সিন্ডিকেট
নতুন টেলিকম নীতিমালায় স্বৈরাচার-মাফিয়াদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে: তৈয়্যব
দেশের ইন্টারনেট-টেলিকম খাত বিগত স্বৈরাচারের দোসর ও মাফিয়া সিন্ডিকেটের কুক্ষিগত। এই সিন্ডিকেট ভাঙতেই নতুন টেলিকম নীতি করছে সরকার।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নতুন টেলিকম নীতির খসড়া প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন অনেক লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু রয়েছে, যা বিশ্বের কোথাও নেই। এসব অদ্ভুত লাইসেন্স ব্যবস্থার আশ্রয় নিয়ে শত শত কোটি টাকা লুট করেছে এ খাতের সিন্ডিকেট ও মাফিয়ারা।
তৈয়্যব বলেন, মাত্র ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে লাইসেন্স নিয়ে প্রতিবছর এসব ভূইফোঁড় কোম্পানি ৪০০ কোটি টাকা করে লুট করছে। গত ১৫ বছরে এমন ৩ হাজার ৪০০’র বেশি কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছে তৎকালীন সরকার।
এসব কোম্পানি থেকে মাত্র ৫০ শতাংশ রাজস্ব পায় সরকার। বাকি টাকা পুরোটাই লুটপাট হয়। এই লুটপাট বন্ধে নতুন টেলিকম লাইসেন্সিং পলিসি নেওয়ার কাজ চলছে বলে জানান তৈয়্যব।
তিনি বলেন, এতদিন টেলিকম খাতের এসব লাইসেন্স পেতে সাত থেকে আটটি ধাপ পেরিয়ে আসতে হতো। এতে করে এ খাতে অনেক মধ্যস্বত্বভোগী সৃষ্টি হয়েছে, যারা টোল আদায়ের মতো করে অবৈধভাবে টাকা তুলছে।
নতুন লাইসেন্সিং ব্যবস্থায় দেশীয় কোম্পানির ক্ষতি হবে এটি মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, যাদের লাইসেন্সের মেয়াদ আছে, তাদের থেকে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে না। তবে নতুন করে লাইসেন্স নবায়ন করতে চাইলে নতুন নীতিমালার আওতায় আগাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ১৭ কোটি ৫৭ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই কর্মক্ষম
বাংলাদেশের ইন্টারনেট প্রসঙ্গে তৈয়্যব বলেন, এদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুবই নিম্নমানের। এতদিন দেশের ইন্টারনেটের ৭০ শতাংশ ভারতনির্ভর ছিল। অনেক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যান্ডইউথ নিয়ে আসতো।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম করেছি ইন্টারনেট ব্যবসা করতে হলে দেশের সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ ইন্টারনেট আনতে হবে। বিটিআরসির সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে- কেপিআই সিস্টেম চালু করে ইন্টারনেটের মান নির্ণয় করা হবে। যারা খারাপ মানের ইন্টারনেট দিবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
এ ছাড়া, ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন স্পিড ৫ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১২-১৫ এমবিপিএস করতে এ খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনকে অনুরোধ করা হয়েছে। কেননা ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেটকে আর যা হোক ব্রডব্যান্ড বলা যায় না, বলেন তৈয়্যব।
তৈয়্যব জানিয়েছেন, বিগত আমলে আইসিটি এবং টেলিকম খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতি রুখতে দুই খাতে আলাদা আলাদা শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আইসিটি খাতে নতুন করে কোনো দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তৈয়্যব বলে, এ খাতে নতুন কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নতুন নীতিমালা তৈরিতে কাজ করছে সরকার।
১৫০ দিন আগে
আইনজীবীদের সিন্ডিকেটের কারণে আইনি ব্যয় বাড়ছে: আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের একটি সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশে আইনি ব্যয় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত 'ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেটিক রিকনস্ট্রাকশন-অন জুডিসিয়ারি' শীর্ষক সংলাপে তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বিচার বিভাগের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একজন নিয়মিত আইনজীবীর পারিশ্রমিক ২০ হাজার টাকা হতে পারে, কিন্তু আদালতে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে অনেক সময় বিচারপ্রার্থীরা সিন্ডিকেট আইনজীবী নিয়োগ দিতে বাধ্য হন, যারা জামিন পেতে বা অনুকূল ফলাফলের জন্য পাঁচ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নেন।’
ওই রকম অত্যধিক ব্যয় বহন করতে অক্ষমদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সাধারণ আইনজীবীদের পরিচালিত মামলাগুলো সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।’
তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সাধারণ আইনজীবীরা মক্কেলদের নিরাপত্তা দিতে না পেরে ক্রমেই দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন।
জামিন আবেদনের তালিকা দ্রুত করতে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করায় বেঞ্চ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
তিনি উল্লেখ করেন, 'ঘুষ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে রায় দিতে তিন বছর দেরি হয়েছে, এমন উদাহরণ আমি দেখেছি। বিচারকদের রাজনৈতিক নিয়োগ বিচার বিভাগের মধ্যে দুর্নীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিচার ব্যবস্থাকে যখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তখন বিচারকরা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।’
এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি একটি সূক্ষ্ম প্রশ্ন রেখে বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট কেন ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করল? এই সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।’
মামলা জট
বিচার ব্যবস্থায় মামলার জট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর। তিনি বর্ণনা করেন, কীভাবে অ্যানেক্স ভবনের বাথরুমের সামনের জায়গাসহ অপর্যাপ্ত জায়গায় ফাইল এলোমেলোভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
তিনি দক্ষতা বাড়াতে মামলা ব্যবস্থাপনাকে জরুরি ভিত্তিতে ডিজিটালাইজেশনের আহ্বান জানান। ‘বর্তমানে নতুন করে মামলা না হলেও বিদ্যমান ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তি করতে কমপক্ষে ৩০ বছর সময় লাগবে।’
বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রসিকিউটর।
তিনি দুর্নীতি মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অদক্ষতায় জর্জরিত বিচার ব্যবস্থার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল সমাধান গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার চাইবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
৩৪৬ দিন আগে
টেন্ডারের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য টেন্ডারের (দরপত্র) মাধ্যমে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে, এই সিন্ডিকেটটাকে ভাঙতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ক্রয় প্রক্রিয়ায় ‘পিপিএ-২০০৬’ এবং ‘পিপিআর-২০০৮’- এর বিধি-বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমনের ফসলহানীতে সৃষ্ট ঘাটতি ঠেকাতে চাল আমদানি করা হচ্ছে: খাদ্য উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। এ কাজগুলোকে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাব মুক্ত করা যাচ্ছে না। যে মন্ত্রণালয়গুলোর বেশি কাজ থাকে। আমরা বসেছিলাম এখানে কোথায় কোথায় সংশোধন আনলে আমরা এই বিষয়টাকে নির্ধারণ করতে পারব। এখানে কোন ঠিকাদার কাজ পাবে, কোন ঠিকাদার কাজ পাবে না, সেটা নিয়ে কথা হয়নি।’
তিনি বলেন, 'কোন কাজের সর্বনিম্ন একটা টাকা আমরা ঠিক করলাম। সর্বনিম্ন এ টাকার কথা গোপন থাকার কথা, কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়ে যায়। তাই ঠিকাদাররা আর সেটার নিচে নামেন না।'
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেভাবে টেন্ডারের (দরপত্র) মাধ্যমে কাজ চলছে এটা একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এটাকে ভাঙতে হবে। পাবলিক প্রক্রিউরমেন্টের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় আছে, কোথায় কোথায় সংযোজন-বিয়োজন করলে আমরা এই সিন্ডিকেটটা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব, সেটা বোঝার জন্যই আজকের এই আলোচনা।’
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার প্রক্রিয়াটা আজকে শুরু হলো। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়।
প্রকল্পের তথ্য প্রকাশ করা হয় না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আগে ত্রাণ দেওয়ার সময় একটা বোর্ডে লেখা থাকত- এত মন গম, এত মন চাল। এটাই আমরা বললাম। আপনি যে বলছেন ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ব্রেক ডাউনটা যাতে জেলা প্রশাসকরা প্রকৃত উপকার ভোগীদের ডেকে এনে আলোচনা করে, যে এটা হবে। জেলা প্রশাসক তার মনোনীত লোকদের ডেকে গণশুনানি করলে তো হবে না।’
অনেক সময় প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় বাড়ানো হয়। এতে অনেকে লাভবান হয়। সেই বিষয়গুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
৩৮৭ দিন আগে
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: জামায়াত আমির
জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তারা জাতির ঘাড়ে এখনও বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
বিগত সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে নারীদের সবোর্চ্চ সম্মানের সঙ্গে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সবাই মিলেমিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, যারা একদিন গর্ব করে বলতেন এ দেশে জালিম কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। দেশ থেকে জালিমদের বিতারিত করতে হবে। অথচ আজ তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
তিনি বলেন, বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।
জামায়াতের প্রধান বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকার দ্বারা নির্যাতিত। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নির্যাতিত ও মজলুম দল। এই দলের নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে জুলুম করে গুম, খুন করা হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পাঁয়তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমিক আলেম-ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
৪১৩ দিন আগে
নৌপথে পণ্য পরিবহনের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নৌপরিবহন শিল্পকে এগিয়ে নিতে নৌপথে পণ্য পরিবহনে তথাকথিত মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় দ্রুততম সময়ে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০২৪ জারি করা হবে। একইসঙ্গে এই নীতিমালার যাতে সঠিক প্রয়োগ হয় সেটিও নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
দেশের নদীপথে নৌযানের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের আমদানি ও রপ্তানির ৮০ ভাগ পণ্য স্বল্প খরচে নৌপথে পরিবহন করা হয়। অর্থনীতিতে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমান সরকার নৌপরিবহন শিল্পের বিকাশ ও সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের সকল সিস্টেম ভেঙ্গে পড়েছে। নৌপরিবহন খাতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিনের প্রচলিত সিরিয়াল প্রথাকে ভেঙে একতরফা পণ্য পরিবহন করে নৌ সেক্টরে একটি অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। এ সময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দরসহ নৌ সেক্টরে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নৌপথে ফিটনেসবিহীন ভেসেল সম্পর্কে তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোস্ট গার্ডকে এ সকল নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপদেষ্টাকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা, ২০২৪ দ্রুত জারি ও প্রয়োগ করার অনুরোধ জানান।
তারা বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগে নৌ সেক্টরে নবদিগন্তের সূচনা ঘটবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) দেলোয়ারা বেগম, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদ আহমেদসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
৪১৫ দিন আগে
সিন্ডিকেটের শুধুমাত্র সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
সিন্ডিকেট ভাঙতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, 'শুধু সিন্ডিকেটের সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে।’
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি লেখেন, 'ট্রাকে থাকা অবস্থায় শুধু কারওয়ান বাজারেই চারবার হাতবদল হয়।’
সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাসনাত।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬.৭৮ শতাংশ: ইপিবি
৪২১ দিন আগে
কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি সিন্ডিকেট ভাঙার বড় উদ্যোগ: কৃষিমন্ত্রী
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকেরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাফা নেতারা পরামর্শ করতে এলে তাদের উদ্যোগ নিতে বললাম। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।’
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় গবেষণা জোরদার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরও বেশি প্রকাশের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে যাতে কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি দ্রুত ভেঙে ফেলা যায়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও যতটুকু সম্ভব করা হচ্ছে।
বাফার সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকেরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে ও বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তাদের কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনতে হয়। যার ফলে পণ্যের দামের পার্থক্য অনেক বেশি দেখা যায়। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
বাফা সভাপতি আরও বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকরা পায় না। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।’
রোজার শুরুতে বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয় নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।’
বাফা নেতারা জানান, কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসাবে বিক্রি শুরু হয়েছে।
রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাফা।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানায় বাফা নেতারা।
৬১৬ দিন আগে
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আওয়ামী লীগ মুসলমানদের ইফতারের আয়োজনে উপর হামলা চালিয়েছে।
রিজভী বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও তাদের সংস্কৃতিকে দুর্বল করে এবং আলেম-ওলামাদের (ইসলামি পণ্ডিত) সম্প্রদায়কে দমন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
তিনি দাবি করেন, তারা তাদের প্রভুকে খুশি করার জন্য এটি করে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইফতার ছাড়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইফতার আয়োজকরা আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
মুসলমানরা যখন কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চায়, তখন কাদের ও তার দলের নেতারা কেন লজ্জিত হন বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা।
কখনো আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ তাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ হারাতে যাচ্ছে, কারণ তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি আওয়ামী লীগ সরকার গরিব মানুষের কণ্ঠস্বরকে ন্যূনতম পাত্তা দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের রমজানে ক্ষুধার্ত মানুষের ‘এসওএস বার্তা’ শুনতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের একজন সাবেক মন্ত্রীর লন্ডনে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ৩৫০ টিরও বেশি সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তারা দুবাই, কুয়ালালামপুর, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় অর্থ পাচার করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না, পাশাপাশি তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
কয়েকটি গণমাধ্যম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও ফ্যাক্ট চেক ছাড়া শুধু শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবস্থাপত্র মেনে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জনগণ এখন বিশ্বাস করে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকাটি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
৬২৯ দিন আগে
সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সরকার: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে এবং সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এই ধরনের সিন্ডিকেট সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এবং নির্বাচিত সরকারের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
কাদের তার সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানেও পণ্যের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। সরকার এখানে নিষ্ক্রিয় নয়। সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সময় দিচ্ছেন। এখানে আমাদের কোনো অবহেলা নেই। গ্যাস, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির মুখে গোটা বিশ্ব। এই সংকট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও চলছে।’
আরও পড়ুন: ছেলেদের যেন অক্ষত ফিরে পাই সেই ব্যবস্থা করুন: এমভি আবদুল্লাহ’র সিও আতিকের মা
সম্প্রতি সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ ও ক্রুদের ছিনতাইয়ের বিষয়ে মন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, তাদের মুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ২৬ জন ক্রু সদস্যের বীমা করা আছে এবং তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নেতিবাচক প্রভাব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডক্টর ইউনুস একজন ব্যক্তি। জানতে চাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কে? তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের আইন আদালত আছে। যা সবার জন্য সমান। এখানে শ্রমিকেরা পাওনা না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইন আদালত সব দেশের নিজস্ব ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস তার কর্মজীবনের কারণে জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ বন্ধু: মুখপাত্র
৬৩০ দিন আগে
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বীজ-সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা বাড়ানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রোজায় পণ্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই। তাই দাম বেড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই।
সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী
৬৩৩ দিন আগে