বইমেলা
বইমেলার সমাপ্তি: ৩১ দিনে ৬০ কোটি টাকার বিক্রি
২০২৪ সাল ‘লিপ ইয়ার’ হওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ২৯ দিনে। পাশাপাশি বইমেলা ২ দিন বাড়ানো হয়েছিল। ফলে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলা ছিল এবারেরটি। গতকাল শনিবার ছিল মেলার শেষ দিন। এই মেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫১টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে এবং সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ লাখ দর্শনার্থী এসেছিলেন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার মূল মঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির প্রশাসন উপ-বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ এবারের মেলার বিক্রির পরিসংখ্যান ও সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন।
বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের মেলায় বিক্রি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ৪৭ কোটি টাকা এবং ২০২২ সালে ছিল ৫২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সময় বাড়ল ২ দিন
মেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫১টি বইয়ের মধ্যে কবিতার বই ১ হাজার ২৬২টি, ছড়ার বই ১০৬টি, গবেষণা ৭৬টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৬৯টি, ইতিহাসের ৬৪টি, শিশুতোষ উপন্যাস ৭১টি, ভ্রমণবিষয়ক ৬৪টি বই, ৬১টি অনুবাদ, ৪৪টি বিজ্ঞানের বই, ৩৬টি সায়েন্স ফিকশন, ২৯টি রচনা, ধর্ম ক্যাটাগরির ৩৩টি, কমিকস ক্যাটাগরির ৩১টি, নাটক ৩৪টি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২৭টি, রাজনীতি বিষয়ক ২৯টি বই, স্বাস্থ্য বিষয়ক ২৯টি বই এবং অভিধান সম্পর্কিত ১৯টি বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ২২২টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
অথচ বাংলা একাডেমি নিজেই ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ২০২২ সালে ছিল ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ীর বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি আটটি প্রকাশনা সংস্থাকে চারটি বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করে যেখানে বিষয় ও মানের দিক থেকে সর্বাধিক সংখ্যক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করে।
এছাড়া শিল্প ও মানের দিক থেকে সেরা বই প্রকাশের জন্য প্রথমা প্রকাশ, জার্নিম্যান বুকস ও ঐতিহ্য প্রকাশনীকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়।
ময়ূরপঙ্খী পাবলিকেশন শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত হয় এবং অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী, নিমফিয়া পাবলিকেশন এবং বেঙ্গল বুকস শ্রেষ্ঠ অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পায়।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে প্রাণবন্ত বইমেলার শিশুচত্বর
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামের সিআরবিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বইমেলা
চট্টগ্রামে আজ শুক্রবার (৯ ফ্রেরুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ২১ দিন ব্যাপী আমর একুশে বইমেলা।
সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে বিকাল ৫টায় নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় এই বই মেলার উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এবার প্রথম সিআরবির শিরীষতলায় (নতুন স্থানে) মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার আয়তন ৪৩ হাজার বর্গফুট। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি ও সিঙ্গেল স্টল ৭৭টি।
সিটি মেয়র রেজাউল বলেন, ‘মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খোলা জায়গা প্রচুর রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য চারদিকে টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ক্যামরা ও পুলিশ প্রহরা থাকবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব সিকিউরিটিসহ নিরাপত্তা বলয় থাকবে।
মেলা শেষ হবে ২ মার্চ বলে জানান তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবারের বইমেলায়
সভাপতিত্ব করবেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এই আয়োজনের বিভিন্ন দিনে থাকবে রবীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, লোক উৎসব, মরমি উৎসব, বসন্ত উৎসব, তারুণ্যের উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, শিশু উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, নারী উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়া উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, গুণিজন সংবর্ধনা, সম্মাননা পদক এবং সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
৮ মাস আগে
যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবারের বইমেলায়
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ কে সামনে রেখে সম্ভাব্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গি হুমকি মোকাবিলায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিষয়টি তুলে ধরেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার নিরাপত্তা প্রটোকল খতিয়ে দেখার পর কমিশনার রহমান বলেন, ‘দর্শনার্থীরা যাতে কোনো ধরনের শঙ্কা ছাড়াই মেলা ঘুরে দেখতে পারেন সেজন্য আমরা একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলেছি।’
আগামীকাল বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা এখন থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাঁচটি নির্ধারিত গেট দিয়ে প্রবেশ ও বের হতে পারবেন, যার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে বিশেষ প্রবেশদ্বার রয়েছে। নিরাপত্তা বাড়াতে প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।ৎ
আরও পড়ুন: বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
ডিএমপি কমিশনার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা পরিধি স্থাপন এবং ছদ্মবেশী গোয়েন্দাদের দ্বারা অব্যাহত নজরদারিসহ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন। এছাড়াও, যে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা তদারকি এবং প্রতিরোধ করার জন্য অসংখ্য ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে পুরো মেলা এলাকা সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের অধীনে রয়েছে, যেগুলো একটি ডেডিকেটেড কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত। মেলা সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন টহল ইউনিটের ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি। ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের উপস্থিতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা সরবরাহ করবে।
এসব নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুস্থতার জন্য ডিএমপি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিখোঁজ শিশুদের জন্য একটি লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, মায়েদের জন্য একটি নার্সিং সেন্টার, রক্তদান এবং মেলা প্রাঙ্গণে বিশুদ্ধ খাবার পানির সুবিধা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা শুরু
৯ মাস আগে
বইমেলায় জমজমাট উপস্থিতির প্রত্যাশা প্রকাশকদের
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বা বইমেলা দরজায় কড়া নাড়ছে। সাহিত্য উৎসবে রূপ নেওয়া মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যে প্রকাশকদের জন্য স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ ঘুরে ইউএনবি দেখতে পায়, ২৩ জানুয়ারি বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে প্রকাশকরা তাদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন প্রস্তুতের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রকাশকদের পছন্দসই নকশা অনুযায়ী শ্রমিক ও কাঠমিস্ত্রিদের নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়ন বেশ সাদামাটাভাবে তৈরি কড়া হচ্ছে, অন্যদিকে কিছু বেশ জাঁকজমকভাবে।
মেলা প্রাঙ্গণে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে প্রকাশকরা নগরীতে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় অতীতের তুলনায় আরও বেশি উপস্থিতি প্রত্যাশা করছেন। তারা মেলা প্রাঙ্গণের কাছে অবস্থিত দুটি মেট্রো স্টেশনের (শাহবাগ ও টিএসসি) কথা উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে সহজেই সাধারণ মানুষ মেলায় আসতে পারবেন।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ মুনীরের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন- এবারের মেলায় আগের চেয়ে অনেক বেশি উপস্থিতি দেখা যাবে। পাঠক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অনেকে আসবেন, কারণ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক ভালো। তাই পাঠকরা আগের চেয়ে খুব সহজে ও কম সময়ে মেলায় আসতে পারবেন।
৯ মাস আগে
বাংলা একাডেমি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে’ বিভিন্ন স্টল বন্ধ করে এবং বইমেলায় কিছু বই প্রদর্শনের অনুমতি না দিয়ে বাংলা একাডেমি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রসার ও চিন্তার অবাধ অনুশীলন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলা একাডেমি এখন অন্যায়ভাবে বিভিন্ন স্টল এবং কিছু বই প্রদর্শনের অনুমতি না দিয়ে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বাংলা একাডেমির এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, কথা বলার অধিকার, মুক্তচিন্তা, লেখার এবং মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এই ২১ ফেব্রুয়ারি নতুন করে শপথ নেব।’
ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধান’, জিয়া হাসান রচিত ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ এবং ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’-এই তিনটি বই নিয়ে আপত্তি তুলে বাংলা একাডেমি প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ প্রকাশনীকে চলমান অমর একুশে বইমেলায় অংশ নিতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধান’- গ্রন্থের লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম মির্জা ফখরুলের জামাতা।
দেশের স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও জাতি তার গণতান্ত্রিক ও অন্যান্য অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং চিন্তা, বাক ও লেখার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে এখন স্বৈরাচারী সরকার শাসন করছে যারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন করছে। সারাদেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে মিথ্যা ও ভুতুড়ে মামলায় ফাঁসানো অবস্থায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনও কারাগারে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য মারাত্মক চক্রান্ত করছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে এসে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘জাতিকে আবার ঐক্যবদ্ধ করতে এবং গণতন্ত্র ও সকল হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ২৫ ফেব্রুয়ারি সব জেলায় পদযাত্রা, আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি
জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: ফখরুল
১ বছর আগে
বইমেলা গেট প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন করলেন কোয়ান্টামের ১৫০ স্বেচ্ছাসেবী
ভাষা শহিদদের স্মরণে অমর একুশে বইমেলা গেট প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্নতা করসেবা কার্যক্রম করলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দেড়শ’ স্বেচ্ছাসেবী।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টিএসসি মোড়ের সামনের প্রবেশ গেট ও গেটের সামনের প্রাঙ্গণ থেকে দুই শতাধিক বস্তা শুকনো পাতা, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, টিস্যু এবং টুকরো কাপড়সহ নানাবিধ আবর্জনা পরিষ্কার করেন স্বেচ্ছাকর্মীরা।
আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, গৃহিনীসহ নানা পেশা ও নানা বয়সী নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাসেবীরা এ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ৫০ বার রক্তদান করা ৫০ রক্তদাতাকে কোয়ান্টামের সম্মাননা
১ বছর আগে
আদর্শ প্রকাশনীর বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
অমর একুশে বইমেলায় তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলা একাডেমির আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। ফলে এবার বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে না এই প্রকাশনীটি।
আদালতে আদর্শ প্রকাশনীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক। বাংলা একাডেমির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে বাংলা একাডেমিকে স্টল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই তিনটি বই হচ্ছে- ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা।’
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা: স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টে রিট আদর্শ প্রকাশনীর
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলা একাডেমি। সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ওই আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের শুনানিতে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, একটি বইকে কেন্দ্র করে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ বইটি কালো তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ নয়। আর এই প্রকাশনীর আরও ৬০০ বই রয়েছে। স্টল বরাদ্দ না দিলে এসব বইয়ের লেখকেরা বঞ্চিত হবেন। তাই যদি কোনো বইয়ে বাংলা একাডেমির আপত্তি করে সেটা আমরা না হয় স্টলে রাখব না।
এ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাহবুব রহমান ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন। রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
দুই বছর পর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হচ্ছে বইমেলা
কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছরের অমর একুশে বইমেলার ঐতিহ্যবাহী তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড-১৯ এর নিয়মগুলোর বাধ্যবাধকতা এখন না থাকায় এ বছরের মেলা ঐতিহ্যবাহী ১ ফেব্রুয়ারি তারিখেই শুরু হতে যাচ্ছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বাংলা একাডেমির বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণে এবার পুরো মাসজুড়ে আয়োজনটি চলবে।
২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী সশরীরে মেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করবেন এবং সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৩ দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলা শুরু ২৬ ডিসেম্বর
এবারের বইমেলার জন্য ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট (স্টল) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৭৬টি স্টল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অমর একুশে বইমেলা কমিটির সম্পাদক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকাশক ও মেলাপ্রেমীদের পরামর্শ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা স্টল ও প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে কিছু পরিবর্তন এনেছি। পূর্ববর্তী পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ৪৮৯টি স্টল এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা যে কোনো কোণ থেকে পুরো মেলার মাঠ দেখতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের পাশে পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের স্টল বসানো হয়েছে। খাবার দোকানের জন্য দুটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত হয়েছে। কোনো অসংগঠিত, খোলা বা রাস্তার খাবারের দোকান থাকবে না।’
মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চারটি প্রবেশপথ ও চারটি প্রস্থান পথ দিয়ে দর্শনার্থীরা চলাচল করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তারা সকাল ৮টায় মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত সাড়ে ৮টার পর সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
বায়তুল মুকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু
১ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’ এর আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী বই উৎসব শুরু হয়েছে।
রবিবার(০৬ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় এ বই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত, খ্যাতিমান লেখক, অনুবাদক ও সাহিত্য বিশ্লেষক সুরেশ রঞ্জন বসাক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত (শুক্রবার ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত) বইমেলা চলবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, কিনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, অধ্যাপক হিমাদ্রি শেখর রায়, অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন, অধ্যাপক ড. নারায়ণ সাহা, অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা, সংগঠনটির সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম ও বই উৎসবের আহ্বায়ক মাধুর্য চাকমাসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের শিশু সন্তান আহমেদ হুসাইন আল মোস্তফা ‘বাইল্যাটারাল প্রোফাউন্ড হিয়ারিং লস’ রোগে আক্রান্ত।
তার দুই কানের শ্রবণশক্তি শূন্য হওয়ায় বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। মূলত তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়।
বইমেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম।
এবারের বই উৎসব ভাষা সৈনিক ও শিক্ষাবিদ প্রতিভা মুৎসুদ্দিকে উৎসর্গ করা হয়েছে। বইমেলায় দেশের জনপ্রিয় অন্যপ্রকাশ, আগামী পাবলিকেশন, অন্বেষা পাবলিকেশন, বাতিঘর ও অনলাইন প্রকাশনী রকমারি ডটকমসহ ২০টি প্রকাশনী অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
১ বছর আগে
বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী বিএনপির আয়োজিত দেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইমেলা ও প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মেলা ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মেলা ও প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এবং বিকাল ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বইমেলা ও প্রদর্শনীতে বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্লেষণধর্মী বই এবং আলোকচিত্রের পাশাপাশি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক: বিএনপি
এছাড়া জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ও চিত্রকর্ম রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরতে তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বর্তমান সরকার জনগণ ও নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাই আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: ‘ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে’
নতুন সিইসি কট্টর আ’লীগ সমর্থক: বিএনপি
২ বছর আগে