হিরো আলম
আদালত প্রাঙ্গণে হিরো আলমের উপর হামলা, কান ধরে ওঠবস
বগুড়ার আদালত প্রাঙ্গণে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম হামলার শিকার হয়েছেন। এসময় হামলাকারীরা মারধরের পর তাকে কান ধরে ওঠবস করান।
রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
ওবায়দুল কাদের, বগুড়ার সাবেক দুইজন ডিসি, একজন ইউএনওসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছিলেন হিরো আলম। তিনি মামলা করে ফেরার সময় হামলার শিকার হন।
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
তবে হামলার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, হামলার সময় তারা বলেছেন- আমি নাকি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গালমন্দ করেছি। কিন্তু আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে গালমন্দ করিনি। যদি গালি দেওয়ার কোনো ফুটেজ দেখাতে পারেন তাহলে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরে বেড়াব।
বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী নাজমুল হুদা পপন বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলার সঙ্গে বিএনপি বা কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী জড়িত নয়। হিরো আলম আওয়ামী লীগের এজেন্ট।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
তিনি বলেন, এর আগে হিরো আলম বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। আওয়ামী লীগের সময় জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
৩ মাস আগে
বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
বগুড়া- ৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী (ডাব প্রতীক) আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার বগুড়ায় এসেছি, শুক্রবার থেকে প্রচারণা শুরু করব। প্রচারণার আগে এসপি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। স্যারকে জানিয়েছি কাহালু নন্দীগ্রামে প্রচারণাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় হিরো আলম বলেন, এবার কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবো না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এজন্য নির্বাচনের মাঠে রয়েছি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
নির্বাচনের খরচের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যারা দুর্বল প্রার্থী তারাই নির্বাচনে টাকা খরচ করে। আমার নির্বাচনের খরচ যারা আমাকে ভালোবাসে তারাই দিবে। আর জনগণ আমাকে ভালবেসে ভোট দিতে আসবে।
হিরো আলম আরও বলেন, বগুড়াসহ সারাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা ইসি বারবার বলেছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোট করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ ভোটাররা বলছে তোমাকে ভোট দেব কয়বার? তুমি পাশ করলে কিন্তু এমপি হতে পারলে না। তবে ভোটারদের অনুরোধে নির্বাচনে আছি। আবার অনেকে মনে করেছে হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। এসব কারণে ভোটের মাঠে রয়েছি।’
হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৫জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা দেখার সুযোগ নেই। হিরো আলমের কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনী বিধি মেনে সহযোগিতা করবে।
এর আগে তিনি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ডাব প্রতীক বরাদ্দ নেন।
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
১ বছর আগে
জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে হিরো আলম বলেছেন, নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেব। তবে কি কারণে তা এখনই বলছি না। ওইদিনই জানাব।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) তার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ ঘোষণা দেন হিরো আলম।
তবে তার সঙ্গে ফোনে যোগযোগ করে পাওয়া যায়নি।
গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
সেদিন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল হোসেন আলম দলীয় প্রার্থী হয়েও প্রার্থীতা আবেদন পত্রে দলের নাম উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক শতাংশ ভোটার তালিকাও জমা দেননি। দলীয় ফরমের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি তার সই দেননি এবং সম্পদ বিবরণী ফরমও জমা দেননি। এসব কারণে আশরাফুল হোসেন আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো।’
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলম গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানিতে ইতোমধ্যে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ওই আসনে বর্তমান এমপি জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন ছাড়াও বৈধ প্রার্থী রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ও সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, জাতীয় পার্টির (জাপা) মোস্তফা কামাল ফারুকসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী।
এর আগে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিল রিটার্নিং অফিসার।
পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থীতা ফিরে পান হিরো আলম।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে যান তিনি। তবে বগুড়া সদরে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
১ বছর আগে
মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের করা আপিল শুনানি পর প্রথম দিনই ৫৬ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে শুনানি শুরু হয়।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৯৪টি আবেদনের ওপর শুনানি হয় আজ। শুনানিতে ৮৮টি আবেদনের মধ্যে ৫৬টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা ও ৩২টি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাকি ছয়জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মাহি বি চৌধুরী, বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ও পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী ডলি সায়ন্তনীসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।
ইসির ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিদিন ১০০টি আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও রবিবার ছয়জন আবেদনকারী অনুপস্থিত ছিলেন।
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ৫৬১ জন প্রার্থী।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১৯৮৫ মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন, যা ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যা প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি দল বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সিইসির কুশপুত্তলিকা দাহ
বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
১ বছর আগে
একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
একাধিক ত্রুটির কারণে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে জমা দেওয়া ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হলফনামায় সই না করা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা এবং সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
এছাড়া, জেলার চারটি আসনে আরও ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিভিন্ন ত্রুটির কারণে বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘প্রতি বছর আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, তাতে কিছু আসে যায় না।’
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
হিরো আলম ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তবে ভোটের মাঝপথে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে চারটির মনোনয়নপত্র নির্বাচন করা হয়েছে।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, সোমবার বাকি তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করতে চাইলে আগামী ৫-৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গেছে: হিরো আলম
১ বছর আগে
কলকাতার পরিচালকের সিনেমায় হিরো আলম
এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন হিরো আলম। এবার দেশের গন্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলার পরিচালকের সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় 'মিয়া ভাই' শিরোনামে সিনেমাটির মহরত।
জানা যায়, সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন কলকাতার নির্মাতা জামাল উদ্দিন। মহরত অনুষ্ঠানে এই নির্মাতা জানান, কলকাতায় তার জনপ্রিয়তার কারণে তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন তিনি।
‘মিয়া ভাই’ সিনেমায় বাংলাদেশ থেকে থাকছেন রিয়ামনি। এছাড়াও থাকবেন কলকাতার বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
হিরো আলম বলেন, ‘কলকাতায় আমার জনপ্রিয়তা আছে বলেই তারা আমাকে সিনেমায় নিচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক নির্মাতারই হয়তো হিরো আলমের দিকে নজর পড়েনি। তাদের হয়তো মনে হয়নি যে হিরো আলমকে দিয়ে ভালো কাজ করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে যেহেতু মনে করেছে আমাকে নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব, সেটা অবশ্যই আমার জন্য গর্বের।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে হিরো আলম অভিনীত প্রথম ছবি ‘মার ছক্কা’ মুক্তি পায়। সিনেমাটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন মঈন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
১ বছর আগে
রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
হিরো আলমের আইনজীবী আব্দুল্লাহ মনসুর রিপন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় হিরো আলম অভিযোগ করেছেন- তাকে নিয়ে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
এর আগে রবিবার (৬ আগস্ট) ডিবিতে অভিযোগের পর মামলা করতে ঢাকার আদালতে যান হিরো আলম। তিনি আদালতে প্রবেশ না করে একটি হাইয়েস গাড়ির ভেতরে বসেছিলেন। এ সময় গাড়িটি পাশের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্কিংয়ে ছিল। এ সময় তিনি গাড়িতে বসে আইনজীবী মুনসুর আলী রিপনের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
গত ১৮ জুলাই রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হিরো আলমের সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
১ বছর আগে
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
মানহানিকর মন্তব্যের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন ‘হিরো আলম’ খ্যাত আশরাফুল আলম। রবিবার (৬ আগস্ট) ডিবি কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম এ তথ্য জানান।
হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আমি ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডিবি প্রধান আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য আমি আদালতে যাব।’
গত ১৮ জুলাই রাজশাহীর ভুবনমোহন শহীদ মিনারে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে হিরো আলমকে ‘অশিক্ষিত’ বলে তিরস্কার করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
হিরো আলম বলেন, ‘তার (রিজভী) মতো একজন রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না যে আমি 'অর্ধপাগল’ ও 'অশিক্ষিত'। আমি তিনবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং আমি অর্ধপাগল হলে নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই করে আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিত না।’
তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছেন আমি অশিক্ষিত, কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। বিএনপি নেতা এমন মন্তব্য করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’
আরও পড়ুন: আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই মনে করে আমি বিএনপির কর্মী, কিন্তু বিএনপি নিজেই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। তারা আমার সম্পর্কে তুচ্ছভাবে কথা বলেছে। এমনকি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলেছেন।’
হিরো আলম বলেন, কারোরই অন্য কাউকে অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত বলার অধিকার নেই।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ঢাকা-১৭ নির্বাচনের সময় হিরো আলম তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা, হামলাসহ বিভিন্ন কারণে অতীতে আমাদের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটে (উত্তর) অভিযোগ জানাতে আমাদের কাছে এসেছেন।’
হারুন বলেন, ‘হিরো আলম যখন আমাদের কাছে আসেন, তখন আমরা দেখেছি যে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। তাই আমরা তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ ডিবির মানহানির মামলা করার কোনো অধিকার নেই।’
আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
আপনাদের নেত্রী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন, আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত: হিরো আলম
নিজের ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা’ নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
রবিবার (৬ আগস্ট) এই বিএনপি নেতার মন্তব্যের সমালোচনা করে হিরো আলম তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
এর আগে শনিবার (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বিএনপি নেতা রিজভীকে বলতে শোনা যায়, ‘হিরো আলমের মতো একজন অর্ধপাগল ও অশিক্ষিত আজকাল নির্বাচনে লড়ছেন।’
হিরো আলম বলেছেন: ‘আমি কারো বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী স্যার আমাকে পাগল বলার ভিডিও দেখেছি। তিনি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার আমার আছে। আইনে কোথাও বলা নেই যে আপনার এই পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে বা আপনাকে দেখতে সুন্দর হতে হবে।’
নিজের শিক্ষা নিয়ে বিএনপি নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘‘আমাকে অশিক্ষিত বলা হয়েছে… অথচ মনোনয়নপত্রে ‘স্বশিক্ষিত’ লেখা আছে।’’
আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে অশিক্ষিত বলে আপনারা নিজেদের অশিক্ষিত বলে গালি দিচ্ছেন। কারণ, আপনাদের দলের নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদ জিয়া অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আমি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি।’
হিরো আলম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও সমালোচনা করে বলেছেন, তার মতে তিনিও (ফখরুল) তাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন ‘হিরো আলমের মতো লোক’ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তার কথায় মনে হয় আমি তুচ্ছ এবং আমাকে উপহাস করাই যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা, জাতীয় পার্টির অনেক নেতা, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী আমাকে নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেন।’
হিরো আলম তাকে হেয় না করার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।
গত মাসে ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের সময় বনানী এলাকায় ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় লাঞ্ছিত হওয়ার পর সম্প্রতি রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হিরো আলম।
নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন কূটনীতিক মিশন এবং মানবাধিকার সংগঠন হিরো আলমের উপর শারীরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি হিরো আলমের
আ. লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না: হিরো আলম
১ বছর আগে
হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সিলেট থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকালে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু আহমেদ (২৫) উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ (তিরাঙ্গা) এলাকার ফয়সাল বারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার শ্যামল বণিক বলেন, হিরো আলমের হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে কেউ একজন ফোনে কল করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
শ্যামল বণিক বলেন, পরে সেই মামলায় আবু আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, আবু আহমেদের মোবাইল ফোন জব্দ করে তাকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি হিরো আলমের
১ বছর আগে