পাহাড় ধস
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
দুই দিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত শুরু হয়েছে।
এতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কবার্তা জারি করেছে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
এদিকে প্রশাসনের টিম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে সশরীরে এবং মাইকিং করে এ সতর্কবার্তা প্রচার করছে।
টানা বর্ষণের কারণে এ নির্দেশনা জারি করেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য পরিস্থিতি এড়াতে ও জানমালের ক্ষতি রক্ষায় শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির ঝুঁকিপূর্ণ বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ হাসানসহ প্রশাসনের লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে টাইগার পাসে পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ, মাইক্রোবাস আটকা
টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার-টাইগার পাস সড়কের পাশে পাহাড় ধসে রাস্তার একপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে নগরীর অন্যতম প্রধান সড়কটির পাশের পাহাড়ের একাংশ ধসে রাস্তায় একটি মাইক্রোবাসের উপরে পড়ে। তাতে মাইক্রোবাসটি ধসে পড়া মাটিতে আটকে যায়, তবে কেউ হতাহত হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, লালখান বাজার থেকে টাইগার পাস মোড় পর্যন্ত ৪০০ মিটারের মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ করছে। এ কাজে কয়েকমাস আগে পাহাড় কেটে সড়ক প্রশস্ত করে। এ কারণে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
মাইক্রোবাসটির চালক জীবন বলেন, সকালে আমি বহদ্দারহাট থেকে গাড়ি নিয়ে আগ্রাবাদ যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে একটা বিকট শব্দ হয়। দেখি পাহাড় ভেঙে পড়ছে।একটা বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ল। একটা গাছ দুই টুকরো হয়ে গেল। মাটি এসে আমার গাড়ি চেপে ধরল। আমি তখন ছিটকে গাড়ি থেকে বাইরে পড়ে যাই। গাড়িতে আমি একাই ছিলাম।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি উদ্ধারকারী দল। তারা ধসে পড়া মাটি সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।
তবে বিপরীতমুখী লেনে যানবাহন চলাচল করছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি উদ্ধারকারী দল। তারা ধসে পড়া মাটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মেয়রের বাড়িতে ‘হাটুজল’
চট্টগ্রামে পাচারকালে বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, বাস চালকের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ৩৫ হাজার পরিবার
টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনা বেড়েছে। ঝুঁকি জেনেও শুধু পৌর এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি পরিবার। বৃষ্টি বাড়লে বাড়বে পাহাড় ধসের ঘটনা ।
৪ বছর আগে