রেকর্ড
লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
প্রথম লেগে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে ভুগতে থাকার পরও কোনোমতে ১-০ গোলে জেতার পর ফিরতি লেগে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল বার্সেলোনা। তাতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে শেষ ষোলো থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় দিল বেনফিকা, আর সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পর্তুগিজ দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। এর ফলে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে উঠেছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের সবগুলো গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। বার্সার তিনটি গোল আসে ১১, ২৭ ও ৪২তম মিনিটে। এর মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় গোলটি করেন রাফিনিয়া। আর বাকি গোলটি আসে লামিন ইয়ামালের পা থেকে।
অপরদিকে বেনফিকার একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
এর ফলে নতুন বছরে অপরাজেয় যাত্রায় অব্যাহত রাখল বার্সেলোনা। টানা ১৭ ম্যাচ হারেনি দলটি।
ম্যাচজুড়ে এদিন মোট ২০টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার প্রথমার্ধে নেওয়া ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, আটটি শট নিয়ে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বেনফিকা। বল দখলের লড়াইয়েও ছিল বার্সেলোনার প্রত্যাশিত আধিপত্য। দলটির ৬৫ শতাংশ পজেশনের বিপরীতে বেনফিকার ছিল ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কেউ কাউকে ছেড়ে কথা না বলার ইঙ্গিত দিলেও প্রথম শটটি নেয় বার্সেলোনা। পেদ্রির বাড়ানো পাস ধরে ষষ্ঠ মিনিটে গোলে শট নেন লামিন, তবে সহজেই তা লুফে নেন বেনফিকা গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।
দশম মিনিটে লামিনের পাস ধরে বক্সের মাঝ থেকে লেভানডোভস্কির নেওয়া আরও একটি শট প্রতিহত করেন ত্রুবিন। তবে পরের মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি এই ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক।
একাদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকেই বিপরীত পাশ দিয়ে এগোতে থাকা রাফিনিয়াকে লক্ষ্য করে একটি নিখুঁত ক্রস বাড়ান লামিন। এরপর ট্যাপ-ইনে তা ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া রাফিনিয়ার জন্য ছিল জলের মতো সরল।
৮ দিন আগে
২৫ বছর পর প্রতিশোধ নিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল ভারত
সেই ২০০০ সালে তৎকালীন আইসিসি নক-আউট ট্রফির ফাইনালে ভারতকে চার উইকেটে হারিয়ে প্রথম এবং ওই একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২৫ বছর পর আরও একবার ফাইনালের দেখায় সেই নিউজিল্যান্ডকে একই ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত।
রবিবার (৯ মার্চ) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে কিউইদের চার উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
এর ফলে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের এক মাত্র দল হিসেবে সর্বোচ্চ তিনবার সেরাদের এই শিরোপা ঘরে তোলার গৌরব অর্জন করল ভারত।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টিম ইন্ডিয়া।
ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে ভারতের জয়ে ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এছাড়া প্রথম ইনিংসে বোলারদের সঠিকভাবে ব্যবহার করে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস বড় হতে না দেওয়ার পেছনেও দারুণ ভূমিকা ছিল তার নেতৃত্বের। ফলে ফাইনালের ম্যাচসেরার পুরস্কারটি তার হাতেই উঠেছে।
তিনি ছাড়াও মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার (৪৮) ও অক্ষর প্যাটেল (২৯)। এরপর শেষের দিকে বাকি কাজটুকু সারেন লোকেশ রাহুল (৩৪*)।
অন্যদিকে, দশ ওভার বোলিং করে একটি মেইডেনসহ মাত্র ২৬ রানের খরচায় দুই উইকেট তুলে নিলেও দলকে জেতাতে পারেননি মিচেল ব্রেসওয়েল।
১০ দিন আগে
কোহলির সেঞ্চুরি, পাকিস্তানকে বিপদে ঠেলে সেমির পথে ভারত
ম্যাচের ফল একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করতে পারেন কিনা, তা-ই দেখার বাকি ছিল। জয়ের জন্য যখন ২ রান দরকার, শতক হাঁকাতে কোহলির দরকার তখন ৪। তবে চার মেরেই সব হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দিলেন তিনি।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ভারতীয় বোলারদের প্রতাপ সামলে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই ২৪১ রান তুলে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
২৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখে ২৪৪ রান করে জয়োল্লাস করে ভারত। ইনিংসের ৪৫ বল বাকি ছিল তাদের।
ভারতের এই জয়ে মূল কাজটি করেন তাদের বোলাররা। দীর্ঘ সময় উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের রানের গতি এমনভাবে তারা কমিয়ে দেন যে প্রথম ইনিংসে একেকটি বাউন্ডারি দেখতেই ৪০-৪৫ বলের মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে দর্শকদের।
শেষের দিকে রানরেট বাড়াতে গিয়ে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার লজ্জাও বরণ করতে হয় তাদের।
অপরদিকে, ফিল্ডিং চলাকালে বোলারদের পাশাপাশি ভারতের ফিল্ডারদেরও খানিকটা কৃতিত্ব দিতে হয়। তাদের পরিশ্রমী মানসিকতার কারণেই অনেকগুলো এক পাকিস্তানি ব্যাটাররা দুইয়ে রূপ দিতে পারেননি, অনেকগুলো সম্ভাব্য চার আটকে গেছে তিনে। এরপর রান তাড়ায় নেমে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাই উপহার দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা।
অবশ্য শুরুর দিকে (পঞ্চম ওভারের শেষ বলে) রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও সময় যত গড়িয়েছে, জয়ের পাল্লা ততই ভারতের পক্ষে ভারী হয়েছে।
৩১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় ১০০ রানের মাথায়। ৫২ বলে ৪৬ রান করা শুভমান গিল এদিন অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও কোহলির সঙ্গে দারুণ একটি জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে কোহলির ১১৪ রানের জুটিটি পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
৬৭ বলে ৫৬ রান করে শ্রেয়াস ফেরার অল্প সময় পর হার্দিক পান্ডিয়াও আউট হলে ভারতের তখন প্রয়োজন ৬০ বলে মাত্র ১৯ রান। এরপর শেষ মুহূর্তে সেঞ্চুরির মাধ্যমে দলকে জেতানোর পথে অনন্য এক কীর্তি গড়েন কোহলি।
২৪ দিন আগে
রেকর্ডের মালা গেঁথে নতুন ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া
৩৫১ রান তুলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গড়া ২১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেই রেকর্ড এক দিনও ধরে রাখতে পারল না জশ বাটলার অ্যান্ড কোং। দ্বিতীয় ইনিংসেই তা টপকে একাধিক রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বেন ডাকেটের অনবদ্য ১৬৫ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেটে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের রেকর্ডটি ভেঙে এদিন রেকর্ড বইয়ে নিজেদের নাম তোলে ইংলিশরা।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন বেন ডাকেট। তবে ইংলিশদের এসব রেকর্ড ম্লান করে পাঁচ উইকেটের এক স্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্টিভেন স্মিথ অ্যান্ড কোং। ৪৭.৩তম বলটিতে ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেক্স ক্যারি।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড (৩৫৬) গড়ল অজিরা। তাছাড়া আইসিসির যেকোনো ওয়ানডে ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ওভালে ভারতের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়া করে জয়ই ছিল তাদের সর্বোচ্চ।
আরও আছে; এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান তাড়ার জয়।
এছাড়া এ জয়টি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। তাদের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ৪৩৪ রানের; ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই ম্যাচটি খেলে তারা।
আরও পড়ুন: ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ৬ উইকেটে করা পাকিস্তানের ৩৬৮ রান তারা পেরিয়ে যায় এক ওভার বাকি থাকতেই। ৭ উইকেটে সেদিন ৩৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচে ১৫৬ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ট্র্যাভিস হেড।
আর টানা দুটি সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড দেখল গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রেকর্ড অত্যন্ত বিরল।
আজকের ম্যাচে ৮৬ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন জশ ইংলিস।
মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করে ব্যক্তিগত রেকর্ডেও নাম উঠিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরেন্দর শেবাগের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম শতকের মালিক এখন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ ছাড়াও আরও রেকর্ড হয়েছে ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে দুই দল মিলে মোট ৭০৭ রান সংগ্রহ করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ মোট রানের রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে মোট ৬৫৯ রান সংগ্রহ করে দুই দল। সেদিন ভারতের চার উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ফলে ১৭ রানের হার দেখতে হয় দলটিকে।
ম্যাচটি আজ মোট ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে দুদলের ব্যাটাররা (ইংল্যান্ড ৭, অস্ট্রেলিয়া ১৬), যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার ১৬টি ছক্কা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডটি এখনও রয়েছে ভারতের দখলে। ২০১৩ সালের ১১ জুন ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮টি ছক্কা হাঁকান ভারতের ব্যাটাররা।
২৫ দিন আগে
ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
রিয়ারে প্রথমবার আইসিসি ইভেন্টে খেলতে নেমেছেন ইংলিশ ব্যাটার বেন ডাকেট। নেমেই দিনটিকে শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেও স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রানের পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড।
এটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের ইনিংসটিই এতদিন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।
এদিন ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বেন ডাকেট। ১৪৩ বলে ১৭টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৬৫ রান করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে এটি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে পথে তিনি ২০০৪ সালের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের ন্যাথান অ্যাস্টলের করা অপরাজিত ১৪৫ রানের স্কোরটি ছাড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নতুন দলে নাম লেখালেন সাকিব
ডাকেট ছাড়াও এদিন হাসে জো রুটের ব্যাট। শুরুর দিকে দুই উইকেট হারানোর পর ৭৮ বলে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে ডাকেটের সঙ্গে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় ৪৩ রানে দুই উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের পরবর্তী উইকেটটি যখন পড়ে, তখন স্কোরবোর্ডে দেখা যায় তিন উইকেটে ২০১ রান। ৩১তম ওভারের শেষ বলে রুট আউট হলে তাই মনে হচ্ছিল স্কোর আরও বড় হবে। তবে রুটের উইকেটের মধ্য দিয়েই হারানো ছন্দ খুঁজে পায় অস্ট্রেলিয়া। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে থাকেন দলটির বোলোররা।
ওই দুই ব্যাটার বাদে অধিনায়ক জশ বাটলারের ২৩ ও শেষের দিকে জোফলা আর্চারের ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই কেবল বলার মতো।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন বেন ডুয়ারশিস, আর দুটি করে উইকেট গিয়েছে অ্যাডাম জ্যাম্পা ও মার্কাস লাবুশেনের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩৫১/৮ (ডাকেট ১৬৫, রুট ৬৮, বাটলার ২৩; ডুয়ারশিস ৩/৬৬, লাবুশেন ২/৪১, জ্যাম্পা ২/৬৪)।
২৬ দিন আগে
বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির জন্য শেষ ষোলো একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল, তবে দ্বিতীয় লেগে ব্রেস্তকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তারা।
প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে আরেক ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট নিশ্চিত করেছে লুইস এনরিকের দল।
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের অ্যাসিস্টে পিএসজিকে প্রথম এগিয়ে নেন ব্রাদলে বারকোলা। এরপর ৩৯ মিনিটে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোল করেন খিচা কেভারাত্সখেলিয়া (কেভারা)।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বিরতি থেকে ফিরে ব্রেস্তকে আরও পাঁচটি গোল দেয় পিএসজি। ম্যাচের ৫৯, ৬৪, ৬৯, ৭৬ ও ৮৬তম মিনিটে গোলগুলো করেন যথাক্রমে ভিতিনিয়া, দেজিরে দুয়ে, নুনো মেন্দেস, গন্সালো রামোস ও সেনি মাইয়ুলু।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, নতুন বছর পড়তেই উসমান দেম্বেলে জ্বলে উঠলেও গোল উৎসবের এই ম্যাচে তিনি কোনো গোল করতে পারেননি, এমনকি কোনো অ্যাসিস্টও আসেনি তার পা থেকে।
তবে ৭-০ গোলের এই জয়ের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। সাতটি গোলই দলটির পৃথক সাত খেলোয়াড়ের পা থেকে এসেছে। এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে কখনোই কোনো ম্যাচে ৭ জন আলাদা খেলোয়াড় গোল করতে পারেননি।
এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যেকোনো পর্বে এক ম্যাচে সর্বাধিক ৬ খেলোয়াড় গোল করার সবশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট। ২০১৯-২০ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে আলিয়ান্স আরেনায় বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন। ম্যাচটিতে রবের্ট লেভানডোভস্কি, ইভান পেরিসিচ, সের্গে গেনাব্রি, ইয়োশুয়া কিমিখের একটি করে গোলের পাশাপাশি দুটি করে গোল করেন থমাস মুলার ও বার্সা থেকে সে সময় বায়ার্নে ধারে খেলা ফিলিপে কুতিনিয়ো।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একটি অঘটন। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে গেছে ইউভেন্তুস। আর ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
২৮ দিন আগে
শেষের নাটকীয়তায় পরও রেকর্ড গড়ে ফের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চিটাগাং কিংস। তবে তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাদের সে স্বপ্ন গ্লানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় কিংস। এটি ছিল বিপিএলের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে রেকর্ড করতে হতো বরিশালকে।
আর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ব্যাটারের ব্যাটিং ঝড় এবং শেষের নাটকীয়তার পর তিন বল বাকি থাকতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে তামিম ইকবালের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম। এরপর কাইল মেয়ার্সের ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সে কাজ আরও সহজ করে দেয়। যদিও শেষদিকে মেয়ার্স ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল চিটাগাং, তবে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে সেই আশার গুড়েও বালি পড়ে।
চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। চার ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নাঈম ইসলাম দুটি ও বিনুরা ফের্নান্দো নিয়েছেন একটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তামিম, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেন তৌহিদ হৃদয়। প্রথম ওভারে বিনুরাকে তামিম তিনটি চার মারলে ওই ওভারে ১৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এরপর আরাফাত সানিকে দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারে ফের বিনুরার বলে তিনটি চার মেরে ১২ রান সংগ্রহ করেন তামিম।
চতুর্থ ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ১১ রান। পরের দুই ওভারে উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগী হলে রানের চাকা কিছুটা গতি হারায়। ফলে পাওয়ার প্লেতে চিটাগাংয়ের মতোই বিনা উইকেটে ৫৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
সপ্তম ওভারে একটি করে ডবল, চার ও ছক্কায় ১৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল, সেই সঙ্গে ২৪ বলে একটি ছক্কা ও ৯টি চারের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
অষ্টম ওভারটি দেখেশুনে খেলার পর নবম ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানে চিটাগাং। শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় তামিমকে, আর চতুর্থ বলে শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নতুন ব্যাটার ডাওইড মালান। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও শরিফুল রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ফলে দলীয় ৭৬ ও ৭৮ রানে প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল।
তামিম ফিরে গেলে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ, তাতে কিছুটা সফলও হন তিনি; দশম ওভারে তৌহিদের দুটি চারসহ ১৫ রান তোলে বরিশাল। তবে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে তিনটি চারে ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে যান তিনি। এতে দলীয় সংগ্রহ একশ পূর্ণ করার আগেই বরিশালের তিন ব্যাটার বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বড় জুটি গড়ার আভাস মেলে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দ্বাদশ ওভারে মেয়ার্স দুটি ছক্কা হাঁকালে পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি চার আসে, এর দুটি মুশফিকের ব্যাট থেকে ও পরেরটি অতিরিক্ত হিসেবে। চতুর্থ বলে ফের উড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ডিপ লেগে নাফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৯ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফিরে গেলে ভাঙ্গে ১৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। পরে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মেয়ার্স। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে শেষ ৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ৪৪ রানে নামিয়ে আনেন এই ক্যারিবীয়।
শেষের দিকে খালেদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেয়ার্স, তবে তা লুফে নিতে পারেননি শরিফুল। এরপর শেষ তিন ওভারে ২৫ রান নিতে হতো বরিশালকে। তবে অষ্টাদশ ওভারে আবারও দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শরিফুল।
ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুলের বলে ফের ক্যাচ দিলে মেয়ার্সের সেই ক্যাচ ধরতে ভুল হয়নি বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন মেয়ার্স। এরপর পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়ে ফেরান মুশফিক। ফলে ৬ উইকেট হারানো বরিশাল শেষ দুই ওভারে পায় ২০ রানের লক্ষ্য।
১৯তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে রিশাদের একটি ছক্কাসহ মোট ১২ রান নিলে ম্যাচের পাল্লা বরিশালের দিকে ভারী হয়ে ওঠে। তবে পরের বলেই ফের নাটক। বিনুরার ওভারের শেষ বলে জোরে ব্যাট চালিয়ে শর্ট মিড-অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবি। ফলে শেষ ওভারে ৮ রান করতে হতো বরিশালকে।
এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলেই লং অনে বিশাল ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে দুই ব্যাটার একবার জায়গা পরিবর্তনের পর তৃতীয় বলে রান আউট হয়ে যান রিশাদ, কিন্তু আম্পায়ার দুহাত প্রসারিত করে ওয়াইড দিলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে বরিশালের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯৫/৭ (তামিম ৫৪, মেয়ার্স ৪৬, তৌহিদ ৩২; শরিফুল ৪/৩৪, নাঈম ২/১৮)।
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল তিন উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: মেহেদী হাসান মিরাজ।
৪০ দিন আগে
ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নেমেই সেই যে মারমুখী ব্যাটিং শুরু করল চিটাগাংয়ের ব্যাটাররা, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল তার ধারা। আর এতেই টপ-অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে তিন উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছে চিটাগাং কিংস। বিপিএলের ফাইনালে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ রান। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে ফরচুন বরিশালকে রেকর্ড গড়তে হবে।
দলের হয়ে ৪৯ বলে চারটি ছক্কা ও ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এছাড়া অপর ওপেনার খাওয়াজা নাফের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান (৪৪ বলে) এবং তিনে নেমে ২৩ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।
অপরদিকে, বরিশালের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আলি ছাড়া আর সবাই ছিলেন খরুচে। আলি ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার একটু দেখেশুনে খেললেও তৃতীয় ওভার থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন চিটাগাংয়ের দুই ওপেনার। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান সংগ্রহ করে কিংস।
একপর্যায়ে ৩০ বলে ইমন ও ৩১ বলে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন নাফে। এরপর ১২.৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ঠিকমতো ব্যাটের সংযোগ ঘটাতে না পেরে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় নাফেকে। এতে করে ভাঙে ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তারপর ক্রিজে এসে ইমনের সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ক্লার্কও। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে ৪০ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে রান আউট হয়ে এই ইংলিশ ব্যাটার যখন ফিরে যাচ্ছেন, চিটাগাংয়ের স্কোর তখন ১৯১। এর পরের চার ওভারে শামীম হোসেন আউট এবং তিনটি রান হয়। ফলে বরিশালের জন্য ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে মাঠ ছাড়েন ইমন ও তালাত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
৪১ দিন আগে
নাটকীয় বেনফিকা-বার্সা ম্যাচে হলো যেসব রেকর্ড
ফুটবলপাড়ায় গতরাতের পাগলাটে ম্যাচের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। বার্সেলোনা সমর্থকদের অনেকে এখনও স্বপ্নের মধ্যে ডুবে আছেন। এর মাঝে চলুন দেখে নেই, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ওই ম্যাচটি কতগুলো রেকর্ডে নাম তুলল।
বেনফিকাকে ৫-৪ গোলে হারানোর রাতে জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া। এর মাধ্যমে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ৮টি। এর ফলে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বসেছেন তিনি। ৯ গোল করে তালিকার শীর্ষে তারই সতীর্থ রবের্ট লেভানডোভস্কি। তিনিও ম্যাচটিতে পেয়েছেন জোড়া গোলের দেখা।
গোল করায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও গোলে অবদান রাখার তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। আট গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্টের কল্যাণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে মোট ১১ গোলে অবদান রেখেছেন তিনি।
রাফিনিয়ার প্রথম গোলটি ছিল ডি-বক্সের বাইরে থেকে হেডারে করা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় গোল। সেটিও দেখা গেল এক যুগ পর। সবশেষ ২০০৩ সালে আয়াক্সের বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে হেডারে লক্ষ্যভেদ করেন ক্লাব ব্রুজের নরওয়ে স্ট্রাইকার রুনে লাঙ্গে।
আরও পড়ুন: ভাগ্যের পালাবদলের রাতে ৯ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি বার্সেলোনার
গতরাতে পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল আদায় করে নতুন উচ্চতায় উঠেছেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে পেনাল্টি থেকে গোল করায় লিওনেল মেসিকে (১৮) ছাড়িয়ে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড স্পর্শ করেছেন এই পোলিশ। স্পট কিক থেকে গোল করার রেকর্ডে ১৯ গোল নিয়ে রোনালদোর সঙ্গে এখন যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছেন লেভা। সামনের ম্যাচগুলোতে পেনাল্টি গোলে রূপান্তর করতে পারলেই সবাইকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
ইউরোপীয় এই প্রতিযোগিতার নাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ করার পর থেকে মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েও ম্যাচ হেরেছেন ভাঙ্গেলিস পাভলিদিস।
২০০৩ সালে সর্বপ্রথম এমন দুর্ভাগ্যজনক কীর্তি গড়েন ব্রাজিল কিংকদন্তি রোনালদো নাজারিও। সে বছর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হ্যাটট্রিক করেও রিয়াল মাদ্রিদকে ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ হন তিনি; ৪-৩ গোলে ম্যাচটিতে জয় পায় ইউনাইটেড। এরপর ২০১০ সালে সান সিরোতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেও টটেনহ্যামকে জেতাতে পারেননি গ্যারেথ বেল; ওই ম্যচটিও ৪-৩ গোলে শেষ হয়। ২০২০ সালে তুরস্কের মিডফিল্ডার ইরফান কাভেচি ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের জার্সিতে হ্যাটট্রিক করেন, তবুও লাইপসিগের কাছে ৪-৩ গোলে হারে তার দল। পরের বছর কপাল পোড়ে ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কুর। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ক্লাব ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পেলেও লাইপসিগ ম্যাচটি হারে ৬-৩ ব্যবধানে। এ মৌসুমে সেইসব অভাগাদের দলে নাম লেখালেন পাভলিদিস।
ম্যাচ হারলেও গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক (৩০ মিনিট) করেছেন এই গ্রিক ফরোয়ার্ড। এই তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছেন লেভানডোভস্কি। ২০২২ সালে রেডবুল জালৎসবুর্গের বিপক্ষে ৭-১ গোলে বায়ার্নের জয়ের ম্যাচে মাত্র ২৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন এই স্ট্রাইকার। এছাড়া ১৯৯৬ সালে এসি মিলানের হয়ে ২৪ মিনিটে নরওয়ের ক্লাব রোজেনবর্গের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার মার্কো সিমোনে।
আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
চার গোল হজম করেও ইউরোপের এই এলিট লিগের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে গতরাতে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনা। এর আগে ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে টটেনহ্যামকে একই স্কোরলাইনে হারিয়ে রেকর্ড গড়ে আর্সেনাল।
তবে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই প্রথম কোনো ম্যাচ জিতল বার্সেলোনা।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে (অন্তত ১০ ম্যাচ) এখন সবার উপরে হান্সি ফ্লিক। বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনা মিলিয়ে ২৪ ম্যাচ খেলেছে তার দল, যার ২১টিই জিতেছেন তিনি; এছাড়া ড্র করেছেন একটি ও হেরেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড এই জার্মান কোচের।
৫৭ দিন আগে
গোল উৎসব করে শীর্ষে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে যেন হুঁশ ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদের। ওই ম্যাচের পর থেকে দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
গত বৃহস্পতিবার কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে সেল্তা ভিগোকে বিধ্বস্ত করার পর এবার লা লিগায় লাস পালমাসের ওপরও রোলারকোস্টার চালিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) লিগের ২০তম রাউন্ডের ম্যাচে পালমাসকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এটুকু বললে বোধহয় ‘গোলউৎসব’ শব্দটির যথার্থতা প্রকাশ পেল না। ম্যাচে রিয়ালের আরও তিনটি গোল অফসাইডে কাটা পড়ে, যার একটি ছিল পরিষ্কার বৈধ গোল।
এদিন রেফারি ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোল পেয়ে যায় লাস পালমাস। ম্যাচের ২৮ সেকেন্ডের মাথায় সান্দ্রো রামিরেসের পাঠানো ক্রস নিখুঁত নৈপুণ্যে জালে জড়িয়ে দেন ফাবিও সিলভা।
এটি যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল খাওয়ার রেকর্ড রিয়ালের।
২০১১ সালে লস ব্লাঙ্কোসদের বিপক্ষে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি গড়েন রায়ো ভায়েকানোর মিগেল ‘মিচু’ পেরেস। শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচটিও বড় ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ৬-২ গোলের সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এছাড়া করিম বেনজেমা দুটি ও গন্সালো হিগুয়েন অপর গোলটি করেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরেও গেতাফের মাঠে জিততে পারল না বার্সেলোনা
৫৯ দিন আগে