টিসিবি
রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় সকল বিভাগীয় সদর ও ৫টি দরিদ্র পীড়িত এলাকাসহ মোট ১৩টি এলাকায় ১২ লাখ পরিবারের মাঝে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছি।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে ভ্রাম্যমান ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টিসিবি ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তূকিমূল্যে পণ্য সরবারহ করে থাকে। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ড অ্যাক্টিভেশন হবে এবং এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।’
এই সংখ্যাকে আরও বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ১২ লাখ পরিবারকে রমজান মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ট্রাক সেল কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্ধ পাটকল ব্যক্তিখাতে লিজের মাধ্যমে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এর বিনিময়ে বাজারে পণ্যমূল্য আরও সহনশীল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ৯ হাজার টন পণ্য এই কার্যক্রমের আওতায় বিক্রি হবে। এই কার্যক্রমে বাজার নিম্নগামী ও সহনশীল হবে। এতে প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে।’
খুলনার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস।
টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, ১ কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ও চিনি ১৫৬ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
১০ দিন আগে
টিসিবির জন্য ২১৩ কোটি টাকায় চিনি-ডাল কিনবে সরকার
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার করে মোট ২০ টন চিনি ও মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে ব্যয় হবে ২১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
এরমধ্যে ১১৫ টাকা ৪২ পয়সা কেজি দরে চিনি ও ৯৮ টাকা ৪৫ পয়সা কেজি দরে মসুর ডাল কেনা হবে। ফ্যামেলি কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এসব চিনি ও ডাল বিক্রি করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (ওটিএম) ১০ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এছাড়া সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ১১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকায় চিনি কেনা হবে। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৫ দশমিক ৪২ টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে চিনি কেনার লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৪ হাজার টন। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার টন কেনার চুক্তি হয়েছে। নতুন করে এখন আরও ১০ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আরও পড়ুন: টিসিবির ওএমএস কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক
এদিকে বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (ওটিএম) ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় এ ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ৯৮ দশমিক ৪৫ টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার টন। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫০ টন। আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
২৪ দিন আগে
১ অক্টোবর থেকে শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্যের পণ্য দেবে সরকার
সরকার আগামী মাস থেকে ৪০ লাখ শ্রমিককে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য দেবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে গ্রামীণফোনের চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১ অক্টোবর থেকে শ্রমঘন এলাকায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। শ্রমিকরা ন্যায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।’
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের যে ব্যবস্থাগুলো আছে সেগুলো যদি আমরা সচল করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ১৮টি দফা দাবিগুলো মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন: শ্রম উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠিত হলেও অধিকাংশ শ্রমিকই জানেন না যে তাদের জন্য এমন একটি ফান্ড রয়েছে। কীভাবে আবেদন করতে হবে হয়তো সেই প্রক্রিয়াটাও জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, 'এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা নিয়ে অস্বচ্ছতা এবং অনেক প্রশ্ন ছিল। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
উপদেষ্টা আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ২৮৫ জন শ্রমিককে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন তহবিলে জমা আছে এক হাজার ২৬ কোটি টাকা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, 'এটা শ্রমিকদেরই অর্থ। কোম্পানিগুলো এখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা আমাদের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। আমরা সেটা সঠিকভাবে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এই তথ্যগুলো যে কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করে তারাও যাতে দেখতে পারেন। একই সঙ্গে শ্রমিকরা আবেদন করলে যাতে তারা ফলোআপটা রাখতে পারেন তার আবেদনটা কোন অবস্থায় আছে, সেজন্য এটাকে আমরা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমরা এটার বিতরণ করব।'
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, যে কোম্পানিগুলো এ তহবিলে অংশগ্রহণ করছেন না, তাদের কীভাবে এর আওতাভুক্ত করা যায় আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।
যেখানে শ্রমিকরা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শ্রম কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।
দু-একটি জায়গায় এখনো শ্রমিক অসন্তোষ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।
শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'শ্রমিকদের ১৮ দফার মধ্যে একটি বিশেষ দফা ছিল তাদের রেশনের বিষয়। সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আগামী ১ তারিখ (অক্টোবর) আশুলিয়ায় টিসিবির পণ্য শ্রমিকদের বিতরণের জন্য উদ্বোধন করব। টিসিবির আওতায় এক কোটি পরিবারের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে শ্রমঘন এলাকায় আমরা বাড়াব। ৪০ লাখ শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে: সচিব
১৪৫ দিন আগে
রবিবার থেকে দেশব্যাপী টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার থেকে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
এ কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবে।
আরও পড়ুন: রমজানে ওএমএসের ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ও ১৬০ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে টিসিবি
শনিবার টিসিবির যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবে। এসব পণ্য টিসিবির নির্ধারিত ডিলার শপ অথবা সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলায় তাদের স্থায়ী আউটলেটে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কার্ডহোল্ডাররা মনোনীত ডিলারদের কাছ থেকে ভর্তুকি দেওয়া পণ্য- চাল, ভোজ্য তেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: টিসিবি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ডিপিএমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারবে
জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু: প্রতিমন্ত্রী
১৬০ দিন আগে
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ককটেলসহ ভিজিডি ও টিসিবির পণ্য জব্দ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ খাঁনের বাড়ি থেকে ককটেলসহ ভিজিডি ও টিসিবির পণ্য জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী এগুলো জব্দ করে।
আরও পড়ুন: যশোরে মাথায় গুলি করে প্রবাসীকে হত্যা
চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে জব্দ করা হয়- ৫০টি ককটেল, সরকারি ২২০টি কম্বল, ভিজিডির বরাদ্দ দেওয়া ৯০০ কেজি চাল, টিসিবির ১ হাজার ২০০ কেজি চাল, ৮০ কেজি ডাল, ৭২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চিনি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.আর.এম. জাহিদ হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান শরীফ খানের বাড়ি থেকে জব্দ মালামাল ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।’
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদিরসহ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, চেয়ারম্যান শরীফ খান সরকারি মালামাল সঠিকভাবে বণ্টন না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। সরকারি চাল তার মাছের খামারে ব্যবহার করেন এবং ডাল, তেল ও চিনি চেয়ারম্যানের নিজের হোটেলে ব্যবহার করেন। তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা-মারধর করে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সেনাবাহিনীর সদস্য (সাজের্ন্ট) সাঈদ হোসেন, স্থানীয় ইউপি সচিব রাবেয়া বসরি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্থানীয় সমন্বয়ক মো. হাসান, আব্দুল্লাহ আল নোমান।
এদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ খান পলাতক রয়েছেন। মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
যশোরে টাইলস মিস্ত্রির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
১৯৫ দিন আগে
টিসিবি ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ডিপিএমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারবে
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) পরিপালন থেকে অব্যাহতির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার(১৫ মে) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিদেশ থেকে ফেরার পর করোনা পজিটিভ হওয়ায় অর্থমন্ত্রী অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসেন খান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, অনুমোদনের পর রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে যে কোনও প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বা সংগ্রহ করতে পারে।
সরাসরি কোনো পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে টিসিবিকে বাধ্যতামূলকভাবে পিপিআর অনুসরণ করতে হবে না। স্বল্প আয়ের মানুষরা খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) থেকে পণ্য কিনবেন। তাদের জন্য পণ্য সংগ্রহ করার জন্য টিসিবিকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে টিসিবিকে জরুরি ভিত্তিতে সরাসরি সংগ্রহ করতে হয়।
এদিকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) টিসিবির স্থানীয় সরবরাহকারী ইজ জেনারেল ট্রেডিং ও নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্টের কাছ থেকে ১০১ টাকা ৮৪ পয়সা কেজি দরে ১০১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।
এর মধ্যে ইজ ট্রেডিং ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং বাকি ৪ হাজার মেট্রিক টন নাবিল নাবা সরবরাহ করবে। এই পণ্যগুলো ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
২৮২ দিন আগে
দর্শনা বন্দরে পৌঁছাল ১৬৫০ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে ৪২ ওয়াগনে আমদানি করা ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রথম চালান দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) এ মালামাল আমদানি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পেঁয়াজের এই চালানটি দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল। তার প্রথম চালানটি রবিবার সাড়ে ৫টার দিকে ভারত থেকে রেলপথের মাধ্যমে দর্শনা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
তিনি আরও বলেন, মোট ৪২টি ওয়াগনে প্রায় ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর থেকে ওই রাতেই সিরাজগঞ্জ বাজারে নেওয়া হবে।
তারপর ওয়াগন থেকে পেঁয়াজ খালাস করে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, সরকার বিশেষ করে রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে পেঁয়াজ নিয়ে বরাবরের মতো যেন কেউ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, কেউ যেন চড়া দাম হাঁকিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে বিপুল অর্থ কামাতে না পারে, সেজন্যই সরকারের একটি সংস্থা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তবে পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজের আরও চালান আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৩২৭ দিন আগে
টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা দেশব্যাপী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হালনাগাদ হচ্ছে এবং আগামীতে টিসিবি ডিলারশিপ স্থায়ী করা হবে, যাতে মানুষকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে না হয়।
তিনি বলেন, কার্ডধারীরা সুবিধাজনক সময়ে এসে পণ্য নিতে পারবে। বাজার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। পণ্যের সরবরাহ লাইন ত্রুটিমুক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার পলিটেকনিক মাঠে 'দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম-মার্চ ২০২৪' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন আজ, যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। জাতির পিতার ভাষণটি আজ বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল।
চিনির প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, 'টিসিবির চিনি আগের দামে বিক্রি হবে, দাম বাড়ানো হবে না। চিনির পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাজারে চিনির কোনো সংকট হবে না।'
এসময় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, টিসিবির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল হাসনাত চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৩৫১ দিন আগে
বৃহস্পতিবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে ৫টি পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
রমজান মাসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পাঁচটি পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
ফ্যামিলি কার্ডসহ একজন সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি এবং ১ কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা, চিনির দাম ১০০ টাকা, মসুর ডালের কেজি ৬০ টাকা, খেজুরের দাম ১৫০ টাকা এবং চালের দাম ৩০ টাকা কেজি।
টিসিবি এবার প্রতি কেজি চিনির দাম ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছে, যা গত বছর ছিল ৬০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করতে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে তুলনামূলক কম দামে চিনি বিক্রি করত টিসিবি। শেষবার তিন মাস আগে ডিলারদের কাছে চিনি সরবরাহ করা হলেও দাম কম ছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
টিসিবি জানায়, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন পরিবেশকরা।
ক্যাম্পেইন চলাকালে পরিবেশকদের দোকান বা নিজ নিজ এলাকায় নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রমজান বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
৩৫২ দিন আগে
৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দরে ৬ দিন আটকে থাকার পর সোমবার রাতে খালাস করা হয়েছে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ। খালাস করার পর দেখো গেছে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস না করায় পেঁয়াজের চালানে পচন ধরতে শুরু করে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আজ বিকেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করে। পেঁয়াজের রাজস্ব পরিশোধ করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর আজ রাতে ৯০ টন পেঁয়াজ খালাস করে দেওয়া হয়।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকার পর আজ রাতে ভারতীয় ৩টি ট্রাক থেকে পেঁয়াজগুলো আনলোড করা হয়েছে।
বাংলাদেশি ৬টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ খালাস করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানান পেঁয়াজ খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবর রহমান হাবু।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত ৬ দিন ধরে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আটকে ছিল। আজ সোমবার রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করা হয়েছে। পেঁয়াজের চালান যথাসময়ে খালাস না করায় পচন ধরতে শুরু করেছে ।
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ
৪৩৮ দিন আগে