সাহেদ
কোভিড টেস্ট জালিয়াতি: সাহেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
রিজেন্ট হাসপাতালের ভুয়া কোভিড টেস্ট করানোর অভিযোগে দায়ের করা প্রতারণার মামলায় হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহনা আলমগীর অভিযোগ থেকে আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়ে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দীপায়ন বসু, অনিন্দ্য দত্ত, মাসুদ পারভেজ ও মো. মিজানুর রহমান। মামলা দায়েরের পর থেকে দীপায়ন ও অনিন্দ্য পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা ঢাকা মেট্রোরেলের ৭৬ জন শ্রমিকের জন্য ভুয়া কোভিড-১৯ সনদ ইস্যু করে দুই লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই একেএসআইডি করপোরেশন লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পরে ২০২১ সালের ৩০ মে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াদুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: রিজেন্ট সাহেদের জামিন বহাল, মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
৬ মাস আগে
রিজেন্ট সাহেদের জামিন বহাল, মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চকে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
আদালতে সোমবার দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের ওই রায় দেন।
রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার জন্য কারাগারে থাকা সাহেদকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
পরে তার জামিন আবেদন শুনে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত এ মামলায় সাহেদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়।
সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি। এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে গত ২১ আগস্ট রায় দেন আদালত।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একটি আদালত।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
৩২.৪৬ কোটি টাকা বকেয়া: রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার
১ বছর আগে
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাহেদকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এই অর্থ আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
গত ১০ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ঠিক করেন।
১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ ২০২১ সালের ১ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এর পর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং গুলি উদ্ধারের ঘটনায় আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
১ বছর আগে
অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
ঋণ জালিয়াতি করে পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৮ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে এ মামলায় স্থায়ী জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করেন।
২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম, বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংকের এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন, যা ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সুদ-আসলে দাঁড়ায় দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা।
সাহেদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম উঠে আসে। ওই বছরের ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণার বেশ কিছু মামলা আছে।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২ বছর আগে
করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেস রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপরোক্ত বেঞ্চে দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
তিনি জানান, করোনা সনদ জালিয়াতির মামলায় গত বছরের ৩১ মার্চ হাইকোর্টের জামিন চেয়ে আবেদন জানায় সাহেদ। আজ আদালত আবেদনটি নট প্রেস রিজেক্ট করেছেন।
জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই বছরের ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়। করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত। অস্ত্র মামলায় হাইকোর্ট জামিন দিলেও পরবর্তীতে আপিল বিভাগ তা স্থগিত করেন। করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার হোতা সাহেদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অর্ধশত মামলা রয়েছে। এর বেশিরভাগই প্রতারণার অভিযোগে করা। সাহেদ কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারি: শাহেদের সহযোগী গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের বিচার শুরু
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আগামী ২০ মে মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
তিনি জানান, বিচারক অভিযোগ পড়ে শোনালে সাহেদ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান। এ সময় তার পক্ষে করা অব্যাহতি ও জামিন আবেদন নাকচ করেন বিচারক।
শুনানিতে অভিযোগ গঠনের পক্ষে দুদকের আইনজীবী বলেন, সাহেদ হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার। তার আবেদন নাকচ করা হোক।
আরও পড়ুন: প্রতারণার মামলায় সাহেদের বিচার শুরু
সাহেদের দীর্ঘ কারাবাস ও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার কয়েকজন আইনজীবী এ মামলায় জামিন চান। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তারা বলেন, ‘এ মামলা মিথ্যা। সাহেদের এত সম্পদ নেই। তিনি তথ্য ফাঁকি দেননি।’
এ সময় সাহেদের আইনজীবীরা তাকে বিশেষ গাড়িতে করে আলাদাভাবে আদালতে আনার আবেদন করলে সে আবদারে বিচারক সায় দেননি বলে জানান দুদকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর।
জানা যায়, গত বছরের ১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
মামলায় এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৩৬টির বেশি মামলা দায়ের হয়। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: কালাম-সাহেদসহ ৬ জনের অভিযোগপত্র গ্রহণ ২২ ফেব্রুয়ারি
২ বছর আগে
কালাম-সাহেদসহ ৬ জনের অভিযোগপত্র গ্রহণ ২২ ফেব্রুয়ারি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
রবিবার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এজন্য আসামি আবুল কালাম আজাদসহ জামিনে থাকা ৫ আসামি আদালতে হাজিরা দেন। তবে অন্য আসামি মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গ্রহণ শুনানি পিছিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
অপরদিকে এই মামলার আসামি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: প্রতারণার মামলা: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে অন্য আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
২০২০ সালের ২৩ বছরের সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এই মামলাটি করেন।
হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনার নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করা হয়। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টাকা আত্মসাত মামলায় সাহেদের ৪ দিনের রিমান্ড
২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করেন। এসময় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী প্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর
২ বছর আগে
সাহেদের বিরুদ্ধে এবার সাতক্ষীরায় র্যাবের মামলা
করোনার ভুয়া সনদ দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে এবার সাতক্ষীরার দেবহাটায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
৪ বছর আগে