পড়ার’ কথা শুনে প্রশংসা করছেন অনেকেই। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে দেখছেন বইপড়া।
স্টলে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছিলেনৈ আরিফুর রহমান, জান্নাতুল উষা এবং নাজিম। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘স্পর্শ ফাউন্ডেশনের ‘স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা’ ২০১১ থেকে বইমেলায় বই প্রকাশ করে আসছে।’
আরিফুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা বই প্রকাশ করি। এ বছর আটটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর সবই ফ্রিতে দিচ্ছি। এর জন্য ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশনও ফ্রিতে করতে হয়। আমরা মেলার শেষের দিকে একটা তারিখ ঠিক করি। সে অনুযায়ী আজ ২২ ফেব্রুয়ারি ১০০ জনের বেশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে বই দেয়া হয়েছে।’
কি কি ধরনের বই আছে জানতে চাইলে উষা বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের বই আছে এখানে। যেমন ছড়া, উপন্যাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক বইও রয়েছে। তবে এবার সাড়া একটু কম।’
স্টলে আসা একজন শিক্ষার্থী আশা বলেন, ‘মেলায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশনের এই আয়োজন প্রশংসনীয়। এখানে এসে ব্রেইল কেমন হয় সেটা প্রথম দেখলাম। বই ছুঁয়ে দেখলাম। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরাও যে সাহিত্যকে এভাবে ধারণ করতে পারেন, দেখেই ভালো লাগছে।’
আরও পড়ুন: তসলিমা নাসরিনের বই নিয়ে বইমেলায় উত্তেজনা
অমর একুশে বইমেলায় শুধু ছবি তোলার জন্য নজর কেড়েছে আরেকটি ডেমো স্টল। যার নাম ‘৩৬ জুলাই’। জুলাই অভ্যুত্থানের বিভিন্ন রূপক ছবি ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। অনেকেই দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।
৫১ দিন আগে
একুশের টান প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা
একুশের টান বয়স, প্রজন্মের ঊর্ধ্বে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘একুশের টান প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তৃত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই টান গভীরতর হয়েছে, আমাদের দুঃসাহসী করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ।’
তিনি বলেছেন, ‘দুঃস্বপ্নের বাংলাদেশকে ছাত্র-জনতা নতুন বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তারা অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। আমাদের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী রাস্তার দেওয়ালে দেওয়ালে তাদের স্বপ্ন, আকাঙক্ষা ও দাবিগুলো অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় এঁকে দিয়েছে। আমাদের রাস্তার দেওয়াল এখন ঐতিহাসিক দলিলে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। এগুলোর স্থান এখন আমাদের বুকের মধ্যে ও জাদুঘরে হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আমার শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতির ঘাড়ে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। আমাদের সাহসী তরুণদের এই অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এই বিজয়ের মাধ্যমে এসেছে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার ইস্পাত-কঠোর প্রতিজ্ঞা।’
এ সময় জুলাইয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে যে সকল দুঃসাহসী ছাত্র-জনতা-শ্রমিক প্ৰাণ দিয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদের সবাইকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। বলেন, ‘মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত অভ্যুত্থান এবারের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং তার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘বরাবরই একুশে মানে জেগে উঠা। একুশে মানে আত্মপরিচয়ের মুখোমুখি হওয়া। একুশে মানে অবিরাম সংগ্রাম। নিজের পরিধিকে আরও অনেক বাড়িয়ে নেওয়া। এবারের একুশের পরিপ্রেক্ষিত আমাদের নতুন দিগন্তে প্রতিস্থাপন করেছে।’
‘বরকত, সালাম, রফিক, জাব্বারের বুকের রক্তে যে অঙ্গীকার মাখা ছিল তাতে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানকে নিশ্চিত করার মহাবিস্ফোরক শক্তি। অর্ধশতাব্দী পর এই মহবিস্ফোরণ গণঅভ্যুত্থান হয়ে দেশ পাল্টে দিল। এই বিস্ফোরণ আমাদের মধ্যে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় গ্রোথিত করে দিয়ে গেল। ১৭ কোটি মানুষের প্রতিজনের সত্তায় এই প্রত্যয় গভীরভাবে গ্রোথিত। অমর একুশের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা এই প্রত্যয়ে শপথ নিতে এসেছি।’
আরও পড়ুন: বইমেলা উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল
তিনি বলেন, ‘একুশ আমাদের মূল সত্তার পরিচয়। একুশ আমাদের ঐক্যের দৃঢ় বন্ধন। এই বন্ধন ছোট-বড়, যৌক্তিক-অযৌক্তিক, ক্ষণস্থায়ী-দীর্ঘস্থায়ী সকল দূরত্বের ঊর্ধ্বে। এজন্য সকল প্রকার জাতীয় উৎসবে, সংকটে, দুর্যোগে আমরা শহিদ মিনারে ছুটে যাই। সেখানে আমরা স্বস্তি পাই; শান্তি পাই, সমাধান পাই; সাময়িকভাবে অদৃশ্য ঐক্যকে আবার খুঁজে পাই।’
‘২১ আমাদের মানসকে এভাবে তৈরি করে দিয়েছে। একুশ আমাদের পথ দেখায়। একুশ আমাদের জাগিয়ে তোলে। মাত্র ছয় মাস আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান জাতিকে এক ঐতিহাসিক গভীরতায় ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে, যার কারণে আমরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও মানবিক দিক থেকে বিধ্বস্ত এক দেশকে দ্রুততম গতিতে আবার উদ্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহস খুঁজে পেয়েছি।’
৭৪ দিন আগে
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল
অমর একুশে বইমেলায় আসা ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের যে বিধিনিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মেলা উপভোগ করতে আসেন। বইমেলা উপভোগ করতে আশা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের যে বিধিনিষেধ থাকে তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না। তবে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৭৫ দিন আগে
বইমেলার সমাপ্তি: ৩১ দিনে ৬০ কোটি টাকার বিক্রি
২০২৪ সাল ‘লিপ ইয়ার’ হওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ২৯ দিনে। পাশাপাশি বইমেলা ২ দিন বাড়ানো হয়েছিল। ফলে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলা ছিল এবারেরটি। গতকাল শনিবার ছিল মেলার শেষ দিন। এই মেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫১টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে এবং সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ লাখ দর্শনার্থী এসেছিলেন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার মূল মঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির প্রশাসন উপ-বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ এবারের মেলার বিক্রির পরিসংখ্যান ও সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন।
বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের মেলায় বিক্রি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ৪৭ কোটি টাকা এবং ২০২২ সালে ছিল ৫২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সময় বাড়ল ২ দিন
মেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫১টি বইয়ের মধ্যে কবিতার বই ১ হাজার ২৬২টি, ছড়ার বই ১০৬টি, গবেষণা ৭৬টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৬৯টি, ইতিহাসের ৬৪টি, শিশুতোষ উপন্যাস ৭১টি, ভ্রমণবিষয়ক ৬৪টি বই, ৬১টি অনুবাদ, ৪৪টি বিজ্ঞানের বই, ৩৬টি সায়েন্স ফিকশন, ২৯টি রচনা, ধর্ম ক্যাটাগরির ৩৩টি, কমিকস ক্যাটাগরির ৩১টি, নাটক ৩৪টি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২৭টি, রাজনীতি বিষয়ক ২৯টি বই, স্বাস্থ্য বিষয়ক ২৯টি বই এবং অভিধান সম্পর্কিত ১৯টি বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ২২২টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
অথচ বাংলা একাডেমি নিজেই ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ২০২২ সালে ছিল ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ীর বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি আটটি প্রকাশনা সংস্থাকে চারটি বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করে যেখানে বিষয় ও মানের দিক থেকে সর্বাধিক সংখ্যক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করে।
এছাড়া শিল্প ও মানের দিক থেকে সেরা বই প্রকাশের জন্য প্রথমা প্রকাশ, জার্নিম্যান বুকস ও ঐতিহ্য প্রকাশনীকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়।
ময়ূরপঙ্খী পাবলিকেশন শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত হয় এবং অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী, নিমফিয়া পাবলিকেশন এবং বেঙ্গল বুকস শ্রেষ্ঠ অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পায়।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে প্রাণবন্ত বইমেলার শিশুচত্বর
৪১০ দিন আগে
চট্টগ্রামের সিআরবিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বইমেলা
চট্টগ্রামে আজ শুক্রবার (৯ ফ্রেরুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ২১ দিন ব্যাপী আমর একুশে বইমেলা।
সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে বিকাল ৫টায় নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় এই বই মেলার উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এবার প্রথম সিআরবির শিরীষতলায় (নতুন স্থানে) মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার আয়তন ৪৩ হাজার বর্গফুট। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি ও সিঙ্গেল স্টল ৭৭টি।
সিটি মেয়র রেজাউল বলেন, ‘মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খোলা জায়গা প্রচুর রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য চারদিকে টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ক্যামরা ও পুলিশ প্রহরা থাকবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব সিকিউরিটিসহ নিরাপত্তা বলয় থাকবে।
মেলা শেষ হবে ২ মার্চ বলে জানান তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবারের বইমেলায়
সভাপতিত্ব করবেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এই আয়োজনের বিভিন্ন দিনে থাকবে রবীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, লোক উৎসব, মরমি উৎসব, বসন্ত উৎসব, তারুণ্যের উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, শিশু উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, নারী উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়া উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, গুণিজন সংবর্ধনা, সম্মাননা পদক এবং সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
৪৩৩ দিন আগে
যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবারের বইমেলায়
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ কে সামনে রেখে সম্ভাব্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গি হুমকি মোকাবিলায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিষয়টি তুলে ধরেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার নিরাপত্তা প্রটোকল খতিয়ে দেখার পর কমিশনার রহমান বলেন, ‘দর্শনার্থীরা যাতে কোনো ধরনের শঙ্কা ছাড়াই মেলা ঘুরে দেখতে পারেন সেজন্য আমরা একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলেছি।’
আগামীকাল বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা এখন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাঁচটি নির্ধারিত গেট দিয়ে প্রবেশ ও বের হতে পারবেন, যার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে বিশেষ প্রবেশদ্বার রয়েছে। নিরাপত্তা বাড়াতে প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।ৎ
আরও পড়ুন: বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
ডিএমপি কমিশনার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা পরিধি স্থাপন এবং ছদ্মবেশী গোয়েন্দাদের দ্বারা অব্যাহত নজরদারিসহ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন। এছাড়াও, যে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা তদারকি এবং প্রতিরোধ করার জন্য অসংখ্য ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে পুরো মেলা এলাকা সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের অধীনে রয়েছে, যেগুলো একটি ডেডিকেটেড কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত। মেলা সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন টহল ইউনিটের ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি। ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের উপস্থিতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা সরবরাহ করবে।
এসব নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুস্থতার জন্য ডিএমপি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিখোঁজ শিশুদের জন্য একটি লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, মায়েদের জন্য একটি নার্সিং সেন্টার, রক্তদান এবং মেলা প্রাঙ্গণে বিশুদ্ধ খাবার পানির সুবিধা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা শুরু
৪৪১ দিন আগে
বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বা বইমেলা দরজায় কড়া নাড়ছে। সাহিত্য উৎসবে রূপ নেওয়া মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যে প্রকাশকদের জন্য স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ ঘুরে ইউএনবি দেখতে পায়, ২৩ জানুয়ারি বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে প্রকাশকরা তাদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন প্রস্তুতের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশকদের পছন্দসই নকশা অনুযায়ী শ্রমিক ও কাঠমিস্ত্রিদের নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়ন বেশ সাদামাটাভাবে তৈরি কড়া হচ্ছে, অন্যদিকে কিছু বেশ জাঁকজমকভাবে।
মেলা প্রাঙ্গণে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে প্রকাশকরা নগরীতে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় অতীতের তুলনায় আরও বেশি উপস্থিতি প্রত্যাশা করছেন। তারা মেলা প্রাঙ্গণের কাছে অবস্থিত দুটি মেট্রো স্টেশনের (শাহবাগ ও টিএসসি) কথা উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে সহজেই সাধারণ মানুষ মেলায় আসতে পারবেন।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ মুনীরের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন- এবারের মেলায় আগের চেয়ে অনেক বেশি উপস্থিতি দেখা যাবে। পাঠক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অনেকে আসবেন, কারণ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো। তাই পাঠকরা আগের চেয়ে খুব সহজে ও কম সময়ে মেলায় আসতে পারবেন।
৪৪২ দিন আগে
বাংলা একাডেমি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে’ বিভিন্ন স্টল বন্ধ করে এবং বইমেলায় কিছু বই প্রদর্শনের অনুমতি না দিয়ে বাংলা একাডেমি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রসার ও চিন্তার অবাধ অনুশীলন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলা একাডেমি এখন অন্যায়ভাবে বিভিন্ন স্টল এবং কিছু বই প্রদর্শনের অনুমতি না দিয়ে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বাংলা একাডেমির এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, কথা বলার অধিকার, মুক্তচিন্তা, লেখার এবং মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এই ২১ ফেব্রুয়ারি নতুন করে শপথ নেব।’
ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধান’, জিয়া হাসান রচিত ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ এবং ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’-এই তিনটি বই নিয়ে আপত্তি তুলে বাংলা একাডেমি প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ প্রকাশনীকে চলমান অমর একুশে বইমেলায় অংশ নিতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধান’- গ্রন্থের লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম মির্জা ফখরুলের জামাতা।
দেশের স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও জাতি তার গণতান্ত্রিক ও অন্যান্য অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং চিন্তা, বাক ও লেখার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে এখন স্বৈরাচারী সরকার শাসন করছে যারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন করছে। সারাদেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে মিথ্যা ও ভুতুড়ে মামলায় ফাঁসানো অবস্থায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনও কারাগারে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য মারাত্মক চক্রান্ত করছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে এসে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘জাতিকে আবার ঐক্যবদ্ধ করতে এবং গণতন্ত্র ও সকল হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ২৫ ফেব্রুয়ারি সব জেলায় পদযাত্রা, আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি
জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: ফখরুল
৭৮৭ দিন আগে
বইমেলা গেট প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন করলেন কোয়ান্টামের ১৫০ স্বেচ্ছাসেবী
ভাষা শহিদদের স্মরণে অমর একুশে বইমেলা গেট প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্নতা করসেবা কার্যক্রম করলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দেড়শ’ স্বেচ্ছাসেবী।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টিএসসি মোড়ের সামনের প্রবেশ গেট ও গেটের সামনের প্রাঙ্গণ থেকে দুই শতাধিক বস্তা শুকনো পাতা, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, টিস্যু এবং টুকরো কাপড়সহ নানাবিধ আবর্জনা পরিষ্কার করেন স্বেচ্ছাকর্মীরা।
আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, গৃহিনীসহ নানা পেশা ও নানা বয়সী নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাসেবীরা এ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ৫০ বার রক্তদান করা ৫০ রক্তদাতাকে কোয়ান্টামের সম্মাননা
৭৮৭ দিন আগে
আদর্শ প্রকাশনীর বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
অমর একুশে বইমেলায় তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। ফলে এবার বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে না এই প্রকাশনীটি।
আদালতে আদর্শ প্রকাশনীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক। বাংলা একাডেমির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে বাংলা একাডেমিকে স্টল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই তিনটি বই হচ্ছে- ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা।’
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা: স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টে রিট আদর্শ প্রকাশনীর
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলা একাডেমি। সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ওই আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের শুনানিতে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, একটি বইকে কেন্দ্র করে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ বইটি কালো তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ নয়। আর এই প্রকাশনীর আরও ৬০০ বই রয়েছে। স্টল বরাদ্দ না দিলে এসব বইয়ের লেখকেরা বঞ্চিত হবেন। তাই যদি কোনো বইয়ে বাংলা একাডেমির আপত্তি করে সেটা আমরা না হয় স্টলে রাখব না।
এ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাহবুব রহমান ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন। রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৭৯২ দিন আগে