দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা, অভ্যর্থনায় প্রস্তুত মালয়েশিয়া
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গতিশীল অর্থনীতি মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে এই সফরে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
গত বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটি সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের এক বড় সমর্থক আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু।
মালয়েশিয়া জানিয়েছে, ১৯৭২ সালে গড়ে ওঠা কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গড়ে ওঠা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে এই সফর। পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, শিক্ষা, পর্যটন এবং প্রতিরক্ষা খাতসহ অন্যান্য খাতে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন আনোয়ার ইব্রাহিম ও অধ্যাপক ইউনূস। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ও আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সফর গুরুত্বপূর্ণ ও কর্মমুখর হবে: প্রেস সচিব
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজয়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতার বিষয়ে একাধিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের সম্মানে সেরি পেরদানা কমপ্লেক্সে সরকারি ভোজসভা আয়োজন করবেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ১৩ আগস্ট জনসাধারণের সামনে বক্তৃতা দেবেন অধ্যাপক ইউনূস। এছাড়া ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) থেকে সামাজিক ব্যবসায়ে সম্মানসূচক দর্শন ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করবেন তিনি। এরপর ইউকেএমের আয়োজনে সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার কমিউনিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্কের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় তিন বিলিয়ন (২.৯২ বিলিয়ন) ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫.১ শতাংশ বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ও রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো পেট্রোলিয়াম, পাম তেল ও রাসায়নিক দ্রব্য, আর বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে তৈরি পোশাক, জুতা, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য ও অন্যান্য উৎপাদিত দ্রব্য।
১১৬ দিন আগে
অভিন্ন অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের বন্ধনে গড়ে উঠেছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতের পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী
অভিন্ন অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। এ সম্পর্কের স্থায়ী শক্তির ওপর আলোকপাত করে একে সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী অংশীদারত্বের ভিত্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের (২৬ মার্চ) বিলম্বিত উদযাপনে যোগ দিয়ে এসব বলেন তিনি।
কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সবক্ষেত্রে আন্তঃসম্পর্ক ও সংযোগ জোরদারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে এবং আমাদের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী, যা আমাদের অংশীদারত্বের মূলভিত্তি।’
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃত প্রকৃতি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক বিস্তৃত এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে পর্যটন সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগ
বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছেন, নতুন হাইকমিশনারের আগমন ও পরিচয়পত্র পেশ এবং সেই সময়ে রমজান পালনের কারণে স্বাধীনতা দিবসের (২৬ মার্চ) স্বাভাবিক সময়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, নাগরিক সমাজের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে ভবিষ্যতমুখী সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু অতীতকে স্মরণ করতেই এই সন্ধ্যা উদযাপন করছি না, বরং প্রতিবেশী ও উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার সুযোগ হিসেবেও এটি পালন করছি।’
পাশাপাশি আঞ্চলিক অংশীদারত্ব পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার সম্প্রতি ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট নেপালি জলবিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টিকে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ইউনূস-মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
তিনি আরও বলেন, ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) বর্তমান চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা পুনর্জীবিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
১৬৮ দিন আগে
ভিসা সমস্যা ও সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-আমিরাত: লুৎফে সিদ্দিকী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘সামগ্রিক পুনর্গঠনের’ অংশ হিসেবে ভিসা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক-বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনগণের চলাচল-সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক সদিচ্ছা ও বিশ্বাস গঠনের চেষ্টা অব্যাহত রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৬ জুন) ইউএইয়ের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্টস সিকিউরিটির (আইসিপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সুহেইল সাঈদ আল খাইলির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য সহকর্মীরাও ছিলেন।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘মেজর জেনারেল সুহেইলের সঙ্গে দীর্ঘ, খোলামেলা ও অকপট আলোচনা করেছি।’নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আরব আমিরাতের ভিসা বা আবাসন নীতিমালার সবচেয়ে বড় সংখ্যক লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন বাংলাদেশিরা। এখানকার মোট ভিসা লঙ্ঘনকারীর মধ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি বাংলাদেশি।’
আরও পড়ুন: সন্তান জন্মদানের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে ভিসা নবায়নের ঝুঁকি: দূতাবাসের সতর্কতা
এই সমস্যার মূল কারণ সম্ভবত বাংলাদেশে কর্মী নিয়োগের পর্যায়েই নিহিত এবং এটি এক ধরনের দুষ্ট চক্র সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন এই দূত।
তার ভাষ্যে, অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় বাংলাদেশিদের জন্য কার্যকর অভিবাসন ব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি, বিশেষ করে প্রাপ্ত বেতনের সঙ্গে তুলনা করলে।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমাদের সরকার অপরাধমূলক আচরণের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় তেমন গুরুত্বই দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিসা নীতিতে কিছু সময়ের জন্য শিথিলতা আসার পর এর অপব্যবহার বেড়ে গেলেও সরকার তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’
দূত বলেন, ‘শুধু যে অনেকে ওভার স্টে (ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও থাকা) করে (এবং গত বছরের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানাতেও ব্যর্থ হয়েছে) তা নয়, বরং বাংলাদেশিরা প্রচুর ভুয়া সনদ তৈরি করে, যা কখনো কখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিসহ পেশ করা হয়–এমন অভিযোগও রয়েছে।’
তিনি জানান, সেখানে একটি রিক্রুটমেন্ট ফার্মের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেছেন (যারা আফ্রিকা ও এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজের সুযোগ করে দেয়)। তারাও অভিযোগগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মার্চে ভিসা আংশিকভাবে চালু হওয়ার পর মধ্যস্বত্বভোগীদের কিছু উদ্বেগজনক আচরণের কথাও তিনি বেসরকারিভাবে শুনেছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সন্তোষ প্রকাশ
বিশেষ দূত জানান, তারা এখন বিভিন্ন ধরনের ভিসার (পরিবার বা দম্পতির জন্য, দেশীয় নিয়োগকর্তার মধ্যে স্থানান্তর, পর্যটক ভিসা, বিভিন্ন দক্ষতার জন্য ওয়ার্ক পারমিট, নাবিকদের জন্য ভিসা ইত্যাদি) বিষয়ভিত্তিক ভাগ করেও দেখার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে আমাদের সবাইকে অনিয়ম ও এর মূল কারণ দমন করার কাজে আরও ভালো করতে হবে। এসব অনিয়ম দীর্ঘ প্রভাব ফেলছে।’
১৭১ দিন আগে
আর্জেন্টিনার সঙ্গে ফুটবল সম্পর্ককে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের আবেগময় ফুটবল সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেজা রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনের কথা উল্লেখ ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এর ওপর ভিত্তি করে সামনে এগোতে পারি। ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আবেগপূর্ণ সম্পর্ককে অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে নিতে পারি।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ মালিকানায় তুলাভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার পাশাপাশি জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত সেজা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা দুই দেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনাময় হতে পারে। তিনি আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে বাংলাদেশের দূতাবাস খোলার বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যকার সুসম্পর্ককে আমরা দুই দেশের উপকারের জন্য ব্যবহার করতে পারি।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বর্তমানে আর্জেন্টিনার প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য তাদের অনুকূলে রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে তারা এই সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চান।
আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন, গম, ভুট্টা ও কাঁচা তুলাসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ২২ লাখ ডলারের পোশাক আমদানি করে।
তুলা, যৌথ বিনিয়োগ, ওষুধ, বস্ত্র, ফুটবল সহযোগিতা (নারী ফুটবলসহ), ক্ষুদ্রঋণ, এলএনজি, ধানের রোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর জোর দেন মার্সেলো সেজা।
আর্জেন্টিনায় ক্ষুদ্রঋণ চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট গুম প্রতিরোধে আর্জেন্টিনার সক্রিয়ভাবে গৃহীত গুম থেকে সব মানুষের সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশনে (আইসিপিপিইডি) সইয়ের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩২০ দিন আগে
ঢাকা-দিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে নিউইয়র্কে তৌহিদ ও জয়শঙ্করের বৈঠক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জয়শঙ্কর টুইটারে এক পোস্টে লেখেন, 'আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে (ইউএনজিএ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্তে কোনো হস্তক্ষেপ করব না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'অর্থবহ সম্পর্কের' ভিত্তি: পররাষ্ট্র সচিব
৪৩৭ দিন আগে
রাশিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি সমতা-বন্ধুত্ব: রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ইউরেভিচ রুদেনকো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি ছিল বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সমতা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ১৯৭২-৭৪ সময়কালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মাইন অপসারণ ও ডুবে থাকা জাহাজ উত্তোলনে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনী যে সফল অভিযান চালায়, এ বছর তার ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে তা উদযাপন করা হবে বলে ঘোষণাও দেন তিনি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৫ অক্টোবর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকন্দ্রের জন্য প্রথম পারমানবিক জ্বালানি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করেন রুদেনকো।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার ব্যাপারে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে এর আকার ও পরিধি আরও বাড়বে বলে আশা করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনবল নিতে চায় রাশিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া তথা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ-রাশিয়া উভয়েই জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় দুই দেশই একসাথে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী কর্নেল জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিন এবং মস্কো সিটি গভর্নমেন্টের মন্ত্রী সের্গেই চেরেমিন। এ ছাড়া মস্কোতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ ষাটের অধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, স্টেট ডুমার সদস্য, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ’ভিশন ২০৪১’ এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট ও উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাবে।
বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান।
রমজান মাসের কারণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ঈদ-উল-ফিতর এর পরে আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
৫৯৩ দিন আগে
পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জি২জি সরবরাহকারী হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েলকে তালিকাভুক্ত করল ঢাকা
বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তাই আপাতত এটিই ঘটতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ও সিদ্ধান্তের সংক্ষিপ্তসার হচ্ছে-বিষয়টি এমন কিছু যা কর্মকর্তারা তাদের নিজেদের মধ্যে কাজ করবেন।’
কোয়াত্রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সীমানা আন্তঃসংযোগ স্থাপনে চলমান আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, তারা ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেন। এই প্রকল্পটি তারা অনুদানের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহে সক্ষম করবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যা দুই দেশের জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যতদূর মনে পরে প্রতিরক্ষা লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে প্রথম চুক্তি এই সপ্তাহের শুরুতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে আপনারা বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছেন। এটি একটি সামান্য পরিমাণ হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন যে এটি একটি প্রতিরক্ষা এলওসি হতে পারে তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারি কাঠামোরও একটি অংশ।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতার অধীনে এটির অবতরণও রয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা হল এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
কোয়াত্রা বলেন, আলোচনার প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে একটি এবং আরও সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার একটি প্রধান দিক হল পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি স্থিতিস্থাপক সাপ্লাই চেন তৈরি করা। এই পণ্য পচনশীল ও অ-পচনশীল, বা প্রয়োজনীয় দ্রব্য, উভয় খাদ্য ও অখাদ্য হতে পারে। এই সমস্ত উপাদান উক্ত আলোচনার অংশ ছিল।
তিনি বলেন, দুই পক্ষই এই সাপ্লাই চেইনগুলোকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে এবং যতটা সম্ভব নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
১১৮৫ দিন আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান
দুই দিনের সরকারি সফরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সফরকালে সেনাবাহিনীর প্রধান সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনাবাহিনী প্রধান এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এছাড়াও জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেনেন্ট জেনারেল হামাদ এম থানি আল-রুমাইথি এর আমন্ত্রণে দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্টারন্যাশনাল দুবাই এয়ার শো-২০২১ পরিদর্শন করবেন।
আগামী ১৮ নভেম্বর সেনাবাহিনী প্রধান দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।
আরও পড়ুন: সবুজ অর্থনীতি ও কৃষি খাতে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ-তানজানিয়া
আইওআরএ সম্মেলন: চলতি সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৪৮০ দিন আগে
হাসিনা-মোদি ভার্চুয়াল বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে ‘বিস্তারিত আলোচনা’ হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ১৭ ডিসেম্বরের ভার্চুয়াল বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পুরো বিষয়গুলো নিয়ে ‘বিস্তারিত আলোচনা’ করবেন।
১৮১৬ দিন আগে
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশর সম্পর্ক দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
১৮৫২ দিন আগে