শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বেই এইচএসসির ফলাফল জানবেন যেভাবে
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি)।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন। তবে তার আগেই বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল আপলোড করা হবে। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে যে কেউ রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএস করে ফলাফল দেখতে পারবেন।
নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল আপলোড করা হবে। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে যে কেউ রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পাবেন।
মোবাইলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল দেখবেন যেভাবে
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবারও স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসেই পাওয়া যাবে ফল।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
আলিম পরীক্ষার ফলাফল জানবেন যেভাবে
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল জানবেন যেভাবে
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ আজ, মোবাইলে ফলাফল জানবেন যেভাবে
১ বছর আগে
বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে ৩ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে আগামী তিন বছরে এডিবি দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এডিবি অফিসে মাসাতসুগু আসাকাওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন দীপু মনি ।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ও এডিবি প্রেসিডেন্ট সংস্থাটির অর্থায়নে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে চলমান প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে এডিবি’র অর্থায়নে ভবিষ্যত প্রকল্প নিয়েও আলোচনা করেন। এর আগে ২৪ নভেম্বর দীপু মনি এডিবি আয়োজিত ‘হাউ টু রিকভার লার্নিং লসেস ফ্রম কোভিড-১৯ স্কুল ক্লোজারস’ সেমিনার, ‘আইএফএফইডি (ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স ফ্যাসিলিটি ফর এডুকেশন) উদ্যোগ ও এডিবি এডুকেশন সেক্টর ডিরেকশনাল গাইড’ এবং এডিবি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘স্ট্রাটেজিক থ্রাস্টস ফর বাংলাদেশ এডুকেশন সেক্টর অপারেশন’ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
দীপু মনি কোভিড-১৯ এর সময়ে বাংলাদেশে যথেষ্ট সহায়তার জন্য; বিশেষ করে বাজেট সহায়তা ও ভ্যাকসিন সংগ্রহে অর্থায়নের জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি এডিবি প্রেসিডেন্টকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
এডিবি’র অবদানের কথা স্বীকার করার করে দীপু মনি বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে, বিশেষ করে আইসিটি ও কারিগরি শিক্ষায় সংস্থাটির আরও সহায়তা কামনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি ফর এডুকেশন (আইএফএফইডি) থেকে বর্ধিত অর্থের জন্য অনুরোধ করেন। এডিবি হচ্ছে আইএফএফইডি-এর একটি বাস্তবায়নকারী অংশীদার।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য জিডিপির ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ মূল্যের বিশাল উদ্দীপনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি, সার ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে অর্থনীতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। দীপু মনি কাউন্টারসাইক্লিকাল সাপোর্ট সুবিধাসহ বাংলাদেশকে এডিবি এর সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন।
এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবেং গুসি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন জানান।
এসময় মাসাতসুগু বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অর্জনের; বিশেষ করে সামাজিক খাত, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম ঋণ থাকা দেশের মধ্যে অন্যতম: এডিবিকে অর্থমন্ত্রী
এডিবি প্রেসিডেন্ট মানসম্পন্ন শিক্ষায় সকল শিশুর সুষম প্রবেশাধিকার, শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির পরিবর্তনকে কাজে লাগানোর ও উন্নয়নে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ওপর জোর দেন।
তিনি দেশীয় সম্পদ বৃদ্ধির গুরুত্বও উল্লেখ করেন। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি ফর এডুকেশন (আইএফএফইডি) এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনিকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন যে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে আগামী তিন বছরে দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডিবি।
তিনি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হবে।
শিক্ষামন্ত্রী এসময় শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে যে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে তা দেখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এডিবি প্রেসিডেন্টকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং মাসাতসুগু দীপু মনির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশে সফরে আসার কথা জানান।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
২ বছর আগে
জ্বালানি সংকট: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ২দিন ছুটি ঘোষণা নিয়ে ভাবছে সরকার
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তেই কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলা যাচ্ছে না, হয়তো শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।
শুক্রবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী বছর ২০২৩ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি থাকছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে তা কার্যকর করা হবে কিনা বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি।’
শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যদিয়ে সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে লেখাপড়া শিখবে: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা, জ্ঞান সৃষ্টি করতে হলে গবেষণা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পরীক্ষার ভীতি দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া জীবনকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। নিজেদের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার জরুরি। আমরা কেউই প্রযুক্তির বাইরে নই। প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে আমাদেরও সেভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের উদ্ভাবন করতে হবে। উদ্ভাবনা ছাড়া আমরা এগোতে পারবো না। আমরাই উদ্ভাবন করতে চাই, আমরাই নেতৃত্ব দিতে চাই।’
রবিবার সন্ধ্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এসটিইএম অ্যান্ড দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুল্যুশন’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে দীপু মনির ৪ প্রস্তাব উত্থাপন
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি ‘আমরাও পারি’। পদ্মা সেতু নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, চলমান আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবসহ বিশ্বময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যে পরিবর্তন ও অগ্রগতি হচ্ছে, তাতে আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরাও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে সফট স্কিল আমাদের সংস্কৃতির মধ্যেই ধারণ করতে মনোভাব স্থির করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে সামনে পরিবর্তনের বদলে রূপান্তর আসছে।
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সড়কপথে তিন ঘণ্টায় খুলনায় আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, পদ্মা সেতু হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আমরা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন আমরা ইনোভেটিভ বাংলাদেশ হতে চাই। আমরা সবাই এর সঙ্গী হবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমাদের প্রস্তুতি ও দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক। এটা আমাদের চিন্তার জগতে পরিবর্তন সূচিত করবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে এবং ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি যৌথ উদ্যোগ ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনে উৎসাহ জোগাবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস।
২ বছর আগে
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে দীপু মনির ৪ প্রস্তাব উত্থাপন
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সোমবার অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের দ্বিতীয় সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চার দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
মন্ত্রণায়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে কার্যকর ও রূপান্তরিত শিক্ষানীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাকে সর্বজনীন সম্পদ উল্লেখ করে তার ব্যয়ভার বহনের বিষয়ে সামাজিক এবং উন্নয়ন অংশীদারদের কার্যকর সহায়তা কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার, কারিগরি এবং ভোকেশনাল শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন এবং ডিজিটাল শিক্ষা সুলভ ও সহজলভ্য করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
করোনা মহামারি ও পরবর্তীতে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার লক্ষ্যে এই বছরের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ সালে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আয়োজিত মন্ত্রী-পর্যায়ের এ সভায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৩টি দেশের শিক্ষামন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মন্ত্রী পর্যায়ের প্ল্যানারি সেশন ও বিষয়ভিত্তিক রাউন্ডটেবিলে বক্তব্য দেন। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক মিসেস স্টেফানিয়া জিয়ানিনি এবং ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সভাপতি এইচ ই মিসেস তামারা রাস্তোভাক সিয়ামাশভিলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: কোরালের প্রজনন গবেষণা সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখবে: শিক্ষামন্ত্রী
সভায় তিনি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট শিক্ষা সংক্রান্ত সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিবেশগত এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে মত প্রকাশ করেন।
সভায় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা-সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
২ বছর আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটনোর চেষ্টা সফল হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটনোর চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি বলেন, একটি মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরিতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটনোর চেষ্টা করছে। তাদের এই অপচেষ্টাগুলো কোনভাবেই সফল হবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটা ঘটনা দেখলাম, যাতে দেখা যাচ্ছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার নানান রকম চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থ হচ্ছে। তখন তারা কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটনা ঘটাচ্ছে, যেগুলো তারা আবার এক ধরনের সাম্প্রদায়িক চেহারা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি এই অপচেষ্টা কোনভাবেই সফল হবে না।
আরও পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, আমরা সজাগ রয়েছি। আমাদের দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। শিক্ষকদের প্রতি মানুষের সম্মান-শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। শিক্ষকদেরকে সজাগ থাকার অনুরোধ রইলো। এসব ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্তরাও জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার দেন তিনি।
এই সময় মন্ত্রীর সঙ্গে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা খানম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় শতভাগ শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। সরকার এখন শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কারিকুলাম পরিবর্তনের কাজ চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে কারিকুলাম প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামীতে শিক্ষার মানোন্নয়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কেরানি তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা চাননি। তিনি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করছে।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারি খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ব ব্যবস্থায় আমাদের সন্তানেরা কতটা অবদান রাখবে তা নির্ভর করবে বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কতটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবো তার ওপর।
২ বছর আগে
২৮ বছরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ।
মঙ্গলবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেন এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদা পারভিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল ৩১ শতাংশ মেয়ে। আর ২০১৯ সালে পাস করেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে।’
আরও পড়ুন: মার্চের মাঝামাঝি থেকে মাধ্যমিকে পুরোদমে পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিকে পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ নারী। উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ দশমিক ২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। আর মাদরাসা শিক্ষা পর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ৯ লাখ ৭১ হাজার, ৮৭৩ জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৪৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন:আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নারী উন্নয়নে এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায় তাই কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের ছিল সময়োচিত, সমন্বিত বহুমুখী উদ্যোগ। মহামারি মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বঙ্গ মাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ৬৪ জেলায় দুঃস্থ নারীদের মাঝে চার হাজার সেলাই মেশিন ও দুই হাজার জন দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দুই হাজার টাকা করে মোট চল্লিশ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে প্রায় চার কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
মার্চের মাঝামাঝি থেকে মাধ্যমিকে পুরোদমে পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী
করোনার সংক্রমণ কমে আসায় চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিকে পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে পারব। আমরা তো ধারাবাহিক মূল্যায়নে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দরকার হলে দেবো।’
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের রেনেসাঁ হোটেলে ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ এডুকেশন ফেয়ার উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে নতুন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
মাধ্যমিকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করলেও সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষার্থী চারটি ও দশমে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছে। এছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একদিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে।
২ বছর আগে
শাবিপ্রবি: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনা, অচলাবস্থা কাটেনি
ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী নানা বিষয়ে আশ্বাস দিলেও উপচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আলোচনায় উপস্থিত থাকা সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অনশনে ইতোমধ্যে ২৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আরও বেশি অবস্থান করলে অসুস্থতার সংখ্যাটা বাড়বে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আমরা সাড়ে ১২টার দিকে প্রবেশ করি। একটার দিকে আলোচনা শুরু করি।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় নয়, আলোচনা হবে সিলেটে: শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের আইনগত ও একাডেমিক সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য তিনি সেটি দেখবেন। মন্ত্রী আন্দোলনরত ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছেন তারা যেন অনশন ভেঙে আন্দোলন থেকে সরে আসেন। মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সবকিছু শুনে তিনি আলোচনায় প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।’
নাদেল বলেন, ‘রবিবার শিক্ষার্থীরা যেন লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠান। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অনশন ভাঙার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো কথা আসেনি। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সবার সঙ্গে কথা বলে রবিবার আমাদের জানাবেন। ভিসিকে ছুটি দেয়া বা অপসারণের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা আলোচনা করতে আগ্রহী তবে অনশন ভাঙবেন না। সবকিছু ঠিক থাকলে রবিবার দুপুরে এ বিষয়ে তারা বিফ্রিং করবেন। মোট ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর সাত জন ভিসির বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
আলোচনায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন- শাহরিয়ার আবেদিন, অপূর্ব, মীর রানা, সাব্বির, নাফিসা আঞ্জুম ইমু, রোমিও, উমর ফারুক, ইয়াসির সরকার, সাদিয়া আফরিন ও মোহাইমিনুল বাশার রাজ।
২ বছর আগে