সিন্ডিকেট
কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ: কৃষিমন্ত্রী
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকেরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাফা নেতারা পরামর্শ করতে এলে তাদের উদ্যোগ নিতে বললাম। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।’
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় গবেষণা জোরদার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরও বেশি প্রকাশের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে যাতে কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি দ্রুত ভেঙে ফেলা যায়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও যতটুকু সম্ভব করা হচ্ছে।
বাফার সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকেরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে ও বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তাদের কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনতে হয়। যার ফলে পণ্যের দামের পার্থক্য অনেক বেশি দেখা যায়। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
বাফা সভাপতি আরও বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকরা পায় না। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।’
রোজার শুরুতে বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয় নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।’
বাফা নেতারা জানান, কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসাবে বিক্রি শুরু হয়েছে।
রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাফা।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানায় বাফা নেতারা।
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আওয়ামী লীগ মুসলমানদের ইফতারের আয়োজনে উপর হামলা চালিয়েছে।
রিজভী বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও তাদের সংস্কৃতিকে দুর্বল করে এবং আলেম-ওলামাদের (ইসলামি পণ্ডিত) সম্প্রদায়কে দমন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
তিনি দাবি করেন, তারা তাদের প্রভুকে খুশি করার জন্য এটি করে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইফতার ছাড়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইফতার আয়োজকরা আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
মুসলমানরা যখন কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চায়, তখন কাদের ও তার দলের নেতারা কেন লজ্জিত হন বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা।
কখনো আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ তাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ হারাতে যাচ্ছে, কারণ তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি আওয়ামী লীগ সরকার গরিব মানুষের কণ্ঠস্বরকে ন্যূনতম পাত্তা দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের রমজানে ক্ষুধার্ত মানুষের ‘এসওএস বার্তা’ শুনতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের একজন সাবেক মন্ত্রীর লন্ডনে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ৩৫০ টিরও বেশি সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তারা দুবাই, কুয়ালালামপুর, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় অর্থ পাচার করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না, পাশাপাশি তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
কয়েকটি গণমাধ্যম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও ফ্যাক্ট চেক ছাড়া শুধু শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবস্থাপত্র মেনে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জনগণ এখন বিশ্বাস করে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকাটি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে এবং সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এই ধরনের সিন্ডিকেট সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এবং নির্বাচিত সরকারের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
কাদের তার সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানেও পণ্যের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। সরকার এখানে নিষ্ক্রিয় নয়। সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সময় দিচ্ছেন। এখানে আমাদের কোনো অবহেলা নেই। গ্যাস, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির মুখে গোটা বিশ্ব। এই সংকট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও চলছে।’
আরও পড়ুন: ছেলেদের যেন অক্ষত ফিরে পাই সেই ব্যবস্থা করুন: এমভি আবদুল্লাহ’র সিও আতিকের মা
সম্প্রতি সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ ও ক্রুদের ছিনতাইয়ের বিষয়ে মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের মুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ২৬ জন ক্রু সদস্যের বীমা করা আছে এবং তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নেতিবাচক প্রভাব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডক্টর ইউনুস একজন ব্যক্তি। জানতে চাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কে? তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের আইন আদালত আছে। যা সবার জন্য সমান। এখানে শ্রমিকেরা পাওনা না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইন আদালত সব দেশের নিজস্ব ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস তার কর্মজীবনের কারণে জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ বন্ধু: মুখপাত্র
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রোজায় পণ্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই। তাই দাম বেড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই।
সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
বুধবার (১০ জানুয়ারি) নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনও আলু, কখনও ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না। এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়।
মেয়র বলেন, যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারও চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ সকল কারসাজি করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ আয়োজন করা হবে: মেয়র তাপস
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরও কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই এ সব সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্য সকলের জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী
আলুর দাম স্থিতিশীল রাখতে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘ কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় ও সিন্ডিকেটের কারণে আলুর দাম বেড়েছে। আমরা সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘গতবছর দাম কম পাওয়ায় এ বছর আলুর উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তা ছাড়া আমরা কিছু আলু রপ্তানি করেছি। তারপরও আলুর দাম এত বেশি হওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ৪৮ ঘণ্টা কেন, ৪৮ দিনের আল্টিমেটামেও বিএনপি সফল হবে না। নির্বাচনের আর তিন মাস বাকি আছে। এই তিন মাসে বিএনপি যত আল্টিমেটাম দিক, বোমাবাজির কথা বলুক, সন্ত্রাসের কথা বলুক-কিছুতেই তারা সফল হবে না।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আমেরিকা ভিসানীতি দিয়ে থাকতে পারে। কী কারণে সেটি করেছে, তা জানি না। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন। তার অধীনেই সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। জানুয়ারি মাসেই এই নির্বাচন হবে। কারও ভিসানীতিতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। ভিসা দিয়ে বা না দিয়ে কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।
এসময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ও কৃষি বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে মধুপুর উপজেলার বানরগাছী মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আ. লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ার উচিত তদন্ত করা, রোহিঙ্গা পাচারে সিন্ডিকেট ভূমিকার জন্য কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করা: ফোর্টফাই রাইটস
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের উচিত ওয়াং কেলিয়ানে আবিষ্কৃত রোহিঙ্গাদের গণকবরের বিষয়ে একটি নতুন তদন্ত শুরু করা এবং মানব পাচারকারী সিন্ডিকেটের শনাক্তকরণ, তদন্ত এবং বিচারের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই অবহেলার প্রমাণ পাওয়া কর্মকর্তাদের বিচার করা উচিত,
বৃহস্পতিবার ফোর্টফাই রাইটস এই দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
গত সপ্তাহে, মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পার্লিসের একটি আদালত মালয়েশিয়ার অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সনস এবং অ্যান্টি স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্টস অ্যাক্টের অধীনে অপরাধের জন্য চার থাই নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে, যাদেরকে থাই সরকার প্রত্যর্পণ করেছে।
অভিযোগগুলো ২০১৫ সালে মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় জাতিগত নিধনের সময় রোহিঙ্গাদের পাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
গণকবর, পাচার হওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া।
২০১৯ সালে ফোর্টিফাই রাইটস এবং মালয়েশিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্যুকাম ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় পাচারের একটি বৃদ্ধি পেয়েছে যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ গঠন করেছে৷
মালয়েশিয়ার একটি রয়্যাল কমিশন অব ইনকোয়ারি (আরসিআই) পরবর্তীতে ২০২০ সালে আবিষ্কার করেছিল যে মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের পাচার এবং ২০১৫ সালে ওয়াং কেলিয়ানে আবিষ্কৃত গণকবরগুলো রোধ করতে পারতেন।
ফোর্টফাই রাইটসের সিনিয়র অ্যাডভোকেসি বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিক ফংসাথর্ন বলেছেন, ‘যদিও এই নতুন অভিযোগগুলোকে স্বাগত জানানো হয়, ধাঁধার একটি বড় অংশ অনুপস্থিত এটি এই নৃশংস অপরাধে মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের বিচার।’
রোহিঙ্গাদের রক্ষা করুন, করোনভাইরাস থেকে স্বাগতিক সম্প্রদায়গুলোকে রক্ষা করুন: অধিকার সংরক্ষণ করুন
‘মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গণপাচার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মালয়েশিয়ার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মুখোমুখি হয়নি। এটি অন্তত অপরাধমূলক অবহেলার প্রমাণ সত্ত্বেও।"
বৃহস্পতিবার জারি করা এক বিবৃতিতে, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে যে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের থাই সমকক্ষদের কাছে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রত্যর্পণের অনুরোধে নাম দেওয়া দশজনের মধ্যে চারজন প্রত্যর্পিত ব্যক্তি।
তারা হলেন- জেহপা লাপি-ই (৫৬), সোমফোন এ-ড্যাম(৫১) অরুণ কাইওফাইনোক(৩০) এবং আমরি নেসালেহ (৫৮) আনুমানিক এক লাখ ৭০ হাজার মহিলা পাচারকারী একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। ২০১২ এবং ২০১৫ সালের মধ্যে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় পুরুষ এবং শিশুরা পাচার হয়েছেন।
বহু বছরের তদন্ত এবং বেঁচে যাওয়া এবং অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ২৭০ টিরও বেশি অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রেখে ফোর্টফাই রাইটস এবং সুহাকাম ২০১৯ সালে ১২১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পাচার হওয়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথি অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ফরটিফাই রাইটস এবং সুহাকাম ব্যাপক ও পদ্ধতিগত অপব্যবহার উন্মোচন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কারাবাস, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, বঞ্চনা দ্বারা মৃত্যু, ধর্ষণ এবং স্থল ও সমুদ্রে হত্যা।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রমাণ নষ্ট করে এবং নিহতদের লাশ উত্তোলনে বিলম্ব করে বিচার বাধাগ্রস্ত করেছে। এই ফলাফলগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে কয়েকটি মালয়েশিয়ান সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আরসিআই -এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে ব্যাক আপ করা হয়েছে যাতে ফোর্টিফাই রাইটস এবং সুহাকামের নথিভুক্ত অপরাধের তদন্ত এবং জবাবদিহিতা চাওয়া হয়।
২০২২ সালের জুলাইতে ফোর্টিফাই রাইটস আবিষ্কার করেছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরবে আরসিআই’র চূড়ান্ত রিপোর্ট তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
লেখার সময়, প্রতিবেদনের একটি বাহাসা মালয়েশিয়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রয়ে গেছে। প্রতিবেদনের একটি ইংরেজি-ভাষা সংস্করণ সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ ছিল কিন্তু সেপ্টেম্বরের শুরুতে ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুটি সংস্করণই ফরটিফাই রাইটসের সঙ্গে ফাইলে রয়েছে।
আরসিআই রিপোর্টে দেখা গেছে যে মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি পাচারের শিকারদের নির্যাতন ও মৃত্যু রোধ করতে পারতেন এবং সেই সরকারি অবহেলা রোহিঙ্গা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার জন্য দায়ী মানব পাচারকারী সিন্ডিকেটের শনাক্তকরণ এবং সঠিক তদন্তে বাধা সৃষ্টি করেছে।
আরসিআই-এর প্রতিবেদনে বিস্তারিত একটি উদাহরণে, প্রাক্তন মহাপরিদর্শক-পুলিশ খালিদ বিন আবু বকর ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাথমিক আবিষ্কারের পরে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ওয়াং কেলিয়ানে পাওয়া মানুষের দেহাবশেষের উত্তোলন বিলম্বিত করেছিলেন।
ফলস্বরূপ, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ১১৪ ভুক্তভোগীর মধ্যে মাত্র দুজনের মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করেছেন, যা শেষ পর্যন্ত দায়বদ্ধতার প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দেয়।
ফোরটিফাই রাইটস বেঁচে থাকাদের সাক্ষ্যও নথিভুক্ত করেছে যা পাচারকারী সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়।
২০১৭ সালে থাইল্যান্ড রোহিঙ্গাদের পাচার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য একজন ঊর্ধ্বতন সেনা জেনারেল এবং থাইল্যান্ডের অন্যান্য আট সরকারি কর্মকর্তা সহ ৬২ জন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ার আদালত ওয়াং কেলিয়ানে আবিষ্কৃত গণকবরের সঙ্গে যুক্ত পাচার-সম্পর্কিত অপরাধের জন্য মাত্র চারটি অ-মালয়েশিয়ান ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
ফরটিফাই রাইটস আজ বলেছে, মালয়েশিয়ার নতুন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পুলিশ কনডাক্ট কমিশন (আইপিসিসি) ওয়াং কেলিয়ানের অফিসিয়াল অপরাধমূলক অবহেলার তদন্ত শুরু করা উচিত।
আইপিসিসি প্রতিষ্ঠাকারী আইন, স্বাধীন পুলিশ আচরণ কমিশন আইন ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে৷
আইপিসিসি’র দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সততা প্রচার করা, জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষা করা, অসদাচরণ মোকাবিলা করা এবং পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অভিযোগগুলো পরিচালনা করা।
মালয়েশিয়ার সুশীল সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে আইপিসিসি পুলিশের অন্যায়ের তদন্তে নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে না।
২০১৭ সালে মালয়েশিয়া অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সন অ্যান্ড স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্টস অ্যাক্ট পাস করে, যা মানব পাচারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এবং প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের তদন্তের দায়িত্বের বিবরণ দেয়।
মালয়েশিয়া পেনাল কোড ২০১, ২১৭ এবং ২১৮ ধারার অধীনে সরকারি অবহেলার জন্য ফৌজদারি দণ্ডও নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: বর্ষার বৃষ্টির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈদুল আজহা উদযাপন
চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা বাম প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্যানেল হলুদ দলের ভরাডুবি হয়েছে।
নির্বাচনে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক চারটি পদের তিনটিতে জিতেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের প্রার্থীরা। অপর দুই পদে হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী’ (আরেকটি অংশ) প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র একটি সহকারী অধ্যাপক পদে হলুদ দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামাতপন্থী সাদা দলের প্রার্থী ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী অর্থনীতি বিভাগের ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ আলী এবং প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন।
আরও পড়ুন: চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে শিমুল ও নুর
সোমবার (৬ মার্)সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ।
এই নির্বাচনে চার পদে মোট ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এদের মধ্যে ১২ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বাঙালি জাতীয়াতাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের (হলুদ দল)।
চবিতে বর্তমানে হলুদ দল প্রশাসনপন্থী (বিদ্রোহী) ও প্রশাসনবিরোধী দুই ভাগে বিভক্ত। এ ছাড়া নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী সাদা দল থেকে একজন ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে দু'জন অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: চবি ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত
ঢাবি সিন্ডিকেট নির্বাচন: আওয়ামীপন্থী নীল দলের জয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের পরিষদ (নীল প্যানেল) জয়লাভ করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নওয়াব আলী হলে সিনেট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের প্রতিনিধি নির্বাচিত শিক্ষকরা হলেন- হল প্রভোস্ট প্রতিনিধি হিসেবে ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক প্রতিনিধি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু হোসেন মোহাম্মদ আহসান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, একাডেমিক কাউন্সিলের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ড. ইসমাত রহমান, প্রভাষক প্রতিনিধি হিসেবে মেডিসিন টেকনোলজি বিভাগের এএসএম মঞ্জুর আল হোসাইন এবং সিন্ডিকেটের অর্থ কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস ডিপার্টমেন্টর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কোনো শিক্ষক আর নিজের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে পড়াতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী
নির্বাচনের ফলাফল বিকাল ৩টায় প্রকাশ করা হলে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী (নীল প্যানেল) বিজয়ী হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এই কমিটি আগামী দু’বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী কমিটি নির্বাচিত বা মনোনীত না হয়ে দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ছয়জন একাডেমিক কাউন্সিলের শিক্ষক প্রতিনিধিরা হলেন- কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ড. ইসমাত রহমান, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিসেস মন্দিরা চৌধুরী, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ, সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক ক্যাটাগরিতে মেডিসিন টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মঞ্জুর আল হোসাইন, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম আশরাফুজ্জামান এবং মেট্রোলজিক্যাল সাইন্স বিভাগের প্রভাষক মমিন ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের তালা
বাগেরহাটে অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বৃদ্ধি, মিলমালিকদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ
বাগেরহাটের খুচরা বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর পাইকারি বাজারে ২৫ কেজির এক বস্তা চালের দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বাড়ায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ধাক্কা লেগেছে। মিল থেকে চাহিদা মতো চাল পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। চাল ব্যবসায়ীদের দাবি মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এ অবস্থায় চালের বাজার কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সম্প্রতি বাগেরহাট শহরের চাউপট্টি এবং নাগেরবাজারে খুচরা ও পাইকারি চালের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, চালের অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা নানা কথায় জড়াচ্ছেন। চালের মূল্য এত বেশি কেন ক্রেতাদের এমন প্রশ্নে দোকানিদের উত্তর, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চালের দাম বেড়েছে। যে মূল্যে চাল ক্রয় করা হচ্ছে সেই হারে বিক্রি করা হচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই। দোকানিদের এমন উত্তরে ক্রেতারা খুশি নয়। নিম্ন আয়ের অনেক খুচরা ক্রেতাকে প্রয়োজনের তুলনা কম পরিমাণ চাল নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাগেরহাটে চালের দাম বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখানে খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। এমনকি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা মোটা চালেরও দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুযোগ বুঝে খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো দাম বেঁধে চাল বিক্রি করছেন। আর একের পর এক হাত বদলে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে চালের দাম আরও বাড়ানো হচ্ছে।
নাগেরবাজার এলাকার পাইকারি চাল বিক্রেতা প্রদীপ কুমার সাহা জানান, তাদের যে পরিমাণ চালের দরকার অর্ডার দিলেও তা পাচ্ছে না। ১০০ বস্তা চালের অর্ডার দিলে মোকাম থেকে মাত্র ২০ বস্তা চাল দিচ্ছে। এ অবস্থায় চালের ঘাটতি দেখা গিয়েছে।
তিনি জানান, ৬ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কেজি বেড়ছে চালের দাম বেড়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি মিলমালিকদের সিন্ডকেটের কারণে চালের দাম বেড়েছে বলে ওই ব্যবসায়ী জানান।
ফলপট্টি-মসজিদ রোডের খুচরা চাল ব্যবসায়ী প্রবীর সাহা অভিযোগ করে বলেন, চালের মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে চালের দাম বাড়িয়েছে। অস্বাভাবিক হারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের কাছে তাদের হেনস্তা হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় চালের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।
নাগেরবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী গোপাল সাহা জানান, দিনমজুর এবং নিম্ন আয়ের মানুষ সাধারণত যে ধরণের চাল খায় বাজারে সেই চালের বেশি সংকট। চাহিদা অনুযায়ী সেই চাল পাওয়া যাচ্ছেনা। নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদার চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা। বাজারে চালের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী।
পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক